হয়রানি এবং নির্যাতন পরিহার

হয়রানি এবং নির্যাতন পরিহার নীতি তথ্য নির্ভর ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

হয়রানি এবং নির্যাতন পরিহার নীতি

শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে সুন্দর ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ বজায় রেখে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারখানাটি একটি হয়রানি ও নির্যাতন পরিহার নীতিমালা করেছে এবং অনুসরন করে থাকে । Read This in English

  • কারখানায় শ্রমিক ও কর্মচারীকে শারিরিক নির্যাতন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
  • মৌখিক গালিগালাজ, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, অশালীন শারিরিক ইঙ্গিতসহ সকল ধরনের হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোন শ্রমিককে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা অর্থ্যাৎ অকারনেই ভূলত্র“টি ধরা, কথা বলা বা অশ্লীল গল্প শোনানো ইত্যাদি না করা ।
  • পানীয় জল, টয়লেট ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর অকারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা ।
  • অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কোন কর্মীকে অনুসরন করা বা কর্মস্থল পরিত্যাগকালে সিড়িঁতে লাঞ্ছনা না করা ।
  • যদি উক্ত কারনে কোন অভিযোগ গৃহিত হয় তবে সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যবস্থা রয়েছে । প্রয়োজনে তাকে চাকুরীচ্যুত করার এবং আইনগত সহায়তায় শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে ।
  • সকল কর্মীদের অভিযোগ ও পরামর্শ গ্রহনের জন্য কারখানাটির গোপন এলাকায় (বাথরুমের সামনের পথে ) পরামর্শ / অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে ।
  • পরামর্শ / অভিযোগ বাক্সের মাধ্যম ছাড়াও কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে তা যথার্থ প্রমান সাপেক্ষে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে ।
  • অবস্থা বা সমস্যার প্রকারভেদে এবং বিবেচনাধীনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্ব-অবস্থান থেকে নীচের পদে নামানো, অন্য কোন সেকশনে বদলী বা দায়িত্ব থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অব্যহতি । প্রদানের মাধ্যমে সংশোধন মূলক ব্যবস্থা রয়েছে ।

হয়রানি ও খারাপ আচরনের নীতিমালা

ফ্যাশনস লিঃ কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের প্রতি যেকোন অন্যায় আচরন ও হয়রানিমূলক ব্যবহার প্রতিরোধে সর্বদাই সচেষ্ট থাকে। কোন ব্যক্তি যদি কোন অবস্থায় কোন ধরনের হয়রানি বা অসদাচরন করে বা কাউকে করতে উৎসাহিত করে তবে কর্তৃপক্ষ প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন।

হয়রানি বা অসদাচরন এর প্রকারভেদ ঃ  হয়রানি বা অসদাচরণের প্রকারভেদগুলো নিম্নরূপ ঃ

অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার  ঃ নিয়মিত উচ্চস্বরে হাকডাক/অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার।

মৌখিক হয়রানি   ঃ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে হুমকি দেওয়া।

মানবিক হয়রানি  ঃ কাউকে মৌখিক বা আচরনগতভাবে অপদস্থ  করা যেমন কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ।

যৌন হয়রানি    ঃ বিশেষ লিঙ্গের প্রতি অনাকাঙ্খিত সুযোগ প্রদান/গ্রহন। এমন কোন শারিরীক আচরন যা যৌনতার সংজ্ঞায় পড়ে।

শারীরিক অপমান  ঃ সেই সকল শারীরিক সংস্পর্শ  পেতে যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি  যা শারীরিক অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে।

আথির্ক  হয়রানি  ঃ কর্ম ক্ষেত্রে যে কোন ধরণের আচরনের জন্য মজুরী কর্তন বা মজুরী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা।

যদি কোন শ্রমিক চাকুরীর আবেদনের ক্ষেত্রে,কর্ম ক্ষেত্রে শ্রমিক/কর্মচারী ও কর্মকর্তা, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতি, রাজনৈতিক মতবাদ,  বয়স, আত্মীয়করন ইত্যাদি যে কোন কারনে কোন রকম হয়রানীমূলক আচরন অথবা ষড়যন্ত্রমূলক, ব্যক্তিগত আক্রোশ, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদির স্বীকার হলে করনীয়ঃ

যে কোন শ্রমিক কর্ম ক্ষেত্রে তার যে কোন সমস্যা/অভিযোগ তার উপরস্থ সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জ /প্রোডাকশন  অফিসার/প্রোডাকশন ম্যানেজারকে অবহিত করবেন।

অভিযোগটি কাগজে লিখে প্রত্যেক পুরুষ/মহিলা টয়লেটে রক্ষিত অভিযোগ বক্সে ফেলতে পারে। অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর নাম, কার্ড নং ইত্যাদি লেখার প্রয়োজন নেই।

অথবা কল্যান কমিটির মাধ্যমে অভিযোগটি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারে।

কর্ম ক্ষেত্রে যেকোন প্রকারের হয়রানি বা অসদাচরন সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। ব্যাবিলন গ্রুপ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে হয়রানি ও খারাপ আচরনের নীতিমালা অনুসরন করে থাকে। কর্মক্ষেত্রে যেকোন প্রকারের হয়রানি বা অসদাচরন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ব্যাবিলন গ্রুপ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে হয়রানি ও খারাপ আচরনের নীতিমালা অনুসরন করে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে নিম্নোক্ত কমিটির মাধ্যমে সমস্যার প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা ও সমস্যার সমাধান করা হয়।


Posted

in

by

Comments

2 responses to “হয়রানি এবং নির্যাতন পরিহার নীতি তথ্য নির্ভর ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা”

Leave a Reply