Select Page

নিরাপত্তা বিভাগের পেট্রল ডিউটি পলিসি

কারখানার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পেট্রল ডিউটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারখানার জানমালের নিরাপত্তার জন্য দ্বায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীগণ পালাক্রমে কারখানার ভিতর ও বাহিরের দিকে চারপাশে এবং স্পর্শকাতর এলাকায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিদর্শন করবে -এটাই পেট্রল ডিউটি নামে পরিচিত। ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে প্রত্যেকটি শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দদের কে সিকিউরিটি  গার্ডকে তাদের নিজ নিজ পরিচয় পত্র দেখাতে হবে । ফ্যাক্টরীতে প্রবেশকালে কিছু বহন করে আনা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ । পুরুষ ও মহিলা গার্ড দ্বারা স্ত্রী-পুরুষ বিভেদে  সন্ধেহভাজনদের  প্রয়োজনে দেহ তলাশী কার্যকর হবে ।

একজন দুকৃতিকারী তার জীবনের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রেখে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য একটি  নির্দিষ্ট সময় বেছে নেয়। তার মধ্যে রাতের বেলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অটো লিঃ নিরাপত্তা প্রহরীদের পেট্রল ডিউটির ব্যাপারে একটি পলিসি প্রনয়ন করিয়াছেন:

  • কারখানার নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি সুপারভাইজার পেট্রল ডিউটির দ্বায়িত্বে থাকবেন। তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সকল নিরাপত্তা পোস্ট, কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বায়িত্ব পালন, কারখানার ভেতর ও বাহিরের চারদিকে পরিভ্রমণ করবেন। প্রয়োজনে তিনি একদল নিরাপত্তা কর্মী বা কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের মধ্যে কাউকে সাথে নিতে পারবেন।
  • পেট্রল ডিউটির তথ্য সম্পূর্ণরুপে গোপন থাকবে। কোনভাবেই তা আগাম কারো নিকট প্রকাশ করা যাবে না।
  • পেট্রল ডিউটিতে নিয়োজিত সুপারভাইজার প্রয়োজন মনে করলে কারখানার ফ্লোরে অকষ্মাৎ পরিদর্শনে যেতে পারবেন পেট্রল ডিউটির তথ্য রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

কোম্পানী কর্তৃক ভাড়াকৃত সকল যানবাহনকে ফ্যাক্টরীর প্রধান ফটকের বাহিরে পার্কিং রাখতে হবে । কেবলমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে গেইট পাশ ইস্যু পরবর্তী নির্দিষ্ট যানবাহনটি ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে পারবে । সিকিউরিটি গার্ডগণ প্রতিটি বাসের আগমন ও র্নিগমনের সময় সুচী লিখিত আকারে রেকর্ড রাখবে এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগকে তা অবহিত করবে । সিকিউরিটি গার্ডদের কে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, বিক্রয়োওর বর্জ্য পদার্থ ফ্যাক্টরী হতে বের করার প্রাক্কালে বর্জ্য নয় অর্থাৎ প্রয়োজনীয় কোন কিছুই যেন বের না হয় এবং যা কিছুই বের হয় তা যেন লিখিত চালানের সাথে সর্ম্পন্ন রূপে সাম্্ঞ্জস্য পুণর্  থাকে ।

কর্ম পরিবেশ নীতিমালা ঃ

(ক) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ

১. প্রতিদিন কর্মস্থল, মেঝে, ওয়ার্ক টেবিল, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে ।
২. মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ভেজা কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং পালাক্রমে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক নিয়োজিত থাকবে।
৩. নির্দিষ্ট সময় পর কারখানার দেয়াল ও ছাদ রং করতে হবে ।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ।
(খ) বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ

১. কারখানাটিতে পর্যাপ্ত পরিমান জানালা থাকতে হবে যাতে প্রাকৃতিক ভাবে বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়।
২. কর্মস্থানে অতি তাপ: কর্মক্ষেত্রে এক্সষ্ট ফ্যান লাগাতে হবে
(গ) ধূলা-বালি ও ধোয়া ঃ

১. ধূলা-বালি ও ধোঁয়া যাতে করে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানী বা অস্বস্তির সৃষ্টি না করে সে জন্য শ্রমিকগনকে মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করতে হবে ।
২. ধোঁয়া নির্গমনের জন্য কারখানাটিতে যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
(ঘ) খাবার পানি / পান করার পানি ঃ

১. শ্রমিকদের পান করার জন্য কর্মস্থলের সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য স্থানে পানির জার বসাতে হবে।
২. বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
৩. প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে ।
(ঙ) বর্জ্য পদার্থ অপসারণ ঃ
১. নির্দিষ্ট লোক নির্দিষ্ট সময় পর পর কারখানার জুট সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে ।
২. কারখানাটিতে অত্যান্ত নিরাপদভাবে জুট রাখার ব্যবস্থা করতে হবে ।
(চ) আলোর ব্যবস্থা ঃ
১. কারখানার শ্রমিকগণ যেখানে কাজ করেন বা যাতায়াত করেন সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক এবং বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করতে হবে ।
২. শ্রমিকদের সুক্ষ কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
৩. কর্মস্থানে আলোস্বল্পতা: কর্মস্থানে যথেষ্টভাবে আলোকিত করতে হবে যেমন: সেলাই কর্মস্থান: > ৫০০ লাক্স, কাটিং কর্মস্থান: > ৭০০ লাক্স, ইন্সপেকশন এলাকা: > ১০০০ লাক্স। কর্মস্থলে আলো বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ছ) পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ

১. কারখানায় শ্রমিকগনের জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
২. মহিলা ও পূরুষদের জন্য পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করতে হবে ।
৩. প্রতিদিন জীবাণুনাশক দ্বারা কমপক্ষে ৩ বার পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিষ্কার করতে হবে এবং তা রেকর্ডকৃত করতে হবে ।
(জ) আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ঃ
১. কারখানাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(ঝ) প্রশিক্ষণ ঃ
২. কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থাদি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে ।