Select Page
সাব কন্ট্রাক্টর নীতিমালা Sub-Contractor Policy গুলো কি কি?

সাব কন্ট্রাক্টর নীতিমালা Sub-Contractor Policy গুলো কি কি?

সাব কন্ট্রাক্টর নীতিমালা

ক্লথিং লিঃ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগীতার জন্য কিছু সাব-কন্ট্রাক্টর গ্রহন করে থাকে। যেহেতু এটি একটি কমপ্লায়েন্ট কারখানা সেহেতু শ্রমিকের অধিকার ও সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদানে ক্লথিং লিঃ  আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। ক্লথিং লিঃ আশা করছে ব্যবসায়িক সহযোগী হবার পূর্বশর্ত হিসাবে সাব-কন্ট্রাক্টরদেরকেও উল্লিখিত নীতিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। সে দৃষ্টিকোন থেকে একজন সাব-কন্ট্রাক্টরকে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অন্যথা ক্লথিং লিঃ এর পক্ষে  করা কোন অবস্থাতেই সম্ভব হবে না। …

কাম্পানীর প্রয়োজনে যদি কখনও কোন কারন বশত: সাব কন্ট্রাক কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম আইন, বাংরাদেশ শ্রম আইন, তথা ইঝঈও, ডজঅচ, ঝঊউঊঢ  কাজের ইত্যাদির  যে সকল শর্তসমূহ  আছে তাহা পালন পরি পালনে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর। আর এসবের সঠিক রুপদানের উদ্দেশ্যেই এ নীতিমালা প্রনীত। সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে কাজ করানোর ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত নীতিমালা সমুহ অনুসরণ করে কাজ করানো হয়ঃ

  • শ্রমিক/কর্মী নিয়োগ, বাছাই, ছাটাই ইত্যাদি সকল বিষয় শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী হতে হবে।
  • ইনচার্জ(ষ্টোর) এর তত্বাবধানে ষ্টোর হতে ফেব্রিক্স ও অন্যান্য এক্সেসরীজ সমুহ নির্ধারিত সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ডাইজার  ফেব্রিক্স ও অন্যান্য এক্সেসরীজ সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে পাঠানোর সময় অবগত থাকবেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবেন।
  • সকল প্রকার বৈধ লাইসেন্স (অরিজিনাল এবং নবায়নকৃত) থাকতে হবে।
  • সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে কাজ চলাকালীন সময় কাজের মান নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে দায়িত্ব পালন করবেন। এ বিষয়ে জনাব কে.এম সেলিম (হেড অব কোয়ালিটি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সকল প্রকার লেনদেন সম্পর্কিত ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করতে হবে।
  • সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে কাজ চলাকালীন সময় তৈরীকৃত পোশাকের শতভাগ মান নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে দায়িত্ব পালন করবেন। এ বিষয়ে  (হেড অব কোয়ালিটি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
  • কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিক/কর্মীদের অভিযোগ-অনুযোগের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে; এবং সে বিষয় দেখাশুনার জন্য কোন বিভাগকে নির্দিষ্টকরণ করতে হবে। ইনচার্জ(ষ্টোর) এর তত্বাবধানে সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে ফেব্রিক্স ও অন্যান্য এক্সেসরীজ আনা নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
  • কারখানার অভ্যন্তরে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীর সাথে চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী পর্যায় গুলোতে কাজ সম্পন্ন হবে।
  • অটো ফ্যাশন লি: এর পক্ষ হইতে যখনই কোন কমপ্লাইয়েন্স অফিসার ফ্যাক্টরী পরিদর্শনে যাবেন, তখন ওনাকে ফ্যাক্টরীর সকল প্রকার কাগজপত্র ও বিভিন্ন বিষয় আন্তরিকভাবে সহযোগীতার সহিত সরবরাহ করিতে হইবে। এবং সকল প্রকার পরিদর্শন ও কাগজপত্র সরবরাহ বাধামুক্ত হইতে হবে।
  • সহকারী ব্যবস্থাপক কাটিং এর তত্বাবধানে ফেব্রিক্স কাটিং শেষে সকল কাট প্যানেল সমুহ হিসাব করে উৎপাদন কর্মকর্তা বেলায়েত এবং জুনিয়র কাটার বেলায়েত এর মাধ্যমে তা ষ্টোরে জমা হবে।
  • ইনচার্জ(ষ্টোর) এর তত্বাবধানে ষ্টোর হতে চাহিদা মোতাবেক ফেব্রিক্স কিাটিং সেকশনে সরবরাহ করবেন। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ডাইজার  ফেব্রিক্স ও অন্যান্য এক্সেসরীজ সরবরাহের সময় তা অবগত থাকবেন এবং প্রয়োজনীয় তদারকি করবেন।
  • ষ্টোরের পক্ষে  সহকারী ব্যবস্থাপক,(ষ্টোর) এবং জনাব মিজানুর রহমান, ইনচার্জ(ষ্টোর) এর তত্বাবধানে সকল কাট প্যানেল সমুহ বুঝে নিবেন এবং সংশ্লিষ্ট সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন / যোগাযোগ ঃ

নীতিমালা বাস্তবায়নে অবহিতকরন/ যোগাযোগ একটি বড় বিষয়। সাব কন্ট্রাক কার্যক্রম জন্য সম্পর্কে অবহিত করনের জন্য অত্র কারখানায়  ই-মেইল ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও পরিদর্শনের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পর্কে ধারনা নেয়া হয়।

কন্ট্রাক্টর কন্ট্রোল

  • কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিক/কর্মীদের অভিযোগ-অনুযোগের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে; এবং সে বিষয় দেখাশুনার জন্য কোন বিভাগকে নির্দিষ্টকরন করতে হবে।
  • কন্ট্রাক্টরদের কন্ট্রোল করার জন্য একটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালার মধ্যে নিুলিখিত বিষয় গুলি সংরক্ষণ করা হয়।
  • কন্ট্রাক্টর কর্তৃক নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের পার্সোন্যাল ফাইল সংরক্ষণ করা হয়।
  • কন্ট্রাক্টর কর্তৃক নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশান চেক করা হয়।
  • কন্ট্রাক্টর কর্তৃক নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশান চেক করা হয় (যদি প্রয়োজন হয়)।
  • কন্ট্রাক্টর কর্তৃক নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের ফটো সহ আইডি কার্ড দেখা হয়।
  • সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে স্ইুং / ফিনিশিং শেষে সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীর সাথে চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী পর্যায়গুলোতে কাজ সম্পন্ন হবে।  কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের বৈধ লাইসেন্স স্বচ্ছলতা চেক করা হয়।
  • কন্ট্রাক্টরদের কারখানা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
  • ইনচার্জ(ষ্টোর) এর তত্বাবধানে সাবকন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরীতে ফেব্রিক্স ও অন্যান্য এক্সেসরীজ আনা নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
  • সকল সাব কন্ট্রাক্ট কারখানা হতে যে কোন মাল ফেরত আসলে গেট এন্ট্রি হয়ে সরাসরি ষ্টোরে জমা হবেপ্রত্যেক শ্রমিকদের জাতীয়তা ও নাগরিক সনদ থাকতে হবে।
  • ইনচার্জ(ষ্টোর) এর তত্বাবধানে ষ্টোর তা সংশ্লিষ্ট সেকশনকে বুঝিয়ে দিবেন।
    প্রত্যেক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র থাকতে হবে।
  • কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠান ও কারখানা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি থাকতে হবে।
  • কারখানার অভ্যন্তরে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

এই ব্যাপারে উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রত্যেকটি পর্যায়ে অবশ্যই রেজিষ্টারে এন্ট্রি নিশ্চিত করতে হবে। সকল প্রকার লেনদেন সম্পর্কিত ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করতে হবে। এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি:

সকল প্রকার বৈধ লাইসেন্স (অরিজিনাল এবং নবায়নকৃত) থাকতে হবে। উলে¬খিত নীতিমালাটি প্রনয়ন ও তার সুষ্ঠু  বাস্তবায়নের জন্য পরিচালক ( মার্কেটিং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং) এবং জেনারল /সহ: জেনারেল ম্যানেজার এইচ আর এ্যন্ড কমপ্লাইন্স সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকবেন। অটো  ফ্যাশন লিঃ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগীতার জন্য কিছু সাব-কন্ট্রাক্টর গ্রহন করে থাকে। যেহেতু এটি একটি কমপ্লায়েন্স কারখানা সেহেতু শ্রমিকের অধিকার ও সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদানে অটো  ফ্যাশন লিঃ  আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। অটো  ফ্যাশন লিঃ আশা করছে ব্যবসায়িক সহযোগী হবার পূর্বশর্ত হিসাবে সাব-কন্ট্রাক্টরদেরকেও উল্লিখিত নীতিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন।সে দৃষ্টিকোন থেকে একজন সাব-কন্ট্রাক্টরকে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অন্যথা অটো  ফ্যাশন লিঃ এর পক্ষে  রক্ষা করা কোন অবস্থাতেই সম্ভব হবে না।

পরিশিষ্ঠঃ

শ্রমিক/কর্মী নিয়োগ, বাছাই, ছাটাই ইত্যাদি সকল বিষয় শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী হতে হবে। সাব কন্ট্রাক কাজের ক্ষেত্রে বায়ার বা ক্রেতার আচরন বিধি মেনে চলতে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রতিবদ্ধ ।

পোশাক শিল্পের তত্বাবধান Supervision পদ্ধতি বিস্তারিত বর্ণনা

পোশাক শিল্পের তত্বাবধান Supervision পদ্ধতি বিস্তারিত বর্ণনা

পোশাক শিল্পের তত্বাবধান

তত্বাবধান ল্যাটিন ভাষা থেকে আগত সুপারভিশন শব্দটির অর্থ হচ্ছে দেখা। এখানে “সুপার” শব্দাংশটার মানে হল উপস্থিত বা অধিকতর বা অতিরিক্তভাবে এবং “ভিশন” শব্দাংশের অর্থ হল দেখা। অতএব সুপারভিশন বা তদারক এর মানে হলো উপর থেকে অধিকতরভাবে অধীনস্থ বা নিু পদস্থ কর্মীদের কাজকর্ম দেখা। শিল্পক্ষেত্রে তদারক বলতে কোন কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত পরিচালনা মূলক ও নিয়ন্ত্রনমূলক নেতৃত্ব কে বোঝায়। কেউ কেউ সুপারভিশনকে নেতৃত্ব প্রদান সত্বেও ব্যবহার করতে চান যদিও নেতৃত্ব ও তত্বাবধানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তত্বাবধানের তিনটি উপাদান নিুে প্রদর্শিত ত্রিভূজ আকারে পরিষ্পুটিত করা যেতে পারে। অতএব তত্বাবধান হচ্ছে একদল কর্মীও ওপর এমনভাবে কর্তৃত্ব প্রয়োগ করার কৌশল যার মাধ্যমে কাজ সম্পাদনে সর্বাধিক সম্মিলিত কার্যকারিতা অর্জন সম্ভব হয়। আবার প্রয়োগিক দিক থেকে বলা যায় যে, তত্বাবধান হলো এমন কিছু কাজ, আচরন ও উচ্চারন যে গুলোর দ্বারা কর্মীরদের কাজ পর্যবেক্ষন, উপদেশদান, নিয়ন্ত্রন ও কর্ম সমন্বয় করণের মাধ্যমে সর্বাধিক কার্যকারিতা অর্জনের জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

তত্বাবধানের মূলনীতিসমূহঃ

তত্বাবধান কাজের আওতা বহুমূখী এবং ব্যাপক এর জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী নির্দেশ করা কঠিন কারণ কর্মীদেও বহুধরনের ব্যক্তিত্বের সমাবেশ ঘটে এবং ব্যক্তি স্বতন্ত্রেও কারণে একই নিয়ম সর্বক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা দুষ্কর। সফল তত্বাবধায়করা সাধারণতঃ নিুবর্নিত নীতিমালা অনুসরণ করে থাকেন।

  • কর্মীদের কাছে কি চাওয়া হচ্ছে তা তাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে। কোম্পানীর নীতি ও চাহীদা তাদের কাছে পরিষ্কার ও ন্যায়সংগতভাবে ব্যাক্ত করতে হবে।
  • কাজের সময় কমৃীদেরকে প্রয়োজনীয় উপদেশ ও নির্দেশ দিতে হবে ও কাজের সন্তোষজনক অবস্থা বজায় রাখতে হবে।
  • ভাল কাজের জন্য স্বীকৃতি দিতে হবে ও প্রকাশ্যভাবে প্রশংসা করতে হবে।
  • খারাপ, দুর্বল, অদক্ষতাপ্রসূত কাজের জন্য যতখানি সম্ভব অপ্রকাশে ও গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।
  • কাজের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অবস্থা বজায় রাখতে হবে।
  • কর্মীদের কাজের দক্ষতা ও কারিগরী কাজের উৎকৃষ্ট সাধন করতে হবে এবং তাদেও নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য উৎসাহ দিতে হবে।
  • কর্মীরা যাতে যথোপযুক্ত কাজের দায়িত্ব পায় সেদিকে দৃর্ষ্টি রাখতে হবে এবং তারা যে অধিকতর দায়িত্ব পালনে সক্ষম তা দেখানোর সুযোগ তাদেরকে দিতে হবে।
  • উৎসাহব্যাঞ্জক নেতৃত্ব প্রদান করা এবং কার্য পদ্ধতির উৎকর্ষ সাধিত হতে পারে এমন প্রস্তাব প্রদানে তাদের কে উৎসাহিত করা ও তাদের প্রস্তাবের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
  • কর্মীদের সাথে মানব সুলভ ব্যবহার এবং প্রশিক্ষন ও শিক্ষাদানের সময় মানবিক স্পর্শ (ঐঁসধহ ঞড়ঁপয) ব্যবহার করতে হবে।
  • কর্মীকে যতটা সম্ভব স্বাধীনভাবে ও অকারণ হস্তক্ষেপ ব্যতীত কাজ করতে দিতে হবে।
  • কাজে, কথায়, আচরণে, সর্ব বিষয়ে সর্বক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। কারো প্রতি অযাচিত অনুগ্রহ কিংবা বিদ্বেষ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে।

তত্বাবধানের কৌশলসমূহঃ

তত্বাবধানের কৌশলগুলো প্রয়োগিক বা অনুশীল মূলক। সকল তদারকির জন্য নিুরুপ কৌশলগুলো অবলম্বন করা যেতে পারে-

তদারকি প্রারম্ভে ঃ অধীনস্থ কর্মীদের মনোভাব, অভ্যাস, বিশ্বাস, আকাঙ্খা সহ সবকিছু জানতে হবে। তারা কি করে, কিভাবে করে, কি চিন্তা করে, এগুলো জানতে হবে এবং তাদের ব্যক্তিত্বের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট চিহ্নিত করতে হবে। তাছাড়া যে বা যিনি কাজের  তদারকিতে থাকবেন তাকে সে কাজ সম্পর্কে পূনাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

আদেশদানঃ ধমক বা কড়া সুওে কড়াকড়ি কোন আদেশ প্রদান না কওে পরিস্থিতি বিশ্লষন কওে তদানুযায়ী আদেশটি এমন কাঠামোয় উপস্থাপন করতে হবে যাতে পরিস্থিতি নিজেই কর্মীদেরকে কাজের দিকে টেনে নেয়।

কর্মীদের সাহায্য ও সহযোগীতা গ্রহনঃ কর্মীদেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিয়ে এবং একটা সমস্যাকে তাদেও সামনে উপস্থাপন কওে সমাধান মূলক প্রস্তাব আহবানের মাধ্যমে তাদেও অংশগ্রহন ও সহযোগীতা নিশ্চিত করতে হবে।

কাজে স্বাধীনতাঃ কর্মীদেরকে নিয়োগ যুক্তিসংগত স্বাধীন বা কর্তৃত্ব দিয়ে ধেখতে হবে, কর্মীরা যে পদ্ধতিতে যে ভাবে কাজটি করতে চায় সেভাবে করলে তত্বাবধাকের মনপূতঃ বা চাহিদানুযায়ী করতে পারে কিনা।

সিদ্ধান্ত দানঃ কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তদানের প্রাক্কালে বিসয়টি সম্পর্কে সকল/পূর্নাঙ্গ তথ্য জেনে নিয়ে এবং সফল তথ্যেও পারস্পারিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চিন্তা করে ও সকল তথ্যকে একীভূত করে তদানুযায়ী ও সাম্ভাব্য দ্রুততরভাবে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।

সমালোচনা বা ত্র“টি নির্দেশঃ সহ-কর্মীদের সাক্ষতে বা জ্ঞাতসারে কাউকে বা কারো কাজকে সমালোচনা না করে যতদূও সম্ভব একান্তে সমালোচনা বা ত্র“টি নির্দেশ করতে হবে এবং শুধু ত্র“টি নির্দেশ নয় বরং ঐ কর্মী কিভাবে ত্র“টিমুক্ত হতে পাওে তার পথনির্দেশ দিতে হবে অর্থাৎ গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।

অভিযোগ নিষ্পত্তিঃ অভিযোগ যত ছোটই হোক তাকে উপপেক্ষা করা যাবেনা বরং সাম্ভাব্য সঠিক সময়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে এবং তাৎক্ষনিক নিষ্পত্তি সম্ভব না হলে তদারককারী ঐ অভিযোগ সম্পর্কে কি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে জানাতে হবে।

সমস্যা প্রবন কর্মীর সাথে ব্যবহারঃ সমস্যা প্রবন কর্মীর সাথে কথাবলতে হবে যথাযথ কারণ ও যুক্তির সাথে কর্মীর ভূল ধরিয়ে দিতে হবে। যদি কর্মী তাতে সন্তুষ্ট না হয় তবে তাকে পরিস্থিতি বিষ্লেষন কওে আরো কারণ নির্ণয় করতে হবে এবং ধৈয্যেও সাথে কর্মীর সহযোগীতা পাবার চেষ্টা করতে হবে এবং তাতেও কাজ না হলে উর্ধ্বতন তদারককারীর সাথে আলাপ কওে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে।

অসদাচরণ নিয়ন্ত্রনঃ অসদাচরণ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্র্তপক্ষকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ জ্ঞাপন করতে হবে।

অদক্ষতা নিয়ন্ত্রনঃ কর্মীদের অদক্ষতায় অনেক কারণ থাকতে পারে এবং তাই অদক্ষতায় সুনিদিষ্ট কারণ বা কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনভিপ্রেত আচরণ নিয়ন্ত্রনঃ কোন অনভিপ্রেত আচরনের জন্য কর্মীকে সরাসরি দোষারোপে না করে ঐ আচরনের প্রকৃত কারন অনুসন্ধান করতে হবে এবং যথাযথভাবে দ্রুত ঐ কারণ দূর করার প্রদক্ষেপ নিতে হবে।

কাজের প্রশংসাঃ নিরপেক্ষ ও ন্যায্যভাবে কর্মীদের কাজে মূল্যায়ন করতে মান উত্তীর্ন কাজের জন্য খোলাখুলি ভাবে প্রশংসা করতে হবে এবং খুব ভালো সম্পদ করার জন্য স্বীকৃত ও পুরষ্কারের ব্যবহার করতে হবে।

সঠিক নেতৃত্বঃ কর্মীদেরকে যথাযথভাবে অনুপ্রানিত ও দলীয় চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। এ জন্যে তত্বাবধায়ককে কতগুলি গুন অর্জন করতে হবে। যেমন চরিত্রবল, যোগ্যতা, সততা, নিজের অধীনস্থকর্মীদেও জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব গ্রহন, অভান্ত বিচার ক্ষমতা, নিরপেক্ষতা, ন্যায়পরায়ানতা, নিয়মশৃঙ্খলা, সংগঠন ও সমন্বয় সাধনের ক্ষামতা ইত্যাদি।

আমরা অটো  নিটওয়্যারস লিঃ ইতিমধ্যে গুনগতমান সম্পন্ন পণ্য, সুশৃংখল কর্মপদ্ধতি ও সামাজিক কর্মকান্ড ও ঝুঁকিহীন (ক্ষতিকারক নয়) কেমিক্যাল ব্যবহারের জন্য ৩টি (তিনটি) সার্টিফিকেট অর্জন করেছি এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, পরিবেশ রক্ষা ও আমেরিকার বাজারে প্রবেশের জন্য আরও ৩ টি (তিনটি) সার্টিফিকেটের কাজ চলছে।

একটি গার্মেন্টস এর প্রচলিত নিয়মনীতি বিস্তারিত বর্ণনা

একটি গার্মেন্টস এর প্রচলিত নিয়মনীতি বিস্তারিত বর্ণনা

প্রচলিত নিয়মনীতি

কাজের সময় সূচী ও ওভারটাইমঃ

প্রচলিত কর্মঘন্টা সকাল ৮.০০ টা থেকে বিকাল ৪.৩০ মিঃ পর্যন্ত  = ৮ ঘন্টা । ( অর্ধঘন্টা দুপুরে খাওয়ার বিরতি)

অতিরিক্ত কাজের সময় (বাধ্যতামুলক নহে) বিকাল ৪.৩০ মিঃ সন্ধা ৬.৩০ মিঃ পর্যন্ত = ২ ঘন্টা।

মজুরীঃ

প্রচলিত কারখানা আইন অনুযায়ী মজুরী প্রদান করে থাকি।

ছুটি ও সুযোগ সুবিধাঃ

স্থানীয় কারখানা আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের নিম্নোক্ত সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকি।

*             সাপ্তাহিক ছুটি   ঃ    প্রতি শুক্রবার।

*             উৎসব ছুটি    ঃ    বছরে ১০ দিন (পূর্ণ বেতন)।

*             নৈমিক্তিক ছুটি   ঃ    ১০ দিন (পূর্ণ বেতন)।

*             পীড়া ছুটি      ঃ    ১৪ দিন (অর্ধবেতন)।

*             অর্জিত ছুটি     ঃ    ১ বছর পূর্ণ হলে (প্রতি ১৮ দিনের জন্য ১ দিন)।

হাজিরা বোনাসঃ

মাসে নিয়মিত উপস্থিতির ক্ষেত্রে ৫০ টাকা ও ১ দিন অনুপস্থিত এবং ১ দিন অনুমোদিত ছুটির ক্ষেত্রে ২৫ টাকা প্রদান করা হয়।

উৎসব বোনাসঃ

দুই ঈদে ২ টা (বেসিকের অর্ধেক হারে)।

বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধিঃ

বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একজন কর্মীকে নূন্যতম এক বছর চাকুরীরকাল পূর্ণ করতে হবে।

কর্মমূল্যায়ন ফর্ম ঃ    প্রত্যেক কর্মীর বেতন বৃদ্ধির পূর্বে তাহার যোগ্যতা ও মেধা ও দক্ষতা যাচাইয়ের   লক্ষ্যে স্ব-স্ব বিভাগে মূল্যায়নের জন্য প্রেরণ করা হয়।

বেতন বৃদ্ধির হার ঃ    প্রত্যেক কর্মীর কর্ম মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক কর্মীর মোট বেতনের  নূন্যতম ১০% থেকে ৩০% পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করা হয়।

বিশেষ ক্ষেত্রে    ঃ    কোন কোন কর্মীর কর্মদক্ষতা যদি সন্তোষজনক পরিলক্ষিত হয় তবে ছয়মাসের  মধ্যে ঐ কর্মীর বিশেষ বেতন বৃদ্ধি করা হয়।

চিকিৎসাঃ

আমাদের কারখানার শ্রমিকদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। গ্র“প যৌথভাবে বৃট্রিশ এনজিও মেরীষ্টোপস ক্লিনিকের সাথে উন্নত মানের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ। একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও নার্স দ্বারা মাসে ২ বার ফ্রি ঔষধ সহ চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। প্রতিটি ফ্লোরে প্রয়োজনীয় ঔষধ সম্বলিত জিনিসপত্র ফাষ্ট এইচ বক্স উন্মুক্ত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দুই জন করে কর্মী প্রতিটি ফাষ্ট এইচ বক্সের দায়িত্বে নিয়োজত রহিয়াছেন। এছাড়াও আমাদের কোম্পানি ইএগঊঅ ঐবধষঃয সেন্টারের সক্রিয় সদস্য। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সকল সদস্যই এই মেডিকেল সেন্টার থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে থাকে।

পরিচয় পত্রঃ

প্রত্যেক কর্মীকে কোম্পানীতে যোগদানের সাথে সাথে বিনামূল্যে কোম্পানি প্রদত্ত পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়।

শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রঃ

মহিলা কর্মীদের আরও অধিক সুবিধার লক্ষ্যে একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপন করা হইয়াছে।

কর্ম দক্ষতা মূল্যায়ন Performance Evaluation নীতিমালা

কর্ম দক্ষতা মূল্যায়ন Performance Evaluation নীতিমালা

কর্ম দক্ষতা মূল্যায়ন নীতিমালা

কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, সকল কর্মীদের যেন সঠিক মূল্যায়ন হয় এবং তাদের নিজ নিজ কর্মদক্ষতা অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হয়। মূল্যায়ন পদ্ধতি বর্ণ, গোত্র, ধর্ম, লিঙ্গ, পদবী অথবা স্থান নির্বিশেষে সকলের জন্য অবশ্যই এক হতে হবে। কর্মদক্ষতা অনুযায়ী মূল্যায়ন হলো ব্যক্তিগত দক্ষতা মূল্যায়নের সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি। কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র অসাধারন পারফরমারদেরকেই মূল্যায়নে বিশ্বাস করেন না, তদসঙ্গে খারাপ পারফরমারদেরকেও শিক্ষা এবং প্রশিক্ষনের মাধ্যমে একটি দক্ষ জনবল তৈরী করতে পদক্ষেপ নেয়। প্রতি বছর সঠিক মূল্যায়নের জন্য একটি সহজ কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কর্তৃপক্ষ মনে করে একজন কর্মীর বার্ষিক মূল্যায়ন কখনই মূল্যায়নের সময় বিস্ময়কর বা চমকপ্রদ হওয়া উচিত নয়। যে কাজ একজন কর্মীকে করতে হবে তা তার কাছে পরিস্কার থাকা উচিত। মাঝে মাঝে কর্মীকে তার কর্মদক্ষতা সম্পর্কে অবগত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কর্মীকে তার ভালো বা খারাপ কাজের জন্য পরামর্শ ও উপদেশ দেয়া উচিত। প্রতিটি কর্মীর উল্লেখযোগ্য কর্মদক্ষতা নোট করে সংরক্ষণ করা উচিত এবং চুড়ান্ত মূল্যায়নের সময় সারা বছরের মূল্যায়নের রেকর্ড দেখা উচিত। কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যেসব বিষয়ের উপর জোর দেয়া হয় যেগুলো সম্পর্কে প্রতিটি কর্মীর সুস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।

কাজের মূল্যায়ন পদ্ধতির স্বচ্ছতা।  কাজের মূল্যায়ন পদ্ধতিকে ফলপ্রসু করতে হলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, এই পদ্ধতির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই পদ্ধতির খুটিনাটি মূল্যায়নকারী ও যাকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে তাকে বুঝাতে হবে এবং তাদের সকল সন্দেহ দুর করতে হবে। কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অনুসরন করেনঃ

  • সকল সুপারভাইজার, লাইন চীফ, ম্যানেজমেন্ট স্টাফ এবং সকল শ্রমিককে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান কর্ম মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
  • সকল সুপারভাইজার, লাইন চীফ এবং অন্যান্য মূল্যায়নকারীদের এই মর্মে নির্দেশ দেয়া হয়, যেন তারা কর্ম মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনরূপ পার্থক্য না করেন।
  • কাজের মূল্যায়নকারী এবং যার মূল্যায়ন করা হচ্ছে এ দুজনের আলোচনা সাপেক্ষে প্রত্যেকের মূল্যায়ন হতে হবে।
  • যার মূল্যায়ন করা হচ্ছে তার যদি কোন ভূল বা দুর্বলতা থাকে তবে তা শুধুমাত্র বার্ষিক মূল্যায়নের সময় না জানিয়ে তাকে নিয়মিতভাবে সারা বছর ধরে জানাতে হবে।
  • চুড়ান্ত মূল্যায়নের সময় এই রেকর্ড ব্যবহার করা হবে।
  • যাদের মূল্যায়ন করা হয় তাদেরকে নিয়মিতভাবে অগ্রগতির জন্য পরামর্শ দিতে হবে।

নিম্নে একটি বিশদ মূল্যায়ন নির্দেশনা দেয়া হলো যা মূল্যায়নকারী ও যাকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে উভয়কেই মূল্যায়ন পদ্ধতি ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

বিষয়  — মূল্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় — তথ্যের উৎস  — মোট নম্বর

প্রতি ঘন্টায় উৎপাদন  — উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে কাজের মূল্যায়ন।—দৈনিক ফ্যাক্টরী প্রোডাকশন রিপোর্টে লিপিবদ্ধ থাকে। — ২০

উৎপাদন কোয়ালিটি—–  কাজের ভূল, ভূল করার জন্য দেয়া ওয়ার্নিং এর সংখ্যা, কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাকশন এর মান বজায় না রাখা, বাতিল এর পরিমান ইত্যাদি।    —-  এরিয়া রেকর্ড, নিজস্ব রেকর্ড, ইন্সপেকশন কিউ.সি রেকর্ড।    — ২০

নিরাপত্তা —-=নিরাপত্তা জ্ঞান, ঘটনার সংখ্যা, সদস্যদের জ্ঞান দান ইত্যাদি।  —- পরিদর্শন এবং বিভিন্ন ঘটনার সংরক্ষিত রিপোর্ট।   — ২০

নিয়মানুবর্তিতা  — দেরীতে আসা, আগে-যাওয়া, শিফট্ চলাকালে অনুমতি ব্যতিত প্রস্থান, কোম্পানি কর্তৃক অনুমোদিত ছুটির চেয়ে বেশী ছুটি নেয়া, আগে থেকে না জানিয়ে ছুটি নেয়া কোম্পানীর সকল নিয়ম-কানুন মেনে না চলা, সহকর্মী বা অন্যান্যদের সাথে ঝগড়া বিবাদ ইত্যাদি। — উপস্থিতি এবং ছুটির রেকর্ড এবং পর্যবেক্ষন। ১৫

ব্যবহার—-দায়িত্বশীল, নিজ থেকে এগিয়ে আসা, সহযোগিতা করা সাধারণ আচার-আচরণ ইত্যাদি। —  পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্যদের মতামত। —১৫

পরিচর্যা —কার্যক্ষেত্রে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, দৈনিক পরিস্কার কার্যাবলী, ওয়ানিং এর সংখ্যা ইত্যাদি।  —  পরিদর্শন এবং দৈনিক যোগাযোগ।    —  ১০

মোট = ১০০

এটা উল্লেখ করা নি¯প্রয়োজন যে, প্রশিক্ষণ কর্মচারীর দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং তার পূর্বের অভিজ্ঞতার সাথে আরো বেশি অভিজ্ঞতা যোগ হয় যা তার বর্তমান জীবিকাকে সুসজ্জিত করে এবং আরো উন্নত মানের জীবিকা ও অধিক দায়িত্ব নিতে সাহায্য করে। গ্র“প কর্তৃপক্ষ এই জনউন্নয়ন নীতিমালা মূল্যায়নে ব্যতিক্রম নয়। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগে রয়েছে সুগঠিত ও উচ্চমান সম্পন্ন প্রশিক্ষণ শাখা, যারা বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর নীতিমালা এবং ট্রেনিং মেটেরিয়াল তৈরী করে থাকে। ট্রেনিং শাখা কারখানা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বিভিন্ন শাখার শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের ট্রেনিং এর প্রয়োজনীয়তা নির্ধারন করে এবং অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক সম্পদের সাহায্যে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে। ট্রেনিং শাখার কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরী বিষয়ে ট্রেনিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, উপরন্ত কমপ্লায়েন্স এবং হিউম্যান রাইটস, আচরন বিধি, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ দুষণ এবং অন্যান্য সামাজিক সচেতনতা যেমন পরিবার পরিকল্পনা, এইডস, আর্সেনিক দূষণ, ডেঙ্গুজ্বর, ডাইরিয়া, শিশু পরিচর্যা এবং অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগের উপর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে।

লে অফ কি? লে অফ এর নিয়ম। শ্রমিকগণের ক্ষতিপূরণ কিভাবে দিতে হয়?

লে অফ কি? লে অফ এর নিয়ম। শ্রমিকগণের ক্ষতিপূরণ কিভাবে দিতে হয়?

লে অফ কি?

লে অফ কি? কর্তৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করছে যে, অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কাজের সময়সীমা ও অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা নির্ধারন করে অতিরিক্ত কাজের জন্য মজুরী দেওয়া হয় এবং ইহা সর্বনিন্ম শিল্প মান ও বৈধ। নির্ধারিত এবং অনুমোদিত মজুরী থেকে জীবন যাত্রার ব্যয় সংকুলান করা না গেলে সে ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত কিছু হস্তান্তর যোগ্য আয়ের ব্যবস্থা করা হয় এবং এক্ষেত্রে আই এল ও কনভেনশনের ২৬ ও ১৩১ ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের জীবন যাত্রার ব্যয় নির্বাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা হয়। অত্র কোম্পানীতে প্রত্যেকটা ফ্লোরের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সের জন্য ০২ (দুই) জন করে প্রশিক্ষিত প্রাথমিক চিকিৎসক আছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ চিকিৎসা বক্সে রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা বক্সের চাবি প্রাথমিক চিকিৎসক সংরক্ষন করে।

১. যে ক্ষেত্রে বদলী বা সাময়িক শ্রমিক নহেন এরূপ কোন শ্রমিককে, যাহার নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে অন্তভুক্ত আছে এবং যিনি মালিকের অধীন অন্ততঃ এক বৎসর চাকুরী সম্পূর্ণ করিয়াছেন, লে অফ করা হয়, তাহা হইলে মালিক তাহাকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত তাহার লে-অফের সকল দিনের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
২. উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর অর্ধেক এবং তাহাকে লে অফ করা না হইলে তিনি যে আবাসিক ভাতা পাইতেন, তাহার সম্পূর্ণ সমান।
৩. যে বদলী শ্রমিকের নাম কোন প্রতিষ্ঠানের মাস্টার-রোলের অন্তর্ভুক্ত আছে, তিনি এই ধারার প্রয়োজনে বদলী বলিয়া গণ্য হইবেন না যদি তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবিচ্ছিন্নভাবে এক বছর চাকুরী সম্পূর্ণ করিয়া থাকেন।
৪. মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে ভিন্নরূপ কোন চুক্তি না থাকিলে, কোন শ্রমিক এই ধারার অধীন কোন পঞ্জিকা বৎসরে পঁয়তাল্লিশ দিনের অধিক সময়ের জন্য ক্ষতিপূরণ পাইবেন না ।
৫. উপ-ধারা (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন পঞ্জিকা বৎসরে কোন শ্রমিককে অবিচ্ছিন্নভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে পঁয়তাল্লিশ দিনের অধিক সময়ের জন্য লে অফ করা হয়, এবং উক্ত পঁয়তাল্লিশ দিনের পর লে অফের সময় যদি আরোও পনের দিন বা তদূর্ধ্ব হয়, তাহা হইলে উক্ত শ্রমিককে, শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে ভিন্নরূপে কোন চুক্তি না থাকিলে, পরবর্তী প্রত্যেক পনের বা তদূর্ধ্ব দিনসমূহের লে-অফের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে।
৬. উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘ ভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে, এর এক-চতুর্থাংশ এবং যদি আবাসিক ভাতা থাকে, তাহার সম্পূর্ণ সমান।
৭. কোন ক্ষেত্রে যদি কোন শ্রমিককে কোন পঞ্জিকা বৎসরে উপরে উল্লিখিত প্রথম পঁয়তাল্লিশ দিন লে-অফের পর কোন অবিচ্ছিন্ন পনের দিন বা তদূর্ধ্ব সময়ের জন্য লে-অফ করিতে হয়, তাহা হইলে মালিক উক্ত শ্রমিককে লে-অফের পরিবর্তে ধারা ২০ এর অধীন ছাঁটাই করিতে পারিবেন।

মেডিকেল সুবিধা ঃ

অত্র কোম্পানীতে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে, যেখানে সকল শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এখানে একজন রেজিষ্টার্ডকৃত মেডিকেল অফিসার, একজন মেডিকেল সহকারী ও কয়েকজন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত নার্স রয়েছে।

গ্র“প বীমা ঃ

অত্র কোম্পানীতে নিয়োগকৃত প্রত্যেক শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা ডেল্টা লাইফ ইন্সূরেন্স কোম্পানী লিঃ এ গ্র“প বীমার আওতায় চলে আসে। চাকুরীরত অবস্থায় সকলেই আংশিক অক্ষমতায় এ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকি মৃত্যূ পরবর্তি তার নমিনিকে এই সুবিধা দেয়া হয়।

লে অফ এর নিয়ম – সংবাদ

লে অফ এর নিয়ম – করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে একের পর এক কারখানা লে অফ ঘোষণা এবং শ্রমিকদের যথেচ্ছ ছাঁটাই ও টার্মিনেট করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শ্রম আইনের ধারা প্রয়োগ করে শিল্প মালিকরা অবৈধভাবে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাঁদের এই একতরফা পদক্ষেপ বন্ধে শ্রম আইনের লে-অফ (১২ ও ১৪ ধারা), ছাঁটাই (২০ ধারা) ও টার্মিনেশন (২৬ ধারা) সংক্রান্ত ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা সাময়িক স্থগিত করার দাবি উঠেছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারত, ইথিওপিয়া কভিড-১৯ সংক্রমণের এই সময়ে কারখানা লে-অফ ও জনবল ছাঁটাই করা সংক্রান্ত শ্রম আইনের ধারাগুলো সাময়িক স্থগিত করেছে। ওই সব দেশে মালিকপক্ষের বেআইনি পদক্ষেপ বন্ধ ও শ্রমিকদের রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও সরকারের পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রম আইনের ৩২৪ ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ করে এমন আদেশ দিতে পারেন। রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সরকার এরই মধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে মালিকপক্ষকে করোনাভাইরাস বিস্তারের এই সময়ে শ্রমিক ছাঁটাই বা কারখানা লে-অফ না করারও আহ্বান জানিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও শ্রম মন্ত্রণালয়। এর পরও রাষ্ট্রীয় এই নির্দেশনা অমান্য করে মালিকরা কারখানা লে-অফ ঘোষণা করার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

বিজিএমইএর তথ্য মতে, এরই মধ্যে দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কারখানা লে-অফ করা হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক কালের কণ্ঠকে বলেন, অধিকাংশ কারখানায় কাজ নেই। কাজ না থাকলে উদ্যোক্তারা কারখানা লে-অফ করবেন এটাই স্বাভাবিক। এই মুহূর্তে তাঁদের সদস্য এমন ৭০ শতাংশ কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়টায় শ্রমিকরা মোট মজুরির ৬০ শতাংশ পাবেন। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান তাঁদের হাতে নেই।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘পোশাক খাতের মালিকরা একটি কারখানা থেকে ২০টি কারখানা করেছেন। বিদেশে বাড়ি-করেছেন। দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়েছেন। অথচ এই দুর্যোগের সময়ে তাঁরা ঢালাও শ্রমিক ছাঁটাই এবং কারখানা লে-অফ ঘোষণা করছেন। এমনকি সরকার ঘোষিত ছুটির সময়ে শ্রমিকদের মজুরিও কর্তন করা হচ্ছে। এটা অন্যায়, ও গর্হিত কাজ। এসব বন্ধে এখনই সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। নইলে বড় ধরনের সামাজিক সংকট তৈরি হবে।’

বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার বলেন, ‘সরকারের নির্বাহী আদেশ অমান্য করা এবং শ্রমিকদের অসহায় অবস্থায় ফেলে কারখানা মালিকরা যে সুযোগ নিচ্ছেন তা শোভনীয় নয়। মালিকদের এমন চাতুরী আর স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি পোশাক শিল্প খাতে বড় ধরনের সংকট তৈরি করবে। আমরা মনে করিম সরকার, শ্রমিক সংগঠন ও মালিকপক্ষ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে করে এসব বন্ধ করা উচিত।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের এমন আচরণে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ও বিরক্ত। সরকারের নীতিনির্ধারক মহল মনে করছে, বিপুলসংখ্যক শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ফলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হবে।

কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, শ্রমিক ছাঁটাই ও ল -অফ করার মতো বিষয়গুলো সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় শ্রম অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারকে তিনটি বিষয় বিবেচনায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তা হলো লে-অফ, ছাঁটাই ও টার্মিনেশনের ধারা সাময়িক অকার্যকর করা, বিধি-বিধান না মানা কারখানাগুলো বেআইনি ঘোষণা করা এবং সমস্যা সমাধানে স্বল্প পরিসরে সরকার, শ্রমিক—ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা।

সারাংসঃ

লে অফ কি? লে অফ এর নিয়ম শেষ

কিভাবে Tesco Bulk Submission এর আপ্প্রুভাল নিতে হয়?

কিভাবে Tesco Bulk Submission এর আপ্প্রুভাল নিতে হয়?

Bulk Submission:

Only first bulk submits should be submitted to and agreed by Tesco. First bulk and ongoing production submissions should always be compared to the master standard, firstly numerically ensuring compliance with the DE 0.8 tolerance and also visually. The approved lab dip should be used as reference only it is helpful to look at all three together (The master standard, approved lab dip and the first bulk shade ) Repeating this exercise will ensure the subsequent production lots don’t drift away from the standard or agreed shade.

Bulk production lot colors must fall between the master standard and the approved lab dip. These should be a minimum size of 15cm x 15cm, clearly labeled with the following.

  • Supplier name
  • Factory name
  • Colour name and Number
  • Fabrication type
  • Style Reference
  • Batch size, Batch Number and Date of production
  • QC Pass / Fail printout if relevant

Bulk Submission:

শুধুমাত্র প্রথম ব্যাচের শেড পাঠাতে হবে এবং Tesco’র সম্মতি থাকতে হবে।প্রথম ব্যাচ এবং পরবর্তী ব্যাচগুলোর শেড মাস্টার স্ট্যান্ডার্ড এর সাথে কম্পেয়ার করতে হবে, প্রথমত ডেল্টা-ই (rE) ০.৮ এর মধ্যে এবং ভিসুয়ালি ভালো থাকতে হবে।Approved ল্যাব ডিপ শুধুমাত্র রেফারেন্স হিসাবে ব্যাবহার করা যাবে সবচেয়ে ভালো হয় মাস্টার স্ট্যান্ডার্ড, Approved ল্যাব ডিপ এবং ১ম ব্যাচ একসাথে দেখতে পারলে।

বাল্ক প্রোডাকশন ব্যাচ এর কালার মাস্টার স্ট্যান্ডার্ড এবং Approved ল্যাব ডিপ এর মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে।

বাল্ক সাব মিশন সাইজ কমপক্ষে ১৫ সেমি.* ১৫ সেমি. এবং পরিষ্কারভাবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি ঊল্লেখ থাকতে হবে

  • সাপ্লাইয়ার নাম
  • ফ্যাক্টরি নাম
  • কালার নাম এবং নাম্বার
  • ফেবরিকেশণ টাইপ
  • স্টাইল রেফারেনস
  • ব্যাচ সাইজ, ব্যাচ নাম্বার এবং প্রোডাকশন ডেট
  • পাশ/ফেল রিপোর্ট যদি প্রাসঙ্গিক হয়

 Shade Continuity:

Color Continuity cards must be kept for every production batch of fabric and be readily available to Tesco. These should be a minimum size of 15cm x 15cm.

It is the supplier’s responsibility to monitor and approve / reject ongoing bulk production.

All shade variations outside of tolerance, must be approved by Tesco color Management representative before the fabric is cut.

Shade Continuity:

*Bulk Submissions

1.Bulk  Shade Approved পাঠানোর সময় Master Standard (যেমন Pantone অথবা Life swatch যদি থাকে এবং Approved Lab Dip এর সাথে মেপে Tesco এর Requirement অনুযায়ী CMC (2:1), DE 0.8 Tolerance এর মধ্যে থাকতে হবে ।

  1. Visually দেখতে ও ভাল থাকতে হবে ।

3.Bulk Production Batch to Batch shade Master Standard (যেমন Pantone অথবা Life swatch এবং Approved Lab Dip এর মাঝা মাঝি রাখতে হবে ।

4.Bulk Production Dye Lot  shade minimum 15 cm x 15cm Size এ মেপে Dye Lot কাড(card) এ লাগিয়ে রাখতে হবে ।

  1. a Supplier name
  2. Factory name
  3. Colour name এবং number অথবা Pantone
  4. Fabrication Type
  5. Style Reference
  6. Batch Size(কত কেজির batch ).Batch number এবং Production date লিখে রাখতে হবে ।
  7. QC Pass / Fail printout report লাগিয়ে রাখতে হবে ।

Shade Continuity

1.Tesco Buyer এর requirement অনুযায়ী Color Continuity card গুলো  অবশ্যাই  রাখতে হবে ।এবং তার সাথে 15 cm x 15 cm এর dye Lot shade গুলো ও রাখতে হবে ।

2.Running bulk production এর shade  ok করা অথবা not ok করার এই কাজে তদারকী করা আমাদের দায়িত ও কতব্য ।

3.যদি কোন Batch এর shade Variations থাকে যাহা গ্রহন যোগ্য সীমার বাহিরে থাকে তাহালে Tesco Management প্রতিনিধি থেকে Approved নিয়ে Batch কাটিং এর জন্য Delivery দিতে হবে ।

LAB TO BULK RFT (Right First Time) BUILD UP

  1. লক্ষ্য (target) সেট করা। ৯০% RFT
  2. RFT বলতে কি বুঝায়?
  3. RFT এর প্রয়োজনীয়তা কি?
  4. ধারাবাহিকতায় সমস্যা আছে সেটা উদাহরন দিয়ে বুঝান।
  5. ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে গেলে কি করতে হবে সেটার ফিডব্যাক নেওয়া।
  6. পার্থক্য কেন হয় সে সম্বন্ধে ধারনা দেওয়া এবং নেওয়া।
  7. RFT বিল্ড আপ করতে পারলে লাভ কি হবে।