Select Page
পোশাক শিল্পে সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা বা পদ্ধতি সমুহের চমৎকার  বর্ণনা

পোশাক শিল্পে সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা বা পদ্ধতি সমুহের চমৎকার বর্ণনা

সংগঠন করার স্বাধীনতা নীতিমালা

ভূমিকাঃ  শ্রমিক সংগঠনের উদ্দেশ্য হবে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করা, মালিক ও শ্রমিক উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষন করা, আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের উদ্ভুত সমস্যার সমাধান করা, পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্বুদ্ধ করা এবং কারখানার সার্বিক উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণকে সক্রিয় রাখা। নীটওয়্যার লিঃ তাদের শ্রমিক/কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ত্রয়োদশ অধ্যায়ের ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ এর ১৭৬ ধারা মোতাবেক ওরিয়ন গ্রুপ আইন সংগত ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগঠন করার স্বাধীনতা প্রদান করে। ট্রেড ইউনিয়নের কাজ হবে তার সদস্যদের স্বার্থ উন্নয়ন করা এবং এ লক্ষ্য অর্জনে মালিকের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া।
নীটওয়্যার লিঃ শ্রমিকবৃন্দের সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন করাকে সমর্থন করে এই সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও বিধিমালা প্রনয়নে, অংশগ্রহন ও যোগদানের ক্ষেত্রে, অন্য কোন সংস্থা বা কনফেডারেশনের সাথে সম্বন্ধীকরনে এবং উক্ত বিষয় সর্ম্পকীত কর্মসূচী প্রনয়নের ব্যাপারে ব্যাবিলন গ্রুপ কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কোনরূপ নিরুৎসাহিত বা হুমকি প্রদান করে না। সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতার নীতি নিুরূপ ঃ

  • ভেদাভেদ নির্বিশেষে কোনরূপ পূর্ব অনুমতি ছাড়াই কেবল সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিধিমালা সাপেক্ষে নিজেদের পছন্দমত সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং সংগঠনে যোগদানের অধিকার এ্যাপারেল্স লি: এর সকল শ্রমিকদের আছে।
  • শ্রমিকদের এবং মালিকদের সংগঠনসমূহের নিজস্ব সংবিধান ও বিধিমালা প্রণয়নের, সম্পুর্ণ স্বাধীনভাবে নিজস্ব প্রতিনিধিদের নির্বাচনের, সংগঠনের প্রশাসন ও কর্মতৎপরতা, সংগঠনের এবং কর্মসুচী প্রণয়নের অধিকার আছে।
  • শ্রমিকদের ও মালিকদের সংগঠন সমুহের ফেডারেশন বা কনফেডারেশন এবং অনুরূপ যে কোন সংগঠন গঠনের ও তাতে যোগদানের অধিকার থাকবে এবং অনুরূপ ফেডারেশন বা কনফেডারেশন সমুহের মালিক বা শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও কনফেডারেশনের সাথে সংগঠন ভুক্ত হওয়ার অধিকার থাকবে।
  • শ্রমিক ও মালিকদের সংগঠন সমুহকে উপরোক্ত বিধান সমুহের অধিনে অধিকার প্রয়োগের বেলায় দেশের আইনের প্রতি অনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে।
  • শ্রমিকদের সংগঠন অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইন অনুযাযী যথাযত কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে রেজিষ্ট্রি করাতে হবে।
  • কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সংগঠনের কার্য্যাবলী বা সংগঠনের প্রতি খোলামন নীতি গ্রহণ করবেন।
  • দেশে বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযাযী শ্রমিকদের প্রতিনিধির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না এবং কার্য্যক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধির কার্য্যাবলীর জন্য সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে।
  • কোন শ্রমিক একই সময় একাধিক শ্রমিক সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহন করতে বা সদস্য পদ অব্যাহত রাখতে পারবে না।
  • কোন ব্যক্তি কোন শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা আছেন কিনা তার ভিত্তিতে চাকুরীতে নিযুক্তি, পদোন্নতি, চাকরীর শর্ত বা কাজের শর্ত নির্ধারনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না।
  • নিুোক্ত কারণে কোন শ্রমিককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারনের হুমকি দেয়া কিংবা চাকুরী ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দেয়া যাবে না-

কোম্পানীর পদ্ধতিসমূহ  :

১) আইন অনুযায়ী কার্যকর বিল্ডিং কাঠামো এবং ক্ষতিকর দ্রব্যাদি সংরক্ষন নীতি তৈরী এবং বাস্তবায়ন করা।
২) রাসায়নিক মজুদ নিয়ন্ত্রন বা হস্তান্তর সর্ম্পকে কর্মচারীদের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
৩) অন্যান্য বর্জ্য বস্তুুর সাথে রাসায়নিক মিশ্রিত হয়নি, এটা নিশ্চিত করা এবং গ্রীজ জেনারেটরের মাধ্যমে তেল পৃথকীকরন এবং গ্রীজের মাধ্যমে তেল সংগ্রহ করা।
৪) বর্জ্যরে ধরনের ক্ষেত্রে বৈধ বিধ বিধান অনুযায়ী এগুলোকে ফেলে দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বর্জ্যগুলো এমনভাবে মজুদ করতে হবে যাতে এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে।
৫) পরিবেশ নীতিসমূহ যোগাযোগ, বিস্তার এবং দেখাশোনা করার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ করে তার মাধ্যমে কোম্পানীর যাবতীয় নীতিসমূহের বাব্বায়ন করা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির পদবী ঃ ম্যানেজার – কমপ্লায়েন্স
৬) ফ্যাক্টরীর পরিবেশ সংক্রান্ত নীতিসমূহ সর্ম্পকে সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সকল সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষন প্রদান করা।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং নথিপত্রকরণ

দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিবেশ সংক্রান্ত ফ্যাক্টরীর নীতিসমূহ কর্মীদের সাথে সহযোগিতা করেন। যন্ত্রপাতি পরিচালনা করার জন্য প্রবাহশীল পানি, নির্গমন, বর্জ, প্রয়াজনীয় অনুমোদন বিষয় ডকুমেন্ট করেন। কাজে লাগানোর জন্য ব্যবহারশীল ওয়াটার ট্রীটমেন্ট প্লান্টস ও পানির মান সর্ম্পকে অবশ্যাই অনুমোদন উম্মোচন করেন এবং সকল নথিপত্র সংরক্ষন করেন। যদি উক্ত শ্রমিক কোন সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা হয়েছেন বা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য কোন ব্যক্তিকে সম্মত করানের চেষ্টা করছেন

উপসংহার

কোন সংগঠন গঠনের বা সংগঠনের স্বার্থ সংরক্ষণের বা সংগঠনের কর্মতৎপরতা চালানোর কাজে অংশগ্রহণ করেছেন । কোন শ্রমিককে সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা না হওয়ার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হয়ে থাকলে তা বর্জনের জন্য প্রলুব্ধ করা এবং উক্ত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান বা প্রদানের প্রস্তাব করা যাবে না। কাজ চলাকালে কোন শ্রমিককে সংগঠনে যোগদানের জন্য অথবা যোগদান থেকে বিরত থাকার জন্য সম্মত করার চেষ্টা করা যাবে না। সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য অথবা বিরত থাকার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত থাকার বা না থাকার জন্য কোন ব্যক্তিকে ভিতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোন শ্রমিক কোনরূপ সুযোগ সুবিধা প্রদানের বা সুযোগ সুবিধা আদায় করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সংগঠনের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে যোগদান থেকে বিরত থাকার অথবা সদস্য পদ ত্যাগ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবে না।

কারখানার পরিবেশ কি? পোশাক কারখানার বর্জের শ্রেনী বিভাগ বর্ণনা ও বর্জ্য অপসারন পদ্ধতি

কারখানার পরিবেশ কি? পোশাক কারখানার বর্জের শ্রেনী বিভাগ বর্ণনা ও বর্জ্য অপসারন পদ্ধতি

পরিবেশ কি?

আমাদের চারিপাশে যা আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ। পরিবেশ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আমরা যে পরিবেশে বাস করি সে পরিবেশকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই আমাদের কৃত কর্মের জন্য যাতে পরিবেশ নষ্ট বা দুষিত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার দায়িত্বও আমাদের …

সমস্ত প্রযোজ্য আইন এবং বৈধ বজায় সহ প্রবিধান সঙ্গে পূর্ণ সম্মতি মধ্যে সব অপারেশন পরিচালনা করা হয় . নিম্নে উল্লেখিত কারনগুলোর দ্বারা কর্ম ক্ষেত্র পরিবেশ নষ্ট হতে পারে।

  • অপরিষ্কার ও নোংরা কারখানা।
  • অপরিশোধিত গ্যাস, বাষ্প , ধোঁয়া, ইত্যাদী।
  • কারখানার বর্জ্য পদার্থ।
  • দুর্গন্ধ।
  • মেশিন, কাচাঁমাল, উৎপন্ন কাপড়ের এলোমেলো অবস্থান, ইত্যাদী।

কারখানার পরিবেশ ভালো না হলে কিকি ক্ষতি হতে পারে।

সক্রিয়ভাবে কুমারী কাঁচামাল এবং, কাঁচা মাল ব্যবহার অপ্টিমাইজেশান ক্রমাগত উন্নতি দেখাচ্ছে বৃদ্ধি পুনর্ব্যবহার এবং কাঁচামাল পুনরায় ব্যবহার দ্বারা পরিবেশের উপর তার প্রভাব তার ব্যবহার হ্রাস করা হয়

  • কর্মস্থলে পরিবেশ খারাপ হলে তা শ্রমিকের স্বাস্থ্যকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে যা কর্মস্থলে শ্রমিকের অনুপুস্থিতির হার বাড়িয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে কারখানার উৎপাদনশীলতা কমে যায়।
  • পরিবেশ ভালো না থাকলে শ্রমিক অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। কোথায় সেবা পাওয়া যায়, সব বিপজ্জনক বর্জ্য একটি অনুমোদিত কোম্পানী বা লাইসেন্সকৃত রিসিভার দ্বারা পরিচালিত হতে হবে.
  • শ্রমিকের কর্ম ক্ষমতা কমে যায়।
  • কারখানার উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে।
  • দূষিত পরিবেশের কারনে উপাদিত পন্যের ক্ষতি হতে পারে বা তা নষ্ট হতে পারে।
  • দূষিত পরিবেশের কারনে কমপ্লায়েন্স বিঘিœত হতে পারে।

কারখানার পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য আমাদেরকে নিম্ন লিখিত সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

বর্জ্য বর্জন অগ্রগতি দেখায় এবং সক্রিয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি অর্থনীতি সাথে ইন-লাইন সমাধান প্রস্তাব

  • কারখানার মধ্যে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা করা দরকার।
  • প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা।
  • কারখানার অভ্যন্তরের তাপমাত্রা ও আদ্রতা সহনীয় মাত্রায় রাখার ব্যবস্থা করা।
  • কারখানায় কোন বর্জ্য ফেলে রাখা যাবেনা।
  • বর্জ্য সময়মত অপসারন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • বিভিন্ন পোকা – মাকঁড়, মশা-মাছি যাতে কারখানায় সহজে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।
  • কারখানার ভিতরে যাতে কোন ধোঁয়ার সৃষ্টি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা।
  • কারখানায় ভালো পয়ঃ নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
  • কারখানার আশে পাশের এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • দূগন্ধ সৃষ্টিকারী কোন পদার্থ কারখানা অভন্ত্যরে রাখা যাবেনা।

পোশাক কারখানার বর্জের শ্রেনী বিভাগ

সাধারনত বর্জ্যের পচন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে বর্জ্যকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা ঃ ১.  বায়োডিগ্রেডেবল এবং নন বায়োডিগ্রেডেবল। যে সকল দ্রব্য সহজে প্রাকৃতিক নিয়মে পচেঁ যায় সেগুলিকে  বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য বলে। অপরদিকে যে সকল বর্জ্য প্রাকৃতিক  নিয়মে পচেঁনা তাদেরকে  নন বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য বলে। পচন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে বর্জ্য বিভিন্ন উপায়ে ডিসপোসাল করা হয়। বর্জ্যের ধরন এবং পচন প্রক্রিয়া অনুযায়ী এদেরকে নিম্ন লিখিত ভাবে ভাগ করা যায় ঃ

  • ফেব্রিক ওয়াষ্ট বায়োডিগ্রেডেবল
  • ফেব্রিক ওয়াষ্ট নন বায়োডিগ্রেডেবল
  • মিসসেলেনিয়াস ওয়াষ্ট  বায়োডিগ্রেডেবল
  • মিসসেলেনিয়াস ওয়াষ্ট  নন বায়োডিগ্রেডেবল

পোশাক কারখানার ডিসপোসালের জন্য নিম্নলিখিত পদ্বতি অনুসরন করতে হবে ঃ

কারখানায় যে সকল বর্জ্য উৎপন্ন হয় তা পরিবেশের জন্য অতি ক্ষতিকর। অপারকল্পিত বর্জ্য ডিসপোসাল কারখানার চারপাশকে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর  করে তোলে। অপরিষ্কার পরিবেশ কারখানার পরিবেশকে দূষিত করে  তোলে যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। পরিকল্পিত বর্জ্য শোধন পদ্বতি পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করে। পচন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বর্জ্য বিভিন্ন উপায়ে ডিসপোসাল করা হয়।

ফেব্রিক ওয়াষ্ট  বায়োডিগ্রেডেবল:

তুলা ও অযান্য প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে উৎপন্ন ফেব্রিকগুলো বায়োডিগ্রেডেবল। সহজে পচে যায় বলে বায়োডিগ্রেডেবল দ্রব্য পরিবেশের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। এ সমস্ত ফেব্রিক ওয়াষ্ট আলাদাভাবে গুদামজাত করতে হবে। এবং কখনো সিনথেটিক ফেব্রিক ওয়াষ্টের সাথে মিশানো যাবেনা।

ফেব্রিকস নন বায়োডিগ্রেডেবল:

সিনথেটিক ফেব্রিক্স কখনো বায়োডিগ্রেডেবল না কারন এগুলো প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় পচেঁনা। এজন্য সিনথেটিক ফেব্রিক্স পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এ সকল ফেব্রিক কৃত্রিম উপায়ে বিশেষ পদ্বতির মাধ্যমে পচানো হয়।  সিনথেটিক ফেব্রিক্স ওয়াষ্টকে আলাদাভাবে গুদামজাত করতে হবে এবং কখনো কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুতকৃত নন বায়োডিগ্রেডেবল ওয়াষ্টের সাথে মিশানো যাবেনা।

মিসসেলেনিয়াস  ওয়াষ্ট  বায়োডিগ্রেডেবল :

যে সমস্ত  দ্রবাদি প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে উৎপন্ন বা প্রস্তুত করা হয় সে সমস্ত দ্রব্য সহজে  বায়োডিগ্রেডেবল। সহজে পচে যায় বলে  এ সমস্ত বায়োডিগ্রেডেবল ওয়াষ্ট পরিবেশের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। এ সমস্ত ওয়াষ্ট আলাদাভাবে গুদামজাত করতে হবে। এবং কখনো কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুতকৃত নন বায়োডিগ্রেডেবল ওয়াষ্টের সাথে মিশানো যাবেনা।

মিসসেলেনিয়াস  ওয়াষ্ট  নন বায়োডিগ্রেডেবল :

যে সমস্ত আইটেম কৃত্রিম ও প্লাষ্টিক দ্রব্য থেকে প্রস্তুত হয় সে সমন্ত আইটেম বায়োডিগ্রেডেবল না ও প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাভাবিকভাবে পচেনা। এগুলোর নিরাপদ ডিসপোসালের জন্য বিশেষ পদ্বতি অনুসরন করা হয়। এ সমন্ত  ওয়াষ্ট আলাদাভাবে গুদামজাত করতে হবে। কখনো অন্য কোন দ্রব্যের সাথে মিশানো যাবেনা।

বর্জ্য ডিসপোসাল এলাকা :

প্রতিটি  কারখানার বর্জ্য  ডিসপোসালের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকা থাকা উচিত। উপরের উল্লেখিত বর্জ্য গুদামজাত করার  জন্য আলাদা আলাদা প্রকোষ্ঠ / ঘর থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটি প্রকোষ্ঠ / ঘরে কোন ধরনের বর্জ্য আছে তা চিহ্নিত করে সাইন  / প্লেট কার্ড লাগাতে হবে। এছাড়া প্রকোষ্ঠ / ঘরের বাইরে লিখে রাখা উচিত যাতে সহজে বুঝা যায় কোন প্রকোষ্ঠ / ঘরে কোন দ্রব্য রাখা আছে।

যে এলাকায় বর্জ্য রাখা হবে তার উপরে অবশ্যই সেড থাকতে হবে, বৃষ্টির পানি পড়ে এমন জায়গায় কখনো রাখা যাবেনা। যদি বর্জ্য খোলা জায়গায় রাখা হয় তাহলে বৃষ্টির পানির সাথে আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে এবং বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যাবে ও গন্ধ ছড়াবে এবং এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে।

কারখানা থেকে বর্জ্য অপসারন একটি নিয়মিত কাজ। বর্জ্য  অপসারনের সময়সূচী প্রত্যেক কারখানার দেয়ালে টানিয়ে রাখা উচিত যাতে সবাই জানে কবে বর্জ্য অপসারন করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বর্জ্য অপসারন করা উচিত। এর ব্যতিক্রম হলে কারখানার অভ্যন্তরে বর্জ্যের  স্তুপ হয়ে যাবে এবং কারখানার ভিতরে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

বর্জ্য অপসারন অবশ্যই এ কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা করা উচিত। যে প্রতিষ্ঠানে বা ব্যক্তি বর্জ্য অপসারন কাজে নিয়োজিত থাকবে তার অবশ্যই লোকাল অথরিটি কর্তৃক অনুমোদিত লাইসেন্স থাকতে হবে এবং নিয়োগ প্রদানকারী কারখানা লিখিত চুক্তির মাধ্যমে অপসারনকারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়োজিত করবে।

টিউব লাইট ঃ

নষ্ট টিউব লাইট কারখানার অন্যতম বর্জ্য তাই ইহাকে অত্যান্ত সর্তকতার সহিত অপসারন করতে হবে। একটি টিউব লাইটে যে পরিমান মার্কারী থাকে তা একটি মাঝারী মানের পুকুরের মাছ ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। সমন্ত টিউব লাইট বক্সেও মধ্যে  উলম্ব /দাড়াঁনো অবস্থায়  গুদামজাত করা উচিত, সমান্তরাল অবস্থায় গুদামজাত করলে  ভেংগে গিয়ে মার্কারী  বের হয়ে যেতে পারে।

পোশাক কারখানায় বর্জ্য নিস্কাশন পদ্ধতি Waste Disposal Policy কি?

পোশাক কারখানায় বর্জ্য নিস্কাশন পদ্ধতি Waste Disposal Policy কি?

বর্জ্য নিস্কাশন পদ্ধতি

নষ্ট টিউব লাইট, ভাঙ্গা গ্লাস এবং অন্যান্য বর্জ্য যদি রি-সাইক্লিং এর উপযোগী হয় তাহলে সাময়িকভাবে স্টোরে মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়, পরবর্তীতে এগুলো রি-সাইক্লিং এর জন্য  প্রস্ততকারকের নিকট বিক্রয় করা হয় অথবা স্থানীয় ক্রেতার নিকট বিক্রয় করা হয়।  AUTO নীটওয়্যার লিঃ কর্তৃপক্ষ আশা করে তার কারখানায় সৃষ্ট বর্জ্য দ্বারা পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই এবং যে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তি থেকে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা বিষয়ক যে কোন ধরনের সুপারিশমালা, উপদেশ ইত্যাদি গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হয় এবং কর্তৃপক্ষ তার নীতির সাথে বিরোধ সৃষ্টি না করলে তার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। …

অটো নীটওয়্যার লিঃ এবং এর সকল কার্যক্রম নিম্ন লিখিত পদ্ধতিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকল্পে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কর্তৃপক্ষ কাঁচামাল ব্যবহার, পণ্য উৎপাদন এবং বর্জ্য নিস্কাশনের সময় পরিবেশ রক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে ও বাহিরে এনভায়রনমেন্ট  ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম বা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা  পদ্ধতি নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে এবং চারদিকে পরিবেশ সহায়ক অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল নীতি প্রয়োগে বদ্ধ পরিকর।

কোম্পানীর নিস্কাশিত বর্জ্য থেকে পরিবেশ ও কর্মী, এক কথায় সার্বিক সমাজ রক্ষার্থে কিছু  সুসংঘবদ্ধ কার্য পদ্ধতি  তৈরী  করেছে। সাধারনত ফ্যাক্টরীর নিস্কাশিত বর্জ্য হচ্ছে অব্যবহারযোগ্য কাপড়, খালি রাসায়নিক পদার্থের পাত্র, বর্জ্য কাপড়ের জন্য  ব্যবহৃত রাসায়নিক  পাত্র, স্টেশনারী বস্তু  প্রভৃতি।

বর্জ্য নিস্কাশন পদ্ধতি জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা নিম্নে দেয়া হলো ঃ

  • উৎপাদন ব্যবস্থাপনার প্রতিদিনের বর্জ্য, নিদিষ্ট কার্টুন বা বর্জ্যরে বক্সে জমা করা হবে বং প্রতি কর্ম দিনের শেষে এসব বর্জ্য ফ্যাক্টরীর বাহিরে নির্ধারিত নিরাপদ জায়গায় ফেলা হবে।
  • বিভিন্ন সেকশনের অব্যবহারযোগ্য কাপড়একটি কার্টুন বা বর্জ্য বক্সে রাখা হবে যাতে এগুলো ফ্লোরে ছড়িয়ে না পড়ে। বর্জ্য সংগ্রহ এবং নিস্কাশনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা, বর্জ্যের বক্স আনানেয়ার সময় যেন কোন বর্জ্য মাটিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • সকল অব্যবহারযোগ্য কাপড় নির্ধারিত নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে এবং সংরক্ষনের জায়গা সর্বদা শুকনা হওয়া উচিত।
  • খালি রাসায়নিক  পদার্থের পাত্রের অবশিষ্টাংশ ফ্যাক্টরীর বাহিরে নির্ধারিত খোলা শুকনো জায়গায় নিয়ে পরিস্কার করতে হবে। অবশিষ্টাংশ নিস্কাশনের জন্য বা অন্য কোন কারনে রাসায়নিক পদার্থের ড্রাম কাটা উচিৎ নয়।
  • রাসায়নিক পর্দাথের খালি পাত্র ফ্যাক্টরীতে ব্যবহার করা উচিৎ নয় বা কোন কারনে কোন কর্মীকে ব্যবহারের জন্য দেয়া উচিৎ নয়।
  • বর্জ্য নিস্কাশনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য, তাদের সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিক এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে।
  • বর্জ্য সরানোর সময় যেন বর্জ্য সরানোর পদ্ধতির কারনে কোথাও বর্জ্য ছড়িয়ে না পড়ে এবং এর ফলে কোন শ্রমিক / কর্মী ও এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তা নিশ্চিত করা হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

অটো নীটওয়্যার লিঃ -এর সকল কার্যক্রম নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকল্পে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কর্তৃপক্ষ কাঁচামাল ব্যবহার, পণ্য উৎপাদন এবং বর্জ্য নিস্কাশনের সময় পরিবেশ রক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে ও বাহিরে এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম বা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে এবং চারদিকে পরিবেশ সহায়ক অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল নীতি প্রয়োগে বদ্ধ পরিকর।

কোম্পানীর নিস্কাশিত বর্জ্য থেকে পরিবেশ ও কর্মী, এক কথায় সার্বিক সমাজ রক্ষার্থে কিছু সুসংঘবদ্ধ কার্য পদ্ধতি তৈরী করেছে। সাধারনত ফ্যাক্টরীর নিস্কাশিত বর্জ্য হচ্ছে অব্যবহারযোগ্য কাপড়, খালি রাসায়নিক পদার্থের পাত্র, বর্জ্য কাপড়ের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক পাত্র, স্টেশনারী বস্তু প্রভৃতি।

বর্জ্য নিস্কাশন পদ্ধতি নির্দিষ্ট নীতিমালা নিম্নে উল্লেখ করা হলো ঃ

  • উৎপাদন ব্যবস্থাপনার প্রতিদিনের বর্জ্য, নিদিষ্ট স্থানে জমা করা হবে এবং প্রতি কর্ম দিনের শেষে এ সব বর্জ্য ফ্যাক্টরীর বাহিরে নির্ধারিত নিরাপদ জায়গায় ফেলা হবে।
  • প্রতি মাসে ২বার বর্জ্য সংগ্রহকারীর দায়িত্বে ফ্যাক্টরীর নির্ধারিত বর্জ্য হস্তানন্তর করতে হবে।
  • বর্জ্য সংগ্রহ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বর্জ্য নিস্কাশনের সময় যাতে কোন বর্জ্য মাটিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • সকল প্রকার বর্জ্য হস্তানন্তরের জন্য ফ্যাক্টরীর কর্মকর্তা / কর্মচারীর সমন্বয়ে একটি কমিটি থাকবে। যেখানে যথাক্রমে ষ্টোর = ০১ জন, এডমিন = ০১ জন, প্রডাকশন (গার্মেন্টস) = ০১ জন এবং সিকিউরিটি সেকশন থেকে = ০১ জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। তাদের দায়িত্ব হবে সঠিক হিসাব নিরুপন ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা তৈরি করা।
  • ফ্যাক্টরীর বর্জ্য হস্তানন্তরের পর যাবতীয় তথ্যাদী / হিসাব সংরক্ষনের জন্য ষ্টোর বিভাগ একটি রেজিষ্টার খাতা সংরক্ষন করবে।
  • বর্জ্য নিস্কাশনে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য, তাদের সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিক এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে।
  • বর্জ্য সরানোর সময় যেন বর্জ্য সরানোর পদ্ধতির কারনে কোথাও বর্জ্য ছড়িয়ে না পড়ে এবং এর ফলে কোন শ্রমিক / কর্মী ও এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তা নিশ্চিত করা হবে।
হাউস কিপিং কি? মুখোস ও হাত মোজা ব্যবহার বিধি বর্ণনা

হাউস কিপিং কি? মুখোস ও হাত মোজা ব্যবহার বিধি বর্ণনা

হাউস কিপিং:

ভাল হাউস কিপিং এর জন্যে কর্মপরিবেশ উন্নত হয়, নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। সুন্দর সাজানো গুছানো স্থানে সকলেই কাজ করতে ভালবাসে। তাই নিজেদেও কর্মস্থল গুছিয়ে রাকা উচিত। এর জন্য নিলিখিত কাজগুলি করা দরকার।

  • সকল ফ্লোর সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছ্ন্ন রাখা।
  • সকলের জন্য নির্ধারিত ইউনিফরম, আইডি কার্ড ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পড়ে কাজ করা।
  • সিজার, কার্টার মেশিনের সাথে বাধাঁ থাকবে।
  • প্রতিদিন কাজ শুরুর পূর্বে সুতা ধরে লাইন সোজা করা।
  • প্রত্যেক অপারেটরকে তাদের মেশিন পরিস্কার করার নির্দেশ দেয়া।
  • গার্মেন্টস ফ্লোরে না রেখে ঝুড়ি বা বাক্সে রাখা।
  • প্রতিটি জায়গার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • জুতা টেবিল বা মেশিনের নিচে না রেখে নির্দিষ্ট কার্টন বা রেকে রাখা।
  • সুতা শেষ হলে খালি কোন ফ্লোরে না ফেলে জমা দিয়ে নতুন সুতা আনা।
  • ববিন কেস এবং নিরাপত্তা গার্ড সহ মেশিনের যে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ফ্লোরের মেকানিক্সকে দিয়ে তা ঠিক করা।
  • মেশিন যত্রতত্র না রেখে সমান দূরত্বে সাজিয়ে রাখা ।
  • মেশিন লে আউটের সময় সকল মেশিনের সমান দূরত্ব বজায় রাখা (সাধারনত ৪০ ইঞ্চি পর পর)।
  • সকল রাস্তা বা হলুদ দাগগুলো অবমুক্ত রাখা।
  • সকল শ্রমিক বাঁধামুক্ত অবস্থায় কাজ করা।
  • ফেব্রিক, গার্মেন্টস এবং এক্সিসরিজ নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষন করা।
  • সকল দরজা, প্রবেশ পথ কিংবা বাহির পথ (ঊীরঃ) বাঁধা মুক্ত থাকবে।

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি

শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদেও মধ্যে প্রয়োজনীয় চচঊ সরবরাহ করা হয়েছে। এই চচঊ গুলো কিভাবে ব্যবহার করা হবে এ সম্পর্কে সকলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় ক্রমান্বয়ে। প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিকট সরবরাহকৃত চচঊ কাজ চলাকালীন সময়ে ব্যবহার করবেন। নিরাপদ ও সঠিকভাবে চচঊ রক্ষণা-বেক্ষণ করা প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব দায়িত্ব।

নিুলিখিত আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি  ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ে আলোচনা করা হলো ঃ

নিডিল গার্ড: সুইং মেশিনে কাজ করার সময় যাতে নিডিল হাতে লেগে কোন শ্রমিক আহত না হয় সেজন্য সুইং মেশিনে সঠিকভাবে নিডিল গার্ড লাগিয়ে কাজ করার অভ্যাস করতে হবে।

আই গার্ড: ওভারলক এবং ফ্লাড লক মেশিনে কর্মরত শ্রমিকের চোখের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই সঠিকভাবে আই গার্ড লাগিয়ে কাজ করতে হবে।

হাত মোজা:

কাটিং মেশিনে কার্যরত প্রত্যেক শ্রমিককে অবশ্যই ধাতব হাত মোজা (গবঃধষ ঐধহফ এষড়াবং) ব্যবহার করতে হবে। হাত মোজা শ্রমিকের হাতকে সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা করে। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

  • কেমিক্যাল ষ্টোর এবং ডাইং এলকায় কর্মরত শ্রমিকগনকে কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবার জন্য হাত মোজা (ঐধহফ এষড়াবং) পড়তে হবে ।
  • ওয়াশিং এর কাজে নিয়োজিত সকলকে হাত মোজা (ঐধহফ এষড়াবং) ব্যবহার করতে হবে।

হাত মোজা ব্যবহার বিধি ঃ

  • প্রথমে দেখে নিতে হবে হাত মোজাটি হাতে সঠিকভাবে লাগছে কিনা।
  • শ্রমিক হাত মোজা ব্যবহার করছে কিনা তা ফ্লোর-ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তদারক করবেন।
  • হাতমোজার কার্যকারিতা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করতে হবে।
  • কোন ত্র“টি দেখা দিলে ফ্লোর-ইনচার্জকে জানাতে হবে ও প্রয়োজনে বদলে নিতে হবে।
  • লক্ষণীয় এটি শ্রমিকের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। তাই এটি পরতে যতœবান হউন।

মুখোশ ঃ

যারা আমাদেও কারখানাতে কাটিং সেকশন ও সুইং সেকশনে কাজ করেন তাদেও জন্য কাপড়ের মাস্ক বা ডাষ্ট মাস্ক এবং ডাইং এলাকায় কর্মরতদেও জন্য কেমিক্যাল মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। প্রধানতঃ কাপড় ডাইং করার সময়, কাটার সময় এবং সুইং মেশিনে কাজ করার সময় এক ধরণের ময়লা তৈরী হয় যা অত্যন্ত হালকা এবং বাতাসে ভেসে বেড়ায়, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে এই অতি ক্ষুদ্র ময়লাগুলি শ্রমিকদেও শ্বাসনালীতে প্রবেশ কওে তাদেও শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই মাস্কটি তাকে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।

মুখোস (মাস্ক) ব্যবহার বিধি ঃ

  • প্রথমে দেখে নিতে হবে যে মুখোশটি ( মাস্ক ) সরবরাহ করা হয়েছে তা মাপ মতো কিনা।
  • পরীক্ষা কওে দেখে নিতে হবে কোন ত্র“টি আছে কিনা, থাকলে ফ্লোর-ইনচার্জকে বলতে হবে।
  • ফ্লোর-ইনচার্জ ও সুপারভাইজার সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে মুখোশ ব্যবহার শিক্ষা দেবে এবং তা ব্যবহার করছে কিনা তা তদারক করবে।
  • এই মুখোশটি (মাস্ক) স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করবে, তাই সকলকে মুখোশ (মাস্ক) ব্যবহাওে সতর্ক হতে হবে।                                                                      হাউস কিপিং
বায়ু ও পরিবেশ দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালা ও তথ্য নির্ভর বর্ণনা

বায়ু ও পরিবেশ দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালা ও তথ্য নির্ভর বর্ণনা

(পরিবেশ দূষণ)

বায়ু ও পরিবেশ দূষণ

অটো গ্র“প কর্তৃপক্ষ কারখানার পরিবেশ সংরক্ষণ ও সমুন্নত রাখার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ বিষয়ে১৯৯৫ এর শর্তাবলী সমূহ সম্পূর্ন মেনে চলে । কোম্পানির লিখিত কোন এথিকাল ট্রেডিং নীতি রয়েছে কিনা জা কর্মীদের জ্ঞাত করে। সাইট টি সেক্ষেত্রে রেজিস্টারকৃত কিনা এবং নিজস্বে মূল্যায়নের কপি টেসকোকে দেখিয়েছে কিনা। নিম্নোক্ত নীতিমালা সমূহ পরিবেশ সংরক্ষন নীতিমালা হিসেবে বিবেচ্য হবে এবং অত্র কোম্পানীর সকল কারখানা/প্লান্ট এর জন্য প্রযোজ্য হবে। নীতিমালা সমূহ নিুে উল্লেখ করা হলো …

বায়ু দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালা ঃ

  • প্রথমে কোন ব্যাচ মেশিনে উঠবে তা জানা, ব্যাচ কাড এবং রেসিপি ঠিক আাছে কিনা তা দেখা।কারখানার চারপাশে সম্ভাব্য সকল স্থানে উপযুক্ত প্রজাতির ও সংখ্যার বৃক্ষ রোপন পূর্বক সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।
  • ই,টি, আই বেসকোড সহ কোম্পানি টেসকোর ইফিকাল ট্রেডিং সম্পর্কে জানে কিনা। কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সম্মত গ্রহণযোগ্য মাত্রার পর্যাপ্ত বায়ু সঞ্চালন নিশ্চিত করতে হবে।
  • কারখানার সৃষ্ট দূষিত ধোঁয়া দ্বারা পারিপার্র্শ্বিক বায়ূ দূষণ করা যাবে না।
  • একান্তই দূষিত ধোঁয়া নিঃসরনের প্রয়োজন হলে তা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে রাখতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যে, উহা যেন কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় জনসাধারনের স্বাস্থ্যহানির কারণ না হয়।
  • প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্ম-কক্ষে নির্মল বায়ু প্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা রাখিতে হবে৷ লোকালয় বা জন সমাগমের স্থানে কোন বর্জ্য ফেলা যাবে না।
  • শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সম্মত বাতাস প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কারখানার ভিতরে বা কোন বদ্ধ স্থানে পর্যাপ্ত একজষ্ট ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • দূর্ঘটনা জনিত কারণে কখনো বায়ু দূষণ ঘটলে তা কারখানা ও স্থানীয় লোকজনকে দ্রুত অবগত করণের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে দূর্ঘটনার স্থান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • প্রত্যেক কতেগ এমন তাপমাত্রা বজায় রাখিবার উপযুক্ত ব্যবস্থা রাখিতে হইবে যাহাতে সেখানে কর্মরত শ্রমিকগণ মোটামুটি আরামে কাজ করিতে পারেন, এবং যাহাতে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য হানি রোধ হয়৷ এ ছাড়াও ফ্যাক্টরীতে কাজের সময় সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
  • পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোন কারণে বায়ু দূষণ সম্পর্কে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তার সমাধান করতে হবে।

পানি দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালা ঃ

কারখানা  এলাকায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরকে সার্বক্ষনিকভাবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।

  • রেসিপি অনুযায়ি সঠিকভাবে Chemical আনা এবং প্রয়োজনিয় PGM অনোযায়ি মেশিনে Programme Set করা।
  • Reel Speed এবং Pump Speed সঠিক ভাবে সেট করা ও চালানো।
  • Chemical সঠিকভাবে মেশিনে গেল কিনা তা দেখা।
  • Peroxide Killer check করা ও Shift in Charge কে দেখানো।
  • Recipe অনুযায়ি Salt এবং Soda সঠিকভাবে মেপে আনা।
  • ডাইং  শুরূর সময় ডাইং MLR , ডাইং স্টার্ট Water, ডাইং স্টার্ট Temp ঠিক আছে কিনা তা দেখা এবং Colour ও Soda Dosing সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখা।
  • Soda hold time এর শেড কেটে নিয়ে যাওয়ার পর মেশিনে একজনকে দাড় করিয়ে রাখা।যদি ফেব্রিক Tangle হয় তা হলে তারাতারি ছাড়ানো এবং প্রয়োজন হলে সুপারভাইজারের সাহায্য নেওয়া।
  • ডাইং Start থেকে ডাইং শেষ পর্যন্ত মেশিনের কাচাকাছি থাকা।মেশিনে কোন Problem হলে সাথেসাথে সুপারভাইজারকে জানানো এবং মেশিন ঠিক করানো।
  • Shift Change হওয়ার সময় পরের অপারেটরকে মেশিন ভালভাবে বুঝিয়ে দেওয়া।যেমন মেশিনে কি চলে, কোন Problem আছে কিনা, পরবর্তিতে কোন ব্যাচ উঠবে, চলতি ব্যাচ এ কোন Information আছে কিনা ইত্যাদি।

শব্দ দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালা ঃ

  • কারখানার যে সকল মেশিন উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে সেগুলো এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যে সে স্থানে কর্মরত বা আশেপাশের লোকদের ক্ষতিগ্রস্থ না করতে পারে।
  • উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী সকল মেশিন যথাযথ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করে শব্দের মাত্রা নির্ধারন করতে হবে এবং মেশিনের পার্শ্বে দৃষ্টি যোগ্য স্থানে লিখে রাখতে হবে এবং উক্ত মেশিন অপারেটরকে অবশ্যই এয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে হবে।

ঝুট ও অন্যান্য পঁচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যরে অপসারন সংক্রান্ত নীতিমালা ঃ

  • কারখানার ছেড়া/অবশিষ্ট বর্জ্য কাপড় বা ঝুট, পলিব্যাগ, কার্টুন ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে জমা করতে হবে।
  • সকল ঝুট বস্তায় ভরে জমা রেখে ফ্যাক্টরীর দায়িত্বে অতি সত্বর, নিয়ম মোতাবেক বিক্রয় করতে হবে।
  • যে কোন ধরনের বর্জ্য, পঁচনশীল বর্জ্য খোলাভাবে ফেলে রাখা যাবে না; কোন ঢাকনাযুক্ত বা ঢাকনাহীন ডাষ্টবীনে জমা করতে হবে।
  • ঝুট বিক্রির পর অবশিষ্ট বিক্রিয় অযোগ্য আবর্জনা/বর্জ্য পদার্থ বর্জ্যবাহী গাড়ীতে করে বর্জ্য ডাম্প করার স্থানে ফেলে আসার ব্যবস্থা করতে হবে ।

পরিবেশ এবং  স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা নিম্ন লিখিত কর্মপন্থা অবলম্বন করে থাকি ঃ

কোন প্রতিষ্ঠানে উত্পাদন প্রক্রিয়া চলার কারণে যদি কোন ধুলা-বালি বা ধোঁয়া বা অন্য কোন দূষিত বস্তু এমন প্রকৃতির বা এমন পরিমাণে নির্গত হয় যে, উহাতে সেখানে কর্মরত শ্রমিকগণের পক্ষে স্বাস্থ্যহানির বা অস্বস্তিকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে কোন কর্ম-কক্ষে উহা যাহাতে জমিতে না পারে এবং শ্রমিকের প্রশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করিতে না পারে ইহার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে, এবং এই উদ্দেশ্যে যদি কোন নির্গমন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে উহা উক্ত ধূলা-বালি, ধোঁয়া বা অন্য দূষিত বস্তুর উত্সের যতদূর সম্ভব কাছাকাছি স্থানে স্থাপন করিতে হইবে, এবং ঐ স্থান যতদূর সম্ভব ঘিরিয়া রাখিতে হইবে৷

  • গত ১২ মাসে কোন থার্ড পার্ট অডিট আছে কিনা এবং তার কপি আছে কিনা এবং কোন একশন প্লান নেওয়া হয়েছে কিনা? প্যাকিং এর জন্য ব্যবহ্নত কাঁচামাল নির্দিষ্ট প্রস্তুতকারক হতে সংগ্রহ করি যা পূনঃ প্রক্রিয়াজাত করণ করা সম্ভব।
  • কারখানার বর্জ্য সরাসরি তৎক্ষনাৎ স্থানহতে কারখানার ক্লিনাররা সংগ্রহ করে বস্তা জাত করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষন করে যা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হয়।
  • শ্রমিকদের সবসময় তাদের কাজের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য উৎসহ দেয়া হয়।
  • আমাদের নিজস্ব সরবরাহকারীর সাথে কাজ করার জন্য কোন নীতি এবং পক্রিয়া আছে কিনা? প্রতি দিন উৎপাদন প্রক্রিয়া শেষ হবার পর কারখানায় নিয়োজিত পরিচ্ছন্নকারী দল যন্ত্রপাতি, মেঝে এবং পরিষ্কার করা প্রয়োজন এমন সব¯া’ান প্রয়োজনীয় উপাদান দ্বারা পরিষ্কার করে।
  • দুপুরে খাবার সময় কারখনার রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ অপ্রয়োজনীয় বাতি পাখা এবং মেশিন এর সকল সুইচ বন্ধ করে দেয় এবং ফ্লোর এর মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়।  যদি কোন শ্রমিক স্বল্প সময়ের জন্য ছুটি নেয় তবে সে তার মেশিন এ সুইচ বন্ধ করে দেয়। সুপারভাইজার এ ব্যাপারে সকল শ্রমিকদের উৎসাহ দিয়ে থাকে।
  • কর্মীরা কি স্বাধীনভাবে এসোসিয়েশন করতে পারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে অটো গ্র“প নিম্নলিখিত কর্মপন্থা অবলম্বন করে
  • প্রতিদিন সকালে কাজ শুরুর পূর্বে সকল শ্রমিক প্রথমে হাত ধুয়ে তা হ্যান্ড ড্র্রায়ার এর মাধ্যমে শুকিয়ে নেয়। দুপুরে খাবার পূর্বে এবং পরে এটি বাধ্যতা মূলক অবশ্যই হাত ধোয়ার জন্য সাবান দেওয়া হয় এবং লক্ষ্য রাখা হয় কেউ যাতে এর অ-ব্যবহার না করে। হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড ড্রায়ার মেশিন এর সাহায্যে সকলে হাত শুকিয়ে নেয়।
  • বাথরুম ব্যবহারের পর ফ্লাশ করা এবং পানির কল বন্ধ রাখার ব্যাপারে সবাইকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। সুইপার নির্দিষ্ট সময় পর পর সার্বক্ষনিক বাথরুম পরিষ্কার করে থাকে। সর্বপরি শ্রমিককেও পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে সচেষ্টা থাকতে হবে। যদি বাথরুমের কোন জিনিস নষ্ট হয়ে যায় তবে তৎক্ষনাত তা সুপারভাইজার কে জানাতে হবে, সুপারভাইজার রক্ষনাবেক্ষন শাখায় জানাবে। এবং রক্ষনাবেক্ষন শাখা সমস্যার সমাধান কাজে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নিবে ।
  • মজুরি নূ্ন্যতম চাহিদা পূরণ করে কিনা এবং তা স্থানীয় আইন অনুযায়ী আছে কিনা। থুথু ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান বা বেসিন ব্যবহার করতে হবে।
  • কাজের পরিবেশ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত আছে কিনা। সবাই নিজ নিজ খাবার বাসা হতে নিয়ে আসবে।
  • আইনগতভাবে অতিরিক্ত কর্ম ৪৮ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ১২ ঘন্টা বা তার কম হয় কিনা। ক্যান্টিন দুপুর ১২.৪৫টা হতে বিকেল ২.১৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
  • নিজে খাবার শেষ করে অন্যকে খাবার খেতে সুযোগ দিতে হবে।
  • পানি এবং বর্জ্য যাতে ক্যান্টিন এর মেঝেতে না ফেলে ময়লা ফেলার বাটিতে ফেলা হয় সে জন্য শ্রমিকদের প্রশিক্ষন দেয়া হয়।
  • কারখানার ভেতরে কোথাও ধুমপান করতে দেওয়া হয় না । কর্মীদের কল্যাণ সুবিধা পর্যাপ্ত কিনা।
  • সাইটে সমান সুযোগের সুবিধা নিশ্চিত করা হয় কিনা? নির্দিষ্ট সময় ব্যতিত প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ক্যান্টিনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না
  • উৎপাদন স্থানে নির্দিষ্ট জায়গায় বিশুদ্ধ পানির ড্রাম বসানো আছে । কোন অনুযায়ী কোন চাইল্ড কেয়ার আছে কিনা।
  • প্রত্যেক শ্রমিককে খাবার পানি গ্লাস দেওয়া হয়, তারা নিজ নিজ গ্লাসে পানি পান করে।

উপসংহার ঃ

পরিবেশ দূষণ শুধু প্রশাসনের পক্ষে এককভাবে পরিবেশ সংরক্ষন করা সম্ভর নয়। এ ব্যপারে সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে মনোযোগী ও আন্তরিক হতে হবে। স্বীকৃত কর্মী সম্পর্কের উপর কাজের ভিক্তি ঠিক করা হয় কিনা? সাইটে কঠোর এবং অমানবিক ব্যবহার করা হয় কিনা? কারখানা এলাকায় দূর্ঘটনাজনিত কারণে অতি দ্রুত পরিবেশ বিনষ্ট হবার আশংকা থাকে বিধায় এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। (পরিবেশ দূষণ)

পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা Invironment and wastage disposal policy

পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা Invironment and wastage disposal policy

পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা

উদ্দেশ্য  :

পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা  ঃ কারখানার আভ্যন্তরীন কর্ম পরিবেশও বর্হিভাগ দূষন মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে  কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাচাঁমাল এর সঠিক ব্যবহার,  উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ বা আবর্জনা দ্বারা পরিবেশ যেন দূষিত না হয় এবং বর্জ নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন সঠিক নিয়মে স্থানান্তর ও পরিশোধিত হয় সে বিষয়ে  কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। …

উদ্দেশ্য  :

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে উহার উত্পাদন প্রক্রিয়ার কারণে সৃষ্ট কোন বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে৷ পরিবেশ ও বর্জ বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা  ঃ কারখানার আভ্যন্তরীন কর্ম পরিবেশও বর্হিভাগ দূষন মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাচাঁমাল এর সঠিক ব্যবহার,  উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ বা আবর্জনা দ্বারা পরিবেশ যেন দূষিত না হয় এবং বর্জ নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন সঠিক নিয়মে স্থানান্তর ও পরিশোধিত হয় সে বিষয়ে কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কর্ম-কক্ষে উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্য হানি হয় এই প্রকার অতিরিক্ত ভীড় করা যাইবে না৷

প্রযোজ্য ক্ষেত্র  :

উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট সকল সেকশনে কাপড়ের বর্জ, সুতার বর্জ, মেশিনের বর্জ, ক্যামিকেল বর্জ, ব্যবহৃত নিডল এর বর্জ, নতুন প্যাকেটের এর বর্জ, প্লাষ্টিক/পলিথিন এর বর্জ ইত্যাদি এই নীতিমালার অর্ন্তভূক্ত।
কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্যাদী শ্রেণী বিন্যাশের মাধ্যমে পৃথক করে নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনা কার্যকর করেছেন। কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে একটি কমিটি গঠন করেছেন।  উক্ত কমিটির সদস্যগন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দায়বদ্ধ।
নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও সহজতর করার জন্য  বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্যাদী কে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা ঃ
১. ক্ষতিকর বর্জ দ্রব্য

২. সাধারণ বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য
ছাড়াও কিছু মেশিন রয়েছে যা থেকে পরিবেশ দূষন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যেমন –

শব্দ দূষন ঃ জেনারেটর , সার্কুলার নিটিং ও এমব্রয়ডারী ইত্যাদি মেশিন অধিক শব্দ তৈরী করে যা কর্ম পরিবেশকে শব্দ দূষন করে। উক্ত মেশিনের কাছাকাছি কর্মরত সকলকে ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।

পানি দূষন ঃ ওয়াশিং ও ডাইং মেশিন ব্যবহারের ফলে দূষিত পানি নির্গত হয় যা পরিবেশ দূষন করে। এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন দূষিত পানি দ্বারা পরিশোধিত যেন দূষিত না হয় এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়।

(১) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে, উহাতে কর্মরত সকল শ্রমিকের পান করার জন্য উহার কোন সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করিতে হইবে৷
(২) প্রত্যেক পানি সরবরাহের স্থানকে বাংলায় “পান করার পানি” কথাগুলি স্পষ্টভাবে লিখিয়া দিয়া চিহ্নিত করিতে হইবে৷

(৩) যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে সাধারণতঃ দুইশত পঞ্চাশ জন বা ততোধিক শ্রমিক নিযুক্ত থাকেন, সে সকল প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালে পান করার পানি ঠান্ডা করিয়া সরবরাহ করার ব্যবস্থা করিতে হইবে৷

(৪) মাত্রাতিরিক্ত তাপ উদ্রেককারী যন্ত্রের সন্নিকটে কাজ করার কারণে শ্রমিকের শরীরে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হইলে, ঐ সকল শ্রমিকের জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপির ব্যবস্থা করিতে হইবে৷

৫শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ।- প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে-

(ক) উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণ কাজের সময়ে যাহাতে সহজে ব্যবহার করিতে পারেন এরূপ সুবিধাজনক স্থানে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রকারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক [স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষের] ব্যবস্থা করিতে হইবে;

(খ) উক্ত [শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ] পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকগণের জন্য স্বতন্ত্রভাবে ব্যবস্থা করিতে হইবে;

(গ)  [শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষগুলিতে] যথেষ্ট আলো, বাতাস এবং সার্বক্ষণিক পানির ব্যবস্থা রাখিতে হইবে; এবং

(ঘ) উক্ত [শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ মালিকের নিজ খরচে] জীবানুনাশক ও পরিষ্কারক ব্যবহারের মাধ্যমে সব সময় পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখিতে হইবে৷

বায়ূ দূষন ঃ জেনারেটর, বয়লার, এসি, হইতে নির্গত ধোয়াঁ, ওয়াশিং ও ডাইং মেশিন ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট বর্জ পরিবেশ দূষন করে। বায়ু দূষন যাতে না হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়।

শ্রেণীভেদে -ক্ষতিকর বর্জ দ্রব্যগুলো ঃ

  • ফিউজ টিউব লাইটক্স
  • ভাঙ্গা গ্লাস বা কাঁেচর টুকরা/অংশ
  • ক্যামিকেল এর খালি কনটেননার
  • ইটিপির বর্জক্স ভাঙ্গা নিডল,
  • ম্যানুয়াল কাটিং ব্লেড, জিএসএম কাটার ব্লেড, কাটার, সিজার, ইনজেকশ এর সিরিঞ্জ ও বোতল, অব্যবহৃত মেশিনাংশক্স পুড়া তৈল

কারখানায় উৎপাদিত পন্য হতে সৃষ্ট বর্জ ঃ

জুট, সুতা, সুতার কোণ

সাধারণ বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য ঃ

প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক আবর্জনা ফেলার বাক্স ও পিকদানীর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে, এবং এইগুলিকে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থায় রাখিতে হইবে৷ কার্টন, পলিথিন ব্যাগ, কাগজ, ঔষুধ এর খোশাক্স অব্যহৃত কাঠের আসবাব পত্র/টুকরা অংশক্স প্লাষ্টিক এর দ্রবাংশ/প্লাষ্টিক দ্রব্যের ভাঙ্গা অংশ ক্স আইরণ এর পাইপক্স বৈদ্যুৎতিক বাতিল তার, বাতিল টেলিফোনের তার ইত্যাদি

নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা

কোন প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনার মধ্যে কোন ব্যক্তি অনুরূপ বাক্স ও পিকদানী ব্যতীত অন্য কোথাও ময়লা আবর্জনা কিংবা থুথু ফেলিতে পারিবেন না৷ কাজ শেষে হওয়ার পর বর্জ বা অব্যবহৃত দ্রব্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে নিয়ে শ্রেণীভেদে জমা করতে হবে।

  • বর্জ বা অব্যবহৃত দ্রব্য স্থানান্তর করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে এক বিভাগের বর্জ অন্য বিভাগের কাজের পরিবেশ যেন নোংরা না করে।
  • জুট, সুতা, সুতার কোণ, কার্টন, পলিথিন ব্যাগ, কাগজ, কাঠের টুকরা অবশ্যই শুকনা স্থানে রাখতে হবে যেন ভিজে নষ্ট না যায় এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।
  • অব্যবহৃত/ফিউজ টিউব লাইট একটি স্থানে জমা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশ্লিষ্ট কাষ্টমারকে অবগত করতে হবে।
  • ভাঙ্গা নিডল, ম্যানুয়াল কাটিং ব্লেড, জিএসএম কাটার ব্লেড, কাটার, সিজার ইত্যাদি মেটাল সম্পর্কৃত দ্রব্য ব্যবহারের পর ষ্টোরে সংরক্ষিত নির্ধারিত বাক্সে জমা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশ্লিষ্ট কাষ্টমারকে অবগত করতে হবে।
  • গ্লাস এর দেয়াল দ্বারা  তৈরী রুম, জানালা কিংবা গ্লাস দ্বারা ব্যবহৃত আসবাবপত্র নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে শংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা ও কাছাকাছি রক্ষিত কোন গার্মেন্টস এ কাঁেচর টুকরা আছে কি না তা নিরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা।
    ক্যামিকেল এর খালি কনটেইনার নির্ধারিত স্থানে অর্থাৎ যেখানে সাধারণ লোকজন চলাচল না করে সেখানে জমা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশ্লিষ্ট কাষ্টমারকে অবগত করতে হবে।
  • এই বিধান এবং উহা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ-ইহা উল্লেখ করিয়া প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উপযুক্ত স্থানে এরূপভাবে নোটিশ লটকাইয়া দিতে হইবে যাহাতে ইহা সহজেই সকলের দৃষ্টিগোচর হয়৷ যে সকল বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না সেগুলো অবশ্যই নির্ধারিত স্থানে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
  • যে সকল বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য বিক্রি করা সম্ভব সেগুলো বিক্রির ব্যবস্থাকরতে হবে এবং প্রশাসন, সিকিউরিটি ও ষ্টোর বিভাগ এর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করতে হবে যেন কোন প্রকার অনিয়ম না হয় এবং ওজন পরিমাপ ও চালান ঠিকমত সংকলন ও সংরক্ষণ করা হয়।
  • বর্জ ও অব্যবহৃত দ্রব্য বিক্রি বা পুড়িয়ে ফেলা যা-ই হোক না কেন অবশ্যই ষ্টোর বিভাগে চালান ও রেজিষ্টার রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।

Cleanliness Procedure:

  • প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে এবং কোন নর্দমা, পায়খানা বা অন্য কোন জঞ্জাল হইতে উত্থিত দূষিত বাষ্প হইতে মুক্ত রাখিতে হইবে,  কারখানার পরিষ্কার পরিচ্চন্নতার জন্য নিম্ন লিখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরন করা হয়
    কারখানার প্রতি সিড়িতে ময়লা ও কফ থুথু ফেলার জন্য ১টি করে ঝঢ়রঃঃড়ড়হ দেওয়া রয়েছে।
  • প্রতিষ্ঠানের মেঝে, কর্মকতগ, সিড়ি, যাতায়াতের পথ হইতে প্রতিদিন ঝাড়ু দিয়া ময়লা ও আবর্জনা উপযুক্ত পন্থায় অপসারণ করিতে হইবে; প্রতি ফ্লোরে যথেষ্ট সংখ্যক ময়লা ফেলার ঝুড়ি দেওয়া আছে।
  • প্রত্যেক কর্মকগর মেঝে সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন ধৌত করিতে হইবে, এবং প্রয়োজনে ধৌত কাজে জীবানুনাশক ব্যবহার করিতে হইবে; ময়লা এবং নষ্ট জিনিসপত্র পরিষ্কারের জন্য প্রত্যেক সেকশনে এবং লাইনে একজন করে ক্লিনার রয়েছে।
  • যে ক্ষেত্রে কোন উত্পাদন প্রক্রিয়ার কারণে কোন মেঝে এমনভাবে ভিজিয়া যায় যে, ইহার জন্য পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করিতে হইবে; টয়লেট পরিষ্কার সহ অন্যান্য ময়লা পরিষ্কারের জন্য প্রত্যেক ফ্লোরে একজন করে সুইপার দেওয়া আছে।
  • প্রতিষ্ঠানের সকল আভ্যন্তরীন দেওয়াল, পার্টিশন, ছাদ, সিড়ি, যাতায়াতপথ- রং বা বার্নিশ করা থাকিলে, প্রত্যেক তিন বত্সরে অন্ততঃ একবার পুনঃ রং বা বার্নিশ করিতে হইবে, কাটিং, ফিনিশিং এবং ডাইনিং এলাকায় জুট, ময়লা, খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লিনার রয়েছে।

Disposal Policy:

রং অথবা বার্নিশ করা এবং বহির্ভাগ মসৃণ হইলে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্ততঃ একবার উহা বিধিদ্বারা নির্ধারিত পন্থায় পরিস্কার করিতে হইবে, অন্যান্য ক্ষেত্রে, প্রতি চৌদ্দ মাসে অন্ততঃ একবার চুনকাম বা রং করিতে ফ্লোরের সকল ময়লা নিদিষ্ট ঝুড়িতে ফেলা হয়। উক্ত ঝুড়ি গুলো প্রতিদিন ক্লিনার / সুইপার পরিষ্কার করে এবং কারখানার বাইরে নিদিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দেয় যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়।

Wastage- 01 Disposal Policy:

এর পানি, ব্যবহৃত ময়লা পানি এবং প্রবাহিত পানি সেনিটেশনের পাইপ দিয়ে কারখানার ঝধহরঃধঃরড়হ ঞধহশ এ জমা হবে এবং ই.টি.পির মাধ্যমে শুধন হয়ে উরংঢ়ড়ংব হবে।

কারখানায় পরিবেশ রক্ষার্থে সকলকে নিম্নরূপ বিষয়গুলির প্রতি সচেতন থাকতে হবে ঃ

১। ধুমপানমুক্ত পরিবেশ গড়া।
২। ময়লা-আবর্জনা কেবল নির্দিষ্ট স্থানেই ফেলতে হবে এবং এগুলোর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ না ঘটে।
৩। যখনই সম্ভব হবে বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে এবং অপ্রয়োজনে বাতি না জ্বালাতে।
৪। কেবল রপ্তানী ছাড়া অন্যকোন প্রয়োজনে পলিথিন ব্যাগ এবং সমজাতীয় পন্য ব্যবহার না করতে এবং ঐসব ব্যাগ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে রেখে পরিবেশ দূষণ না করতে।
৫। যতদূর সম্ভব পানির ব্যবহার সাশ্রয় করতে এবং ব্যবহারের পর পানির টেপ বন্ধ রাখতে।
৬। কারখানায় বায়ু সঞ্চালনের জন্য পর্যাপ্ত ভেনটিলেশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা।
৭। সপ্তাহে একদিন কারখানার সর্বত্র বিশেষ পরিষ্কার পরিচ্ছনড়বতার ব্যবস্থা করা এবং রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা।
৮। কারখানার অভ্যন্তরে অপ্রয়োজনীয় উৎপাদন সামগ্রী সর্বক্ষন পরিষ্কার ও নির্গমন করা।

আলোর ব্যবস্থা।- (১) কোন প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক অংশে, যেখানে শ্রমিকগণ কাজ করেন বা যাতায়াত করেন, যথেষ্ট স্বাভাবিক বা কৃত্রিম বা উভয়বিধ আলোর ব্যবস্থা করিতে হইবে৷

(২) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকক্ষ আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত সকল কাঁচের জানালা এবং ছাদে বসানো জানালাসমূহের উভয় পার্শ্ব পরিষ্কার রাখিতে হইবে, এবং যতদূর সম্ভব প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখিতে হইবে৷

(৩) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে-

(ক) কোন স্বচ্ছ পদার্থ বা বাতি হইতে বিচ্ছুরিত বা প্রতিফলিত আলোকচ্ছটা, অথবা

(খ) কোন শ্রমিকের চোখের উপর চাপ পড়িতে পারে বা তাহার দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকিতে পারে, এরূপ কোন ছায়া সৃষ্টি, প্রতিরোধ করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা থাকিতে হইবে৷

উপরিউক্ত বিধানের হানি না করিয়া, প্রত্যেক কর্মকক্ষে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য অন্ততঃ ৯.৫ কিউবিক মিটার পরিমাণ জায়গার ব্যবস্থা করিতে হইবে৷ শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা সকলের নিরাপত্তামূলক কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং ক্রেতা সাধারণের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণের  অঙ্গিকার নিয়ে . কম্পোজিট লিঃ কার্যরত।