ঠিকাদার পলিসি ও পদ্ধতি

ঠিকাদার পলিসি ও পদ্ধতি Contractor Policy & Procedure বর্ণনা

ঠিকাদার পলিসি ও পদ্ধতি

ঠিকাদার পলিসি ও পদ্ধতি Contractor Policy & Procedure বর্ণনা । কারখানায় ঠিকাদার ও সরবরাহকারী নির্বাচনগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করার জন্য ঠিকাদার পলিসি ও পদ্ধতি যথাযথ ভাবে অনুসরন করে থাকে। এই ঠিকাদার পলিসি ও পদ্ধতি নিম্নোক্ত ভাবে অনুসরন করা হয়। উৎপাদন শিলতা বৃদ্ধি কল্পে ও গনের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করিয়াছেন।

  • গণ কোম্পানীর নীতিমালা মানিয়া চলিবে।
  • শর্র্ত মোতাবেক ঠিকাদার বা সরবরাহকারীগণ তাহাদের কর্ম পরিচালনা করিবেন।
  • কোম্পানীর স্বার্থ পরিপন্থি কোন কর্ম করিবেন না।
  • কোম্পানীর নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে কোম্পানীর  মানিয়া চলিবে।
  •  গনকে ঈড়সঢ়ধহু তাহার চড়ষরপু অনুসারে  করতে পারবে।
  • কোম্পানীর স্বার্থ পরিপন্থি কোন কর্ম করলে কোম্পানী ঐ ঠিকাদার ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

ইহা ছাড়াও কারখানাটি এই মর্মে ঘোষনা করিতেছে যে, যেসকল ঠিকাদার ও সরবরাহকারী  নিম্নোক্ত নিরাপত্তামুলক নীতিমালা গ্রহন করিবে আমরা তাদের সাথে ব্যবসা করিব।

  • কাম্পানীর অর্থ সম্পদ, মালামাল রক্ষনাবেক্ষনের জন্য কোম্পানীর নিজস্ব স্থায়ী সিকিউরিটি গার্ড (মাসিক নির্ধারিত বেতনে) থাকবে। প্রয়োজনে কোম্পানীর মালামালের জন্য চুক্তির মাধ্যমেও নির্দিষ্ট কিছু সিকিউরিটি সার্ভিসেস এর নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীর সুনির্দিষ্টভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন কল্পে কারখানার আওতাধীন এলাকায় কোন প্রকার মাদকদ্রব্যাদি, ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও জৈব সামগ্রী, বিষ্ফোরক অস্র তেজসক্রিয় পদার্থ অথবা এ জাতীয় কোন অবৈধ দ্রব্যাদির প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • উপরোক্ত আদেশ যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে কোম্পানীর প্রত্যেক ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সুপারভাইজার এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ প্রত্যক্ষভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে।
  • কোম্পানীর প্রতিষ্ঠানে কোন মালামাল বা লোকজন আসা যাওয়ার ব্যাপারে কোম্পানীর নিরাপত্তা বিভাগ সতর্কতা অবলম্বন করিবে, মালামাল বাহিরে যেতে হলে কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী গেইটপাশ চালানের মাধ্যমে বাহিরে যাইবে। যাহা গেইটপাশ চালান অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা সিকিউরিটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দিবে।
  • কোম্পানীর নিজস্ব শ্রমিক কর্মচারীগণ কোম্পানীর দেয়া হাজিরা কার্ড /আইডি কার্ড গেইটে প্রদর্শন করে কারখানায় প্রবেশ করবে এবং সিকিউরিটি প্রত্যেক কর্মচারী, কর্মচারীনির ব্যাগ বা টিফিন কেরিয়ারে আপত্তিকর কোন কিছু আছে কিনা ভালভাবে চেক করে তবেই ভিতর্ েপ্রবেশের অনুমতি দিবে।
  • যদি বাইরের কোন লোকজন/আত্মীয় স্বজন কর্মরত কারো সাথে সাক্ষাতের প্রয়োজনে আসেন, তাহলে সিকিউরিটি তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করবেন, কার কাছে যাবেন, কোথা থেকে এসেছেন, কেন এসেছেন ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন এবং প্রয়োজনে কারখানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তার অনুমতি নেবেন। দায়িত্বরত কর্মকর্তার অনুমতি পেলে সিকিউরিটি গার্ড নিজে সাক্ষাত প্রার্থীকে সাক্ষাতকারীর নিকট পৌছে দেবেন। অন্যথায়, যার সাথে সাক্ষাত করতে এসেছেন প্রয়োজনে ফোনে সিকিউরিটি তার সাথে কথা বলে সাক্ষাত রুমে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেবেন।
  • এর বেলায়ও একই আইন প্রযোজ্য হবে। কোনক্রমে কোন অপরিচিত লোক কারখানায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করবে না। প্রয়োজনে আগমনকারীর সাথে সিকিউরিটি গন্তব্যে পৌঁছে দেবে এবং বের হওয়ার সময় সাথে থাকবে।
  • কোম্পানীর মালামাল রক্ষণাবেক্ষণ, জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করাই সিকিউরিটিগনের করনীয়। বিশেষ করে কারখানার অভ্যন্তরে কেউ কোন প্রকার নাশকতামূলক কাজে ব্যবহৃত কোন দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করছে কিনা তার প্রতি বেশী সতর্ক থাকবে।
  • ফ্যাক্টরীর সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা সংরক্ষিত। ফ্যাক্টরীর চারপাশে সু-উচ্চ প্রাচীর থাকতে হবে। যেখনে প্রধান দুইটি গেইট বা দরজা থাকবে এবং উক্ত গেইট বা দরজা ব্যতিত কোন ব্যক্তি কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • কারখানায় কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ছবি সম্বলিত পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে এবং অপরিচিত কোন ব্যক্তি বিনা অনুমতিতে কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারখানার ভিতরে প্রবেশের সময় তার বহনকৃত ব্যাগ সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে হবে এবং সন্দেহজনক কোন কিছু পাওয়া গেলে বহনকৃত ব্যক্তির বিরোদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীর সিকিউরিটি গার্ডদের নিয়োগের ক্ষেত্রে জীবন বৃত্তান্ত (বায়োডাটা) তদন্ত করে তবেই তাহাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিকিউরিটি গার্ডদের নিয়োগের ক্ষেত্রে জীবন ইতিহাস (ইওঙ-উঅঞঅ) তদন্ত করে তবেই তাদের নিয়োগ দিবে।
  • কারখানায় সিকিউরিটি গার্ড সার্বক্ষনিক (২৪ ঘন্টা) কর্মরত অবস্থায় থাকবেন।
  • কারখানার বাইরে সিকিউরিটি লাইট অবশ্যই থাকতে হবে। যা প্রতি ১৫ দিন অন্তর পরীক্ষা করতে হবে।
  • কারখানায় ইলেক্ট্রনিক এলার্ম থাকতে হবে। যা মাসে এক বার পরীক্ষা করতে হবে।
  • কারখানায় মালামাল লোড আনলোডের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পার্কিং পে¬স থাকতে হবে।
  • ফ্যাক্টরী হতে শিপমেন্ট, কভার্ড ভ্যানে যেতে হবে।
  • কভার্ড ভ্যানে লোডিং হওয়ার পূর্বে ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
  • মালামাল লোডিং এর সময় কারখানার নিরাপত্তা অফিসার, ষ্টোর অফিসার অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন।
  • মালামাল আনলোডিং করার সময় নিরাপত্তা অফিসার ও ষ্টোর অফিসারের উপস্থিতিতে করতে হবে।
  • কন্টেইনার লোডিং শেষে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগনের দ্বারা সিল গালা করতে হবে।
  • কন্টেইনার লোডিং এর পর কারখানায় দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সিল এবং কন্টেইনার নম্বর রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
  • কারখানার ছুটির পর সমস্ত দরজা নির্ধারিত অফিসার বা ব্যক্তি দ্বারা তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • কারখানার জানালাগুলি ভালভাবে বদ্ধ থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ফাইনাল প্যকিং এরিয়া এবং ফিনিশড্ গুডস্ ষ্টোরে অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সেখানে সিকিউরিটি সর্বক্ষণ অবস্থান করবে এবং রেজিষ্টারে অনুমোদিত ব্যক্তির আসা যাওয়া লিপিবদ্ধ করবে। কখনও অপরিচিত লোক ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • উলে¬খ্য রপ্তানী দ্রব্য বহনকারী পরিবহনের ক্ষেত্রে গেইটপাশ ও চালানে ড্রাইভারের নাম ঠিকানা, লাইসেন্স নং বিস্তারিত ঠিকানা সহ সঠিক পরিচয় উলে¬খ থাকবে।

কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আশা করেন যে, উক্ত ঠিকাদার ও সরবরাহকারী নির্বাচনগত পলিসি ও পদ্ধতি যথাযথ ভাবে অনুসরন কারখানায় ঠিকাদার ও সরবরাহকারী নির্বাচন ও নিয়োগ সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, তথ্যাদি সংরক্ষণ ও লিপিবদ্ধকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

Comments

Leave a Reply