ফ্যাক্টরীতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের

ফ্যাক্টরীতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের নীতিমালা সমুহের বর্ণনা

ফ্যাক্টরীতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের নীতিমালা

ফ্যাক্টরী চলাকালীন প্রতিদিনই কিছু না কিছু পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের প্রয়োজন হয়। গার্মেন্টস লিঃ নিন্মোক্ত  নীতিমালা অনুসরণ করে মালা-মাল ক্রয় করে থাকে। ক্রয় যেহেতু একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয় তাই বিভিন্ন দিক বিবেচনা পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠান ক্রয় সম্পর্কিত একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছে যা নিুরূপ ঃ … ফফফফ

  • সেকশন প্রধান কর্তৃক রিকুইজিশন তেরী করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাক্ষর/ অনুমোদন করিয়ে হিসাব শাখায় জমা দেওয়া হয়। কোন পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে একটি নির্ধারিত কমিটি কর্তৃক পণ্যটি ক্রয় করা হবে। যে সেকশনের পণ্য ক্রয় করা হবে ঐ সেকশন থেকে ১ জন, স্টোর সেকশন থেকে ১ জন এবং এডমিন/ এইচ আর সেকশন থেকে ১ জন সহ মোট তিন জন সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটি GM (Admin) এর অনুমতি সাপেক্ষে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করবে।
  • পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩টি সুনামধন্য এবং বড় পরিসরের প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্য এবং গুনগত মান যাচাই পূর্বক ক্রয় সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে। হিসাব শাখা হতে তা প্রধান কার্যালয়ে জনাব রানা (পার্সেজ অফিসার) এর নিকট প্রেরণ করা হয়। কারখাণায় গেট এন্ট্রি হয়ে সংশ্লিষ্ট সেকশন প্রধান মাল বুঝে নিয়ে চালান কপিতে স্বাক্ষর করবেন।
  • সংশ্লিষ্ট সেকশন প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত চালান কপি পুনরায় প্রধান কার্যালয়ে প্রেরন করা হবে।
  • প্রধান কার্যালয় (পার্সেজ অফিসার) স্বাক্ষরিত চালান কপি অনুযায়ী চুড়ান্ত বিল করে কারখানায় পাঠাবেন।চুড়ান্ত বিল কারখানায় হিসাব শাখা হতে যাচাই পুর্বক চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মহা ব্যবস্থাপক বরাবর পাঠাবেন। মহা ব্যবস্থাপক কর্তৃক বিল অনুমোদনের পর তা আবার প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরিশোধের জন্য।
  • পার্সেজ অফিসার রিকুইজিশন /চাহিদাপত্র প্রাপ্তির পর যত দ্রুত  কোন পণ্য ক্রয় করার প্রয়োজন হলে নির্ধারিত সেকশন কর্তৃক উক্ত দ্রব্যের চাহিদাপত্র (Requisition) স্টোর – এ পাঠাতে হবে। স্টোর এ যদি উক্ত পণ্য না থাকে এবং তা যদি মাসিক চাহিদাপত্র (Requisition) এর আওতায় আসে তবে সেই পণ্য মাসিক চাহিদাপত্র (Requisition) – এ অন্তর্ভূক্ত করে স্টোর কর্তৃক ক্রয় চাতিদাপত্র (Requisition) পাঠাবে। কোন পণ্য জরুরী ভিত্তিতে ক্রয় করার প্রয়োজন হলে তা ইমপ্রেস ফান্ড  এ চাহিদাপত্র (Requisition) দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ক্রয় কমিটি কর্তৃক ক্রয় করতে হবে।
  • পণ্য ক্রয়ের পর ফ্যাক্টরীতে সিকিউরিটি, সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট, একাউন্টস সেকশন এবং উর্ধতন কর্মকর্তা কর্তৃক মান নিয়ন্ত্রণ এবং ইনভেন্টরি করার পর স্টোরে পণ্যসামগ্রী নথিভুক্ত করে রাখতে হবে।
  • সম্ভব চাহিদা পত্র অনুযায়ী মালা-মাল ক্রয় করে কারখানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। ক্রয়কৃত পণ্যের চালান ও বিল গজজ করে হেড অফিসের একাউন্টস সেকশনে পাঠাতে হবে।
  • মালা-মালের গুনগত মান প্রাথমিকভাবে  পার্সেজ অফিসার কর্তৃক যাচাই করে ক্রয় করবেন।
  • কোন শ্রমিককে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে দেশের প্রচলিত শ্রম আইন মেনে চলে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ শ্রমিককে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুসরন করে থাকে।

শ্রমিক কর্তৃক নিুবর্ণিত কাজ ও ত্র“টিসমূহ অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে ঃ

  • একাকী বা সংঘবদ্ধ ভাবে কোন উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইনানুগ বা যুক্তিসংগত আদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে পালন না করা বা অবাধ্যতা প্রদর্শন করা।
  • কোম্পানীর ব্যবসার বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে চুরি, প্রতারণা বা অসাধূতা অথবা কোন ধরনের ক্ষতি সাধন।
  • নিজের বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরীর ব্যাপারে বা কোম্পানীর ব্যবসায়িক কোন লেনদেনে ঘুষ বা অবৈধ কোন পারিতোষিক গ্রহণ বা প্রদান।
  • বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি বা ছুটি ব্যতিরেকে ১০ (দশ) দিনের বেশী অনুপস্থিতি।
  • প্রতিষ্ঠানের যে কোন আইন বা নিয়ম-শৃ্খংলা ভংগ করা বা ভংগ করার অভ্যাস ।
  • কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি।
  • অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি।
  • শিল্প প্রতিষ্ঠানে উশৃঙ্খল বা দাঙ্গা হাংগামামূলক আচরণ অথবা শৃঙ্খলা হানিকর কোন কাজ।
  • শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দলিলপত্র নষ্ট করা, ক্ষতি করা, বিকৃতি করা বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করা।
  • নাম, বয়স, যোগ্যতা, পূর্ণ অভিজ্ঞতা বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান।

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি ঃ

  • কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ লিখিতভাবে করা হয়। লিখিত অভিযোগে কর্মীর সুপারভাইজার এবং বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশ থাকে ।
  • গুরুতর ধরনের অভিযোগের বেলায় প্রাথমিক তদন্ত করা হয় এবং পরিচালকের অনুমতি নিয়ে চার্জশীট এবং তদন্তকালীন সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয় ।
  • তাকে এর একটি অনুলিপি এবং কৈফিয়তের জন্য অন্যূন ৭(সাত) দিনের সময় দেয়া হয়।
  • তাকে ব্যক্তিগত শুনানী দেয়া হয়।
  • মালিক অথবা ব্যবস্থাপক এরুপ আদেশ অনুমোদন করেন।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে অসদাচরণের গুরুত্ব বিবেচনা করে অভিযুক্ত একজন শ্রমিককে তদন্তকালীন সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং বিষয়টি কোন আদালতে বিচারাধীন না থাকলে এরুপ সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ৬০ দিনের বেশী হয় না। উল্লেখ্য যে এরুপ সাময়িক বরখাস্তের জন্য শ্রমিককে বরখাস্ত কালীন সময়ের জন্য গড় মজুরীর অর্ধেক জীবিকাভাতা প্রদান করা হয়।
  • সাময়িক বরখাস্তের আদেশ লিখিতভাবে করা হয় এবং এর একটি অনুলিপি শ্রমিককে প্রদান করা হয়।
  • শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত না হলে, তদন্তকালীন সাময়িক বরখাস্তের সময়ের জন্য তাকে কর্তব্যরত গণ্য করা হয় এবং এরুপ সাময়িক বরখাস্তের সময়ের জন্য তাকে জীবিকা ভাতা প্রদান করা হয়।
  • শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে দণ্ডাদেশের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রদান করা হয় এবং এ আদেশ মালিক বা ব্যবস্থাপক প্রদান করেন।
  • যদি একজন শ্রমিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে সম্বোধন করা কোন নোটিশ, চিঠি, অভিযোগপত্র, আদেশ, অথবা অন্য কোন দলিল গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন, তবে এরুপ নোটিশ, চিঠি, অভিযোগপত্র, আদেশ বা দলিল এর অনুলিপি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শিত করা হয় এবং শ্রমিকের সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়।
  • কোন শ্রমিককে দণ্ড দেয়ার সময় শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের গুরুত্ব, শ্রমিকের পূর্ববর্তী চাকরি রেকর্ড এবং বিদ্যমান দন্ড হ্রাস-বৃদ্ধিকারী যে কোন অবস্থা বিবেচনা করা হয়।

শাস্তি বিধান :

  • অসদাচারনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত শ্রমিককে নিুলিখিত শাস্তি দেওয়া যাবে-
  • গুরুতর অসদাচারনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিককে যথার্থ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বরখাস্ত করা,
  • নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত আনয়ন,
  • এক বৎসরের জন্য পদোন্নতি বন্ধ,
  • এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ,
  • আইনগতভাবে জরিমানা,
  • সাতদিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত,
  • ভৎর্সনা বা সতর্কীকরন ।

এছাড়া, দৈহিক বা মানসিক অন্য কোন প্রকার শাস্তি কোন শ্রমিক-কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য নয় বা অনুমোদিত নয় ।

তালিকা ভুক্ত সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রয়ঃ

নিদ্দিষ্ট কিছূ তালিকা ভুক্ত সরবরাহ কারীর মাধ্যমে ও মালা মাল ক্রয় করা হয়ে থাকে যারা একটি নিদ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত দরে আমাদেরকে সেবা /মালামাল সরবরাহ করে থাকে এবং তাদের বিল সমূহ ও পূর্ব নির্ধারিত নিয়মে প্রধান কার্যালয় কর্তৃক পরিশোধ করা হয়ে থাকে।

দরপত্রের মাধ্যমেঃ    নতুন কোন পন্য/ মালা মাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে  কর্তৃপক্ষের সিদ্বান্ত মোতাবেক দরপত্র আহব্বান করে পার্চেজ কমিটি কর্তৃক যাচাই -বাছাই পূর্বক গ্রহনযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 সেকশন প্রধান কর্তৃক সরাসরি জরুরী ভিত্তিতে ক্রয়ঃ-

কোন সেকশন এর বিশেষ কোন কিছু জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন হলে তা সেকশন প্রধান কর্তৃক রিকুইজিশন/চাহিদাপত্র তেরী করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাক্ষর/ অনুমোদন করিয়ে স্থানীয়ভাবে কেনার ব্যবস্থা করা হয়। এ ব্যপারে যাচাই -বাছাই করার খুব বেশী সুযোগ থাকেনা।


Posted

in

by

Comments

One response to “ফ্যাক্টরীতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের নীতিমালা সমুহের বর্ণনা”

Leave a Reply