পরিবর্তিত সিরিঞ্জ ও সূঁচ সংরক্ষণ নীতিমালা বর্ণনা

পরিবর্তিত সিরিঞ্জ ও সূঁচ সংরক্ষণ নীতিমালা সমুহের চমৎকার বর্ণনা

পরিবর্তিত সিরিঞ্জ ও সূঁচ সংরক্ষণ নীতি

নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ

অটো  গ্র“প একাট রপ্তানীমূখী তৈরী পোষাকের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান হলেও এর সামাজিক দায় বদ্ধতাও আছে।  আর সেই সামাজিক দায় বদ্ধতা থেকেই আন্তর্জাতিক শ্রম আইন,স্থানীয় শ্রম আইন, মানবাধিকার আইন এর যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে শুধু কারখানার অভ্যন্তরীন কর্ম পরিবেশই নয়, এর পারিপার্শ্বিক এলাকার পরিবেশও দূষনমুক্ত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারাবদ্ধ। সামাজিক দায় বদ্ধতা ও পবিবেশ বাাঁচাও আন্দোলনের একজন সহযোদ্ধা হিসাবে অটো  গ্র“প কর্তৃপক্ষ কারখানার  মেডিকেল বর্জ্য যাতে আশ পাশের এলাকার পরিবেশ দূষিত করতে না পারে বা কাউকে আহত করতে না পারে সে উদ্দেশ্যেই এ নীতিমালা প্রনয়ণ করেছেন।

 পরিবর্তিত সিরিঞ্জ নীতিমালা প্রয়োগ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি/ প্রক্রিয়া:

নিম্নে মেডিকেল বর্জ্য অপসারনের নিয়মাবলীগুলো দেয়া হলো:

সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে অত্র কোম্পানী ইনজেকশন সিরিঞ্জ ও সূচ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নীতি অনুসরণ করে থাকে । যা ‘অপসো স্যালাইন’ বাংলাদেশ লিঃ   এর মধ্যে  একটি চুক্তি  স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি অত্র কোম্পানীর ‘সিরিঞ্জ ডিসপোজাল’ নীতি নামে আখ্যায়িত।

সম্পাদিত চুক্তিটি নিম্নরুপঃ

ক) প্রতিটি সিরিঞ্জ এবং সুঁচ এক বারই ব্যবহৃত হবে।

খ) ব্যবহৃত সিরিঞ্জ এবং সুঁচ ডিসপোজাল ঢাকনাযুক্ত বক্সে সংরক্ষণ করতে হবে।

গ) প্রতিটি ডিসপোজাল বক্স অপসো স্যালাইন বাংলাদেশ লিঃ প্রতি ৩ (তিন)    মাস অন্তর অন্তর সরবরাহ করবে এবং ব্যবহৃত বক্সটি গ্রহন করবে।

সুইং মেশিনের ঝুঁকি সমূহ

  • মেশিনের শব্দে ও অত্যাধিক জনগনের কোলাহলে প্রচন্ড শব্দ দূষনের ঝুঁকি।
  • মাস্ক, এ্যাপ্রোন অথবা গগল্স পরিধান না করার ঝুঁকি।
  • জরুরী ও নিরাপদ বহির্গমন পথ ও সিঁড়ি না থাকার ঝুঁকি। এমনকি আইল্স মার্ক বন্ধ করে কাজ করার ঝুঁকি।
  • পর্যাপ্ত ও নিরাপদ খাবার পানি পান না করার ঝুঁকি।
  • নিডেলগার্ড, পলিকভার ও ইলেক্ট্রিক রাবার ম্যাট ব্যবহার না করার ঝুঁকি।
  • ঢিলে-ঢালা পোষাক ও স্বর্ণলঙ্কার পরিধান করে কাজ করার ঝুঁকি।
  • সিজার, কাটার ও ধারালো অস্ত্র¿্রপাতিতে আহত হওয়ার ঝুকি ।

সুইং মেশিনের প্রভাব

  • মেশিন ও জনগনের কোলাহলে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ হয়। ইহা ছাড়াও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফ্লোরে কর্মরত জনগনের শ্রবন শক্তি কমে যায়।
  • মাস্ক, এ্যাপ্রোন অথবা গগল্স পরিধান না করার জন্য নাক-মৃখ দিয়ে ধুলাবালি শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার. যক্ষ্মা সহ শরীরে নানা প্রকার রোগ ব্যাধি হতে পারে।
  • জরুরী ও নিরাপদ বর্হিগমণ পথ ও সিঁড়ি না থাকার ফলে অগ্নিকান্ড, ভবন ধ্বস ইত্যাদি দূর্ঘটনার সময় পদ পৃষ্ট হয়ে প্রান হানী ঘটে।
  • কর্মরত প্রত্যেকে পর্যাপ্ত ও নিরাপদ পানি পান না করার ফলে শারীরিক পানি শূন্যতায় ভূগতে পারে ও জীবানু বাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস ইত্যাদিতে ভুগতে পারে।
  • নিডেলগার্ড, পলিকভার না থাকায় নিডেলে আহত, পুলিতে কাপড় জড়িয়ে আহত হতে পারে। পাশাপাশি আয়রন রাবার ম্যাট ব্যবহার না করায় পার্শ্ববর্তী অবস্থানকারীদের ইলেক্ট্রিক শক লাগতে পারে এবং তাপে পুড়ে মৃত্যূ ঘটতে পারে।
  • ঢিলে-ঢালা পোষাক ও স্বর্ণলঙ্কার পরিধান করে কাজ করার ফলে মেশিনে জড়িয়ে আহত হতে পারে।
  • সিজার, কাটার, ও ধারালো অস্ত্রপাতি রশি দিয়ে বেধে/ নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার না করলে হাতে পায়ে অথবা শরীরের যে অঙ্গে কেটে রক্তপাত হতে পারে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিম্নোক্ত ব্যবস্থা সমূহ গ্রহন করা হয়েছে কি না?

  • উচ্চস্বরে কথা না বলার প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করা হচেছ। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এ্যাগজষ্ট ফ্যান লাগানো হয়েছে।
  • কারখানার শ্রমিকদের মাস্ক, এ্যাপ্রোন অথবা গগল্স পরিধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং প্রতিদিন পিএ সিস্টেমের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
  • নিয়মিত নিরাপদ বহির্গমন মহড়া পরিচালনা করা হচেছ। ফ্লোরে বহির্গমনের জন্য রোড মার্কিং, এক্সিট লাইট, বহিঃর্গমন নকশা ও জরুরী লাইট এর ব্যবস্থা সহ অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে, যা আই সি ডি ডি আর বি কর্তৃক পরীক্ষিত ও অনুমোদিত। পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার ও পানি পরিবর্তন করা হয়। পানির পাত্র রাখার স্থান নিয়মিত দূষণ মুক্ত রাখা হয়।
  • প্রতিদিন নিডেলগার্ড, পুলিকভার এবং ইলেক্ট্রিক রাবার ম্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রত্যেক আয়রনম্যানদের জন্য রাবার ম্যাট প্রদান করা হয়েছে। আয়রন রাখার জন্য রাবার প্লেট ও অন্যান্য তাপ নিরোধক উপকরন সরবরাহ করা হয়েছে। আয়রন করার ইন্সট্রাকশন সম্বলিত পোষ্টার পোষ্টটেড করা হয়েছে।
  • ঢিলে-ঢালা পোষাক ও স্বর্ণলঙ্কার পরিধান করার উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং পিএ সিস্টেমের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
  • সিজার, কাটার ও ধারালো অস্ত্রপাতি সম্পর্কিত পলিসি তৈরী করা হয়েছে। তা প্রতিদিন নিয়ন্ত্রণ করা এবং রেজিষ্টার মেইনটেন করা হয়। সিজার, কাটার রশি দ্বারা বেধে কাজ করতে বলা হয়েছে।
  • পরিবর্তিত সিরিঞ্জ ও সুজ সংরক্ষণ নীতিমালায় সিজার, কাটার রশি ইত্যাদি ব্যবহারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।

পরিশিষ্ঠঃ

সুন্দর স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বান্ধব কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত,  কর্মরত সকলের সুস্বাস্থ্য রক্ষা তথা কারখানার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ রক্ষার জন্য জন্য অটো  গ্রুপ  সদা সচেস্ট ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।


Posted

in

by

Comments

3 responses to “পরিবর্তিত সিরিঞ্জ ও সূঁচ সংরক্ষণ নীতিমালা সমুহের চমৎকার বর্ণনা”

Leave a Reply