কর্ম ঘন্টা নীতিমালা গুলো কি কি Working Hour policy

কর্ম ঘন্টা নীতিমালা গুলো কি কি? Working Hour policy

কর্ম ঘন্টা নীতিমালা

কর্ম ঘন্টা – কর্ম কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কাজের সময় নির্ধারন করেছে। কর্তৃপক্ষ তাদের উৎপাদন পরিকল্পনাকে এমন ভাবে তৈরী করে যেন তাদের সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা কোন সময় দেশের আইনের সীমাকে লংঘন না করে। কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে। শ্রমিকগণ প্রতিদিন ৮ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশী কাজ করতে পারবেনা। তবে জরুরী কাজের প্রয়োজনে শ্রমিকগণ দিনে সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টা এবং সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৬০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে তবে তা কোনভাবেই বছরে ৫৬ ঘন্টার বেশী নয়।

প্রতিদিনের কাজের সময় সূচী এবং বিরতি ঃ

কর্তৃপক্ষ একটি মানসম্পন্ন কাজের সময় সূচী নির্ধারন করেছে, যাহা বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী প্রনীত। প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্য়ক্রম সকাল ৮ ঘটিকায় শুরু হয় এবং বিকাল ৫ ঘটিকায় শেষ হয়।

তবে মাঝে বেলা ১.০০ টা থেকে বেলা ২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত দুপুরের খাবারের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠানের সাধারন কার্যক্রম ৮ অতিক্রম করেনা।

অতিরিক্ত কাজ ঃ

অতিরিক্ত কাজ সেচ্ছাধীন, বাধ্যতামূলক নয় । যদি কেউ ইচ্ছা করে তিনি অতিরিক্ত কাজ করবেন না তবে কর্তৃপক্ষ তাকে কোন বাধাদিতে পরবেনা। এই অতিরিক্ত কাজের সময় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ১২ ঘন্টা। কোন অবস্থাতেই এই অতিরিক্ত কাজের সময় সীমা সপ্তাহে ১২ ঘন্টার অতিরিক্ত হতে পারবেনা। কর্তৃপক্ষ কখনোই অতিরিক্ত কাজকে উৎসাহিত করে না তবে জরুরী কাজের প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে।

সাপ্তাহিক ছুটি ঃ

কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে প্রতিটি শ্রমিকেরই একদিন বিশ্রাম নেওয়া দরকার। বিশ্রাম শরীরের ক্লান্তি ও অবসন্নতা দূর করে। ফলে কর্মে স্পৃহা জাগে এবং কাজে বেশী উৎসাহ পাওয়া যায়। এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ শনিবার সাধারন ছুটি হিসাবে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখে। তবে অনেক সময় জরুরী কাজ যেমন, প্রাকৃতিক দূযোগ, লক আউট, ধর্মঘট, বৈদ্যূতিক বিপর্যয় বা জরুরী রপ্তানীর কারনে কারখানার কর্যক্রম খোলা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব ১ দিন বদলী ছুটি প্রদান করিবে এবং এতদসংক্রান্ত একটি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করার মাধ্যমে শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের পূর্বে অবগত করা হবে।

কর্মসময় সংরক্ষণ ঃ

প্রতিদিনের কর্ম ঘন্টা দৈনিক হাজিরা কার্ডের / বহির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিদিন শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণ তাদের দৈনিক হাজিরা কার্ডের / বহির  মাধ্যমে তাদের কাজের সময় সংরক্ষণ করে থাকে।প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকালীন সময় প্রতিটি নির্বাচিত প্রার্র্থীকে তাদের কর্মসময় সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়। এছাড়াও কাজের সময়সূচী নোটিশ বোর্ড এবং ফ্লোরের দৃশ্যমান স্থানে লাগিয়ে দিয়ে শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানে দৈনিক কার্য্যসূচী সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়।

Comments

Leave a Reply