by Mashiur | Dec 19, 2017 | ওয়েলফেয়ার
অনুযোগ প্রক্রিয়া
অনুযোগ প্রক্রিয়া -গ্র“পের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট ও আইনসম্মত প্রক্রিয়া পরিচালিত করে থাকে। ক্ষতিগ্রস্থ অথবা ক্ষোভ প্রকাশে ইচ্ছুক অথবা অন্য কোন আইনগত বিষয়ে প্রতিকার পেতে ইচ্ছুক কোন শ্রমিককে, মালিক অথবা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার অভিযোগ অথবা মতামত প্রকাশ শ্রমিক ও কর্মচারীর যদি কোন অনুযোগ (হতাশ, অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ, বদলি, অবসান, ছাটাই ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যার সৃষ্টি হলে তাহা কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুততার সহিত নিরপেক্ষভাবে প্রতিকার করে থাকে।) …
অনুযোগ পদ্ধতি ঃ
এই অনুযোগ পদ্ধতি পুরুষ কর্মী এবং মহিলা কর্মীদের মধ্যে সমানভাবে প্রযোজ্য হইবে।
অনুযোগ পদ্ধতির সংজ্ঞাঃ
২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন ৩৩ ধারা অনুসারে যদি কোন শ্রমিক (যে শ্রমিকের পদচ্যুতি, কর্মচ্যুতি, ছাঁটাই, লে-অফ অথবা অন্য কোন ভাবে কর্মচ্যুতি হয়েছে তারাও এ শ্রমিক সংজ্ঞার ভিতরে পড়বে) এ আইনের আওতাধীন কোন বিষয় সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকলে এবং সে যদি তার প্রতিকার চায় তবে তাকে নিæলিখিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করতে হবেঃ-
অনুযোগ পদ্ধতির উদ্দেশ্য ঃ
অনুযোগ পদ্ধতি দ্রুত নিষ্পত্তি করে বিভিন্নমুখী বিরোধের। উন্নত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করে।
সুষ্ঠু এবং সুন্দর কর্ম পরিবেশের জন্য ইন্ডাষ্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন যে, তাহাদের শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুযোগ পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত প্রদান করিয়াছেন। নিæলিখিত ধারাবাহিকতায় অনুযোগ পদ্ধতি চালু হইবে ঃ অনুযোগ প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্র“প নিম্নবর্ণিত নিয়মনীতি মেনে চলে।
প্রথম ধাপ ঃ সুপারভাইজার
একজন শ্রমিক বা কর্মচারীর মধ্যে কোন হতাশ, অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ বা সমস্যার সৃষ্টি হলে সর্ব প্রথম তার উপরস্থ সুপারভাইজারের সাথে আলোচনা করবেন। অতপর সুপারভাইজার সমস্যাটি তিন (০৩) দিনের মধ্যে নিরপেক্ষতার সহিত প্রতিকার না করেন, সেক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক দ্বিতীয় ধাপে যেতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপ ঃ উৎপাদন ব্যবস্থাপক
যদি উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারীর সমস্যা প্রথম ধাপে সমাধান না হয়, সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সমাধানের জন্য সে তার নিজ বিভাগের ব্যবস্থাপক এর সাথে আলোচনা করতে পারবেন। অতপর শ্রমিক যদি তার নিরপেক্ষ প্রতিকার না পান মনে করেন, সেক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী তৃতীয় ধাপে যেতে পারবেন।
তৃতীয় ধাপ ঃ কল্যাণ কর্মকর্তা
যদি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী তার অনুযোগের ব্যাপারে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী কল্যান কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। এক্ষেত্রেও যদি শ্রমিক সমাধান না পান, তবে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী চতুর্থ ধাপে যেতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপঃ ব্যবস্থাপক,এইচ. আর এন্ড কমপ্লায়েন্স
উপরোক্ত ধাপে শ্রমিক বা কর্মচারী তার অনুযোগের ব্যাপারে যদি কোন সমাধান না পেয়ে থাকেন, তা হলে ব্যবস্থাপক, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স কে অবহিত করবেন। এক্ষেত্রেও যদি শ্রমিক সমাধান না পান, তবে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী পঞ্চম ধাপে যেতে পারবেন।
পঞ্চম ধাপ ঃ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক
চুড়ান্ত ধাপ হিসাবে উক্ত শ্রমিক বা কর্মচারী তার অনুযোগের জন্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সহিত আলোচনা করতে পারবেন । সংশ্লিষ্ট্ কর্মচারী তার অভিযোগের কারণ বর্ণনা করে লিখিতভাবে ওই কারণ ঘটার ১৫ দিনের ভিতরে কর্তৃপক্ষকে রেজিষ্ট্রি ডাকে জানাবেন এবং কর্তৃপক্ষ ওই অভিযোগ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ওই বিষয়ে তদন্ত করবেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে তার বলার সুযোগ দিয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানাবেন।
কর্তৃপক্ষ ৩৩(২) ধারানুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থ হলে অথবা কর্মচারী এ সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলে, যদি অনুযোগ ১৯৬৯ সালের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশের বিধান মতে ’শিল্প বিরোধ’ হিসাবে আগেই উত্থাপিত অথবা অন্যভাবে শিল্প বিরোধ হিসাবে গ্রাহ্য না হয়ে থাকে তাহলে ওই শ্রমিক ৩৩ (৩) ধারা মতে সর্বশেষ তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অথবা সিদ্ধান্তের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন শ্রম আদালতে নালিশ করতে পারেন।
খাবার পানির ব্যবহার
০১. ফ্লোরে নির্ধারিত স্থানে রাখা খাবার পানির কল থেকে পানি গ্লাসে ঢেলে পান করুন।
০২. পানি গ্লাসে ঢালার পর পানির কল বন্ধ করুন।
০৩. খাবার পানি দিয়ে হাত মুখ বা অন্য কিছু ধোয়া থেকে বিরত থাকুন।
০৪. পানি যাতে ফ্লোরে না পড়ে সেদিকে সতর্ক থাকুন।
০৫. খাবার পানির অপচয় রোধ করুন।
নীতিমালাঃ
- অনুযোগ / আভিযোগের বিপরীতে যে সিদ্ধান্তই দেওয়া হউক না কেন মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসানের আদেশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা যাইবেনা যদি না আদেশটি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকান্ডের কারণে অথবা উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে প্রদ্ত্ত হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করা হয়, অথবা যদি তাকে উক্ত ধারার অধীন প্রাপ্য সুবিধা হতে বঞ্চিত করা হয়। শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত ছোট অভিযোগ তাদের উপরস্থ তত্বাবধায়ককে জানাবেন। উপরোস্থ তত্বাবধায়ক সেকশনে এবং সেকশন প্রধানের মাধমে মানবসম্পদ বিভাগের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অভিযোগের সমাধান দিবেন।
- লে-অফ, অপসারন অথবা অন্য যে কোন কারনে চাকুরীর অবসান হয়েছে এরুপ বরখাস্ত, ডিসচার্জ, ছাটাই, যে কোন বিষয়ে সস্পর্কে যদি কোন অভিযোগ কর্ম/চারীরগনের অথবা কারখানায় কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারী থাকে এবং উক্ত অভিযোগ থেকে হতে যদি প্রতিকার পেতে ইচ্ছুক হন তাহলে অভিযোগের কারন অবহিত হওয়ার ৩০দিনের মধ্যে অভিযোগটি সরাসরি গ্রহন করে লিখিত আকারে রেজিষ্ট্রি ডিকযোগে সরাসরি মানবসম্পদ বিভাগে অভিযোগটি সরাসরি গ্রহন করে লিখিত প্রাপ্তি স্বীকার করবেন। অভিযোগ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করে সংর্শ্লিষ্ট শ্রমিক/কর্মচারীকে শুনানীর সুযোগ দিয়ে তৎ সম্পর্কে মানবসম্পদ বিভাগে লিখিত ভাবে জানাবেন।
- মানবসম্পদ বিভাগ যদি কোন অভিযোগের সিন্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হন অথবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক/কর্মচারী উক্ত সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন তাহলে মানবসম্পদ বিভাগের সিদ্ধান্তের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে লিখিত ভাবে অভিযোগ পেশ করতে হবে।
সারাংশ
উপরোক্ত অনুযোগ প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে কার্যকর হইবে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতি স্থগিত করার ক্ষমতা বহন করে। কর্মরত সংশ্লিষ্ট সকল শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে আহŸান করা যাইতেছে যে, কোম্পানীর স্বার্থে এবং তাহাদের নিজেদের সুবিধার্থে উপরোক্ত অনুযোগ পদ্ধতি প্রচলিত করিতে কর্র্তৃপক্ষকে সর্বাতœক সহযোগীতা করবেন।
by Mashiur | Dec 19, 2017 | ওয়েলফেয়ার
বর্ণ-বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা
সূচনা ঃ বাংলাদেশের পোষাক শিল্প একটি রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান। বিশ্ব বাজারে এর পরিচিতি সুবেদিত। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এ যুগে তাই গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্প কারখানায় যাতে মানবাধিকারের কোন লংঘন না হয় সেদিকে অটো গার্মেন্টস এবং তার অন্তর্ভূক্ত কারখানা সমুহ সর্বদা স্বচেষ্ট। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের পোষাক শিল্পের সাথে অটো গার্মেন্টস তাই কাধে কাধ মিলিয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমতার ভিত্তিতে কাজের ও মজুরী ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণ-বৈষম্যহীন নীতিমালা প্রনয়ণ ও এর বাস্তবায়নে ঙঢ়বী কর্তৃপক্ষের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান হিসাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। Similar Types of Post
নীতিমালা প্রনয়ণের উদ্দেশ্যে ঃ
অটো গার্মেন্টস এর সকল শিল্প কারখানায় তাই একটি বৈষম্যহীন বাস্তব সম্মত লিঙ্গ ও বর্ণ বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা” প্রণয়নের উদ্দোগ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলির আলোকে বর্ণ বৈষম্য সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হল ঃ
- অটো গার্মেন্টস এর প্রতিটি শিল্প কারখানায় জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ দান।
- অটো গার্মেন্টস এর সকল শিল্প কারখানায় কালো/সুন্দর, যুবক/বৃদ্ধ, নারী/পুরুষ ভেদাভেদ না করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা।
- অটো গার্মেন্টস এর সকল শিল্প কারখানায় লিঙ্গ ভেদে শ্রমিকের যোগ্যতার ভিত্তিতে মুজরী দানের ব্যবস্থা করা।
- মহিলা শ্রমিক নিয়োগের সময় মাতৃত্বকালীন বিষয়ক প্রশ্ন বা পরীক্ষা না করা এবং মার্তৃত্বকালীন অবস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ না করা।
- সকল শ্রমিককে তাদের নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে ধর্ম পালনে বাধা না দেয়া।
- রাজনৈতিক বিশ্বাস বা সামাজিক অবস্থানের কারণে বৈষম্য না করা।
- ব্যক্তিগত সম্পর্ককে যোগ্যতা হিসাবে বিবেচনা না করা।
- অভিযোগ করা
বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। একই ভাবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশনে ও এই নীতিমালাকে সমুন্নত রেখেছে। এই অঙ্গীকার ও নীতিমালা মোতাবেক অটো গার্মেন্টস তাই ”বর্ণ বৈষম্যহীন নীতিমালা” প্রণয়ন ও উহা সঠিক ভাবে অনুসরণ করেঃ
প্রতিটি শিল্প কারখানার জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ দান ঃ সকল শিল্প কারখানায় সমতার ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। এখানে কোনরুপ বৈষম্যই করা যাবে না। বৈষম্যহীন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ব্যবস্থাপণা কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষণিক কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন অনুসরন করতে হবে।
Commitmentঃ এ ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকার হলো একটি বর্ণ বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গঠন করা। যেখানে শ্রমিকেরা কোনরুপ বৈষম্যের শিকার হবে না।
সকল শিল্প কারখানায় কালো/সুন্দর, যুবক/বৃদ্ধ, নারী/পুরুষ ভেদাভেদ না করে যোগাতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা ঃ শিল্প কারখানায় শ্রমিককে নিয়োগ করতে হবে তার যোগ্যতার ভিত্তিতে। শ্রমিকটি নারী বা পুরুষ এ বিষয়টি কখনও বিবেচনায় আনা যাবে না। অথবা শ্রমিক কালো বা সুন্দর,যুবক বা বৃদ্ধ এর কোনটিই বিবেচনা করা যাবে না। যোগ্যতাই শ্রমিকের একমাত্র মাপকাটি।
Commitmentঃ আমাদের অঙ্গীকার হলো শ্রেণী বৈষম্যহীন যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মীবাহিনী গঠন ও তাদের সাহায্যে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্ঠি ও মান সম্পন্ন পোষাক তৈরী করা যা বর্হিঃবিশ্বে দেশের জন্য সুনাম ও অর্থ দুইই বয়ে আনবে।
সকল শিল্প কারখানায় লিঙ্গ ভেদে শ্রমিকের যোগ্রতার ভিত্তিতে মুজরী দানের ব্যবস্থা করা ঃ নারী শ্রমিক দূর্বল, পুরুষ শ্রমিক সবল এরুপ কোন ধারনায় বিশ্বাস করা যাবে না। শ্রমিককের পরিচয় সে মানুষ এবং তার কাজের মাধ্যমে সে একজন দক্ষ শ্রমিক। শ্রমিকের এ দক্ষতার মাধ্যমেই তার যোগ্যতা। আর যোগ্যতাই বিবেচনার একমাত্র মাপকাটি।
Commitmentঃ ”পৃথিবীতে যাহা কিছু সুন্দর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” এ বক্তব্যকে ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় এর সকল শিল্প কারখানার ব্যবস্থাপণা কর্তৃপক্ষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এবং এ ব্যাপারে বৈষম্যহীন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
মহিলা শ্রমিক নিয়োগের সময় মাতৃত্বকালীন বিষয়ক প্রশ্ন না করা এবং মার্তৃত্বকালীন অবস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ অরোপ না করা ঃ নারীকে তার যোগ্য মর্যাদা প্রদান এবং প্রাকৃতিক নিয়মে নারীর মা হওয়াকে স্বাভাবিক নিয়ম বলে মানতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীর মা হওয়া বা মাতৃত্বকালীন অবস্থা বিষয়ে কোনরুপ প্রশ্ন বা পরীক্ষা করা যাবে না। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় তাই কোন শ্রমিকই নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হবে না।
Commitment ঃ নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার প্রদানে ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় দৃঢ় ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় একটি অনন্য সাধারণ শিল্প পরিবার, যেখানে বর্ণ বৈষম্যকে জঘন্য অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
সকল শ্রমিককে তাদের নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে ধর্ম পালনে বাধা না দেয়া ঃ ধর্ম প্রতিটি মানুষের একান্ত নিজস্ব অনুভূতি বা বিশ্বাসের ব্যাপার। এখানে জোর খাটানোর কোন অবকাশ নাই। প্রতিটি শ্রমিকই তার নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে ধর্ম কর্ম পালন করবে। এতে বাধা দেওয়ার বা অনুরুপ কিছু করা আইনের চোখে ও দন্ডনীয় ।
Commitment ঃ ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় তার সকল শ্রমিককে তাদের নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে নিজ ধর্ম পালনে উৎসাহিত করে। প্রতিটি ধর্ম বিশ্বাসের শ্রমিকদের তাই তার ধর্ম পালনের সুবিধার জন্য ছুটিসহ সব রকম সহযোগিতা করে। এটা আমাদের অঙ্গীকার।
রাজনৈতিক বিশ্বাস বা সামাজিক অবস্থানের কারণে বৈষম্য না করা ঃ ধনী-দরিদ্র, বড়-ছোট এ ধরণের কোন বৈষম্যমুলক নীতিমালা অনুসরণ করা যাবে না। রাজনৈতিক বিশ্বাস বা ব্যক্তির সামাজিক অবস্থানের বিষয়টি কখনই বিবেচ্য বিষয় হবে না। সকলকে সমতার ভিত্তিতে নিয়োগ, পদোন্নতি বা অন্যান্য সব ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
Commitment ঃ শ্রেণী বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ গড়ে তোলা আমাদের অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত সম্পর্ককে যোগ্যতা হিসাবে বিবেচনা না করা ঃ শ্রমিককে তার যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ, বদলী, পদোন্নতিসহ সব রকম সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনই যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হবে না, বরং এটা দন্ডনীয় হিসাবে নিন্দনীয়।
Commitment ঃ যোগ্যতা, সময় অনুবর্তিতা, নিষ্ঠা এবং একাগ্রতাই ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় এর বিবেচ্য বিষয়, এর বাইরে ব্যক্তিগত সম্পর্কটি বিবেচনার বাইরেই থাকে। কেননা বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ গড়ে তোলা ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় এর অঙ্গীকার।
উপসংহার ঃ বর্ণ বৈষম্য একটি সামাজিক ব্যধি, একে আামাদের সমাজ থেকে স্বমুলে তুলে ফেলতে হবে। তাই বর্ণ বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ গঠনে ঙঢ়বী এৎড়ঁঢ় তার নিরন্তুর প্রচেষ্ঠা সর্বক্ষণ বহমান রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
by Mashiur | Dec 17, 2017 | ওয়েলফেয়ার
হয়রানি এবং নির্যাতন পরিহার নীতি
শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে সুন্দর ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ বজায় রেখে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারখানাটি একটি হয়রানি ও নির্যাতন পরিহার নীতিমালা করেছে এবং অনুসরন করে থাকে । Read This in English
- কারখানায় শ্রমিক ও কর্মচারীকে শারিরিক নির্যাতন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
- মৌখিক গালিগালাজ, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, অশালীন শারিরিক ইঙ্গিতসহ সকল ধরনের হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোন শ্রমিককে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা অর্থ্যাৎ অকারনেই ভূলত্র“টি ধরা, কথা বলা বা অশ্লীল গল্প শোনানো ইত্যাদি না করা ।
- পানীয় জল, টয়লেট ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর অকারণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা ।
- অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কোন কর্মীকে অনুসরন করা বা কর্মস্থল পরিত্যাগকালে সিড়িঁতে লাঞ্ছনা না করা ।
- যদি উক্ত কারনে কোন অভিযোগ গৃহিত হয় তবে সে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যবস্থা রয়েছে । প্রয়োজনে তাকে চাকুরীচ্যুত করার এবং আইনগত সহায়তায় শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে ।
- সকল কর্মীদের অভিযোগ ও পরামর্শ গ্রহনের জন্য কারখানাটির গোপন এলাকায় (বাথরুমের সামনের পথে ) পরামর্শ / অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে ।
- পরামর্শ / অভিযোগ বাক্সের মাধ্যম ছাড়াও কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে তা যথার্থ প্রমান সাপেক্ষে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে ।
- অবস্থা বা সমস্যার প্রকারভেদে এবং বিবেচনাধীনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্ব-অবস্থান থেকে নীচের পদে নামানো, অন্য কোন সেকশনে বদলী বা দায়িত্ব থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অব্যহতি । প্রদানের মাধ্যমে সংশোধন মূলক ব্যবস্থা রয়েছে ।
হয়রানি ও খারাপ আচরনের নীতিমালা
ফ্যাশনস লিঃ কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের প্রতি যেকোন অন্যায় আচরন ও হয়রানিমূলক ব্যবহার প্রতিরোধে সর্বদাই সচেষ্ট থাকে। কোন ব্যক্তি যদি কোন অবস্থায় কোন ধরনের হয়রানি বা অসদাচরন করে বা কাউকে করতে উৎসাহিত করে তবে কর্তৃপক্ষ প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন।
হয়রানি বা অসদাচরন এর প্রকারভেদ ঃ হয়রানি বা অসদাচরণের প্রকারভেদগুলো নিম্নরূপ ঃ
অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার ঃ নিয়মিত উচ্চস্বরে হাকডাক/অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার।
মৌখিক হয়রানি ঃ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাউকে হুমকি দেওয়া।
মানবিক হয়রানি ঃ কাউকে মৌখিক বা আচরনগতভাবে অপদস্থ করা যেমন কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ।
যৌন হয়রানি ঃ বিশেষ লিঙ্গের প্রতি অনাকাঙ্খিত সুযোগ প্রদান/গ্রহন। এমন কোন শারিরীক আচরন যা যৌনতার সংজ্ঞায় পড়ে।
শারীরিক অপমান ঃ সেই সকল শারীরিক সংস্পর্শ পেতে যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি যা শারীরিক অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে।
আথির্ক হয়রানি ঃ কর্ম ক্ষেত্রে যে কোন ধরণের আচরনের জন্য মজুরী কর্তন বা মজুরী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা।
যদি কোন শ্রমিক চাকুরীর আবেদনের ক্ষেত্রে,কর্ম ক্ষেত্রে শ্রমিক/কর্মচারী ও কর্মকর্তা, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতি, রাজনৈতিক মতবাদ, বয়স, আত্মীয়করন ইত্যাদি যে কোন কারনে কোন রকম হয়রানীমূলক আচরন অথবা ষড়যন্ত্রমূলক, ব্যক্তিগত আক্রোশ, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদির স্বীকার হলে করনীয়ঃ
যে কোন শ্রমিক কর্ম ক্ষেত্রে তার যে কোন সমস্যা/অভিযোগ তার উপরস্থ সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জ /প্রোডাকশন অফিসার/প্রোডাকশন ম্যানেজারকে অবহিত করবেন।
অভিযোগটি কাগজে লিখে প্রত্যেক পুরুষ/মহিলা টয়লেটে রক্ষিত অভিযোগ বক্সে ফেলতে পারে। অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর নাম, কার্ড নং ইত্যাদি লেখার প্রয়োজন নেই।
অথবা কল্যান কমিটির মাধ্যমে অভিযোগটি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারে।
কর্ম ক্ষেত্রে যেকোন প্রকারের হয়রানি বা অসদাচরন সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। ব্যাবিলন গ্রুপ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে হয়রানি ও খারাপ আচরনের নীতিমালা অনুসরন করে থাকে। কর্মক্ষেত্রে যেকোন প্রকারের হয়রানি বা অসদাচরন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ব্যাবিলন গ্রুপ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে হয়রানি ও খারাপ আচরনের নীতিমালা অনুসরন করে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে নিম্নোক্ত কমিটির মাধ্যমে সমস্যার প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা ও সমস্যার সমাধান করা হয়।
by Mashiur | Dec 16, 2017 | ওয়েলফেয়ার
কল্যাণ সংক্রান্ত নীতিমালা
যে কোন আইন, বিধি বা নিয়মই হোক না কেন তা যদি সঠিকভাবে প্রণয়ন এবং উহার কার্যকরী প্রয়োগ না হয়, তাহা হলে ঐ বিধি, আইন বা নীতিমালা কখনই শ্রমিক কর্মচারীর কল্যাণ বয়ে আনবে না। অটো গ্র“প কর্তৃপক্ষ তাই শ্রমিক কর্মচারীর সঠিক কল্যাণের বিষয় বিবেচনা করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। এই নীতিমালার প্রধান বিষয় ও তার আলোচনা পর্যায়ক্রমে নিুে প্রদত্ত হল। Read in English Language
প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামঃ
- অত্র প্রতিষ্ঠানে সকল কর্ম সময়ে যাহাতে সহজে পাওয়া যায় এমন ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সমৃদ্ধ বাক্সে রাখা হয়।
- অত্র প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ নিয়োজিত প্রত্যেক একশ পঞ্চাশ জন শ্রমিকের জন্য একটি করে বাক্স রাখা হয়।
- প্রত্যেক প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স এমন একজন দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয় যিনি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এবং যাহাকে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্ম সময়ে পাওয়া যায়।
- প্রত্যেক কর্ম-কক্ষে উক্ত ব্যক্তির নাম সম্বলিত একটি নোটিশ টাংগাইয়া দেওয়া হয় এবং উক্ত ব্যক্তি তাহাকে সহজে সনাক্ত করা যায় মত ব্যাজ পরিধান করে।
- অত্র প্রতিষ্ঠানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত মাপের ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত অথবা অন্যান্য সুবিধা সম্বলিত ডিসপেনসারী সহ একটি রোগী কক্ষ আছে, এবং উক্ত কক্ষটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফের দায়িত্বে থাকে।
সেইফটি রেকর্ড বুক সংরক্ষণ। অত্র প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক সেইফটি রেকর্ড বুক ও সেইফটি বোর্ড ডাক্তার কর্তৃক সংরক্ষন করা হয়।
ধৌতকরণ সুবিধাঃ
- অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকগনের জন্য যথেষ্ঠ সংখ্যক উপযুক্ত গোসলখানা ও ধৌত করনের সুবিধা এবং উহার রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা আছে।
- উক্ত সুবিধাদি পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকগনের জন্য স্বতন্ত্রভাবে আছে এবং উহা যথাযথ ভাবে পর্দাঘেরা থাকিবে।
- উক্ত সুবিধাদি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় এবং সহজে গমন যোগ্য।
ক্যান্টিন সুবিধা। কারখানার শ্রমিকদের খাবার সুবিধার জন্য ক্যান্টিন/ ভোজনালয়ের ব্যবস্থা আছে। সকল শ্রমিক এই ক্যান্টিন/ভোজনালয়ে তাদের দুপুরের খাবার গ্রহণ করে থাকে। ক্যান্টিন/ভোজনালয়ে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হয়।
শিশুর জন্য সতন্ত্র কক্ষ। ৪৭ ধারা অনুযায়ী অটো কমপ্লেক্সে শিশুদের জন্য সতন্ত্র কক্ষ রয়েছে। মায়েরা তাদের শিশুকে এই কক্ষে রেখে কাজে যেতে পারেন। যেখানে একজন পরিচারিকা সার্বক্ষণিকভাবে এই শিশুদের দেখাশোনা করে থাকেন। মায়েরা প্রয়োজনে তাদের শিশুদের দেখে যেতে এবং দুধপান করাতে পারেন।
কল্যাণ কর্মকর্তা। অটো গ্র“প শ্রমিকের সার্বিক কল্যণের কথা বিবেচনা করে যে সমস্ত কারখানায় ৫০০ এর অধিক সংখ্যক কর্মচারী নিযুক্ত আছে তাদের জন্য একজন করে কল্যাণ অফিসার নিয়োগ করেছে। কল্যাণ অফিসার নিম্ম লিখিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন ঃ
- কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগীতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সংযোগ স্থাপন ও আলোচনা অনুষ্ঠান।
- শ্রমিকদের একক বা সমষ্টিগত কোন অনুযোগ থাকলে সেগুলো ত্বড়িৎ নিস্পত্তির জন্য কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত করা।
- শ্রমিকদের বক্তব্য উপলব্ধি করা এবং পারস্পরিক মত পার্থক্য দূর করার জন্য কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদেরকে সাহায্য করা।
- কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিলে সে বিষয়ে আপোষ-মিমাংসার জন্য নিজের প্রভাব কাজে লাগানো।
- শ্রমিক মালিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করা।
- শ্রমিকদের অধিকতর চিকিৎসা সুবিধার জন্য কারখানার মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা।
- শ্রমিকদের বিভিন্ন কমিটি ও যুগ্ম উৎপাদন কমিটি, সমবায় সমিতি ও ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠনকে উৎসাহিত করা বং তাদের কাজকর্ম তদারক করা।
- বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যথা ক্যান্টিন/ডাইনিং হল, বিশ্রামাগার, শিশুভবন, পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যাবস্থা, খাবার পানি ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা।
- সবেতনে ছুটি মঞ্জুরীর ব্যাপারে মালিক পক্ষকে সাহায্য করা এবং যেকোন ছুটি ও অন্যান্য নিয়মকানুনের ব্যাপারে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলা।
- গৃহ সংস্থান, খাদ্য, সমবায় সমিতিতে ন্যায্য মূল্যের যেকোন প্রতিষ্ঠানে সামাজিক ও প্রমোদমূলক সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্য-রক্ষা ব্যবস্থা, ছেলেমেয়েদের লেখা পড়ার সুযোগ ইত্যাদি শ্রম কল্যাণ মূলক বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা।
- শ্রমিকদের কাজের ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণমুলক ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা ও সুপারিশ করা।
- নবাগত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দান, শ্রমিকদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও কারিগরি ইনষ্টিটিউটে তাদের যোগ দানের উৎসাহদান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া।
by Mashiur | Dec 16, 2017 | ওয়েলফেয়ার
অভিযোগ বা ক্ষোভ
অভিযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বহুবিধ কারণ থেকেই অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে। অভিযোগের সাথে উৎপাদনশীলতা, শ্রমিক ঘূর্ণমায়তা, শ্রম অসন্তোস ইত্যাদি অনেক বিষয় জড়িত। তাই সুন্দর কর্মপরিবেশ ও কর্মসন্তষ্টি বজায় রাখার জন্য অভিযোগ নিয়ন্ত্রণ অতীব জরুরী। অনযোগ অভিযোগ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা শ্রমিক-মালিক সকলেরই দায়িত্ব। কার্যক্ষেত্রে যেহেতেু শ্রমিক এবং মধ্য-ব্যবস্থাপকগণ সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে তাই অভিযোগ নিয়ন্ত্রন ও নিরসনের ক্ষেত্রে মধ্য-ব্যবস্থাপকগণের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। …
আইনের সূত্র ঃ
অনুযোগ নীতিমালা বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সংবিধান, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫, আই.এল.ও কনভেনশন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বায়ারের কোড অব কন্ডাক্ট কঠোরভাবে মেনে চলি।
কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, শ্রমিক কর্মচারীদের সকলপ্রকার অসন্তষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি এবং পারস্পারিক দ্বন্দের অবসান ঘটানোর জন্য একটি নির্ধারিত ও ফলপ্রসূ অভিযোগ পদ্ধতি থাকা জরুরী। কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ পদ্ধতি একটি ফলপ্রসূ পদ্ধতি, যা একজন কর্মচারীকে তার অসন্তোষ বা অন্যায় ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করার অধিকার দেয়।
তাই কর্তৃপক্ষ সুন্দর কর্মপরিবেশ, সুষ্ঠ ও সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে একটি নিদিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে অভিযোগ সমূহের সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও ন্যায় সঙ্গত বিচারের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তষ্টি বজায় রাখতে সবসময় সচেষ্ট থাকেন এবং একই সাথে উক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিক লক্ষ্য রাখেন। তবে এ কথা বলা যায় যে মালিক শ্রমিক সর্ম্পক উন্নয়নই অভিযোগ হ্রাসের প্রধান উপায়। অটো গ্র“প এর কারখানা সমূহে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগন নিম্নোক্ত তিনটি উপায়ে তাদের অভিযোগ/পরামর্শ পেশ করতে পারেন।
অভিযোগ উত্থাপন পদ্ধতি ঃ
শ্রমিক কর্মচারী কর্তৃক দৈনন্দিন ফ্লোরে বিভিন্ন সময়ে দেয়া বিভিন্ন অভিযোগ/ অনুসারে সমাধানের পরও কারখানা কর্তৃক অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য নি¤েœ বর্ণিত পদ্ধতি সমুহ অনুসরন করে থাকে-
লিখিত অভিযোগঃ
- যে কারনে শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে তার যে কোন সমস্যা/অভিযোগ লিখিত ভাবে তার সুপারভাইজার/ লাইনচীপ/ ইনচার্জ/ এডমিন/ এইচ.আর./ কমপ্লায়েন্স এবং ফ্যাক্টরিতে এডমিন.এইচ.আর.এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগকে লিখিত ভাবে জানাতে পারেন যাতে তার সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
- প্রথমেই সুপারভাইজারকে তার সংশ্লিষ্ট লাইনচীপ এবং স্ব-স্ব ইউনিটের প্রসাশন বিভাগকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনবোধে প্রসাশন বিভাগ সরাসরি অভিযোগ নিরুপনের ব্যবস্থা করবেন।
মৌখিক অভিযোগঃ
- একজন শ্রমিক তার সমস্যা/অভিযোগ লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজ সুপারভাইজার/লাইনচীফ/ইনচার্জকে অবহিত করবে।
- সুপারভাইজার তার লাইন চীফ/ইনচার্জ/পিএম এর সাথে পরামর্শ করে শ্রমিক কর্তৃক উত্থাপিত অসন্তুষ্টি বা অভিযোগের তাৎক্ষনিক সমাধানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
- অভিযোগের জটিলতা বা গুরুত্বের উপর নির্ভর করে পিএম নিজে সমস্যার সমাধান প্রদানে ব্যর্থ হলে বিষয়টি ফ্যাক্টরীর জিএম/এজিএম এবং ফ্যাক্টরী ইনচার্জের গোচরে আনবেন। ফ্যাক্টরী ইনচার্জ নীতিমালা অনুযায়ী সমস্যা সমাধান প্রদান করবেন।
- একজন শ্রমিক যদি তার সুপারভাইজার, লাইনচীফ এবং পিএম কে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেশ করার পরও যদি কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় সেক্ষেত্রে সে সরাসরি কল্যাণ কর্মকর্তা/কমপ্লায়েন্স অফিসারের মাধ্যমে অভিযোগ পেশ করতে পারে অথবা নিজে সরাসরি ফ্যাক্টরী ইনচার্জের নিকট অভিযোগ উত্থাপন করতে পারে।
- কল্যাণ কর্মকর্তা যেকোন অভিযোগ প্রাপ্তির পর জঠিলতা ও মাত্রা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পিএম/এজিএম/জিএম এর সাথে আলোচনা করতঃ সমস্যার সমাধান করবেন। গুরুতর এবং গোপনীয় এমন কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে যেখানে মিড লেভেল ম্যানেজার (সুপারভাইজার/লাইন চীফ/সেকশন ইনচার্জ/পিএম/কোয়ালিটি ম্যানেজার)দের অবহিত করা বা সম্পৃক্ত করা অর্থহীন বা ঝুকিপূর্ণ সেখানে কল্যাণ কর্মকর্তা সরাসরি ফ্যাক্টরী ইনচার্জকে বিষয়টি অবহিত করবেন এবং ফ্যাক্টরী ইনচার্জ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অভিযোগ/মতামত/পরামর্শ বাক্স।
কারখানায় প্রতিটি মহিলা ও পুরুষ শ্রমিক টয়লেটে একটি করে এবং শ্রমিকদের ক্যান্টিনে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন করা আছে যার মাধ্যমে শ্রমিকবৃন্দ তাদের অভিযোগ/অসন্তুষ্টি লিখিতভাবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে দাখিল করতে পারে। পরামর্শ বাক্সের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন ঃ
- অত্র কারখানার প্রতিটি পুরুষ এবং মহিলা টয়লেট একটি করে পরামর্শ বা অভিযোগ বাক্স দেওয়া আছে। যার মাধ্যমে শ্রমিকগন তাদের অভিযোগ কিংবা অসুন্তুষ্টি লিখিত আকারে নিজের পরিচয় গোপন করে দাখিল করতে পারেন।পরামর্শ বাক্স এমনভাবে স্থাপন করা আছে যাতে শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ কোন প্রকার ভয়-ভীতি, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়া সহজে এবং নির্বিঘেœ /পরামর্শ/মতামত পেশ করতে পারে।
- পরামর্শ বাক্সে একজন শ্রমিক তার পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ জমা করতে পারে।
- পরামর্শ বাক্স সর্বদা তালাবদ্ধ থাকে এবং এর চাবি শুধুমাত্র কল্যাণ কর্মকর্তা ও ফ্যাক্টরী ইনচার্জ এর নিকট থাকে এবং উভয়ের যে কোন একজন প্রতিদিন অন্ততঃ দুইবার পরামর্শ বাক্স খুলে থাকেন।
- প্রতিটি অভিযোগ একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি লিখিত অভিযোগগুলো পৃথক একটি ফাইলে সংরক্ষন করা হয়। ফ্যাক্টরী ইনচার্জ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে প্রতিটি অভিযোগ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতঃ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন।
- উত্থাপিত অভিযোগ সাধারণ ধরনের হলে গৃহীত ব্যবস্থা নোটিশের মাধ্যমে সকলকে জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। গোপনীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে গৃহীত ব্যবস্থা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে অবহিত করে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। গোপনীয় গুরুতর অভিযোগ পৃথকভাবে সংরক্ষণ করা হয় যাতে করে অভিযোগকারী কোন প্রকার হয়রানির সম্মুখীন না হয় বা তার নিরাপত্তা বিঘিœত না হয়।
- নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষা। হিউম্যান রিসোর্স ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে অথবা বাইরের স্বাধীন নীরিক্ষকের মাধ্যমে কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিরাজমান অবস্থার প্রকৃত ও সঠিক অবস্থা জানার জন্য বিভিন্ন সময় নিরপেক্ষ সামাজিক নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। সামাজিক নিরীক্ষার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরন করে থাকেন।
- নিরীক্ষক বা নিরীক্ষক দল কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার তত্ত্বাবধান বা হস্তক্ষেপ ব্যতীত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে শ্রমিক কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সাক্ষাতকার গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ করে থাকেন।
- নিরীক্ষার পর নিরীক্ষক/নিরীক্ষক দল প্রাপ্ত সকল অভিযোগ নথিভুক্ত করে নিরীক্ষার প্রায় যাবতীয় বিষয় সমূহের সত্যতা যাচাই পূর্বক একটি গোপনীয় রিপোর্ট প্রনয়ণ করে তা সরাসরি ফ্যাক্টরীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা/উপযুক্ত ব্যবস্থা/সিদ্ধান্তের জন্য দাখিল করে থাকেন এবং পরবর্তীতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করে থাকেন।
- বহির্নিরীক্ষক দ্বারা গৃহীত সামাজিক নিরীক্ষা। অভ্যন্তরীন পর্যবেক্ষন ছাড়াও কৃর্তপক্ষ একজন ফ্যাক্টরী বর্হিভূত মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে থাকে যিনি কর্তৃপক্ষের কোনরূপ মধ্যস্ততা ছাড়াই স্বাধীনভাবে শ্রমিকদের মতামত গ্রহন করেন। এই মধ্যস্থতাকারী তার অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট তৈরী করে কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেন। কর্তৃপক্ষ এই রিপোর্টে কোন অসামঞ্জস্যতার কথা উল্লেখ থাকলে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
এইচ.আর বিভাগ
- গ্রিভেন্স পলিসি বাস্তবায়নেরক্ষেত্রে এইচ.আর বিভাগ নি¤œলিখিত রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করে, যথা
- পারসোন্যাল ফাইল,
- নিয়োগপত্র
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (সনদপত্রের ফটোকপি)
- হাজিরা কার্ড
- শ্রমিকের হাজিরা বহি
- ওভারটাইম শীট
- ছুটির রেজিষ্টার
- সার্বিস বহি
কমপ্লায়েন্স বিভাগ ঃ
সকল শ্রমিককে নিয়মিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং তার রেকর্ড রাখা কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্ব। নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে সিনিঃ কমপ্লায়েন্স অফিসার/ওয়েলফেয়ার অফিসার প্রতি সপ্তাহে শ্রমিকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণের বিষয়সমূহ নি¤œরূপ। যথা,
- কোম্পানীর নিয়োগ ও অন্যান্য নীতিমালা।
- বেতন ও ওভার টাইম।
- কর্তন পলিসি।
- ছুটি ও অবকাশ।
- মুক্ত দরজা নীতি।
- হয়রানী ও উৎপীড়নমুক্ত কর্ম পরিবেশ।
- অভিযোগ নীতিমালা।
- অংশগ্রহনকারী কমিটি।
- কোড অফ কন্ডাক্ট।
- সচেতনতা।
- পরিবেশ নিরাপত্তা ও স্বাস্থবিধি ।
ইন্টারনাল অডিটরের দায়িত্ব ঃ
গ্রিভেন্স পলিসি কারখানায় যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা সেক্ষেত্রে ইন্টারনাল অডিটর নি¤œলিখিত রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করেন, যথা
০ ইন্টারনাল অডিট রিপোর্ট
০ ইন্টারনাল সামারী অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে ম্যানেজমেন্ট সভার রেকর্ড
০ কারেকক্টিভ এ্যাকশান প্ল্যান রেকর্ড
০ মনিটরিং রিপোর্ট
যোগাযোগ প্রনালী ঃ
পলিসি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুই ভাবে যোগাযোগ সম্পাদন করা হয়। যথা,
১. ইনটারনাল কম্যুনিকেশন ও
২. এক্সটারনাল কম্যুনিকেশন।
ইনটারনাল কম্যুনিকেশন ঃ একই বিভাগের মধ্যে পারষ্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতি বিভাগে সহকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভার মাধ্যমে কর্মপদ্ধতি নির্ধারন করা হয়।
এক্সটারনাল কম্যুনিকেশন ঃ এক বিভাগের সাথে অন্য বিভাগের পারষ্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট মিটিং, অফিস আদেশ, নোটিশজারী, পি.এ. সিসটেম, এওয়ারনেসট্রেনিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে এক্সটারনাল কম্যুনিকেশন করা হয়।
ফিডব্যাক প্রসিডিউর
সংশ্লিষ্ট পলিসিটি যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার বাস্তব রূপটি তুলে আনা ইন্টারনাল অডিটরের কাজ। এ দায়িত্ব পালনেরক্ষেত্রে তিনি নি¤œ লিখিত রেকর্ডগুলি সংরক্ষণ করেন। যথা,
- ইন্টারনাল অডিট রিপোর্ট
- ইন্টারনাল সামারী অডিট রিপোর্টর ভিত্তিতে ম্যানেজমেন্ট সভার রেকর্ড
- কারেকক্টিভ এ্যাকশান প্ল্যান রেকর্ড
- মনিটরিং রিপোর্ট
by Mashiur | Dec 16, 2017 | ওয়েলফেয়ার
ভবিষ্য তহবিলের সুবিধাদি
অটো গ্র“প সকল শ্রমিক/ কর্মচারীদের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে ভবিষ্য তহবিল সুবিধা প্রবর্তন করেছে। ইন্ডাঃ(প্রাঃ) লিঃ কতৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করচে যে, মহিলা শ্রমিক/ কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অন্তঃসত্বা(চৎবমহধহপু) পরীক্ষা করা হয় না।এ ক্ষেত্রে মানব সম্পদ বিভাগ মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ব্যপারে উল্লেখিত নীতিমালা যথাযথ ভাবে পালনের নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর আলোকে অত্র প্রতিষ্ঠান শ্রমিক /কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিল সংক্রান্ত নিু লিখিত সুবিধা দিয়ে থাকে ঃ
- বিক্রির সময় উক্ত স্থানে সিকিউরিটি ইনচার্জ এবং ষ্টোর ইনচার্জ উপস্থিত থেকে সকল বিষয় দেখাশুনা করেন।
- যে সকল শ্রমিক / কর্মচারীদের চাকুরীর মেয়াদ এক বৎসর পূর্ন হয়েছে এবং অত্র প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃত তারা ভবিষ্য তহবিল সুবিধা গ্রহন করতে পারবে।
- ভবিষ্য তহবিলে নিয়মানুযায়ী চাঁদা প্রদানের আগ্রহী সকল শ্রমিকের মূল মজুরীর অন্যূন ৭% এবং অনধিক ৮% হারে মাসিক ভিত্তিতে মজুরী হতে চাঁদা কর্তন করা হবে।
- শ্রমিকের মজুরী হতে কর্তনকৃত চাঁদার সমপরিমান টাকা কোম্পানীর পক্ষথেকে প্রদান করে মোট টাকা প্রত্যেক শ্রমিকের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট একাউন্টে জমা হবে।
- উক্ত তহবিল একটি ট্রাষ্টি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং উক্ত বোর্ড তহবিলের সার্বিক হিসাব রক্ষন ও ব্যবস্থাপনা করবে।
- অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও শ্রমিক /কর্মচারীদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে উক্ত বোর্ড গঠিত হবে এং সরকার মনোনীত কোন ব্যক্তি উক্ত বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন।
- বৎসর শেষে ভবিষ্য তহবিলে জমাকৃত টাকার হিসাব চুড়ান্ত করে প্রত্যেক শ্রমিককে জানানো হবে।
- ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা প্রদানের তিন বৎসর পূর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক/ কর্মচারী কোম্পানীর সুবিধাদি প্রাপ্য হবে। তবে তিন বৎসরের পূর্বে কোন শ্রমিক/কর্মচারী স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে চলে গেলে তার জমাকৃত টাকা শুধুমাত্র ব্যাংকের মুনাফাসহ তাকে ফেরত দেওয়া হবে। উল্লেখ্য এইক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক /কর্মচারী কোম্পানীর প্রদত্ত টাকার অংশ বা তার কোন মুনাফা পাবেনা।
- কোন শ্রমিকের মৃত্যুর সময় তার ভবিষ্য তহবিলে যে অর্থ জমা থাকে, সেই অর্থ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মনোনীত ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়া হবে।
- ইন্ডাঃ(প্রাঃ) কতৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করছে যে,ফ্যাক্টরীর সকল বিভাগের ও সেকশনের উচ্ছিষ্টাংশ পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা সংগ্রহ ও বাছাই করে আলাদা আলাদা বস্তায় নির্ধারিত গোডাউনে সংরক্ষন করা হয়। এসকল বিষয় নিশ্চিতকরন ও তাদারকি করার জন্য একজন উধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। তিনি এ সকল উচ্ছিষ্টাংশ বাহিরের ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন।