ফ্যাক্টরী শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা

ফ্যাক্টরী শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুলো কি কি?

অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা

শ্রম নিবিড় রপ্তান মুখী গার্মেন্টস্ ইন্ডাষ্ট্রিজ এর জন্য অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বাংলাদেশের শ্রমনিবিড় শিল্পগুলোর মধ্যে ১০০% রপ্তানীমুখী তৈরী পোশাক শিল্প অন্যতম। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ শিল্পে ১৫ লক্ষাধিক শ্রমিক সরাসরি সম্পৃক্ত, যাদের ৯০ শতাংশই নারী শ্রমিক। পোশাক শিল্পের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সদা সচেষ্ট এই বিপুল শ্রম-শক্তির সার্বিক কল্যানে, কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা বিধানে সকলের সু-দৃষ্টি, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সচেতনতা অত্যাবশ্যক। তৈরী পোশাক শিল্প কারখানা এবং এ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের উন্নয়নে পলমল গ্র“প সদা জাগ্রত ও সচেষ্ট এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। … ফফফ

অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনার কারন সমূহ

  • এ যাবৎ কালে সংঘটিত সকল অগ্নিকান্ডের মূল কারন হিসাবে বৈদ্যুতিক “ শর্ট সার্কিট” কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
  • বিড়ি-সিগারেট এর আগুন থেকে অগ্নিকান্ড হতে পারে।
  • দিয়াশলাই, সিগারেটের লাইটার থেকে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে।
  • যে কোন ধরনের বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল থেকে অগ্নিকান্ড বা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পোশাক শিল্পের কর্মরত সকল প্রিয় কর্মচারী/কর্মকর্তাদের জরুরী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন, অগ্নী প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে প্রচার পত্রটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। যা প্রতিটি শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগনকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রথমে আমরা আগুনের ধরণ সম্বন্ধে আলোচনা করবো। সাধারনত চার ধরণের আগুন আছে। যেমনঃ ১। কঠিন পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার), ২। তরল পদার্থের আগুন (ইনফ্লামেবল লিকুইড ফায়ার), ৩। বৈদ্যুতিক আগুন, ৪। বিস্ফোরক আগুন।
উপরোক্ত আগুন সমুহ নির্বাপনের জন্য নিুলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

১। কঠিন পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার)ঃ
এই আগুন সাধারণত কাপড়, কাগজ, কাঠ, রাবার ইত্যাদিতে লেগে উৎপন্ন হয়ে থাকে। সাধারণভাবে পানি ব্যবহার করে এই আগুন নেভানো যায় এ ছাড়াও ভেঁজা কাপড় দিয়ে অথবা কম্বল দ্বারা ঢাকা দিয়েও এই আগুন নেভানো যায়।
২। তরল পদার্থের আগুন (ইনফ্লামেবল লিকুইড ফায়ার) ঃ
এই আগুন সাধারনত তেল, পেট্রোল লেগে উৎপন্ন হয়। পানি দিয়ে এই আগুন নেভানো চেষ্টা করা মোটেই উচিৎ নয়। কেননা জ্বলন্ত তরল পদার্থটি পানি থেকে হালকা। বালি অথবা ফোম টাইপ এক্সটিংগুইশার এই আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহার করা উচিৎ।
৩। বৈদ্যুতিক আগুন ঃ
বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট থেকে অথবা বৈদ্যুতিক যন্ত্র পাতি থেকে ও আগুনের উৎপত্তি হয। এ ধরনের আগুনে কখনো পানি বা পানি জাতীয় নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা নিষেধ। ইহা ব্যবহার করলে বিদ্যুতায়িত হওয়ার অত্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এই জাতীয় আগুন নেভানোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ও মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে। পাউডার টাইপ এক্সটিংগুইশার অথবা হ্যালন অথবা কার্বন-ডাই-অক্সাইড এক্সটিংগুইশার (ঈঙ২) ব্যবহার করতে হবে।
৪। বিস্ফোরক আগুনঃ
এই আগুন সাধারণত উচচ চাপ যুক্ত সিলিন্ডার, ক্ষয়িঞ্চু দ্রব্য, বোমা বা গ্যাস থেকে উদ্ভুত হয়। এ আগুন নেভানোর জন্য ২ নং ও ৩ নং এ বর্ণিত পদ্ধতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবহার করা যায়।
অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে নিুলিখিত বিষয়ে সাবধান থাকতে হবেঃ-
১। ধোঁয়া নিশ্বাসের সঙ্গে ভিতরে নেয়া যাবেনা।
২। কাপড় অথবা ভেঁজা টাওয়েল দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
৩। যদি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয় তবে নাকে বা গলায় ধোঁয়া প্রবেশের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
৪। সকল দরজা জানালা খুলে দিতে হবে যাতে সব ধোঁয়া বেরিয়ে যায়।
৫। সকল দরজা জানালা খুলে বের হবার জন্য দরজার (এক্সিট ) দিকে যেতে তারাহুরা করবেন না।
৬। লাইন ধরে বেরোতে হবে।
৭। জরুরী নির্গমন পথ (এমারজেন্সি এক্সিট ) অথবা সহজে পাওয়া যায় এমন নির্গমন পথ দিয়ে বের হতে হবে।
আমাদের ফ্যাক্টরীতে অগ্নি নির্বাপন ও নিরাপত্তার জন্য নিুলিখিত যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা আছে।
১। অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) (এবিসি ড্রাই পাউডার, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ফোম ) ২। হোস পাইপ ৩। ওভার হেড ট্যাংকে সংরক্ষিত পানি, ৪। বালি ভর্তি বালতি ৫। অগ্নি প্রতিরোধক হাত মোজা ৬। স্ট্রেচার ৭। লক কাটার /গ্লিল কাটার ৮। ফায়ার বিটার ৯। ফায়ার হুক ১০। অগ্নি প্রতিরোধক কম্বল ১১। দড়ি ১২। শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রপাতি ১৩ । ফায়ার ম্যান পোশাক ১৪। ব্যাটারী চালিত স্মোক (ধোঁয়া) ডিটেকটর ইত্যাদি।

অন্যান্য ব্যবস্থা ঃ

ফায়ার ফাইটার টিম ঃ আমাদের ফ্যাক্টরীতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ফায়ার কর্মী রয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনার সময় করনীয় সম্বন্ধে তারা ট্রেনিং প্রাপ্ত। এছাড়া শ্রমিকদেরকে অগ্নি দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতন করার জন্য নিয়মিত উদ্যোগ নেয়া হয়।
ফ্লোর মার্কিং ঃ- আইলস্গুুলো সবুব রং এবং সাদা রং এর তীর চিহ্ন দ্বারা ফেœার চিহ্নিত করে পথ খোলা রাখার ব্যবস্থা আছে। এই খোলা পথে কোন কিছু রেখে পথ বন্ধ করে চলাফেরার অসুবিধা সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এমারজেন্সি লাইট ও এক্সিট লাইট ঃ এমারজেন্সি লাইট ও এক্সিট লাইট পর্যাপ্ত পরিমান আছে। এক্সিট লাইট সব সময় জ্বালানো থাকে।
অগ্নিমহড়া ঃ এক মাস পর পরর্ ফ্যাক্টরীতে ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিমহড়া করা হয় এবং তার রেকর্ড রাখা হয়।
ফায়ার ইভ্যাক্যুয়েশন প্ল্যান এবং লে আউটঃ প্রতিটি ফ্লোরে এই প্ল্যান ও লে আউট রয়েছে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার কে করবে, কারা সাহায্য কারী থাকবে, কি ভাবে কর্মীরা ফ্লোর থেকে বের হবে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা কালিন পালনীয় যাবতীয় দায়দায়িত্ব এই লে আউটে উল্লেখিত আছে।
ফার্ষ্ট এইড টিম ঃ প্রত্যেক ফ্লোরের জন্য আলাদা আলাদা ফাষ্ট এইড কর্মী ও ফাষ্ট এইড বক্স রয়েছে যাবে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনার সময় আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা এরা দিয়ে থাকে।

অগ্নি দুর্ঘটনার সময় ফ্লোরের অন্যান্য করনীয় কাজঃ-

অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সমূহ

  • অগ্নিকান্ড ঘটার সুযোগ না দেয়াই এর প্রতিরোধের প্রধান  উপায়।
  • পর্যাপ্ত পরিমান সচল অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র বিভিন্ন সুবিধাজনক পয়েন্টে মজুদ রাখা।
  • অগ্নিকান্ডের সময় আত্ম-বিশ্বাসী হয়ে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার করা।
  • বিড়ি, সিগারেট অথবা ধুমপান সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ করা।
  • দিয়াশলাই বা সিগারেটের লাইটার সমেত ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
  • গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন তথা বিভিন্ন ফিকচার ফিটিংস নিয়মিত পরিদর্শন করা এবং পরিদর্শন বইতে তা লিপিবদ্ধ করা।
  • ফ্যাক্টরীতে কেমিক্যালস ব্যবহারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা।
  • অগ্নিনির্বাপনের উপর নিয়মিত অনুশীলন/মহড়ার ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ সকলকে সচেতন করা।
  • প্রত্যেক ফ্লোর/সেকশনে পূর্বাহ্নে অগ্নি নির্বাপন দল এবং উদ্ধারকারী দল গঠন করা।
  • ফ্যাক্টরী চলাকালীন প্রত্যেক গেটের/দরজায় তালা খোলা রাখা এবং তালাচাবি প্রশাসনিক কর্মকর্তার নিকট জমা রাখা। প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবশ্যই তা নিশ্চিত করবেন।
  • ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবার পর রুটিন মাফিক নিয়মিত চেক করা। উক্ত চেকের সময় এডমিন, সিকিউরিটি, ইলেক্ট্রিক এবং ষ্টোরের প্রতিনিধি থাকবে।
  • প্রত্যেক সিঁড়িতে এবং প্রত্যেক ফ্লোরের উভয় প্রান্তে জরুরী বাতি/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীতে অবস্থানরত গাড়ীগুলি সবসময় বর্হিমূখী করে পার্ক করতে হবে। যাতে স্বল্প সময়ে নিরাপদ অবস্থান গ্রহনসহ গাড়ী কর্তৃক কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়।
  • ফ্লোরে নিয়ন্ত্রনের সুবিধার্থে পিএ ইকুইপমেন্ট/হ্যান্ড মাইকের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • আগুন দেখা মাত্র ”বিপদ ঘন্টা” (ঊসবৎমবহপু অষধৎস) বাজাতে হবে। যে ব্যক্তি প্রথম আগুন প্রত্যক্ষ করবেন, তিনিই ”বিপদ ঘন্টা” (ঊসবৎমবহপু অষধৎস) বাজাবেন।
  • ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দুর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
  • আগুন লেগেছে দেখা মাত্র যে কেউ ফ্লোরে স্থাপিত ফায়ার এলার্ম সুইচ টিপে এলার্ম বাজাবে।
  • ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনামাত্র ফায়ার ফাইটার ব্যতিরেকে ফ্লোরের সমস্ত লোকজন যত দ্রুত সম্ভব মেশিনের সুইচ অফ করে অথবা হাতের কাজ ফেলে ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী প্রত্যেক সিঁড়ি দিয়ে নেমে করবে।
  • ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনা মাত্র ইলেক্ট্রিশিয়ান বা ফায়ার ফাইটিং পার্টির দলনেতা দ্রুত ফ্লোরের মেইন সুইচ অফ করবে এবং সাবষ্টেশন থেকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর মেইন সূইচ অফ করবে।
  • লোকজন সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামার সময়ে কোন ভাবেই ধাক্কা এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে না।
  • দ্রুত নামার সুবিধার্থে নিজের জুতা বা টিফিন ক্যারিয়ার বা অন্য কিছু সঙ্গে নেয়ার চেষ্টাও করবে না।
  • কাহারো গায়ের কাপড়ে আগুন ধরে গেলে তৎক্ষনাৎ ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোন ক্রমেই দৌড়ানো যাবে না।
  • এছাড়া ফায়ার ফায়ার ফাইটিং, স্যালভেজ পার্টি ফাষ্ট এইড পার্টি, কর্ডন পার্টি এবং অন্যান্য সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য বিশ্বস্ততা এবং সাহসিকতার সাথে আবশ্যই পালন করবে।
  • নির্ধারিত ব্যক্তি সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করবে।
  • যে ফ্লোরে আগুন লেগেছে সেই ফ্লোরের বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ করে দিতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর প্রধান সুইচও অফ করে দিতে হবে।
  • নির্ধারিত ফায়ার কর্মীগন অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করবেন।
  • নির্ধারিত কর্মী বা বয়লারের কাছের ব্যক্তি বয়লারের সুইচ বন্ধ করবে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল কর্তৃক ফ্লোর/সেকশনে রক্ষিত অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
  • সুপারভাইজারগন মেইন গেট ও এমারজেন্সি এক্সিট দিয়ে শ্রমিকদের বের করার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
  • নিরাপত্তার নিয়োজিত ব্যক্তিগন তৎক্ষনাৎ ফ্যাক্টরীর চারটি গেইটের ভিতর এবং বাহিরে অবস্থান নিবে। বাহির থেকে কেহ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা নিবে অর্থাৎ কর্ডন পার্টি এই কাজ করবে। তাছাড়া মানুষ ও গাড়ী চলাচলের জন্য সম্মূখের রাস্তা উন্মুক্ত রাখবে।
  • নির্ধারিত দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগন শৃখঙলার সাথে ও সুষ্ঠু ভাবে নির্গমন কাজে সাহায্য করবে।
  • শৃখঙলার সাথে নির্গমন কাজ স¤পন্ন করার জন্য ইভ্যাক্যুয়েশন লে আউট অনুযায়ী দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগন কাজ করবে।
  • কোন কর্মীই ফ্যাক্টরীতে রাখা তার নিজের জিনিস পত্র দুর্ঘটনার সময় নিতে চেষ্টা করবে না।
  • আগুন লাগার সাথে সাথে সকলকে সতর্কীকরনের নিমিত্তে হুটার/সাইরেন/কলিং বেল বাজিয়ে  সতর্ক করতে হবে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল উদ্ধারকারীদল ব্যতীত মহিল ও পুরুষগন ১/২ মিনিটের দ্রুততায় সিড়ি দিয়ে স্কেপ প্ল্যান অনুযায়ী বের হয়ে যাবে।
  • র বা সেকশন থেকে লোকজন নেমে যাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল দ্রুত দুর্ঘটনা কবলীতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসক দলের কাছে নিয়ে যাবে এবং প্রয়োজনে ফ্যাক্টরীর চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌছে দেবে।
  • কোন ভাবেই সিঁড়ি ব্যতীত অন্য কোন ব্যবস্থায় নামবার চেষ্টা করবেনা।
  • অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনা কবলিত মালামাল উদ্ধার করবে।
  • অন্যান্য অগ্নি প্রতিরোধক ব্যবস্থা
  • মেইন গেট ফ্যাক্টরী চলাকালীন সব সময় খোলা থাকবে।
  • কাহারো গায়ের কাপড়ে আগুন লেগে গেলে তৎক্ষনাৎ ফ্লোরে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোনক্রমেই দৌড়ানো যাবে না।
  • সকালেই সকল এমার্জেন্সি এক্সিট খুলে দেওয়া হয় এবং এক্সিট এরিয়া সব সময় প্রতিবন্ধক হীন রাখা হয়।
  • ফ্যাক্টরীর দায়িত্ব প্রাপ্ত কয়েক জন অফিসার নিচে গিয়ে রান্তার যানবাহন নিয়ন্ত্রন করবে যাতে শ্রমিক কর্মচারীগন নিরাপদে থাকে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল এবং উদ্ধারকারী দলকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে হবে।
  • প্রত্যেক ফ্লোর-ইনচার্জগন সবার শেষে ফ্লোর থেকে বের হবে এবং নিশ্চিত হবে যে ফ্লোরে বা বাথ রুমে কেহ আটকে নেই।
  • বারুম/টয়লেট ও বিল্ডিং-এর ছাদ চেক করতে হবে যাতে কোন লোক আটকা পড়ে না থাকে।
  • সিকিউরিটি গার্ডগন ফ্যাক্টরী থেকে বের হবার সময় শৃখঙলা ভঙ্গ না হয় তা দেখবে এবং নিশ্চিত করবে যে দ্রুত নির্গমনের জন্য প্যাসেজ খোলা আছে, বাইরের কোন লোক ভিতরে প্রবেশ করবে না এবং কোন শ্রমিক জুতা স্যান্ডেল নেওয়ার জন্য নির্গমন পথে বাধা সৃষ্টি করছে না।
  • আগুন লাগলে নিুলিখিত টেলিফোনে যোগাযোগ করতে হবে।
  • ফায়ার সার্ভিস ৯৫৫৫৫৫৫, ৯৫৫৬৬৬৬
  • ফায়ার সার্ভিস হেড কোয়াটার ৯৫৫৬৬৬৭
  • ফায়ার সার্ভিস সাভার ৭৭১৩৩৩৩
  • ফায়ার সার্ভিস ই.পি.জেট ৭৭০১৪৪৪
  • ফায়ার সার্ভিস টঙ্গী ৯৮০১০৭০
  • ফায়ার সার্ভিস ক্যান্টনমেনট ৬০৫১৬৮
  • যে বা যারা ইলেক্ট্রিক সুইচ বোর্ড এর নিকট অবস্থান করবেন তারা মেইন সুইচ বন্ধ করবে। অথবা ইলেক্ট্রিক্যাল ইনচার্জ বা ইলেক্ট্রিশিয়ান বা মেইন্টেন্যান্স সেকশনের যে কেহ দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করবে।
  • প্রোডাকশন অফিসার মাইকিং করে সকল শ্রমিক কর্মচারীগণবে আগুন লাগার স্থান বলবেন এবং সতর্কতার সাথে বের হওয়ার জন্য পথ নির্দেশনা এবং করনীয় আদেশ উপদেশ প্রদান করবেন। প্রোডাকশন অফিসারের অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা সময় রক্ষক উক্ত মাইকিংয়ের কাজ করবেন।
  • রিসেপশনিস্ট টেলিফোন করে স্থানীয় দমকল বাহিনী, থানা (পুলিশ ষ্টেশন) এবং একাউন্টস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী কে সংবাদ জানাবে।
  • দ্রুত নামার সুবিধার্থে কেহ আতঙ্কের সৃষ্টি এবং হৈ-চৈ বা কান্নাকাটি করবেনা।
  • নিরাপত্তা রক্ষী গেটে দাঁড়িয়ে বহিরাগতদের ফ্যাক্টরীর ভিতরে প্রবেশে বাধা দিবে যেন অযথা ভীড় না হয়। নিরাপত্তা রক্ষী নিজ নিজ ডিউটির স্থানে দায়িত্ব পালন করবে। মেইন গেটের নিরাপত্তা রক্ষী চারতলার পশ্চিম পাশের গেটে অবস্থান গ্রহন করবে।
  • উদ্ধার বাহিনীর (জবংপঁব ঞবধস) সদস্যগণ দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কতার সাথে প্রথমে গর্ভবতী, মহিলা কর্মী ও পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করবে। বিস্তারিত দায়িত্ব জবংপঁব ঞবধস লিষ্টে প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার বাহিনীর সদস্যগণ উদ্ধার কাজের সময় প্রয়েজনে অবশ্যই গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করবে।
  • ধোয়ার আছন্ন হয়ে বাহির হওয়ার পথ দেখতে না পেলে দ্রুত বসে হামাগুড়ি দিয়ে বাহির হয়ে আসতে হবে।
  • অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সদস্যগণ নিজ নিজ নির্দিষ্ট সরঞ্জাম/যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভাবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনবে। বিস্তারিত দায়িত্ব ঋরৎব ঋরমযঃরহম ঞবধস লিষ্টে প্রদান করা হয়েছে।
  • যারা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তারা অবশ্যই মুখোশ ব্যবহার করবে।
  • ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না। সোজা নিজের বাসায় চলে যাবে।
  • উদ্ধার কার্যাবলী সম্পাদনের পরে লাইন করে সকল শ্রমিক এর সংখ্যা গণণা করতে হবে। এ ব্যাপারে পিএম এবং ফ্লোর ইনচার্জ নিজ নিজ ফ্লোরের লোক সংখ্যা গণণা করবে।

Posted

in

by

Comments

2 responses to “ফ্যাক্টরী শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুলো কি কি?”

Leave a Reply