by Mashiur | Jan 24, 2018 | বিদ্যুৎ
বৈদ্যুতিক শক নিরাপত্তা নীতিমালা
কমিটি অগ্নিকান্ডের সময়ে কারখানার জন্য একটি লিখিত অগ্নি নির্বাপন এবং নিরাপত্তা পরিকল্পনা অনুযায়ী আগুন জনিত দূর্যোগ মোকাবেলা করবে। নিটওয়্যার লিঃ এ বৈদ্যুতিক কাজে নিয়োজিত কর্মীগণ নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল কর্মী ও জানমালের বৈদ্যুতিক শক থেকে নিরাপত্তা বিধান করবে এবং বৈদ্যুতিক দায়িত্ব পালন কালে নিম্নোক্ত নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে চলবে। …
বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নীতিমালা
ফ্যাক্টরীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং ফায়ার হোজ রিল ন্থাপন করতে হবে যা দিয়ে অগ্নি নির্বাপন করতে হবে। পোশাক শিল্পে/ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রতি দৃষ্টি রাখা প্রাথমিক দায়িত্ব। বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেকে সচেতন থাকলেই দলগত কিংবা সমষ্টিগত নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব। বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ যতক্ষণ ইউনিট/ফ্লোর চালুর থাকে ততক্ষণ বৈদ্যুতিক ব্যবহার অব্যাহত থাকে। তাই এ বিষয়ে যে যে নিরাপত্তার দরকার তা নিন্মে উল্লেখ করা হলঃ
- কারখানায় কর্মরত মোট শ্রমিকের মধ্যে ন্যূনতম ২৫% শ্রমিককে অগ্নি নির্বাপক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কর্মীদের বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে হবে, যাতে বৈদ্যুতিক যে কোন জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব হয়।
- সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ ঈড়হংড়ষবফ ও ঈড়হফঁরঃ থাকতে হবে। কোন ভাবেই কোথাও উন্মুক্ত সংযোগ রাখা যাবে না।
- কর্মীদের কাজের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক চচঊ যেমনঃ হাতমোজা, গামবুট, চশমা পরিধান করতে হবে।
- কাজের শুরু/শেষে ইউনিট/ফ্লোরে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
- বয়লার কক্ষ পরিদর্শনের উপযোগী হতে হবে এবং বাষ্প লাইনে ছিদ্র বা লিকেজ থাকবে না ও খোলা (ন্যাকেট) পাইপ থাকবে না।
- যান্ত্রিক দূর্ঘটনা জনিত দূর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে তৎক্ষনাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লেক্ষ্যে মেকানিক্যাল সুপারভাউজার কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করতে হবে এবং উক্ত কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে। কোথাও কোন খোলা তার থাকতে পারবে না।
- ডি.বি বোর্ডে ডেনজার প্লেট লাগানো থাকবে এর আশে পাশে বৈদ্যুতিক শক এর চিকিৎসার নিয়মাবলীর পোষ্টার থাকতে হবে।
- কর্মীরা কোন অবস্থাতেই চচঊ ছাড়া কাজ করতে পারবে না। দূর্ঘটনা সংবাদ দ্রæত কারখানার মেডিকেল ইউনিটে জানাতে হবে এবং মেডিকেল অফিসার তাৎক্ষনিক দূর্ঘটনায় পতিত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
- সকল উই বোর্ডের নীচে রাবার ম্যাট থাকতে হবে।
- কর্মীদের সুবিধার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক ফাস্ট এইড বক্স সকল স্থানে দেওয়া আছে। ফাস্ট এইড বক্সের অবস্থান সকল বৈদ্যুতিক কর্মীকে জানতে হবে।
- অসুস্থদের জন্য একটি ’সিক রুম ’ এর ব্যবস্থা করা হবে যাতে একটি বেড এবং একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স সার্বক্ষনিক ভাবে থাকবেন । প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে পঠাতে হবে।
- ডি.বি. বোর্ডগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আশে পাশে কোন মালামাল থাকাবে না। বোর্ড তালা দিয়ে আটকানো থাকবে না।
- পিছ আয়রন ছকেট থেকে বিচ্ছিন্ন না করে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।
- পিছ আয়রন বা ভ্যাকুয়াম আয়রন সবসময় পুরোপুরি ঠিক থাকতে হবে এবং সর্বদা আয়রন স্ট্যান্ডে এর উপর রাখতে হবে।
- যদি কোন কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তবে সরকারের সংশ্লি¬ষ্ট বিভাগের সাহায্য গ্রহন করতে হবে। সকল মেশিনের মটর পুলি কভার (চঁষষু ঈড়াবৎ) থাকতে হবে।
- কোন মটর, ফ্যান, মেশিনের বাজে শব্দ থাকতে পারবে না।
- কোন প্রকার ভাঙ্গা বা পোড়া প্লাগ, সকেট, সুইচ থাকবে না।
- টিউব লাইটের স্টার্টার সঠিকভাবে থাকতে হবে এবং সমস্ত লাইট এক সঙ্গে জ্বলে উঠবে।
- মটর বা মেশিনের তারগুলি সুন্দরভাবে ড্রেসিং থাকতে হবে।
- অগ্নি নির্বাপনের জন্য প্রতিটি ফ্লোরে ১টি করে অগ্নি নির্বাপক টীম গঠন করে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তারা তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করবে এবং প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করার জন্যে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি ফায়ার সার্ভিসে ফোন করবে।
সব চ্যানেলগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ভিতরে কোন ডাস্ট থাকবে না।
- কোন বৈদ্যুতিক তারে আগুন ধরে গেলে কিংবা তারের কোন অংশ থেকে ধোয়া বের হলে কি কারণীয় তা বাংলা/ইংরেজীতে লিখে টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে।
- একজন বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্তৃক নিয়মিতভাবে (সপ্তাহে একবার) ভিজিট এর ব্যবস্থা করা হবে এবং রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হবে ।
- কোন প্রকার বৈদ্যুতিক দূঘটনা ও কোম্পানীর ক্ষতি জনিত বিষয় তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করবে এবং ঘটনা লিপিবদ্ধ করবে।
সারসংক্ষেপ
অগ্নিকান্ডের
উৎস তাৎক্ষনিক ভাবে চিহ্নিত করার
জন্য স্মোক ডিটেক্টর সিস্টেম স্থাপন করতে হবে।
সাথে সাথে বেজে উঠবে
উৎপাদন ফ্লোরের ফায়ার এলার্ম উক্ত
ফায়ার এলার্ম এর শব্দ শোনার
সাথে সাথে সকল শ্রমিককে
সিঁড়ি দিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে
নীচে নিরাপদ স্থানে যাতে পৌঁছাতে পারে
তা নিশ্চিত । এবং
দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি/সেকশন ইনচার্জ গণনা করে দেখবেন
তার সেকশনের কোন শ্রমিক/কর্মচারী
বাদ আছে কি না
তা নিশ্চিত করতে হবে।
by Mashiur | Dec 15, 2017 | বিদ্যুৎ
জেনারেটরে তৈল ভরার নিয়মাবলী
অত্র কারখানায় কর্মরত রয়েছে নানান জাতের,নানান মতের, ধর্মের, বর্নের লোক।আপাতঃ দৃস্টিতে মনে হচ্ছে এ যেন এক অমিলের কারখানা।হাজারো অমিলের মধ্যে কোথায় যেন একটা মিল রয়েছে।আর সেই মিলের সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা সবাই একই পরিবারের লোক।এখানে নেই কোন হয়রানী, নেই কোন উৎপীড়ন।সবাই এক ভয়হীন পরিবেশে কাজ করছি। …
জেনারেটরে তৈল ভরার নিয়মাবলী সমূহ নিম্নে বর্নিত হলো ঃ
- প্রথমে বেরেল বা তৈলের ড্রাম জেনারেটরের রুমে নিতে হবে।
- বেরেল বা ড্রাম এর মুখ খুলে ড্রাম এর ভিতর পাম্প এর পাইপ ঢুকাতে হবে।
- পাম্প এর হাতল ঘুরিয়ে বালতিতে তৈল উঠাতে হবে।
- পরে জেনারেটরের ট্যাংকের মুখ খুলে, ট্যাংকের মুখে চুঙ্গা বসিয়ে এর উপর তৈল ছাকার জন্য একটি ছাঁকনি বসিয়ে তৈল ঢালতে হবে।
- ট্যাংকের তৈলের মিটার দেখে তৈলের পরিমান নিশ্চিত করতে হবে।
- বৈদ্যুতিক ডিসস্ট্রিবিউশন, সাব-ডিসট্রিবিউশন ও সুইচ বোর্ডকে ফেব্রিক কাটুর্ন ও অন্যান্য বস্তু থেকে মুক্ত রাখা হয় কিনা এবং সবগুলো বোর্ডেও নীচে রবারম্যাট আছে কিনা ?
- জরুরী বর্হিগমন, আইলস্ মার্ক ও সিঁড়ি সবসময় বাধামুক্ত রাখা হয় কিনা ?
- কাজ শেষে সকল সুইং মেশিনের সুইচ বন্ধ করা ও বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি বৈদ্যুতিক সংযোগ হতে বিচ্ছিন্ন করা হয় কিনা ?
- বৈদ্যুতিক চ্যানেলগুলি ঝুল বা আঁশ জাতীয় ধুলিকনা মুক্ত আছে কিনা তাহা নিয়মিত চেক করা হয় কিনা ?
- নের মটর কেসিং নিয়মিত পরিস্কার করা হয় কিনা?
- কোন জায়গায় লুস তার বা কেবেল আছে কিনা ?
- বয়লার মেশিন সাভিসিং সময়মত হচেছ কিনা ?
- বয়লারে কোন যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কিনা ?
- সকল বর্হিগমন লাইট গুলো ঠিক আছে কিনা ?
- কোন স্থানে জোড়া লাগানো তার আছে কিনা ?
- ভাঙ্গা সুইচ, খোলা সুইচ, কোন স্থানে আছে কিনা ?
- আই পি এস ব্রেক আপ চালু আছে কিনা ?
প্রত্যেকটি কর্মচারীকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন এবং শ্রম আইনের বিধানসমূহ মেনে কাজ করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি তা ভঙ্গ করেন, আর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তাহলে অচিরেই সে প্রতিষ্ঠানে নিয়ম কানুন আর থাকবে না। একথা বিবেচনা করেই এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা ২৪ পুরোপুরি অনুসরন করেই গ্র“পে কর্মরত যে কেউই যদি হয়রানি বা উৎপীড়নের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরিচ্যুত বা তাৎক্ষনিক শাস্তিমূলক বদলী বা স্ব-পদ হতে নীচের পদে নামিয়ে দেওয়া হবে। তাছড়া অবস্থাভেদে নিম্নলিখিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
হীনপদস্ত বা শাস্তিমূলক বদলী অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি ৬০ দিনের মধ্যে একই ঘটনার পূনারাবৃত্তি ঘটায় তাহলে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরী হতে বহিস্কার করা হবে।
হয়রানী ও বা উৎপীড়নমূলক বদলী অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে অবশ্যই নিপীড়িত ব্যক্তির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
এই ধরনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তির আচরণ শুদ্ধিকরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেমন-আন্ত সংস্কৃতির প্রশিক্ষণ, দ্বন্দ সমাধানের ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভীতি সৃষ্টিকারী যেকোন ব্যাক্তিকে প্রয়োজনে দ্রুত বদলী করা অথবা তার আচরণ বিবেচনায় কোম্পানী ও শ্রম আইন অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
প্রয়োজন হলে দোষী ব্যক্তিকে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন অনুসরণ করা হবে।
অভিযোগ ও শাস্তি সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট সব সময়ই নথীভূক্ত রাখতে হবে যাতে করে প্রয়োজনের সময় সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও হয়রানী ও উৎপীড়নের ঘটনা যদি বার বার সংঘটিত হতে থাকে, সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে হয়রানী প্রতিরোধে বিরাজমান নীতিমালাতে পরিবর্তন আনতে হবে।
by Mashiur | Dec 4, 2017 | বিদ্যুৎ
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি
জেনারেটর সেকশনে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা – অগ্নি কিংবা অন্য কোন দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নির্গমনের জন্য সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত পর্যাপ্ত নির্গমন পথ রাখা আছে, এই সকল নির্গমন পথকে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী সামগ্রী হতে মুক্ত রাখা আছে এবং কারখানার কার্যকালীন সময়ে এ সকল নির্গমন পথ তালাহীন অবস্থায় উন্মুক্ত রাখা হয়। …
মেশিন চালানোর সময় শ্রমিক ও কর্মস্থলের নিরাপত্তার জন্য নিম্ন লিখিত ঝুঁকিগুলোর প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। জেনারেটরের শব্দ উচ্চ মাত্রার শব্দ দূষন। এই সার্বক্ষনিক দূষন শ্রবন ক্ষমতার উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।জনারেটর অপারেটর এয়ার প্লাগ ব্যবহার না করলে শ্রবন শক্তি হ্রাস পেতে পারে। Read Similar Article in English
ঝুঁকি বিশ্লেষণ / ব্যবস্থাপনা নীতিমালা
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- কাজের শুরুতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করতে হবে এবং মেশিনে কোন প্রকার কারিগরি ত্র“টি আছে কিনা তা চেক করতে হবে। জেনারেটর রুমে কাজ করার সময় অবশ্যই ইয়ার মাফ ব্যবহার করতে হবে।
- ইলেকট্রিক্যাল সংযোগ ঠিকমত আছে কিনা চেক করে নিতে হবে। জেনারেটর রুমে কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
- ওয়াটার টেম্পারেচার ঠিকমত আছে কিনা চেক করে নিতে হবে। জেনারেটর মেশিনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
- জেনারেটর রুমে কোন ধরনের প্রজ্জ্বলন সহায়ক (চেয়ার, টেবিল, জ্বালানি, কাগজ দি) বস্তু রাখা যাবে না।
- সার্বক্ষনিক তদারকি এবং মেইনটেনেন্স নিশ্চিত করতে হবে।
- এখানে কাজ করার সময় যথাযথ আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি (হ্যান্ড গ্লাভস, হেলমেট, গামবুট ইত্যাদি) ব্যবহার করতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ ব্যতীত অন্য কেউ এই এলাকায় প্রবেশ করবে না।
- ডিজেল ব্যবহার ও সংরক্ষনে বিশেষ সতকর্তা অবলম্বন করা।
- মেশিন বা কাজের স্থানের পরিচছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। বৈদ্যুতিক ডিভাজ গুলো ত্র“টি মুক্ত আছে কিনা নিয়মিত পরীক্ষা করা।
- জেনারেটর কক্ষকে সংরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করতে হবে।
- ঘূর্নায়মান অংশের নিকটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। জেনারেটর কক্ষে বিপদজনক নোটিশ লাগাতে হবে।
- মেশিন চলন্ত অবস্থায় বেল্ট কভার এবং চেইন খোলা যাবে না। জেনারেটর কক্ষ অবশ্যই লোকেবল হতে হবে।
- জেনারেটর অপারেটররে অবশ্যই এয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে হবে।
সারাংশ
জেনারেটর সেকশনে মেশিন অপারেটরের অবশ্যই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে এবং জেনারেটর মেশিন কক্ষের দরজা বন্ধ রাখতে হবে।
by Mashiur | Nov 15, 2017 | বিদ্যুৎ
বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন রোধে করনীয়:
নিয়মিত ফ্যাক্টরীর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার হালনাগাদ করতে হবে । যোগ্যতাসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য কর্মী নিয়োগ দিতে হবে। মানসম্মত তার, সার্কিট ব্রেকার ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। বাধাহীন ও পরিস্কার কর্মস্থল থাকতে হবে। কর্তৃপক্ষ কর্মস্থলে শ্রমিক কর্মচারীগনের সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতির লক্ষ্যে স্থানীয় শ্রম আইন, স্থানীয় নিরাপত্তা আইন, আর্ন্তজাতকি নিরাপত্তা আইন, আর্ন্তজাতকি শ্রম সংঘ এবং ক্রেতাগনের আচরণ বিধি সম্পূর্নরূপে মেনে চলে। কর্তৃপক্ষ মনে করে কর্মস্থলে যে সমস্থ নিরাপত্তা ঝুকি রয়েছে তার মধ্যে অগ্নি ঝুকি শ্রমিক কর্মচারীর জীবন এবং ফ্যাক্টরীর সম্পদের জন্য সবচেয়ে মারাতœক। এই জন্যই বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন বা যে কোন আগুন রক্ষা পাবার জন্য অগ্নি নিরাপত্তা আইন প্রনোয়ন করা হয়েছে। স্থানীয় শ্রম আইন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অগ্নি নিরাপত্তা আইনের বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মস্থলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। বৈদ্যুতিক সংযোগ ব্যবস্থার ওভারলোড বর্জন করতে হবে। অস্থায়ী বৈদ্যুতিক সংযোগ বর্জন করতে হবে। অদক্ষ হাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামত বর্জন করতে হবে। …
See English Version
অগ্নি বিপদ থেকে নিরাপত্তায় করণীয়:
অগ্নি র্দূঘটনার সময় অগ্নি নর্বিাপক সরঞ্জানাদরি ব্যবহার করে প্রাথমকি অবস্থাতইে আগুন নভোনোর কাজে ফ্যাক্টরী থকেে বরে হতে সাহায্য করা, উদ্ধার তৎপরতা, প্রাথমকি চকিৎিসা র্কাযক্রম অগ্নি নর্বিাপক দলরে কাজ।
- অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান
- ফায়ার র্সাভসি দল আসলে তাদরে র্সবতোভাবে সাহায্য করব।ে
জরূরী অবস্থায় কর্মীদের নিরাপদ বহির্গমন পরিকল্পনা করা
- ফ্যাক্টরীতে কোন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হলে যথাযথ কেমিকেল হ্যান্ডেলিং, পরিবহন/বহন সংরক্ষণ এবং অপসারণ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়।
কারখানায় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংস্থাপন করা
- আগুন লাগার সাইরনে/ফায়ার এর্লাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইলকেট্রশিয়িান/ফায়ার ফাইটংি দলরে নতো ফ্লোররে মইেন সুইচ বন্ধ করব।ে
কারখানায় বৈদ্যুতিক ও হস্ত চালিত এলার্ম সিস্টেম সংস্থাপন করা
কারখানায় কেন্দ্রীয় মাইক সিস্টেম সংস্থাপন করা
- সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা, বৈদ্যুতিক তার, ওয়্যারিং সংযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, জন্য ফ্যাক্টরী মেইটেন্যান্স ইন্চার্জ সংশ্লিষ্ঠ ইলেক্টিশিয়ান এবং মেকানিকদেও সহয়তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
- সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা, বৈদ্যুতিক তার, ওয়্যারিং সংযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, জন্য ফ্যাক্টরী মেইটেন্যান্স ইন্চার্জ সংশ্লিষ্ঠ ইলেক্টিশিয়ান এবং মেকানিকদেও সহয়তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
- সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা, সংযোগ, মেশিনারী নিদিষ্ট সময় সময় পর চেক কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন রা হবে এবং রের্কড সংরক্ষণ করা হবে।
- ফ্যাক্টরী অভ্যান্তওে কোন ধরনের ওয়েলডিং প্রয়োজন হলে দাহ্য বস্তসমূহ নিরাপদ দুরত্ব সরিয়ে ফেলতে হবে এবং সিকিউরিটি, এইচ আর ও মেইনটেন্যান্স এর প্রতিনিধিদেও উপস্থিতিতে যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত সাপেক্ষে তা করা হবে।
- ফ্যাক্টরী অভ্যান্তওে কোন ধরনের উম্মক্ত আগুন যেমন চুলা, হিটার, ম্যাচ লাইটার, ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
- দাহ্য বস্ত সমূহের নিরাপদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।
- দলরে সবাই দলগত শৃঙ্খলা মনেে চলব।ে
কারখানায় হোস পাইপ সিস্টেম সংস্থাপন করা
প্রতি মাসে একবার ফায়ার ড্রিল করানো এবং তার ডকুমেন্ট রাখা
- বদ্যৈতকি আগুনরে নভিাতে শুধু র্কাবন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করব।ে
ফ্লোরে বহির্গমন পথ দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা যাতে বিপদের সময় কর্মীরা সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে
- মেটারেজ সমূহে কোন ধরনের ইলেকট্রিক ওয়্যারিং সংযোগ দেয়া যাবে না।৫. ফ্যাক্টরী কমপ্লেক্সেও ভেতওে ধুমপান এমনকি ধুমপানের দ্রব্য সামগ্রী বহন সম্পূর্নরুপে নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ,
ফ্লোরে, সিড়ির গোড়ায়, স্টোরে ব্যাটারী চালিত ইমার্জেন্সি লাইট সংস্থাপন করা
স্টোরের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সুইচ, ব্যালাস্ট ইত্যাদি স্টোরের বাইরে স্থ্াপন করা
- অপদ্রব্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ ভাবে মেনে চলা হবে।ওয়েসটেস পৃথকীকরন, লেবেলিং এবং অপসারণ এর ক্ষেত্রে সকল নিয়ম পালন করা হবে।
কারখানায় অন্তত ২ (দুই) টি সিড়ির ব্যবস্থা করা এবং সিড়ির নূন্যতম প্রশস্থতা ৮র্ – ০র্র্র্র্ র্ হতে হবে
কাঠের তৈরী আসবাবপত্র ব্যবহার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে
- আগুন লাগার সাররনে শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ফাইটংি দলরে সদস্যগন দ্রুত ফায়ার ফাইটংি সরঞ্জানাদরি ব্যবহার করব।ে
অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ:
- কারখানায় বিপদ সম্মন্ধে সকল কর্মীদের বিস্তারিত জানানো।
- কর্মীদের শিক্ষা দিতে হবে যাতে আগুন লাগলে তারা আতঙ্কগ্রস্থ ও দিশেহারা না হয়। তারা যেন শান্ত হয়ে বহির্গমন পথে বেরিয়ে যায়।
- কর্মীদের শিক্ষা দিতে হবে যে আগুন দ্বারা না যতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় হুরাহুড়ি করে নামতে গিয়ে পায়ের তলে চাপা পড়ে। এটাও বোঝাতে হবে যে আগুন ছড়িয়ে পরতেও সময় লাগে।
- কর্মীদের মাসে অন্তত একবার ফায়ার ড্রিল করানো উচিত কারণ এতে তারা অগ্নি বিপদে করণীয় বিষয়ে অভ্যস্ত হবে।
অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ
বিদ্যুৎ অধ্যাদেশ
বৈদ্যুতিক নীতিমালা (তারের সংযোগ)
তারের সাইজ: বৈদ্যুডুশ তারের ব্যাসের উপর নির্ভর করে ঐ তারের মধ্য দিয়ে কি পরিমান বিদ্যুৎ পরিবাহিত হবে। আমেরিকান ওয়ার গেজ- অনুসারে তারের ব্যবহার। ( সংখ্যা যত বড় তারের ব্যাস তত ছোট হয়)
- বৈদ্যুতিক তারের ধরন তারের ব্যবহার
- এ.ডব্লিউ.জি কম্পিউটার
- এ.ডব্লিউ.জি টেলিফোন
- এ.ডব্লিউ.জি ডোর বেল সার্কিট
- এ.ডব্লিউ.জি লাইট, সুইচ
- এ.ডব্লিউ.জি লাইট, সুইচ, গরম পানির জন্য হিটার,
- এ.ডব্লিউ.জি কাপড় শুকানোর জন্য ড্রাইয়ার
- এ.ডব্লিউ.জি বৈদ্যুতিক রেঞ্জ
- এ.ডব্লিউ.জি গ্রাউন্ড ওয়ারিং
- এ.ডব্লিউ.জি সার্ভিস এন্ট্রান্স ক্যাবল
- এ.ডব্লিউ.জি সার্ভিস এন্ট্রান্স ক্যাবল
বৈদ্যুতিক তারের ধরন ব্যবহৃত তারের রং
হট ওয়ার কালো (সাদা, সবুজ, বেয়ার কপার ছাড়া যেকোন রং)
নিউট্রাল ওয়ার সাদা ( বাধাহীন ভাবে ১২০ ভোল্টে প্রবাহিত হয়)
গ্রাউন্ড ওয়ার সবুজ এবং বেয়ার কপার
২-ওয়ার সার্কিট কালো এবং সাদা (লাইট এবং বাধাহীন ভাবে ১২০ ভোল্টের এ.সি. সার্কিট)
২-ওয়ার সার্কিট কালো এবং লাল (বৈদ্যুতিক হিটার এবং ২২০ ভোল্ট সার্কিটের গরম পানির ট্যাঙ্ক)
২-ওয়ার সার্কিট কালো এবং লাল (সুইচ এবং লাইটিং আউটলেট)
৩-ওয়ার সার্কিট কালো, লাল, সাদা / সবুজ (ইলেক্ট্রিক ড্রাইয়ার)
বৈদ্যুতিক নীতিমালা (নিবন্ধন)
বৈদ্যুতিক পন্য (নিরাপত্তা) নীতিমালা
[গৃহস্থলি বা অন্যান্য যে কোন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক পন্য সমূহের যেমন:প্লাগ, সকেটস, এ্যাডাপ্টার এবং এক্সেটেনশন বোর্ড ইত্যাদির নিরাপত্তা মান নিশ্চিত করা নিরাপদ সরঞ্জাম এবং প্রয়োগ/ব্যবহার বিধি নিশ্চিত করা]
বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন (সুরক্ষা) নীতিমালা
সারসঙ্খপ
বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন কারখানায় আকস্মিক অগ্নি দূর্ঘনাজনিত দূর্যোগের সময় উদ্ভূত পরিস্থিত মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানের একটি কার্যকরী অগ্নি নির্বাপনী পরিক্লপনা থাকবে। এ পরিকল্পনার আওতায় অগ্নি নির্বাপক এবং দূর্যোগকালীণ সময়ে কারখানার জানমাল সহ মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী রক্ষা এবং কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ কাজ সুচারুপে সম্পাদন করার জন্য একটি কার্যকরী কমিটি থাকবে।
by Mashiur | Nov 15, 2017 | বিদ্যুৎ
বৈদ্যুতিক শক
মানব শরীরের মধ্য দিয়ে যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখন বৈদ্যুতিক শক অনুভুত হয়। তিনটি বিষয়ের উপর বৈদ্যুতিক শক নির্ভর করে। যথা:
১) শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে বা শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের পথ তৈরী হলে
২) শরীরের মধ্য দিয়ে কি পরিমান বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে এবং
৩) কত সময় ধরে শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে
বৈদ্যুতিক সুরক্ষার গোল্ডেন রুল:
বৈদ্যুতিক আগুন লাগার সাধারন কারন:
পাওয়ার স্টেশন হতে প্রবাহিত লাইট/তাপ থেকে চলমান ইলেকট্রিক মটরের অপব্যবহার, যন্ত্রপাতির পর্যাপ্ত লোড নেয়ায় অসমর্থতা, সঠিকভাবে ইন্সটল এবং রক্ষণাবেক্ষণ না করা – আগুনের উৎপত্তি, বিপদ এবং মৃত্যু কারন।
বৈদ্যুতিক আগুন লাগার সাধারন কারন।
যদি কেহ বিদ্যুৎ প্রবাহমান কোন ত্রুটিপূর্ণ / নষ্ট / ক্ষতিগ্রস্থ পরিবাহির / অপর্যাপ্ত পরিবাহির সরাসরি সংস্পর্শে আসে। যেমন: নষ্ট কেসিং / তার / প্লাগ / অপর্যাপ্ত পরিবাহী।
যন্ত্রপাতির বিপজ্জনক / ত্রুটিপূর্ণ নকশা
অপর্যাপ্ত মাপের তার এবং অত্যাধিক বিদ্যুতের প্রবাহ
এ্যাডাপ্টরের মাত্রাতিরিক্ত / অপব্যবহার এবং সকেট বোর্ডের সংখ্যা বৃি সাপ্লাই এর উৎস হতে সার্কিট পর্যাপ্ত পাওয়ার বহন করতে পারে সেভাবেই তার নকশা তৈরী করা সহ সার্কিটের সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরী করতে হবে। সার্কিটের ইন্সটলেশনের পরে সকল পার্টস সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করে নিতে হবে। সর্ট সার্কিট হতে বৈদ্যুতিক সংযোগ তারের ধংস বা ক্ষতি রোধে ইন্সটলেশনের সময় ফিউজ এবং সার্কিট ব্রেকার যুক্ত করতে হবে।
তাপ সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি এবং অতিরিক্ত তাপসৃষ্ট বিপদ – ত্রুটিপূর্ণ / দুর্বল সংযোগ, ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ, নি¤œমানের প্লাগ / এ্যাডাপ্টার সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি একটি নির্দিষ্ট পরিমান বিদ্যুৎ পরিচলনের জন্য ডিজাইন/ নকশা করা হয়। যদি তারের মধ্য দিয়ে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় / বজ্রপাত / সর্ট সার্কিট এর ফলে অতিরিক্ত তাপের সৃষ্টি হয় এবং আগুনের ধরে যায়।
দুর্বল বৈদ্যুতিক সংযোগ- সকেটের সাথে প্লাগের দুর্বল ফিটিং। সকল বৈদ্যুতিক অগ্নি দুর্ঘটনার এক-তৃতীয়াংশই সংঘটিত হয় নি¤œমানের তার এবং দুর্বল বৈদ্যুতিক তারের সংযোগের ফলে। বৈদ্যুতিক তারের ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রবাহ তারের ইনসুলেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয় ফলে সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরিবাহকের পরিবাহিতাকে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে অতিরিক্ত তাপ, আর্ক এবং স্পার্কের সৃষ্টি হয় এবং আগুনের ধরে যায়। বৈদ্যুতিক তার এবং তারের সংযোগ নিরাপদ এবং সঠিকভাবে ইনস্টল ও সাপোর্ট দিতে হবে, যান্ত্রিক ক্ষতি, তাপ ও কম্পন, আদ্রতা এবং ক্ষয়কারী পদার্থ হতে রক্ষা করতে হবে। বৈদ্যুতিক তারে কোন ত্রুটি ধরা পরলে অবশ্যই তা দায়িত্বপ্রাপ্ত ইলেক্ট্রিশিয়ানকে জানাতে হবে।
ল্যাম্প ভাল্ব এর তাপমাত্রা সহজেই মুক্ত বাতাসে ২০০ ডিগ্রি সেঃ পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে কিন্তু বায়ু চলাচল সীমিত করা হলে এই তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। যখন কোন দাহ্য পদার্থ ল্যাম্প ভাল্ব এর সান্নিধ্যে আসবে তখনই আগুনের সুত্রপাত ঘটবে।
বৈদ্যুতিক রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়াবলী:
- বৈদ্যুতিক তারের ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত তড়িৎ প্রবাহ সনাক্ত এবং বন্ধ করতে হবে।
- ত্রুটিপূর্ণ এবং নষ্ট সরঞ্জামাদি সাথে সাথে প্রতিস্থাপিত করতে হবে। ( যেমন: বৈদ্যুতিক তার, সুইচ, ফিউজ, প্লাগ, সকেট আউটলেট, মটর, বৈদ্যুতিক হিটার, লাইট ফিটিংস সহ অন্যান্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির অবস্থা পরীক্ষা করহে হবে)
ঢিলা / আলগা টার্মিনাল এবং সংযোগ টাইট / দৃঢ় করতে হবে।
- যে সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ তারের ইনসুলেশন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে সে সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ তার প্রতিস্থাপন করতে হবে।
- মটরের স্পার্কিং এর সংশোধন ও চেক করতে হবে।
- বৈদ্যুতিক শক থেকে নিরাপদ থাকার জন্য ফিউজ এবং নির্দেশক বাতি চেক করতে হবে।
- মটর এবং অন্যান্ন সরঞ্জামাদির বায়ু প্রবাহের উত্তম ব্যবস্থা চেক করতে হবে।
- বিয়ারিং এবং রোটরের ক্লিয়ারেন্স অবস্থা চেক করতে হবে।
ম্যানেজমেন্ট চেকলিস্ট
কারখানা চালু অবস্থায় যদি বজ্রপাত হয় তখন ফ্যাক্টরীস্থ ইলেক্ট্রিশিয়ান/রেসকিউ টীম প্রধান ভুমিকা পালন করবে, তবে প্রথমে কারখানার বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করতে হবে। নতুন ইন্সটলেশন বা প্রতিস্থাপন প্রকৃয়া কি কোন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারের তত্বাবধানে করা হয়?
নিরাপত্তার জন্য সকল বৈদ্যুতিক ইন্সটলেশন কি কর্মরত ইলেকট্রিশিয়ান দ্বারা চেক করা হয়?
কর্মক্ষেত্রে / সীমানায় নতুন কোন বৈদ্যুতিক লে-আউট / প্রকৃয়ায় পরিবর্তন আসে বা প্রয়োজন হয় তাহলে আগুনের উপর জ্ঞান সম্পন্ন এমন কেউ আছে কি যে কিনা কোন আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে পাঠাতে হবে। বৈদ্যুতিক বিপদ আসতেছে কিনা তা চেক করে?
বৈদ্যুতিক ইন্সটলেশন কি নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিদর্শন ও পরীক্ষা করা হয় কি (বিশেষ করে তাপ, কম্পন, ক্ষয় ও আদ্রতা ইত্যাদি)?
বৈদ্যুতিক যত মেরামত সাথে সাথে / তক্ষণি সম্পন্ন করা হয় কি?
ইলেকট্রিশিয়ান ব্যতিত মেশিন, খোলা ফিউজ বক্স বা অন্যান্ন বৈদ্যুতিক কাজে অন্যান্ন সাধারন মানুষ কে নিষেধ করেন কি?
অধিক দৈর্ঘ্যরে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগে অস্থায়ী তারের ব্যবহার পরিহার করেন কি? যদি অস্থায়ী ইন্সটলেশন অপরিহার্য হয় তবে যত দ্রুত স¤ভব অস্থায়ী ইন্সটলেশনকে ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
নির্দিষ্ট প্রকৃয়ায় মটর ও মেশিন হতে নির্গত বর্জ্য নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন কিনা?
প্রতিদিন আপনার সীমানা হতে সমস্ত বর্জ্য এবং আবর্জনা পরিস্কার করছেন কিনা?
আপনি কি আপনার সমস্ত এরিয়াজুরে যেখান হতে বাষ্প, গ্যাস, ধুলিকনা হতে আগুনের সুত্রপাত সেখানে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কোন সতর্কতা জারি করছেন কিনা?
যদি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি কোন স্যাঁত স্যেঁতে বা ভিজা পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয় তবে সে সমস্ত সরঞ্জামাদি আদ্রতার প্রভাব মুক্ত কিনা?
মনে রাখতে হবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি হতে অনেক আগুনের সুত্রপাত ঘটে। আপনি সেরকম কোন প্রতিরোধমূলক গিয়ারের ব্যবস্থা করেছেন কি যা অধিক তাপমাত্রা সৃষ্টিতে বাধা দিবে?
আপনি কি সহজে বহনযোগ্য বৈদ্যুতিক রেডিয়েন্ট হিটারের ব্যবহার এড়িয়ে চলেন? অথবা কনভেক্টর টাইপ হিটারের মধ্য দিয়ে সহজে বায়ু চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করেছেন কিনা যা নিয়ে অবাধে বিচরণ করা যায়?
পরবর্তীতে কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী, অগ্নি নির্বাপক টিম, রেসকিউ টিম, কর্ডন পার্টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে এবং সকল শ্রমিক যাহাতে নিরাপদে থাকে তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আপনি কি সহজদাহ্য বা জ্বলনশীল পন্য / দ্রব্য পরিস্কার এবং আলোকিত স্থানে রেখেছেন কি?
আপনার স্টাফরা কি বৈদ্যুতিক ত্রুটি সৃষ্ট বিপদ সম্পর্কে সচেতন এবং প্রশিক্ষিত?
বৈদ্যুতিক বা অন্যান্ন আগুন সংঘটিত হলে কিভাবে তা রোধ করতে হয় আপনার কর্মকর্তা-কর্মচারী কি তা জানে?
অগ্নি নিরাপত্তায় করণীয়:
অগ্নি নিরাপত্তায় করণীয়
তালামুক্ত ও বাধামুক্ত বহির্গমন পথের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশার ও অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জামের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
কর্মস্থল, সিড়ি ও চলাচলের স্থান বাধামুক্ত রাখতে হবে।
অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়মিত মুল্যায়ন এবং যাচাই করতে হবে।
ঝুকির আশঙ্কা থাকলে কতৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটিং টিম সদা প্রস্তুত রাখতে হবে।