Select Page

মজুরী হিসাব

সরকারী নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক শ্রমিকের মাসিক ২০৮ ঘন্টা শ্রমকে তার মূল মজুরী হিসাবে ধরা হয়।বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত সর্ব-নিু মজুরীর নিয়ম কাঠামো মেনে মজুরী প্রদান করা হয়।এছাড়াও শ্রমিকদের ওভারটাইম করার সুযোগ রয়েছে।

মজুরীর তিনটি অংশ

ক) মূল মজুরী

খ) মেডিকেল ২০০ টাকা ও

গ) বাড়ি ভাড়া ( মূল মজুরীর ৩০% )।

পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরী প্রদান করা হয়।

মজুরী নীতি ঃ

নিটওয়্যারস্ লিঃ এ দু’ধরণের শ্রমিক আছে (১) মাসিক মজুরী ভিত্তিতে (২) পিসরেট বা সাপ্তাহিক মজুরী ভিত্তিতে। মাসিক মজুরী প্রাপ্ত শ্রমিদেরকে পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মজুরী এবং ওভারটাইমের টাকা একসাথে প্রদান করা হয়। যারা পিস্ রেট বা প্রডাকশন ভিত্তিতে কাজ করেন তাদের প্রতি সপ্তাহে মজুরী প্রদান করা হয় এবং তাদের ওভারটাইমের টাকা প্রদান করা হয় পরবর্তী মাসে।

পিস্রেট শ্রমিকদের ক্ষেত্রে নুন্যতম মজুরী হচ্ছে  ১৮৫১ টাকা ( গ্রেড-৬) যার ভিত্তিতে তাদের ওভারটাইম গননা করা হয়।

মজুরী বৃদ্ধি ঃ এক বছর চাকরী পূর্ণ হলে পরবর্তী বছর প্রত্যেক শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা আছে যা তাদের জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে করা হয়।

ওভারটাইম

ওভার টাইম একটি ঐচ্ছিক কোন শ্রমিক দৈনিক নির্ধারিত ৮ ঘন্টার পর অতিরিক্ত কাজ করলে তা ওভারটাইম হিসেবে গণ্য করা হয়। সর্বমোট কার্যকাল  দৈনিক ১০ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৬০ ঘন্টা এবং তা বৎসরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫৬ ঘন্টা।

ওভারটাইম রেট ঃ অতিরিক্ত কাজের জন্য একজন শ্রমিকের প্রাপ্য মূল মজুরীর দ্বিগুণ হারে ওভারটাইম হিসাব করা হয়।

.                    মাসিক মূল মজুরী

ওভারটাইম = ——————— X 2 X অতিরিক্ত কাজের ঘন্টা

.                       ২০৮

উদাহরন ঃ একজন শ্রমিকের মোট মজুরি = ১৬৬২.৫০। এবং সে ৪০ ঘন্টা ওভারটাইম করেছে।

.                    ১৬৬২.৫০ – ২০০

মূল মজুরি = ——————-

.                        ১.৩

= ১১২৫ টাকা

.                               মূল মজুরি

ওভারটাইম = ———————-   X ২ X ৪০

.                             ২০৮

= ৪৩৩ টাকা

কার্যঘন্টা ঃ সাধারন কার্যকালীন সময় দৈনিক সকাল ৮.০০ টা হতে ৫.০০ টা পর্যন্ত।

সাপ্তাহিক কাজের সময় : দৈনিক = ৮ ঘন্টা + ওভারটাইম ২ ঘন্টা মোট ১০ ঘন্টা।
সপ্তাহে = ৪৮ ঘন্টা + ওভারটাইম ১২ ঘন্টা। মোট ৬০ ঘন্টা (সর্বোচ্চ) এবং বৎসরে গড়ে ৫৬ ঘন্টা।

বলপ্রয়োগ পূর্বক শ্রম ঃ কোম্পানী বন্দিনিবাসসুলভ, চুক্তিপত্র দ্বারা আবদ্ধমূলক বা বলপ্রয়োগপূর্বক কোন শ্রম ব্যবহার করে না। আমরা কোন প্রকার অনৈচ্ছিক শ্রম ব্যবহার করি না। অর্থাৎ শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অধিক সময়ের জন্য তাকে কাজ করতে বাধ্য করি না।

হয়রানি বা নির্যাতনঃ কোম্পানী কখনও কোন শারীরিক নির্যাতন বা দমন নীতি দ্বারা শাসনের কোন কর্মে নিয়োজিত থাকবে না বা কাউকে তা করতে অনুমতি দেয় না। তাই কোম্পানী মনস্তাত্বিক বা অশারীরিক, হিসংসাত্মক হুমকি, যৌনাত্মক অবমাননা, উচ্চ বা তীক্ষ্ম আর্তনাদ অথবা মৌখিক গালি গালাজের মাধ্যমে নির্যাতন বা দমননীতি দ্বারা শাসনের কোন কর্মে নিয়োজিত থাকবে না বা কাউকে করতে অনুমতি দেবে না।