অতিরিক্ত কাজ এর নীতিমালা জরুরী প্রয়োজনের সময়

অতিরিক্ত কাজ এর নীতিমালা জরুরী প্রয়োজনের সময়

অতিরিক্ত কাজ এর নীতিমালা

অতিরিক্ত কাজ এর নীতিমালা অটো গার্মেন্টস লিঃ একটি ১০০% রপ্তানীমুখী পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানে পোষাক প্রস্তুত ক্ষমতা অনুযায়ী অর্ডার গ্রহন করা হয়। সাধারনত  গার্মেন্টস লিঃ শ্রমিকদের দ্বারা অতিরিক্ত কাজ করানোতে বিশ্বাস করে না। তবে জরুরী প্রয়োজনে সঠিক সময়ে পোষাক শিপমেন্ট এর জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করাতে বাধ্য হতে হয়। যে সমস্ত পরিস্থিতে জরুরী কাজের প্রয়োজন হয় যেমন- গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শ্রমিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক ও সামাজিক অসন্তোষের কারণে হতে পারে।নিæে বিস্তারিত ভাবে দেখানো হইলঃ-

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ এক বড় সমস্যা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছাস ইত্যাদি কারণে শ্রমিকরা কারখানায় আসতে পারে না, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে ফলে কারখানার স্বাভাবিক কাজ কর্মের বিঘœ ঘটে। ইহা পূরণের জন্য জরুরী কাজের প্রযোজন হয়। পোষাক কারখানায় গ্যাসের প্রয়োজন অতীব জরুরী। গ্যসের সরবরাহ ছাড়া কারখানা চলতে পারে না। গ্যাস জেনারেটর ও বয়লারকে চালু রাখে। সুতারং গ্যাসের সমস্যার কারনে জরুরী কাজের প্রয়োজন হতে পারে।
  • বিদ্যুৎ কারখানার জন্য বিশেষ প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ছাড়া কারখানার কোন সুইং মেশিন, আলো বা যে কোন  ধরনের মেশিন চলতে পারে না। বিদ্যুত ঘাটতির কারণে জরুরী কাজের প্রয়োজন হতে পারে।
  • শ্রমিক অসন্তোষ একটি বড় ব্যাধি। শ্রমিক অসন্তোষ হলে কারখানা বন্ধ রাখা হয়। ফলে জরুরী কাজের মাধ্যমে শিপমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ এক বড় সমস্যা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছাস ইত্যাদি কারণে শ্রমিকরা কারখানায় আসতে পারে না, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে ফলে কারখানার স্বাভাবিক কাজ কর্মের বিঘœ ঘটে। ইহা পূরণের জন্য জরুরী কাজের প্রযোজন হয়।
  • সামাজিক ও রাজনৈতিক অসন্তোষ কারখানার জন্য একটি বড় হুমকি। সামাজিক ও রাজনৈতিক অসন্তোষের কারণে যানবাহন চলাচল ও মানুষের চলাচলের বিঘœ ঘটে। এমনকি রাজনৈতিক অসন্তোষের কারনে বিরোধী পক্ষ কারখানা বাধ্যতামুলকভাবে বন্ধ করে দেয় সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত। ফলে এই ঘাটতি পুরনে জরুরী কাজের প্রয়োজন হয়।
  • জরুরী কাজ আমরা করব আমাদের পিছনের ফেলে আসা দিন গুলোর স্বাভাবিক কাজ কর্ম ব্যাহতের কারনে এবং শ্রমিকদের সকল সুবিধা আইন অনুযায়ী প্রদান করে। জরুরী প্রয়োজনে শ্রমিকদের দিয়ে আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে কাজ করিয়ে বায়ারের চাহিদা পূরণে সফলতা অর্জন করতে পারি। 
  • কাঁচা মাল সরবর কমে গেলে বা কোন কারণে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হলে সেক্ষেত্রে পুর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিপমেন্ট নিশ্চিত করার জন্য সকলের সম্মতিক্রমে পরবর্তী সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলোতে কাজ করানো হয়।
  • দুর্যোগপুর্ণ /গোলযোগপুর্ণ পরিস্থিতির কারণে কারখানা যদি বন্ধ রাখতে হয় সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতিক্রমে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলোতে কাজ করানো যেতে পারে।
  • সরকারী কোন বিশেষ নির্দেশে যদি কারখানা বন্ধ রাখতে হয় তাহলে শ্রমিকদের সম্মতিক্রমে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলোতে কাজ করানো যেতে পারে।
  • পানি ,বিদ্যুৎ, গ্যাস এর মত জরুরী উপাদানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বা সরবরাহে সমস্যা হলে  সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতিক্রমে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলোতে কাজ করানো যেতে পারে।

সারসংক্ষেপ

গার্মেন্টস লিঃ আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত সোসাইল কম্প­াইয়েন্স নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের কোম্পানীর নীতিমালা হলো, আমরা নিজেরা এবং আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সাব-কন্ট্রাক ফ্যাক্টরী সহ সকল পর্যায়ে সোসাইল কম্প­াইয়েন্স-এর নীতিমালা সমুহ প্রতিপালনে বদ্ধপরিকর।তবে নিন্মোক্ত বিশেষ কারণে পুর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিপমেন্ট নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর প্রয়োজন হলে  নিন্মোক্ত নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে।

উপরোক্ত বিশেষ অতিরিক্ত কাজ এর নীতিমালা সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে পুর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিপমেন্ট নিশ্চিত করার জন্য সকলের সম্মতিক্রমে পরবর্তী সাপ্তাহিক বন্ধের দিন গুলোতে কাজ করানো হয় এবং শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের অতিরিক্ত সময়ের মজুরী প্রদান সহ যত দ্রুতসম্ভব একটি বিকল্প ছুটি দেওয়া হয়।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply