by Mashiur | Jan 21, 2018 | এইচ আর এ্যাডমিন
ইনক্রিমেন্ট এবং প্রেষনা পদ্ধতি ও নীতিমালা
নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: অটো গ্র“পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রত্যেক বছর সন্তোষজনক কার্যক্রমের ভিত্তিতে কোম্পানী জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি/ উচ্চতর ধাপে বেতন নির্ধারণ করে কর্মক্ষেত্রে কর্মের প্রেষনা বৃদ্ধিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যবস্থা চালু আছে । অতএব, যে সমস্ত শ্রমিক তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে কর্মক্ষেত্রে স্বীয় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে কোম্পানী তাদেরকে বাৎসরিক এবং ত্রৈমাসিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করে কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করে থাকে । সকল শ্রমিকের কর্ম মূল্যায়ন প্রতিমাসে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় যা তাদের ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষিত আছে । কর্মমূল্যায়ন ও বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন প্রকারের বৈষম্য করা হয়না। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের অধিকার সমান।
নীতিমালা প্রণোয়ণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি:
- অত্র কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে সকল ধাপগুলো অনুসরন করা হয়:
- কর্মস্থলে প্রার্থীর উপস্থিতি, কর্মদক্ষতা, নিয়মানুবর্তিতা, আচরন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা পূর্বক একটি গ্রেডিং এর ক্যাটাগরী করা হয়। যেমন:
- এ = খুব ভাল
- বি = ভাল
- সি = মোটামুটি
- ডি = সন্তোষজনক নহে
- প্রক্রিয়ার শুরুতেই প্রার্থীর পারফরম্যানস এর উপর ভিত্তি করে সেকশন ম্যানেজার প্রথমেই একটি প্রস্তাবনা রাখে।
- সেকশন ম্যানেজার এর প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে ওয়ার্ক স্টাডি, আই.ই ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ প্রার্থীর কাজের দক্ষতা যাচাই, বাছাই করে গ্রেড প্রদান করে।
- প্রস্তাবিত গ্রেডিং এর ফাইনাল ইভালুয়েশন এর জন্য অত্র কোম্পানীতে ইনক্রিমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়।
- সেকশন ম্যানেজার, ওয়ার্ক স্টাডি, আই.ই ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ এর প্রস্তাবনা অত্র কোম্পানীর ইনক্রিমেন্ট বোর্ড দ্বারা ফাইনাল ভাবে মূল্যায়ন করা হয়।
- চূড়ান্ত এপ্রোভাল এর জন্য প্রস্তাবনা শীটটি মাননীয় ব্যবস্থাপক বরাবর প্রেরন করা হয়।
- অত্র কোম্পানীর শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট ও প্রোমোশন প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ধর্ম, বর্ন, লিঙ্গ বৈষম্য করা যাবে না। এ সকল ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির উর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিম্নে কোম্পানীর শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়ণ ফর্ম টি সংযুক্ত করা হলো:
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ
এই পলিসি কারখানার সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে সাউন্ড সিস্টেম, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এছাড়াও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও ওয়েলফেয়ার অফিসার ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগরেন মাধ্যমে অবহিত করা হয় এবং এই নীতিমালার যাবতীয় কার্যক্রম নথিভূক্ত করা হয়।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনবৃদ্ধি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনরূপ বৈষম্য বা স্বজনপ্রীতির প্রমান পাওয়া গেলে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ট:
অটো গ্র“প একটি ১০০% রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। অত্র কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রত্যেক বছর সন্তোষজনক কার্যক্রমের ভিত্তিতে ও তাদের জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি/ উচ্চতর ধাপে বেতন বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।
by Mashiur | Jan 21, 2018 | এইচ আর এ্যাডমিন
নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন কর্মীদের করণীয়
নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মিরা যে সমস্ত বিষয়ে কাজ করে থাকে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো
নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
অটো গ্র“প একটি রপ্তানীমূখী তৈরী পোশাক কারখানা যা বাংলাদেশের ইনডাস্ট্রিয়াল জগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। অটো গ্র“পের উত্তরোত্তর প্রসারের কারনে প্রতিনিয়ত এর পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সে কারনেই অত্র কোম্পানীতে নতুন নতুন কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হয়। কারখানায় নিয়োগকৃত নতুন কর্মীদের জন্য কারখানার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে যা মেনে চলা জরুরী। তাই কোম্পানীতে শ্রমিক নিয়োগ প্রাপ্ত হবার পর পরই অরিয়েন্টশন এর মাধ্যমে তাদেরকে এ সকল নিয়মাবলী সম্পর্কে জানানো হয়।
ণীতিমালাটি নিুরূপ:
- কারখানায় নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন শ্রমিকদের প্রতি কারখানার সকলেরই কিছু দায়িত্ব- কর্তব্য রয়েছে। নতুন শ্রমিক নিয়োগ হবার সাথে সাথে কোম্পানীর নতুন পরিবেশ, নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানানো আমাদের সকলেরই দায়িত্ব ।
- কারখানায় নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন শ্রমিকদের করনীয়:
- নিয়োগপ্রাপ্ত বা কাজে যোগদানের পর প্রথমেই পার্সোনাল বিভাগে উপস্থিত হবেন। পার্সোনাল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা (ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা) আপনাকে সংল্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানসহ আপনার নিজ কর্মস্থলে পরিচয় করিয়ে দিবেন।
- এইচ আর এ্যন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ নবাগত শ্রমিককে কোম্পানীর নিয়ম নীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষন দিবেন ও পার্সোনাল ফাইলের প্রশিক্ষন গ্রহনের রেকর্ড সংরক্ষন করবেন।
- পার্সোনাল বিভাগীয় কর্মকর্তা/ওয়ালফেয়ার অফিসারগন আপনাকে আপনার বেতন, ভাতা, ওভারটাইম, কর্মস্থলে উপস্থিতি ও ছুটির সময়, দায়িত্ব কর্তব্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর ও পরামর্শ দিবেন।
- নিয়োগ নিশ্চিত হলে নিয়োগপত্র অবশ্যই গ্রহণ করবেন। সাউন্ড সিষ্টেমে এ ব্যপারে প্রচার করা হয়ে থাকে এমনকি নেটিশবোর্ডেও এ ব্যপারে অবহিত করন করা হয় যে “ কেউ যদি নিয়োগ পত্র না পেয়ে থাকেন তাহলে অফিস চলাকালীন সময়ে এইচ.আর.ডি বিভাগে যোগাযোগ করে আপনার নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করতে পারেন”।
- নিয়োগ প্রাপ্তির একমাস এর মধ্যে যত দ্রুত সম্ভভব প্রত্যেক শ্রমিক / কর্মচারীকে বারকোড সম্বলিত একটি আই, ডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিদিন কাজে প্রবেশের সময় এবং কাজ শেষে গেটে রক্ষিত কম্পিউটারাইজড মেশিনে কার্ড পাঞ্চ (ঝরিঢ়ব) করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনার হাজিরা ও ওভার টাইমের হিসাব গননা করা হবে।
- কারখানায় অভ্যন্তরে ধুমপান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। টয়লেটে বা বাথরুমেও ধুমপান করা যাবে না।
- কোম্পানীর কোন মালামালের অবৈধ ব্যবহার কিংবা বিনা অনুমতিতে বাহিরে নেওয়া শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
- কারখানার গেইটে বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কমীদের জিঞ্জাসাবাদ বা তল্লাশি কাজে সহযোগিতা করা আবশ্যক।
- যে যন্ত্র বা মেশিনে আপনাকে কাজে নিয়োজিত করা হবে সে মেশিনের সঠিক ব্যবহার ও নিজের নিরাপত্তা বিষয়গুলো নিজ দায়িত্বে কাজের শুরুতেই আপনার সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার নিকট থেকে জেনে নেবেন।
- আপনার কোন অসুবিধা, অভিযোগ বা চাহিদা নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে সমাধান না হলে ফ্লোরে কর্মরত শ্রমিক প্রতিনিধির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে পারবেন। এছারাও যেকোন অভাব, অভিযোগ ও পরামর্শ সম্পর্কে এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসার ও ওয়েলফেয়ার অফিসারকে জানাতে পারেন।
- আপনার অভিযোগ ও পরামর্শ ফ্লোরে রক্ষিত বাক্রে জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেন।
- টয়লেট বা শৌচাগার ব্যবহার এ অতিশয় যতœশীল হবেন। টয়লেট ও বেসিন ব্যবহার করার পর যথাযথ পরিস্কার রাখবেন যাতে আপনার পরবর্তী ব্যবহারকরী তা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
- কারখানার ক্যান্টিনের সার্বিক পরিচ্ছন্নতা রক্ষা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ভাত এবং অন্য খাদ্যবস্তু অপচয় করা যবে না। কোমপানীর বাসন যতেœর সাথে ব্যবহার করতে হবে এবং পরবর্তী যে শ্রমিক খেতে আসবে তার ব্যবহার উপযোগী কিনা সে দিকে নজর রাখতে হবে।
- সকলের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করা বাঞ্চনীয় এবং উর্ধ্বতন সুপারভাইজার/ কর্মকর্তাগনের যুক্তিযুক্ত নির্দেশ যথাযথ ভাবে পালন করা বিশেষ জরুরী।
- কার্যকরী পরিষদঃ এই নীতিমালা বাস্তবায়নে এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসার ও ওয়েলফেয়ার অফিসারগন মূখ্য সংগঠকের ভূমিকা পালন করে। পলিসি বাস্তবায়নের জন্য সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আছে ম্যানেজার, এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স। পাশাপাশি এই পলিসির আওতাধীন শ্রমিকবৃন্দ যাতে এই নীতির সুফল ভোগ করতে পারেন তা বাস্তবায়নের সার্বিক দ্বায়িত্বে রয়েছেন জি,এম প্রশাসন।
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ
অত্র কারখানায় নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন শ্রমিকদেরকে কোম্পানীর নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, শ্রমিক প্রতিনিধি, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে সম্যক ধারনা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগন ও ওয়েরফেয়ার অফিসারগন অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
এই নীতিমালা ফ্যাক্টরীর স্বাভাবিকতা রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পরিশিষ্ট:
যেকোন ব্যক্তিকেই একটি নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ে। তাই কোম্পানীতে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত সকল শ্রমিকদের কোম্পানীর পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য সার্বিক সহযোগীতা করতে হবে।
by Mashiur | Jan 14, 2018 | এইচ আর এ্যাডমিন
উপস্থিতি নীতিমালা
পোশাক কারখানায় উপস্থিতি নীতিমালা Attendance Policy ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ব্যক্তিগনের প্রতিদিনের কর্ম উপস্থিতির উপর নির্ভর করে একটি ফ্যাক্টরীর উৎপাদন ব্যবস্থা। আর সেই লক্ষ্যে বিক্রেতার ভাবমূর্তি উজ্জল ও ক্রেতার সাথে সর্ম্পকন্নোয়নের ক্ষেত্রে উপস্থিতির গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা উপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সঠিক সময়ে বিক্রেতার চাহিদা পূরণ কর্মরত ব্যক্তিগনের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি শ্রমিক/ কর্মচারী তার দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য। তাই তাকে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রথমে তার উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থিতি রির্পোট পেশ করতে হবে। যদি কোন কারনে তিনি তার কর্মস্থলে আসতে না পারেন তাহলে লোক মারফত কিংবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করবে। অথবা পূর্বেই তাকে ছুটি মঞ্জুর করে নিতে হবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে অন্য কাউকে জানানো যাতে পরবর্তীতে তার উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়। যেহেতু উৎপাদন সবচেয়ে বড় বিষয় তাই কেউ যদি অনুপস্থিত থাকতে চায় তাহলে তার উচিত তার কাজ অন্য কাউকে বুঝিয়ে দেওয়া।
কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ
১) আইন অনুযায়ী কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের অভ্যাস/চর্চাসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহ বাস্তবায়ন করা।
২) উৎপাদনের সমন্বয় এবং সময় তালিকা প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি সহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ নিয়মিত কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা এবং বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় ছুটির দিন সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ এবং পদ্ধতিসমূহের উপর প্রশিক্ষন প্রদান করা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং নথিপত্রকরণ :
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি সুন্দর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আইনতঃ সর্বোচ্চ নিয়মিত কাজের ঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা এবং বিশ্রামের জন্য সপ্তাহে প্রয়োজনীয় ছুটির দিনের সংখ্যা সংক্রান্ত নীতিসমূহ কর্মীদের সাথে সহযোগিতা করেন।
সুন্দর ও সুস্থ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির নিমিত্তে দৈনিক কর্ম-ঘন্টা প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে-কথাটি অটো গ্রুপ কর্তৃপক্ষ মনে প্রানে বিশ্বাস করে। প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রধান অংশ সমূহ হলো – কাজ, আহার, বিশ্রাম, বিনোদন, ইত্যাদি। এই সব অংশ সমূহের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করতে হয়। এদের কোন একটি খুব বেশী বা কম হলে অন্য একটির ব্যঘাত ঘটে ফলে সুন্দর জীবনের অবসান হয়। তাই অটো গ্রুপ কর্ম ঘন্টাকে খুব বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং নি¤œ লিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেঃ
- কাজের অর্ডার পাওয়ার পর একটি সুন্দর প্রডাকশন প্লান তৈরী করা হয় যেখানে দৈনিক ৮/৯ ঘন্টা কাজ করার প্রয়োজন।
- ঘন্টায় উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারলে ওভার টাইম করার প্রয়োজন হয় না। তাই উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করার জন্য সবাই সচেষ্ঠ থাকে।
- যদি কোন দিন জরুরী শিপমেন্টের জন্য ওভার টাইম করার প্রয়োজন হয় তবে কল্যাণ কমিটির চঈ) সদস্য ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারও ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোর করে ওভার টাইম করানো হয়না।
- কোন শ্রমিক দিনে ৮ ঘন্টা সময়ের অধিক কাজ করলে তা ওভার টাইম হিসেবে গন্য করা হয়। ওভারটাইম মূল মজুরীর ২০০% (দ্বিগুন) হারে প্রদান করা হয়।
- বৃহস্পতিবার বা বন্ধের দিন জরুরী রপ্তানী কাজে কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতিতে (৫-৮ঘন্টা) কাজ চালাই তবে তা প্রচলিত আইনের পরিপন্থী নয়। উক্ত প্রাপ্য সাপ্তাহিক ছুটি শ্রমিককে যত শীঘ্র সম্ভব উক্ত ছুটি ভোগ করার সুযোগ দেয়া হয়।
- গ্রুপ বিশ্বাস করে যে বেশী কর্ম ঘন্টা ধরে কাজ করলে শ্রমিকের কাজের দক্ষতা হ্রাস পায়। ফলে অতিরিক্ত ওভার টাইমের প্রয়োজন হয় এবং শ্রমিক ও মালিক উভয়ের ক্ষতি সাধিত হয়।
by Mashiur | Jan 14, 2018 | এইচ আর এ্যাডমিন
কর্তন নীতি
কর্তন নীতি -ফ্যাশনস লিঃ দেশের প্রচলিত শ্রম আইনে প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোন শ্রমিকের নিকট হতে যে কোন ধরনের আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে আইনের দ্বারা নির্দেশিত বিধানাবলী সূচারুভাবে অনুসরন করার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠান দায়বদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর আলোকে কেবলমাত্র বিশেষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অত্র প্রতিষ্ঠান মজুরী কর্তন (ঈনধয়দঢ়) করে থাকে। নিম্নে কর্তনের বিষয় গুলি উল্লেখ করা হলো ঃ …।
কোন শ্রমিকের নিকট হতে যে কোন ধরনের আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে আইনের দ্বারা নির্দেশিত বিধানাবলী সূচারুভাবে অনুসরন করার জন্য অত্র গ্র“পের সকল প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান সমূহ বাধ্য থাকবে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক কর্মচারীর আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে নিæ বর্নিত বিষয় গুলোকে বিবেচনা করা হবে
অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রমিক কর্মচারীর আর্থিক কর্তনের ক্ষেত্রে নি¤œ বর্নিত বিষয়গুলোকে বিবেচনা করা হবে :-
১। অনুপস্থিতির জন্য বেতন কর্তন ঃ
ক) কর্মস্থল হতে অনুপস্থির কারণে কোন শ্রমিকের মজুরী হতে কর্তন কেবল তখনই করা যাবে যখন তাহার নিয়োগের শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা তখন যদি তিনি সমস্ত সময়ের জন্য অথবা উহার কোন অংশের জন্য অনুপস্থিত থাকেন। এক্ষেত্রে উক্তরুপ কর্তনের পরিমান কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির সময়ের জন্য তাকে প্রদেয় মজুরীর পরিমাণ এর বেশি হবেনা। নিয়োগের শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা থাকলেও যদি কোন শ্রমিক অননুমোদিত ভাবে উক্ত সময়ে অনুপস্থিত থাকে তাহলে উল্লেখিত সময়ের মুজুরী কর্তন করা যাবে।
খ) উক্তরূপ কর্তনের পরিমান কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির জন্য তাহাকে প্রদেয় মজুরীর চেয়ে বেশি হবে না।
২। ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য কর্তন ঃ
ক) কোন শ্রমিকের অবহেলা বা গাফিলাতির কারনে ঘটিত মালিকের ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য উক্ত শ্রমিকের উপর আর্থিক কর্তন আরোপ করা যাবে।
খ) উক্তরূপ কর্তন মালিকের ক্ষতি বা বিনষ্ট অপেক্ষা বেশি হবে না।
গ) ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরন করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত না হলে তার বিরুদ্ধে কর্তন আরোপ করা হবে না।
৩। কর্জ বা অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তন ঃ
চাকুরী শুরু হবার পূর্বে প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিম আদায় বাবদ কর্তন একটি পুর্ণ মজুরী কালের জন্য পরিশোধকৃত প্রথম মজুরী হতে করা হবে।কোম্পানীর কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারী যদি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে কোন অগ্রীম কর্জ গ্রহন করে থাকে তবে উক্ত অগ্রীম বা কর্জ সমন্বয়ের জন্য কিস্তি ভিত্তিক বা এক কালীন (যে শর্তে শ্রমিক অগ্রিম গ্রহণ করে থাকে) ভিত্তিতে কর্তন করা যাবে।
৪। ধারা ২৫ এর অধীন আরোপিত জরিমানা ঃ
জরিমানার ক্ষেত্রে নি¤œ বর্নিত শর্তগুলো মেনে চলা হবে –
ক) কোন অগ্রিম বা কর্জ আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা কোন অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে উহা সমন্বয়ের জন্য কর্তন। কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমান অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা হবে না।
খ) কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা আরোপের ষাট দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর তাহা আদায় করা হবে না।
গ) কোন জরিমানা যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ তারিখেই উহা আরোপিত হয়েছে বলে গন্য হবে।
ঘ) সকল জরিমানা এবং এর আদায় বিধিদ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগনের
কল্যানমূলক কাজে ব্যবহার হবে।
৫। আয়কর বাবদ কর্তন ঃ শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর (যদি প্রযোজ্য হয়) বাবদ কর্তন করা যাবে।
৬। আদালতের আদেশ কর্তন ঃ কোন আদালতের আদেশে অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের আদেশে
কর্তন।
৭। হাজিরা বোনাস ঃ যদি কোন শ্রমিক শর্তানুযায়ী কোন মাসে ছুটি সহ বা ছাড়া কমর্ দিবসে অনুপস্থিত থাকেন কিংবা বিলম্বে ফ্যাক্টরীতে
প্রবেশ করেন তাহলে সেই শ্রমিক উক্ত মাসের হাজিরা বোনাসের অধিকারী হবেন না।
৮। প্রক্সিমিটি কার্ড সংক্রান্ত কর্তন ঃ নতুন যোগদানকৃত শ্রমিকদের প্রক্সিমিটি কার্ড ইস্যু বাবদ শ্রমিকদের নিকট থেকে কোন প্রকার টাকা
নেওয়া হয়না।
জরিমানার বিধানাবলী ঃ
জরিমানার ক্ষেত্রে নিæ বর্নিত শর্তগুলো মেনে চলা যাইতে পারে।
ক) কোন শ্রমিকের হেফাজতে প্রদত্ত মালিকের কোন মালামালের ক্ষতি বা লোকসান, অথবা তিনি যে অর্থের জন্য হিসাব দিতে দায়ী সে অর্থ বিনষ্টির জন্য কর্তন, যদি উক্তরুপ ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য সরাসরি তার অবহেলা বা গাফিলতি দায়ী হয়। কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক পরিমান অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা হবে না।
খ) শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর বাবদ কর্তন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা আরোপের ষাট দিন অতিক্রম হওয়ার পর তাহা আদায় করা হবে না।
গ) কোন জরিমানা যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ তারিখেই উহা আরোপিত হয়েছে বলে গন্য করা যাইতে পারে।
সারাংশ
কর্তৃপক্ষ সব সময় শ্রমিক/কর্মচারীদের মানবীয় বা মজুরী আধিকার সংরক্ষনে বিশ্বাসী। ব্যাবিলন কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, অযেীক্তিকভাবে অত্র প্রতিষ্ঠান কোন শ্রমিক, কর্মচারী অথবা কর্মকর্তার কাছ থেকে আর্থিক মজরী হতে কোন কিছু কর্তন করেনা। সকল জরিমানা এবং এর আদায় একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা যাইতে পারে কর্তন নীতি
by Mashiur | Jan 14, 2018 | এইচ আর এ্যাডমিন
বেতন বিতরণ পদ্ধতি/নীতিমালা
১। সাধারণ মাসিক বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে নিুবর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে ঃ
ফ্যাক্টরীর নিয়মিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগনের সাধারণ মাসিক বেতন নিতিমালা পরবর্তী মাসের ০৭ কর্ম দিবসের মধ্যে বেতন বিতরন
করা হবে। ফ্যাক্টরীর নিয়মিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগনের নাম এই শীটে অর্ন্তভূক্ত হবে।
২। অ-বিতরণকৃত বেতন
যে সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নিয়মিত বেতন শীটে অর্ন্তভূক্ত আছেন কিন্তু অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে বেতন প্রদানের দিন অনুপস্থিতির জন্য বেতন উত্তোলন করতে পারেনি তাদেরকে “অ-বিতরণকৃত বেতন” ক্যাটাগরির অর্ন্তভূক্ত করা হবে এবং একই মাসের — তারিখে বেতন বিতরন পদ্ধতি সম্পর্কে ঘোষণা হয়ে হবে। — তারিখে ফ্যাক্টরী বন্ধ থাকলে পূর্বে জারীকৃত নোটিশের মাধ্যমে পরবর্তী কার্যদিবসে বেতন প্রদান করা হবে।
৩। রিজাইন ওয়েজেজ
শ্রম আইনানুযায়ী যথাযথ পদ্ধতিতে পদত্যাগকারী ব্যক্তিগন এই রিজাইন ওয়েজেজ এর অর্ন্তভূক্ত হবেন। এই ক্যাটাগরীর অর্ন্তভূক্ত ব্যক্তিগণের বেতন রিজাইনকৃত মাসের পরবর্তী মাসের ০৭ কর্ম দিবসের ফ্যাক্টরী খোলা থাকা সাপেক্ষে প্রদান করা হবে। কোন কারণে উক্ত তারিখে ফ্যাক্টরী বন্ধ থাকলে পূর্বে জারীকৃত নোটিশ সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যদিবসে বেতন প্রদান করা হবে। রিজাইনকৃত ব্যক্তিগণের নাম বেতন রিজাইন সেলারি নামে একটি ভিন্ন মজুরী সীটে অর্ন্তভূক্ত হবে।
৪। দীর্ঘ অনুপস্থিত ব্যক্তিগণের বেতন
যে সকল ব্যক্তি কর্তৃপক্ষকে কোনরূপ অবহিত না করে দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত রয়েছেন সে সকল ব্যক্তি এই ক্যাটাগরীর অর্ন্তভূক্ত হবেন। কোন ব্যক্তি যদি কোন নির্দিষ্ট মজুরী মাসে (ধিমব সড়হঃয) কর্তৃপক্ষকে কোনরূপ অবহিত না করে একটানা অনুপস্থিতি শুরু করে নিয়মিত সেলারি সীট অন্তর্ভূক্ত না করে একটি আলাদা সেলারি সীটে অন্তর্ভূক্ত করা হবে এবং পরবর্তী মাসের তারিখে প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য দীর্ঘ অনুপস্থিত ব্যক্তিগণকে কাজে যোগদানের জন্য নোটিশ প্রদান করা হবে এবং হাজিরা সীটে অব্যহত রাখা হবে। বেতন প্রদানের দিনে উক্ত ব্যক্তি বেতন গ্রহন পূর্বক কোন সুনির্দিষ্ট কারন দেখিয়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাহলে সদয় বিবেচনায় তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হবে এবং হিসাব শাখা থেকে তাৎক্ষনিক তার বার্ষিক ছুটির হিসাব প্রস্তুত করত তা প্রদান করা হবে।
৫। দীর্ঘ বিলম্বিত বেতন
যে সকল ব্যক্তি দীর্ঘ সময় কাজে অনুপস্থিতির জন্য বেতন প্রদানের জন্য বিভিন্ন নির্ধারিত দিন সমুহে বেতন নিতে পরেনি কোম্পানীর প্রধান অফিসের হিসাব বিভাগ প্রদেয় একটি সমন্বিত তালিকা তৈরী করে সংরক্ষন করবে। এই ক্যাটারীর কোন ব্যক্তি পরবর্তীতে যে কোন সময় বেতন নিতে চাইলে তাকে এইচ আর সেকশনে উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত আবেদন পত্র কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে। প্রধান কার্যালয় লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে আবেদন প্রেক্ষিতে পরবর্তী মাসের ——তারিখে উক্ত ব্যক্তির বেতন প্রদান করা হবে। উক্ত তারিখে কোন কারণে ফ্যাক্টরী বন্ধ থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে বেতন প্রদান করা হবে।
৬। বেতন হস্তান্তর
কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে বেতন উত্তোলন করতে চাইলে যুক্তিযুক্ত কারণ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সেকশন প্রধানের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য প্রধান অফিসে পাঠাতে হবে। উল্লেখিত হস্তান্তরকারী এবং হন্তাস্তর গ্রহণকারী উপরের তিনটি করে নমূনা স্বাক্ষর লিপিবদ্ধ করতে হবে। প্রধান কার্যালয়ে যদি যথাযথ ব্যক্তি কর্তৃক অনুমোদিত হয় তাহলে উক্ত অনুমোদনের একটি কপি ফ্যাক্টরীতে প্রেরণ করবেন। প্রধান কার্যালয়ের এই অনুমতি পত্রের ভিত্তিতে আবেদনকারী অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে বেতন উত্তোলনে সক্ষম হবেন।
by Mashiur | Jan 13, 2018 | এইচ আর এ্যাডমিন
বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা
সংজ্ঞাঃ বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা বলতে আমরা সাধারনত কোন শ্রমিককে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বা শারিরীক নির্যাতন করে অথবা আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেয়াকে বুঝায়। কল ক্ষেত্রে দেশের বিদ্যমান শ্রম-আইনের আলোকে এবং ক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে বলপূর্বক শ্রমিক নিয়োগ মুক্ত একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে। ..
উদাহরন স্বরূপ বলা যায় যদি কোন শ্রমিক ইচ্ছা পোষন করে যে, সে আর চাকুরী করবে না কিন্তু তাকে বলা হলো এখানে চাকুরী না করলে তাকে পূর্বের কাজের পারিশ্রমিক দেয়া হবে না । এ ক্ষেত্রে তার উপর নির্যাতন করা হলো। নিচে সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
পলিসি পোষ্টেড ঃ সংশ্লিষ্ট অফিস বা মিল কারখানায় যেখানে শ্রমিকের দৃষ্টিগোচর হয় এমন সুবিধা জনক স্থানে সম্পর্কিত পলিসি বা নীতিমালা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ম্যানেজমেন্ট বা যারা শ্রমিক সুপারভিশন করে তারা ঋড়ৎপবফ খধনড়ঁৎ সম্পর্কে সচেতন হবে।
উৎকোচ গ্রহনঃ কোন শ্রমিককে নিয়োগদানের সময় তার নিকট হতে কোন টাকা পয়সা বা আর্থিক সহায়তা দান করে এমন কিছু গ্রহন করা যাবে না। এ ধরনের অর্থ গ্রহন এর আওতা ভুক্ত।
চুক্তি বা ইড়হফবফ ঃ কোন শ্রমিককে নিয়োগদান কালে তার নিকট থেকে বন্ড নেওয়া যাবে না । এমন কোন শর্ত আরোপ করা যাবে না। যাতে সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যেমন একজন শ্রমিককে বলা হলো আপনাকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে কিন্তু শর্ত হচ্ছে বেতনের ৫% প্রতিমাসে নিয়োগ দাতাকে দিতে হবে। বা বলা হলো আপনাকে কমপক্ষে এই প্রতিষ্ঠানে এক বছর কাজ করতে হবে। নতুবা চাকুরী দেয়া হবে না। অথবা একজন শ্রমিককে বলা হলো নির্দিষ্ট পরিমান কাজ করতে না পারলে বেতন থেকে ২০% বেতন কেটে রাখা হবে। অথবা বলা হলো আজকে নির্দিষ্ট পরিমান কাজ করতে না পারলে হাজিরা দেয়া হবে না। উল্লেখিত শর্তগুলো হিসাবে গন্য হয়। নির্দিষ্ট পরিমানের কাজ কোন শ্রমিককে নির্ধারন করে দেয়া যাবে না এবং এজন্য কোন শ্রমিককে শারিরীক বা আর্থিক দন্ডে দন্ডিত করা যাবে না।
ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রদানঃ প্রত্যেক শ্রমিক কর্মঘন্টা চলাকালীন সহকর্মীদের সাথে মেলা মেশায় বাধাপ্রদান করা যাবে না । কর্মঘন্টা চলা কালীন শ্রমিকদেরকে পানি পান করার, খাওয়ার, টয়লেটে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। শ্রমিকদের অভিযোগ কর্মকর্তাদের নিকট প্রকাশ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। কাজ শেষে শ্রমিকদেরকে নিজ নিজ বাসায় যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই কাউকে আটকিয়ে রাখা যাবে না।
স্বেচ্ছাভিত্তিক ওভার টাইমঃ যদি ওভার টাইম করানোর প্রয়োজন হয় তাহলে আগে থেকে শ্রমিকদেরকে জানাতে হবে। শ্রমিকগন স্বেচ্ছায় সম্মত হলে কেবল মাত্র ওভার টাইম করানো যাবে। কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ওভার টাইম করানো যাবে না। একজন শ্রমিককে সপ্তাহে ৬০ ঘন্টার বেশী কাজ করানো যাবে না এবং প্রতি ৭ দিনে তাকে একদিন ছুটি দিতে হবে।
চাকুরীতে পদত্যাগের স্বাধীনতাঃ একজন শ্রমিক স্বেচ্ছায় চাকুরী হতে অবসর নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবসর নিতে কর্তৃপক্ষকে একমাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করবেন। পদত্যাগের আবেদন করলে তাকে আটকিয়ে রাখা যাবে না। যদি আবেদনকারী একমাস সময়ের ব্যবধানে আবেদন করেন তাহলে কর্তৃৃৃৃৃপক্ষ পদত্যাগ পত্র গ্রহন করতে বাধ্য থাকবেন এবং তার সমস্ত পাওনা পরিশোধ করবেন। এক্ষেত্রে কোনরূপ অজুহাতে তাকে আটকিয়ে রাখা বা তার পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করা যাবে না।
পোশাক কারখানায় বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা
অনিচ্ছুক অথবা জোরপূর্বক শ্রম ব্যবহার করবেন না- চুক্তিবদ্ধ, বন্দী অথবা অন্য যে কোন রকমই হোক না কেন। কম্পোজিট লিঃ শ্রমিকদের নিয়োগের সময় নিম্ন লিখিত বিষয়গুলি নিশ্চিত করবে যে,
- সকল নিয়োগ এবং কর্মক্ষেত্র সমূহ যাতে বলপূর্বক শ্রম মুক্ত হয় তার প্রতি তীক্ষè দৃষ্টি দেওয়া হয়ে থাকে। চাকুরির স্থায়িত্বকাল সম্পর্কে কোন অবস্থাতেই কোনরুপ বিধি আরোপ করে না বা এই সংক্রান্ত কোন নথি ও সংরক্ষন করে না।
- কোন অবস্থাতেই চাকুরি সংক্রান্ত আসল নথি যেমন, শিক্ষা সনদ, অভিজ্ঞতা সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, চেয়ারম্যান সনদ, পাসপোর্ট ইত্যাদি সংরক্ষণ করবে না, তবে যাচাই এর ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এইসব নথি ফেরতযোগ্য হিসেবে তলব করতে পারবে।
- শ্রমিকদের জবরদস্তি করে নিয়োগ করা হবে না এবং অনুরুপ তারা জাতীয় শ্রম আইন মেনে যে কোন সময় অবসান নিতে পারবে।
- নিয়োগের পত্র যেমন, শ্রমিকদের আবেদনপত্রে আবেদনকারীর স্বেচ্ছায় যোগদানের বিবৃতি রাখতে হবে। কমপ্লায়েন্স বিভাগ বলপূর্বক বা জামিন বা দায়বদ্ধ কর্মী/শ্রমিক নিয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে তীক্ষè নজর রাখেন।
- মজুরী / পারিশ্রমিক এবং অন্যান্য সুবিধাদি সরাসরি শ্রমিকদের হাতে প্রদান করবে।
- ওভারটাইম কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিকদেরকে তাদের সম্মতি প্রদানে প্রাক নোটিশ প্রদান করবে; প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ওভারটাইম করতে পারে বা নাও পারে।
- কোন প্রকার বলপূর্বক শ্রমিক / কর্মী নিয়োগ কোন ভাবেই সর্মথন করি না। অনুমতি দিবেঃসকল ক্ষেত্রে শ্রমিক কল্যাণ কমিটি বা শ্রমিক ইউনিয়ন করতে বাধা প্রদান করা হয় না।
- কর্মবিরতিতে তাদের স্বাধীনভাবে বিচরণ যতক্ষন না তাদের সেই বিচরণ অন্য কারো কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে।
- চাকুরী ত্যাগের ক্ষেত্রে কোন শ্রমিক / কর্মী ২ (দুই) মাস পূর্বে নোটিশ দিয়ে চাকুরী ত্যাগ করতে পারে। শ্রমিকদের তাদের কাজের ক্ষেত্র থেকে নির্গমন; সাধারন নিরাপত্তাজনিত কারন ছাড়া।
- শ্রমিকদের নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার; প্রয়োজনমত টয়লেট ব্যবহার; ক্যান্টিন এ যাতায়াত যা তাদের দৈনন্দিন মানব চাহিদার / কল্যাণ সুবিধার প্রয়োজন মেটাতে দরকার হয়।
- জোরপূর্বক শ্রম বন্ধ করতে অভ্যন্তরীন অভিযোগ উত্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহন।
- কোন শ্রমিককে নিয়োগদানকালে তার নিকট হতে কোন প্রকার অঙ্গিকারনামা নেয়া হয়না। এই কারখানার কোন স্থাপনায় বন্দী শ্রমিক বা চুক্তিভুক্ত শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছেএই কারখানার সকল শ্রমিক কর্মচারী স্ব-ইচ্ছায় চাকুরীতে যোগদান করে এবং স্ব-ইচ্ছায় কাজ করে
- সকল প্রকার জামিন বা দায়বদ্ধ শ্রমিক/কর্মী নিয়োগ কোন ভাবেই সর্মথন করি না।
কাজ চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীর প্রতিটি প্রবেশ/বাহির পথ খোলা রাখা ধ্যতামূলক।
- কর্ম ঘন্টা চলাকালীন সময় শ্রমিকগনকে পানি পান করার, খাওয়ার, টয়লেটে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করা হয় না
- যদি কোন সময় জরুরী শিপমেন্টের জন্য ওভার টাইম করানোর প্রয়োজন হয় তবে তা শ্রমিক কল্যান কমিটি এর
- সদস্যদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারও ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোর করে ওভার টাইম করানো হয় না
- সকল নিয়োগ আবেদনকারীর স্বেচ্ছায় এবং ভয়-ভীতি হীন ভাবে হয়ে থাকে। আমরা শ্রমিক / কর্মী মজুরী সরাসরি শ্রমিক / কর্মীর হাতে দিয়ে থাকি। কোন শ্রমিককে কোন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে কিংবা শারীরিক নির্যাতন করে অথবা আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে কাজ আদায় করে নেয়া হয় না
- শ্রমিকগণ স্বেচ্ছায় চাকুরী হতে অবসর নিতে পারবেন। এ ব্যপারে তাদেরকে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করা হয় না আমরা এমন কোন প্রতিষ্ঠানের সহিত ব্যবসায় নিয়োজিত থাকি না, যারা বিভিন্ন পর্যায়ে বা বিভিন্ন ভাবে বলপূর্বক বা জামিন বা দায়বদ্ধ শ্রমিক / কর্মী নিয়োগ করে থাকে।
কোম্পানির আইনসমুহ ঃ
০১. আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোন শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়না।
০২. আমরা বলপূর্বূক শ্রম এবং নিযার্তন করিনা।
০৩. দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শ্রমিক / কর্মচারীদের মজুরী ও ছুটি প্রদান করি।
০৪. আমরা প্রতি মাসের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে বেতন, ওভার টাইম ও অন্যান্য ভাতাদী প্রদান করি।
০৫. আমরা দৈনিক ০৮ ঘন্টা ও সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা ওভার টাইমসহ মোট ১০ ঘন্টা করে কাজ করিয়ে থাকি।
০৬. আমরা শ্রমিকদের ব্যক্তিগত ফাইল সংরক্ষন করি।
০৭. আমরা কমীদের স্বাস্থ্য সেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, উৎসব ভাতা, ইত্যাদী প্রদান করে থাকি।
০৮. আমরা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল কারখানা আইন মেনে চলি।
০৯. ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে কোন বিভেদ সৃষ্টি করা হয়না।
১০. আমরা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা মূলক সকল প্রকার আইন কানুন মেনে চলি।
১১. আমরা চাকুরীর ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমান সুযোগ প্রদান করে থাকি।
১২. কাউকে হয়রানী বা নিপীড়ন করা হয়না।
১৩. চাকুরীতে যোগদানের পরপরই প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারী প্রয়োজন অনুযায়ী আইন মোতাবেক ছুটি ভোগ করেতে পারেন।
১৪. আমরা শ্রমিকদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে থাকি।
উপসংহারঃ
পোশাক কারখানায় বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা সমুহের বর্ণনা – আমরা যদি প্রমান পাই আমাদের সাথে ব্যবসায় নিয়োজিত কোন প্রতিষ্ঠানে বলপূর্বক বা জামিন বা দায়বদ্ধ, কর্মী/শ্রমিক বিভিন্ন পর্যায়ে বা বিভিন্ন ভাবে নিয়োজিত আছে, তাহলে আমরা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহিত ব্যবসায়িক সর্ম্পক ছেদ করা হয়। বর্ণিত আলোচনা হতে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায় যে, কোন শ্রমিককেই তার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না। বিনা অপরাধে কোন আর্থিক দন্ড প্রদান করা যাবে না। শারিরীক নির্যাতনের মাধ্যমে বা বল প্রয়োগ করে কাজ করানো যাবে না।