জবরদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা এর প্রয়োজনীয় বর্ণনা

জবরদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা এর প্রয়োজনীয় সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

জবরদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা

গার্মেন্টস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ শ্রম আদায়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় শ্রম আইন , আন্তর্জাতিক শ্রম সংঘ  এবং বায়ারদের আচরণবিধি  সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে। সর্বোপরি কর্তৃপক্ষ উন্নত মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অংগীকারাবদ্ধ বিধায় অত্র গ্র“পভুক্ত যেকোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে যেকোন ধরণের জবরদস্তিমূলক শ্রমের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেকোন ধরণের শ্রম যা জবরদস্তিমূলকভাবে আদায় করা হচ্ছে প্রমানিত হলে এ ধরণের শ্রম আদায়কারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। স্থানীয় শ্রম আইন, আইএলও এবং বায়ার কর্তৃক স্বীকৃত এবং ঐচ্ছিক  শ্রম ধারা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে একটি সুস্পষ্ট জরবদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা প্রনয়ন করা হলো।

১। জবরদস্তিমূলক শ্রম ঃ

শ্রম আদায়ে শ্রমিকদেরকে দৈহিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করা জবরদস্তিমূলক শ্রমের অন্তর্গত। যেকোন ধরণের বন্দী নিবাসমূলক শ্রম ,  চুক্তিপত্র দ্বারা আবদ্ধমূলক শ্রম  এবং বলপূর্বক আদায়কৃত শ্রম জবরদস্তিমূলক শ্রমের পর্যায়ভূক্ত। সহজ কথায় যেকোন ধরণের অনৈচ্ছিক শ্রমই জবরদস্তিমূলক শ্রম বলে অভিহিত হবে।

২। অত্র গ্র“পভুক্ত সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারী শ্রম আদায়ের ক্ষেত্রে নিুোক্ত নীতিসমুহ সুচারুরূপে পালন করবেন –

  • সাজাপ্রাপ্ত কোন পলাতক আসামী কিংবা কোন বন্দীকে শ্রমের জন্য নিয়োগ করা যাবে না।
  • বন্দী নিবাসমূলক শ্রম আদায় থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে।
  • কোন ধরণের চুক্তি দ্বারা আবদ্ধমূলক শ্রম আদায় থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।
  • যেকোন ধরণের বলপূর্বক শ্রম আদায় থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • শ্রমিকের সম্মতি ব্যতীত নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত শ্রম  কোন ক্রমেই আদায় করা যাবে না অর্থাৎ অতিরিক্ত কাজ সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাকৃত ।
  • স্বেচ্ছাকৃত অতিরিক্ত কাজের জন্য শ্রমিককে বৈধ হারে ওভারটাইম ভাতা প্রদান করতে হবে।
  • অতিরিক্ত সময়  কাজ করানোর পূর্বে সংযুক্ত ক্রোড়পত্র ‘ক’ অনুযায়ী শ্রমিক প্রতিনিধিগনের সম্মতি সুচক প্রত্যায়ণ পত্র নিতে হবে।

৩। জবরদস্তিমূলক শ্রমের শিকার হলে করনীয় ঃ

  • কারখানায় কর্মরত কোন শ্রমিক/কর্মচারী জবরদস্তিমূলক কোন ধরণের শ্রমের শিকার হলে নিুের যেকোন পন্থা অবলম্বন করে কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ পেশপূর্বক প্রতিকার পেতে পারেন।
  • কারখানায় কর্মরত কমপ্লায়েন্স ইনচার্জ/ পার্সোনেল ইনচাজ /কাউন্সেলিং অফিসারকে বিষয়টি মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত করবেন।
  • কারখানার শ্রম কল্যাণ কমিটির সদস্যদেরকে অবহিত করণের মাধ্যমে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন।
  • টয়লেন এলাকায় রক্ষিত অভিযোগ বাক্সে লিখিতভাবে অভিযোগ পেশ করতে পারবেন।
  • উল্লেখিত পন্থাসমুহ অবলম্বন করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোন প্রতিকার পাওয়া না গেলে উক্ত অভিযোগ সরাসরি কারখানার জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন)কে জানাতে পারেন।

৪। জবরদস্তিমূলক শ্রমের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা ঃ

জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায়ের অভিযোগের ক্ষেত্রে কারখানার কমপ্লায়েন্স ইনচার্জ / পার্সোনেল ইনচার্জ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত শেষে জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) এর নিকট প্রতিবেদন পেশ করবেন। জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা পূর্বক বলপূর্বক শ্রম আদায়কারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় শ্রম আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

একটি স্বীকৃত এবং মানবিক শ্রম ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কারখানায় কর্মরত সকল ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক উপরোক্ত নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা বাঞ্চনীয়। কর্তৃপক্ষ আশা পোষন করে অত্র শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগন উক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে সকল প্রকার সহযোগিত প্রদান করবেন।

Comments

2 responses to “জবরদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা এর প্রয়োজনীয় সংক্ষিপ্ত বর্ণনা”

Leave a Reply