অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতি

অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতি

অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা 

সকল মানুষ ও পারিপার্শ্বিকতার প্রতি সমান সম্মান প্রদর্শনে বিশ্বাসী। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্টানের সকল মানুষ ও পারিপার্শ্বিকতার প্রতি সমান সম্মান প্রদর্শনে বিশ্বাসী । দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করে শ্রদ্ধার সাথে নিæোক্ত নীতি অনুসরণ করে এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করে। দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে গ্র“প কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করে শ্রদ্ধার সাথে নিম্নোক্ত নীতি অনুকরণ করে এবং এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করে।কর্মসংস্থান, বেতন, সুযোগ-সুবিধা, অগ্রিম প্রদান, কর্মচ্যুতি অথবা অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পুর্ণভাবে প্রতিটি কর্মীর নিজস্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাদারী যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রের কর্ম দক্ষতার উপর নির্ভরশীল। এ ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, বৈবাহিক বা গর্ভাবস্থা অথবা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের কারণে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা হয় না। …

  • কর্মসংস্থান, বেতন, সুযোগ-সুবিধা, অগ্রিম প্রদান, কর্মচ্যুতি অথবা অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে প্রতিটি কর্মীর নিজস্ব শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাদারী যোগ্যতা ও কর্মক্ষেত্রের কর্মদক্ষতার উপর নির্ভরশীল। এ ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, বৈবাহিক বা গর্ভাবস্থা অথবা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা বয়সের কারণে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে না। স্থানীয় আইন সর্বদা মেনে চলা হয় এবং স্থানীয় আইনের প্রতি সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
  • স্থানীয় আইন সর্বদা মেনে চলা হয় এবং স্থানীয় আইনের প্রতি সর্বদা সম্মান প্রদর্শন করা হয়।  গ্র“প উর্দ্ধতন ব্যবস্থাপক কোম্পানীর সকল নীতি প্রয়োগে সজাগ দৃষ্টি রাখেন যাতে করে কারো প্রতি কোন প্রকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করা না হয় ।
  • কর্মীদের ন্যায়সংগত সুযোগ-সুবিধা এবং কর্ম-সšতুষ্টি নিয়ে ব্যবস্থাপকের সাথে আলোচনার জন্য কোম্পানীতে গঠিত “শ্রমিক ফোরাম ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ” অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে।
  • উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক কোম্পানির সকল নীতি প্রয়োগে সজাগ দৃষ্টি রাখেন যাতে করে কারো প্রতি কোন প্রকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করা না হয়। কর্মীদের জানার এবং পরিস্কার ধারণা থাকার জন্য কোম্পানীর সকল নীতি বোর্ডে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নতুন কর্মীদের পরিচিতি মূলক প্রশিক্ষন এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সকল কর্মীদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণে নীতি সমুহ
    আলোচনার ব্যবস্থা আছে।
  • গ্র“প কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীকে কাজের সাথে সম্পর্কহীন কোন ব্যক্তিগত বা আইনবহির্ভূত প্রশ্ন করে না।
    কর্মক্ষেত্রে নতুন কোন সুযোগ সৃষ্টি হলে প্রথমে পুরাতন কর্মীদেরকে জানানো হয় এবং তাদেরকে প্রতিযোগিতা করার
    জন্য সম্পুর্ন সুযোগ দেওয়া হয়।
  • চাকুরী প্রার্থীদের দরখাস্তসমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে অ-পক্ষপাতিত্বমূলক নীতির সামঞ্জস্যতা মূল্যায়ন করা হয়।
    বিশেষ ধরণের কাজে, বিশেষত যারা শারিরীকভাবে দুর্বল, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় চাহিদার দিকে নজর দেওয়া হয়।

বৈষম্যহীন আচরন নীতিমালা

কর্মীদের ন্যায়সংগত সুযোগ-সুবিধা এবং কর্ম-সন্তুষ্টি নিয়ে ব্যবস্থাপকের সাথে আলোচনার জন্য কোম্পানীতে গঠিত ”কমপ্লায়্যান্স বিভাগ” অন্যতম মাধ্যম হিসাবে কাজ করে থাকে। সব মানুষ সমান। ফ্যাশনস লিঃ সমান ভাবে নারী ও পুরুষ কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করে থাকে। এখানে নারী, পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকলের অধিকার সমান। অটো নীটওয়্যার লিঃ সবার দক্ষতা অনুযায়ী পারিশ্রমিক,পদোন্নতি ইত্যাদি দিয়ে থাকে যাতে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে কোন রূপ ভূল বুঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। কারখানায় যাতে কোন বৈষম্য মুলক কর্ম কান্ডের সৃষ্টি না হয় সেজন্য নি¤œলিখিত নীতিমালা অনুসরন করা হয়ঃ-

  • কারখানায় যে কোন শাখায় নিয়োগের ক্ষেত্রে  নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শিক্ষা ও বয়স নির্বিশেষে শুধু মাত্র কাজের দক্ষতাই হবে নিয়োগ প্রাপ্তির প্রধান বিবেচ্য বিষয়। যে শ্রমিকের কাজের দক্ষতা বেশী  তার  গ্রেড/বেতন  বেশী  হবে এটাই স্বাভাবিক। লিঙ্গীয় বা অন্য কোন ধরনের বৈষম্য বা বিশেষাধিকার অত্র কারখানা কখনও সমর্থন করে না। উল্ল্যেখ থাকে যে, মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কখনো অন্তঃসত্বার পরীক্ষা করা হয় না।
  • কর্মীদের জানার এবং পরিস্কার ধারনা থাকার জন্য কোম্পানীর সকল নীতি বোর্ডে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নতুন কর্মীদের পরিচিতি-মূলক প্রশিক্ষণ এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সকল কর্মীদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণে নীতিসমূহ আলোচনার ব্যবস্থা আছে। কারখানায় যে কোন শাখায় বেতন ধরার ক্ষেত্রে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ , শিক্ষা ও বয়স নির্বিশেষে শুধু মাত্র যোগ্যতা ও কাজের দক্ষতাই হবে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। নারী-পু রুষ সবাইকে সমান চোখে দেখা হয় এবং এ ক্ষেত্রে বেতনের কোন বৈষম্য করা হয় না।
  • চাকুরীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে দক্ষতার প্র মান ও কর্মে  নিষ্ঠার মুল্যয়নই হবে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। এ ক্ষেত্রে কোন রকমের স্ব -জন প্রীতি বা বৈষম্য করা হয় না। আমরা শ্রমিক নিয়োগ, পদোন্ন তি এবং অন্যান্য সুবিধা সমূহের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ,হিন্দু বৌদ্ধ অর্থাৎ জাতিগত কোন বৈষম্যের সৃষ্টির ক্ষেত্রে সম্পূর্ন  উদার নীতি মেনে চলি।
  • কারখানায় যে কোন শাখায় ছুটি ভোগের ক্ষেত্রে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, শিক্ষা, বয়স, পদবী বিন্যাস না করে শ্রম আইন অনুসারে ছুটি ভোগ করতে দেয়া হয়।
  • কর্মক্ষেত্রে নতুন কোন সুযোগ সৃষ্টি হলে প্রথমে পুরাতন কর্মীদেরকে জানানো হয় এবং প্রতিযোগিতা করার জন্য সম্পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়। সুষ্ঠ কর্ম পরিবেশ বজায় রেখে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা শ্রমিক কর্মচারী ও স্টাফদেরকে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিয়ে থাকি যাতে কারখানায় কোন রকম বৈষম্যের সৃষ্টি হতে না পারে।
  • কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রার্থীকে কাজের সাথে সম্পর্কহীন কোন ব্যক্তিগত বা আইনবহির্ভূত প্রশ্ন করা হয় না।
  • কারখানায় কর্মে নিযুক্ত কারো প্রতি যদি কোন রকম বৈষম্য বা পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরন করা হয় তবে তার সাথে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

সারাংশ

অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতি- চাকুরী প্রার্থীদের দরখাস্তসমূহ পর্যালোচনার মাধ্যমে অ-পক্ষপাতিত্বমূলক নীতি’র সামঞ্জস্যতা মূল্যায়ণ করা হয়। বিশেষ ধরনের কাজে, বিশেষত যারা শারিরীকভাবে দুর্বল, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় চাহিদার দিকে নজর দেওয়া হয়।

Comments

4 responses to “অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা”

Leave a Reply