Select Page

ওভারলক মেশিন

ওভারলক মেশিনে ঝুঁকি কি কি?

ওভারলক মেশিন এর ঝুঁকি সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো ঃ

আইগার্ড ঃ আইগার্ড না থাকিলে যে কোন মূহুর্তে নিডেল ভেঙ্গে চোখসহ শরীরের যে কোন অঙ্গে আঘাত করতে পারে । ইহা ছাড়া নিডেলের ভাংগা অংশ হারিয়েও যেতে পারে ।ওভারলক মেশিন ব্যবহারের পদ্ধতি এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনার জন্য সতর্কতা …

ওভারলক মেশিন এর কাজ শুরু করার পূর্বে লক্ষ্যণীয়ঃ

বেল কভার ঃ মেশিনে বেল কভার না থাকলে যে কোন সময় বেল্টের সাথে সুতা/পরনের কাপড় পেঁচিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পুলি কভার ঃ মটরে পুলি কভার না থাকলে যে কোন সময় পরিধেয় কাপড় (মেয়েদের ক্ষেত্রে) পেঁচিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তৈল ঃ মেশিনের মধ্যে অপরিস্কার তৈল মেশিনের কার্যক্ষমতা কমায়। তাই সময়মত মেশিনের তৈল পরিস্কার করতে হবে।

জোড়া তার ঃ মেশিনে জোড়া তার থাকলে যে কোন সময় মেশিন বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সুইচ ঃ মেশিনে সুইচ নড়েবড়ে অবস্থায় থাকলে যে কোন সময় মেশিন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদিন কাজ শেষে অপারেটররা অবশ্যই মেশিন পরিস্কার করিবেন এবং কাজ ছেড়ে কোথাও গেলে মেশিনের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করে যাবেন।

AUTO  গার্মেন্টস লিমিটেড

নিয়ম-কানুনঃ- সকলকেই জানাচ্ছি  “AUTO  গার্মেন্টস লিমিটেড”  এর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন সকল কারখানাতে কিছু নিা কিছু নিয়ম-কানুন আছে। ঠিক তেমনি আমাদের কারখানাতেও বেশ কিছু নিয়ম-কানুন আছে। আর কারখানাতে কাজ করতে হলে এই সকল নিয়ম-কানুন  অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেমনঃ- মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবেনা। ফ্লোরের ভিতরে কোনও কিছু খাবার খাওয়া যাবেনা। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবেনা। জানালা দিয়ে থু থু ফেলা যাবেনা। নির্দিষ্টি স্থানে থু থু ফেলতে হবে। প্রত্যেককে অবশ্যই আইডি কার্ড পড়ে  কাজ করতে হবে। কোম্পানীর দেয়া জিনিস পত্র ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ- মাস্ক, ক্যাপ, স্ক্যাপ পড়ে কাজ করতে হবে। যে সকল শ্রমিক সিজার, কাটার দিয়ে কাজ করে সে সকল শ্রমিক কে সিজার কাটার বেধেঁ কাজ করতে হবে।

দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ- মেশিনে বসার সময় লক্ষ্য করুন মেশিন পরিস্কার আছে কিনা, না থাকলে সর্ব প্রথম মেশিন পরিস্কার করুন। প্রতিটা কারখানার যেমন নিয়ম-কানুন আছে  নিজেদেরও কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে, ঠিক তেমনি আমাদের কারখানাতে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন আছে। আর এই নিয়ম-কানুন মেনে চলাটাই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেমনঃ- বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে সাথে মেশিনের সূইচ অফ করতে হবে এবং ছুটি হলে মেশিনের সূইচ অফ করে যেতে হবে। যে স্থানে বসে কাজ করবেন সেই স্থান ও মেশিন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখবেন।  ফ্লোরের ভিতরে উচ্চস্বরে কোনও কথা বলা যাবেনা। কোন সমস্যাযুক্ত মেশিনে বসে কাজ করা যাবেনা। এক সেকশন থেকে আর এক সেকশনে যেতে হলে সেকশন প্রধানের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। ফ্লোরের ভিতরে কোনও রকম মারামারি, ঝগড়াঝাটি করা যাবেনা কোনও সমস্যা হলে নিজ নিজ সুপারভাইজার, লাইনচিফ এমনকি এডমিন সেকশনে যোগাযোগ করতে হবে। কোনও ধরনের বিশৃঙ্গ্খলা করা যাবেনা । মেশিনে কোন ইলেকট্রিক তার ছেড়া বা খোলা আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন যদি থাকে তাহলে মেকানিককে অবহিত করুন।

সুযোগ- সুবিধাঃ- মেশিনের আই গার্ড, বেল্ট কভার, মোটর কভার ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন। আমাদের কারখানাতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে যেমনঃ-আমাদের কারখানাতে হাজিরা বোনাসের ব্যবস্থা আছে, ঈদ বোনাসের ব্যবস্থা আছে, বাৎসরিক বোনাসের ব্যবস্থা  আছে,শিশু পরিচর্যা কক্ষ  আছে, প্রতিটা ফ্লোরে প্রাাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে ডাক্তার -নার্সের ব্যবস্থা আছে, পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা আছে, মহিলাদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা আছে  হাসপাতালের সুবিধা আছে তাছাড়া আমাদের এখানে প্রতি বছর বিনোদন যেমন ঃ- পিকনিক এর ব্যবস্থা আছে। কাটার- সিজার সঠিকভাবে ওয়ার্ক স্টেশনের সাথে বেধে কাজ করুন।

নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ-

১.            আমাদের কারখানাতে শ্রমিক শিশু নিয়োগ করা হয়না।

২.           জোরপূর্বক কোনও কাজ করানো হয়না।

৩.           বৈষম্য করা হয়না।

৪.         মহিলা শ্রমিকগন মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুণ।  হয়রানী করা হয়না।

৫.           প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করা হয়।

৬.           নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদির ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

৭.           শ্রমিকের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।

৮.         সকল শ্রমিকগন মুখে মাস্ক ব্যবহার করুণ।  মূল মজুরীর দ্বিগুনহারে ২ ঘন্টা অভার টাইমের হার পরিশোধ করা হয়।

৯.           নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছুটি প্রদান করা হয়।

১০.         নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও চুড়ান্ত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে।

১১.         এইডস সম্পর্কে  ধারণা।