থ্রেড ব্রেকেজ এবং স্কীপ স্টীচ কমানো
গার্মেন্টস হচেছ এমন ধরনের প্রতিষ্ঠান যেখানে একসাথে অনেক লোক দীর্ঘ সময় ধরে থ্রেড ব্রেকেজ এবং স্কীপ স্টীচ কাজ করে। এখানে অধিকাংশ শ্রমিকই অশিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত, নির্মম দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত,পাওয়া আর না পাওয়ার দ্বন্দ সংঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে কাজ করছে। কাজ করার সময় যাতে কাউকে অযথা অপমান, নির্যাতন, অথবা হয়রানী করা না হয় এ জন্য গ্র“পের সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাবৃন্দের সম্মান ও মর্যাদা সমুন্নত রেখে সম্পুর্ন হয়রানী ও উৎপীড়নমুক্ত কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর। হয়রানী হচেছ কারো সাথে এমন কোন আচরণ যা অপ্রত্যাশিত ,অপমানজনক ভাবে এবং কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে করা হয়।
থ্রেড ব্রেক এবং স্কীপ স্টীচ এর ক্ষতিকর দিকসমুহ:
উৎপাদনে বাধা
উৎপাদনের গুনগত মান কমে যাওয়া
অপারেটরের দক্ষতা হ্রাস
আয় / উপার্জন কমে যাওয়া সহ উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
অনেক কারনেই থ্রেড ব্রেক এবং স্কীপ স্টীচ হতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম কারন গুলো হল:
অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ভুল থ্রেডের ব্যবহার
থ্রেডের গুনগত মানে ত্রুটি-বিচ্যুতি
ত্রুটিযুক্ত সেলাই সুচ বা থ্রেড সাইজ সম্পর্ক
ত্রুটিপূর্ণ থ্রেড গাইড অথবা আইলেটস
ত্রুটিপূর্ণ থ্রেডিং
অত্যাধিক মেশিন থ্রেড টান
ত্রুটিপূর্ণ সুচ অথবা সুচের ত্রুটিপূর্ণ পজিশনিং
নিডেল হিট
ত্রুটিপূর্ণ মেশিন পার্টস ব্রাস অথবা ধারালো পৃষ্ঠতল
সুইং মেশিনের সমন্বয়হীনতা বা অ্যাডজাস্টমেন্টের সমস্যা
ইমপ্রোপার ফিডিং
ইমপ্রোপার অপারেটর হ্যান্ডলিং
ঝিমানো ঋষধমমরহম
থ্রেড ব্রেক এবং স্কীপ স্টীচ কমাতে মূল বৈশিষ্ট হল:
সঠিক লুপ সংকলন
ইয়ার্ণ ইমপারফেকশনের অনুপস্থিতি
সঠিক লুব্রিকেশন
ভাল করে প্লাই পাকানো
কর্মরত শ্রমিকদের জন্য হয়রানী ও উৎপীরন মুক্ত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরণ ও পালন করে থাকি। আল-মুসলিম গ্র“পের সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠানে নিম্নে উল্লেখিত কর্মকান্ডগুলি নিষিদ্ধ। এ সব কর্মকান্ডগুলো হচ্ছে ঃ
গালি গালাজ ও হুমকি প্রদান করা। শারীরিক নির্যাতন করা। এমন ধরনের মানসিক নির্যাতন করা যার কারণে কর্মীর কাজের স্পৃহা হ্রাস পায় বা নষ্ট হয়। যে কোন প্রকার যৌন হয়রানী করা। পানীয় জল, টয়লেট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক প্রয়োজনের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা। অযৌক্তিকভাবে কর্মীদের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা । উল্লেখিত নীতিমালাগুলি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কোম্পানী ও শ্রম আইন মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোম্পানীতে কর্মরত যে কেউই যেকোন ধরনের অভিযোগ বা পরামর্শ যদি থাকে সরাসরি কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে পারবে এবং এজন্যে তাকে কোন প্রকার শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে না। এই নীতিমালা সকল শ্রমিক,কর্মচারী, কর্মকর্তাবৃন্দের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে। নিম্ন লিখিত উপায়ে অভিযোগ বা পরামর্শ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জানানো যাবে ঃ
প্রতিটি টয়লেটে রাখা অভিযোগ বা মতামত বাক্সের মাধ্যমে নির্ভয়ে যে কেউ তার অভিযোগের কথা জানাতে পারে। অভিযোগ পত্রে অভিযোগকারীর নাম বা কার্ড নং লেখার কোন প্রয়োজন নাই। কর্মীরা শ্রমিক ফোরাম সদস্যদের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবে।
প্রয়োজনে সরাসরি উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকের কাছে তথ্য প্রদান করতে পারবে এবং এক্ষেত্রে সম্পূর্ন গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। সচেতন কর্মী তৈরির লক্ষ্যে নিম্ন-লিখিত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় যার মাধ্যমে কর্মীরা সঠিকভাবে হয়রানী ও উৎপীড়নের কথা কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক নিয়মে জানিয়ে তার প্রতিকার আশা করতে পারে।