অগ্নি নির্বাপনকারী এর প্রধান প্রধান দায়িত্ব গুলো কি কি?

অগ্নি নিরাপত্তায় করণীয়
অগ্নি নিরাপত্তায় করণীয়

অগ্নি নির্বাপনকারী দায়িত্ব

অগ্নি নির্বাপনকারী দলের লক্ষ্য হল জীবন, সম্পদ ও পরিবেশকে রক্ষা করা। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু জীবন বিপন্ন করে দেয়। তা স্বত্ত্বেও বর্তমান প্রযুক্তিগত আগুন নির্বাপক সবসময় আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারে না। শুরুতেই অগ্নি প্রতিরোধ করা অগ্নি নির্বাপককারী দলের দায়িত্ব। আগুন পরিদর্শকদেরকে প্রায়ই চরম সংকটপূর্ণ অবস্থায় জবাবদিহী করতে হয় জনসাধারণকে। অগ্নি নির্বাপককারীরা সমাজকে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে ঃ

  • জরুরী চিকিৎসা সুবিধা, জরুরী চিকিৎসক অথবা অনুমতি প্রাপ্ত চিকিৎসক, স্টাফিং, অ্যাম্বুলেন্স।
  • ঝুঁকি উপশমকারী বস্তু।
  • অনুসন্ধান এবং উদ্ধার।
  • আকস্মিক দুর্ঘটনায় সাহায্য করা।

আরও বলা যায় যে, অগ্নি নির্বাপককারী দল বিভিন্ন স্থানেও সুবিধা প্রদান করে থাকে। যেমন ঃ

  • আকাশযান / বিমান বন্দরে উদ্ধার কার্য।
  • বনভূমির অগ্নি দমন।
  • জাহাজে এবং সামরিক অগ্নিকান্ড দমন এবং উদ্ধার
  • কৌশলগত চিকিৎসা সুবিধা

ইউ.এস.এ অগ্নি নির্বাপককারী দল ইউ.এস ফেডারেল ইমার্জেন্সী ম্যানেজমেন্ট এজেহ্নীর নগর অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যের সুবিধা প্রদান করে থাকে।

প্রাথমিক নিরীক্ষা এবং আগুন সম্পর্কে ব্যাখা ঃ

রুদ্ধ তাপের ফলে ঝুঁকি নিশ্চিত। এমনকি জ্বলন্ত শিখার স্পর্শ ছাড়াই সেখানে তুলনামূলক অধিকাংশ মানুষ প্রবল ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। বিকীর্ণ তাপ থেকে আগুন জ্বলে। তপ্ত বস্তুর সংস্পর্শে গরম গ্যাস, ধোঁয়া এবং গরম এবং বিষাক্ত ধোঁয়া সৃষ্টি হয়। অগ্নি নির্বাপককারী দল তাপের প্রতিরক্ষা যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জ্তি থাকে যা কিনা অগ্নি বাঁধাদায়ক কাপড় এবং মাথার বর্ম যা শরীরকে তাপ থেকে বাঁচায়। প্রবল চাপের ফলে গ্যাস সিলিন্ডার এবং ট্যাংকিতে বিস্ফোরণ ঘটে যাকে বলা হয় বি.এল.ভি.ই (ফুটন্ত তরলের বাস্প থেকে বিস্ফোরণ)। কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন- অ্যামোনিয়াম, নাটট্রেট সার ইত্যাদিতে বিস্ফোরন ঘটে। বিস্ফোরনের কারণে শারীরিক ক্ষতি হয় অর্থাৎ শক্তিশালী বিস্ফোরণের মাধ্যমে গুরুতর আহত হয়। আগুন সংস্পর্শে মানুষের ত্বক, চামড়া বা মাংস জ্বালানীর মত জ্বলে। স্থির আগুনের ফলে সেকেন্ডের মধ্যেই ত্বকের উপরের স্তর জ্বলে যায় যা চরম ব্যাথা সম্পন্ন। দ্বিতীয় মাত্রায় জ্বলে ত্বকের ভিতরে  এতে আকস্মিক শারিরীক বা মানসিক আঘাত লাগতে পারে। দেহে সংক্রমন হতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তৃতীয় মাত্রার জ্বলন নার্ভের টিস্যুর সাথে আপোস করে ফলে তাতে আর ব্যাথা থাকে না। প্রথম ও দ্বিতীয় মাত্রার কারণে তৃতীয় মাত্রা তীব্র ব্যাথা অনুভব হয়। তৃতীয় মাত্রায় মাংস এবং ভিতরে জৈব প্রকট করে পুরোপুরিভাবে ত্বককে ধ্বংস করে দেয়। এরপরেও যদি ব্যক্তিটি আঘাত পেয়ে বেঁচে থাকে তবে চিকিৎসা করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

By Mashiur

He is Top Class Digital Marketing Expert in bd based on Google Yahoo Alexa Moz analytics reports.. He is certified IT Professional from Aptech, NCC, New Horizons & Post Graduated from London Metropolitan University (External) in ICT. Cell# +880 1792525354. যোগাযোগ এর জন্য নিম্নে Leave a Reply এ গিয়ে কমেন্টস Comments করুন

Leave a Reply