আমদানী-রপ্তানী/শুল্ক নীতি অনুসরন

আমদানী-রপ্তানী/শুল্ক নীতি অনুসরন কিভাবে করতে হয়?

আমদানী-রপ্তানী/ শুল্ক নীতি অনুসরন

যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানই তার উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাজারজাত করনের ক্ষেত্রে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা মোতাবেক এই বাজারজাত করন বা রপ্তানী করতে হয়। তার উৎপাদিত সামগ্রী স্থানীয়, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা পরিপালন সাপেক্ষে বাজারজাত তথা রপ্তানী করে থাকে। রপ্তানীর ক্ষেত্রে যাতে কোনরুপ আইনের বর্তায় না হয় সে দিকে নিম্ন বর্নিত নীতিমালা মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহন করা হয়।সেলাইকৃত পন্যের উৎপাদনকারীগন সকল ধরনের প্রযোজ্য আমদানী রপ্তানী সংক্রান্ত/শুল্ক আইনসমূহ মেনে চলবেন এবং সুনির্দিষ্ট সেলাইকৃত পন্যের অবৈধ যানান্তরিতকরণ সংক্রান্ত শুল্ক আইনসমূহ মেনে চলার কার্যক্রমসমূহ প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালনা রাখবেন।

শুল্ক ও আবগারি সংক্রান্ত নীতিমালা

উদ্দেশ্যে ঃ কোন আইন যত ভালই হোক না কেন তার প্রয়োগই তাকে ভাল/মন্দে রুপান্তর করে। তার উৎপাদিত সামগ্রী রপ্তানীর ক্ষেত্রে নিম্ন বর্নিত পদ্ধতি অনুসরন করে ঃ

ক.        উৎপাদিত পোষাকের বিধিবদ্ধ নথিকরন

খ.        উৎপাদিত পোষাকের সঠিক পরিসংখ্যান

গ.        যন্ত্রপাতির পরিসংখ্যানসহ মালামালের হিসাব রক্ষন

ঘ.        রপ্তানীর জন্য নির্ধারিত উৎপাদিত দ্রব্য নিরাপদ ভাবে রাখার ব্যবস্থা

ক.        উৎপাদিত পোষাকের বিধিবদ্ধ নথিকরন ঃ কারখানায় উৎপাদিত দ্রব্যদি সঠিক পদ্ধতিতে রক্ষানাবেক্ষনের জন্য উহা পদ্ধতিগত ভাবে নথিবদ্ধ করন করিতে হবে। যাতে উৎপাদিত দ্রব্য বিনষ্ঠ, হারানো বা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকে।

প্রতিজ্ঞাঃ  এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্র“তি হলো আমরা আমদানী-রপ্তানী নীতিমালা সঠিক ভাবে অনুসরন করে থাকি। উৎপাদিত পোষাকের সঠিক রক্ষনাবেক্ষন এবং ইহার মান যাহাতে অ-পরিবর্তিত থাকে সে দিকে আমরা সর্বদাই খেয়াল রাখি। উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে এ পদ্ধতি আমরা অনুসরন করি। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

খ.        উৎপাদিত পোষাকের সঠিক পরিসংখ্যানঃ শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পোষাকের সঠিক পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করিতে হইবে এবং প্রয়োজনে উহা প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখিতে হইবে।

প্রতিজ্ঞাঃ  আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে আমরা ইহার সঠিক হিসাব সংরক্ষন করি এবং প্রয়োজনে ইহা প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখি। এ উৎপাদিত পোষাক সময় সময়ে সংশ্লিষ্ট বায়ার কর্তৃক পরিদর্শনেরও ব্যবস্থা করি।

গ.        যন্ত্র পাতির পরিসংখ্যান সহ মালামালের হিসাব রক্ষনঃ শিল্প কারখানায় নিয়োজিত যন্ত্রপাতি এবং উৎপাদন কাজে ব্যবহার যোগ্য সকল মালামালের হিসাব সঠিক পদ্ধতিতে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক বায়ারের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে হিসাব সংরক্ষন করতে হবে।

প্রতিজ্ঞাঃ  আমরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বায়ারের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে সব রকমের মালা মালের হিসাব সংরক্ষন করি। এছাড়া কারখানায় ব্যবহৃত সকল মেশিন/যন্ত্রপাতির শ্রেনীবিন্যাস অনুযায়ী পরিসংখ্যান সংরক্ষন করি।

ঘ.        রপ্তানীর জন্য নির্ধারিত উৎপাদিত দ্রব্য নিরাপদ ভাবে রাখার ব্যবস্থাঃ রপ্তানী যোগ্য দ্রব্যাদি বায়ারের নিকট হস্তান্তরের পূর্বে উহা নিরাপদভাবে রাখা এবং বায়ারকে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশীয়/আন্তর্জাতিক প্রচলিত আইন মোতাবেক সব দরনের কর/শুল্ক/আবগারী প্রদানের যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রতিজ্ঞাঃ  বায়ার কর্তৃক মালামাল ইন্সপেকশনের পর উক্ত দ্রব্যাদি আমাদের নিযুক্ত সি.এন্ড.এফ এজেন্টের নিকট আমরা হস্তান্তর করি। সি.এন্ড.এফ এজেন্ট প্রচলিত সব ধরনের আইন পরিপালন সাপেক্ষে উৎপাদিত পোষাক রপ্তানী করে থাকে। এক্ষেত্রে সকল পর্যায়ের আইনানুগ পদ্ধতি সুষ্ঠভাবে অনুসরন করা হয়। উৎপাদন হতে রপ্তানীর প্রতিটি পর্যায়ে প্রচলিত আইন/নিয়ম মোতাবেক আমরা সব ধরনের কর/শুল্ক/আবগারী প্রদান করে থাকি।

কোম্পানীর নীতিসমূহ

  • ফ্যাক্টরীতে সকল উৎপাদন প্রতিবেদন, মান নিয়ন্ত্রন এবং নিরীক্ষন (অডিট) প্রতিবেদনসমূহ নিয়মিত করবেন এবং সংরক্ষন করবেন।
  • আমদানী/রপ্তানীন বানিজ্যিক চালানসমূহ এবং প্যাকেজ তালিকা সংরক্ষন করবেন।
  • জিনিসপত্রের তালিকায় সংযোজন/বিয়োজনের নথিপত্র এবং মেশিনের তালিকার তথ্যপত্র রাখবেন এবং সংরক্ষন করবেন।
  • প্রবেশদ্যত অথবা নির্গমরত উৎপাদনের জন্য প্রকৃত উৎপত্তির সনদপত্র (সার্টিফিকেট অব অরিজিন) রাখেন এবং সংরক্ষন করেন।

প্রযোজ্য আইন এবং নীতিসমূহ -আইনসমূহ এবং নীতিসমূহের উৎসঃ

  • দেশীয় বানিজ্যিক আইন এবং বিধিবিধান
  • আন্তর্জাতিক বানিজ্যিক আইন ও বিধিবিধান
  • বিভিন্ন ক্রেতার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নীতিমালা

কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ

  • সকল নথিপত্রাদি কার্যকরভাবে রাখার জন্য জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহের বাস্তবায়ন করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির পদবী ঃ কমপ্লায়েন্স অফিসার
  • এ সংক্রান্ত নীতিসমূহ সম্পর্কে সকল জড়িত বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবগত করা।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং নথিপত্রকরণ

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অবৈধ যানান্তরিতকরন এড়ানোর জন্য আমদানী-রপ্তানী/শুল্ক নীতি অনুসরন সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ কর্মীদের সাথে সহযোগিতা  করেন এবং সকল নথিপত্র সংরক্ষন করেন।

উপসংহার ঃ

পোষাক শিল্প থেকে আমাদের দেশ একটি উল্লেখ্যযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে। এই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে  গ্র“প একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। তাই রপ্তানীর ক্ষেত্রে কর/শুল্ক কার্যবিধির প্রচলিত সকল বিধিবিধান আমরা মেনে চলি।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply