কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কি কি নীতিমালা

কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কি কি নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়?

নিয়োগ নীতিমালা

সকল ধরনের নিয়োগ হবে যথাযথ নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে। কোম্পানীর কর্মী নিয়োগ ক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈষম্য এবং স্বজন প্রীতির আশ্রয় নেয়া হবে না। পরিচালকবৃন্দের সুপারিশ/অনুমোদন ব্যতীত কোন ব্যক্তিগত অনুরোধ/সুপারিশের ভিত্তিতে পার্সোনেল সেকশন কাউকে নিয়োগ দিতে পারবে না। কম্পোজিট মিলস লি: কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিুবর্নিত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে।

  • সকল ধরনের কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব থাকবে ফ্যাক্টরীর পার্সোনেল সেকশনের উপর। পার্সোনেল সেকশন ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তি বা সেকশন বা বিভাগ কর্তৃক ফ্যাক্টরীর কোন কর্মী নিয়োগ করা যাবে না/করা হবে না।
  • কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্সোনেল সেকশন কোম্পানীর অনুমোদিত সংগঠন কাঠামো যথাযথভাবে অনুসরণ করবে। পার্সোনেল সেকশন ফ্যাক্টরীর কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মানবশক্তি বজায় রাখবে এবং একই সাথে সংগঠন কাঠামোতে নির্ধারিত মানব শক্তির অধিক কর্মী যেন কোনভাবেই নিয়োগ করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে। কোন বিশেষ কারণে অনুমোদনের অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
  • কোন সেকশন/বিভাগে কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/সেকশনকে পার্সোনেল সেকশনে নিয়োগ চাহিদা পাঠাতে হবে। পার্সোনেল সেকশন অনুমোদিত সংগঠন কাঠামোর  সাথে চাহিদা মিলিয়ে দেখবে এবং উক্ত চাহিদার বিপরীত কোন পদ শূন্য থাকলে শূন্য পদের বিপরীতে লোক নিয়োগ করবে। চাহিদার বিপরীতে শূন্য পদ না থাকলে পার্সোনেল সেকশন সংশ্লিষ্ট সেকশন প্রধানকে তা অবহিত করবে। শূন্য পদ অবশিষ্ট না থাকার পরেও সংশ্লিষ্ট সেকশন যদি অতিরিক্ত লোক নিয়োগের প্রয়োজন অনুভব করে তাহলে পার্সোনেল সেকশন নির্ধারিত রিকুইজিশন ফরমে সংশ্লিষ্ট সেকশন কর্তৃক চাহিদাকৃত লোকবল, চাহিদার কারণ, সময়সীমা ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট প্রেরণ করবে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাহিদার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে লোক নিয়োগের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন।
  • পরিচালক বৃন্দের সুপারিশ/অনুমোদন ব্যতীত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনকে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা যাবে না।
  • গ্র“পের কোন কোম্পানী থেকে চাকুরিচ্যুত হয়েছে কিংবা চাকরী ত্যাগ করেছে এমন ব্যক্তিকে ফ্যাক্টরীতে নিয়োগ দিতে হলে পরিচালক বৃন্দের সুপারিশ বা অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
  • নিয়োগ চাহিদার উপর ভিত্তি করে পার্সোনেল সেকশন দৈনন্দিন নিয়োগের একটি সমন্বিত তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকা তৈরীতে ৩ নং ধারায় বর্নিত নিয়ম অনুসরণ করা হবে। প্রস্তুতকৃত তালিকার ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ নির্ধারণ করা হবে।
  • নিয়োগ তালিকা প্রস্তুতির পর পার্সোনেল সেকশন প্রাথমিক নির্বাচনের জন্য চাহিদার ভিত্তিতে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের পদ নির্ধারন করবেন, প্রাথমিক নির্বাচনে নির্বাচিত প্রার্থীর প্রত্যক্ষ দক্ষতা এবং সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট লাইন বা সেকশনে প্ররিত হবে। সংশ্লিষ্ট লাইন বা সেকশন থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সমপন্ন করার জন্য পুনরায় প্রাথমিক নির্বাচন কক্ষে (কাউন্সিলিং রুমে) ফিরিয়ে আনা হবে। অযোগ্য প্রার্থীদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে না।
  • সংশ্লিষ্ট সেকশন থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে কোম্পানীর নিয়ম এবং নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করা হবে এবং একই সময়ে প্রার্থীদের বেতন এবং যোগদান তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই সময় প্রার্থীর প্রয়োজনীয় দলিলাদী তৈরী করা হবে এবং প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর গস্খহণ করা হবে।
  • প্রার্থীর কাজে যোগদানের সাথে সাথে তাকে পারিচয়পত্র এবং পাঞ্চকার্ড প্রদান করা হবে। একই সাথে তার নামে একটি ফাইল তৈরী করা হবে যাতে তার সমস্ত দলিলাদী সংরক্ষিত থাকবে। কর্মী নির্বাচন নীতিমালা ২০০৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে কার্যকরী হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে এই নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। স্মর্তব্য যে কোম্পানীর  তৈরীর সময় বিভাগীয় প্রধানদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিলো। অতএব, এটা আশা করা যায় বিভাগীয় প্রধান লোক নিয়োগের সময় নূন্যতম লোক নিয়োগের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষে নির্ধারিত অর্গানোগ্রামকে প্রাধান্য দেবে।

Posted

in

by

Comments

Leave a Reply