অংশগ্রহনকারী কমিটি Participation Committee গঠনের নিয়ম

অংশগ্রহনকারী কমিটি Participation Committee গঠনের নিয়ম

অংশগ্রহনকারী কমিটি

ফ্যাশনস্ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, উক্ত কোম্পানীর অব্যহত উন্নতি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সুস্থ্য শ্রম-ব্যবস্থাপনা এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা  বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকদের পরামর্শ ও সক্রিয় অংশগ্রহন একান্ত প্রয়োজন।  তাছাড়া কোম্পানী শ্রমিকদের কল্যাণ ও মালিক-শ্রমিকের মধ্যকার যেকোন ভুল বুঝাবুঝি ও অসন্তোষ দূর করতে পারস্পারিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ২০৫ ধারা বাস্তবায়নের লক্ষ্য অংশগ্রহনকারী কমিটি (Participation Committee) গঠন সংক্রান্ত নির্বাচনী বিধিমালা গঠন করা হলো …

অংশগ্রহনকারী  কমিটির উদ্দেশ্য

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবী-দাওয়া নিয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করার জন্য এবং প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও মালিক সকলেরই অংগীভূত হওয়ার ভাব প্রোথিত ও প্রসার করা ওবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রমিকগণের অঙ্গীকার ও দায়িত্ব জাগ্রত করার লক্ষ্যে গ্রমেন্টস কম্পোজিট লিমিটেডে বাংলাদেশ শ্রম আইন – ২০০৬ এর ২০৫ ধারা অনুযায়ি একটি কার্যকরী অংশগ্রহনকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে মালিক প্রতিনিধি ও প্রত্যেক ফ্লোরের/সেকশনের শ্রমিককে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এ কমিটি উভয় পক্ষের অভিন্ন স্বার্থে বিভিন্ন সুপারিশ প্রণয়ন করে থাকে এবং মত পার্থক্য দূর করার চেষ্টা করে থাকে।

  • নির্বাচন পরিষদ নির্বাচনের যাবতীয় ব্যবস্থা করার জন্য দায়ী থাকবেন। শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা। একটি হৃদ্যতাপূর্ণ মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক সৃষ্টি ও পরিচালনা করা।
  • কোন শ্রমিক প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত না থাকলে, অথবা তিনি চাকুরিতে ইস্তফা দিলে অথবা  পরিষদের সদস্যপদ হারালে তার উত্তরাধিকারী নির্বাচিত হবে যেখান থেকে পদটি শূন্য হয়েছে সেই  গ্রূপ,শাখা অথবা বিভাগে থেকে ।কাজের শর্ত ও পরিবেশ উন্নত করা।
  • নির্বাচন পরিচালনার জন্য মালিক এবং উভয়পক্ষ থেকে সমপরিমান সদস্য নিয়ে বিজ্ঞপ্তি মারফত মালিক একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করবেন । এর প্রতিলিপি শ্রম পরিচালককে প্রেরন করতে হবে : দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো।
  • শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটি কমিটি সম্পূর্ন নিরপেক্ষ।
  • শ্রমিকের নির্বাচনের মাধ্যমে শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচিত।
  • শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সমন্বয়ে শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটি    সংগঠিত।
  • ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সংখ্যা কখনও শ্রমিক প্রতিনিধির চেয়ে বেশী হবে না।
  • শ্রমিক ও কারখানার  প্রয়োজনে ন্যায়সঙ্গত সুযোগ সুবিধা প্রনয়ণে গৃহিত মতামত শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটির মাসিক সভায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
  • বিভিন্ন দল, শাখা অথবা বিভাগসমূহ থেকে কতজন প্রতিনিধি নির্বার্চিত হবে তা র্নিধারন করে দিতে হবে । শ্রম আইনের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ নিশ্চিত করা;
  • উক্ত সভার কার্য বিবরনী ৭ দিনের মধ্যে নির্ধারিত নির্দিষ্ট ঠিকানায় শ্রম অধিদপ্তরকে প্রেরন করতে হবে।
  • শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারষ্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, সমঝোতা-সহযোগিতা বৃদ্ধি, ও হৃদ্যতাপূর্ন শ্রমিক-মালিক স¤পর্ক সৃষ্টি ও পরিচালনা করা প্রচেষ্টা চালানো।
  • উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস এবং অপচয় রোধ করা এবং উৎপাদিত দ্রব্যের মান উন্নত করা।
  • শৃংখলাবোধে উৎসাহিত করা, নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষা এবং কাজের অবস্থার উন্নতি বিধান ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।
  • বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, শ্রমিক শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ প্রশিক্ষণে উৎসাহিত করা।
  • শ্রমিক এবং তাহাদের পরিবারবর্গের প্রয়োজনীয় কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহের উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • মালিক ও শ্রমিকের মাঝে সুসম্পর্ক স্থাপনই এই কমিটির মূল বৈশিষ্ট্য।
  • সার্বিক তত্বাবধানে কর্তৃপক্ষ গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করতে হবে, যা মনোনয়ন নিরীক্ষার দিন থেকে চার দিনের কম এবং দশ দিনের বেশী হবে না ।

অংশগ্রহনকারী  কমিটির নীতিমালা

  • কোন রাজনৈতিক দলের বা কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবেনা এবং স্থানীয় জনগণ কিংবা বহিরাগত কারো সাথে সম্পর্ক যুক্ত হবে না।
  • কমিটির সদস্যগণ কারখানার গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষতি সাধন করে নিরাপত্তা কমিটির কোন কাজ করতে পারবে না।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা ঃ

গোপন  ব্যালটের মাধ্যমে শ্রমিকদের প্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, নোটিশ র্বোডে বিজ্ঞপ্তি সেঁটে  যথারীতি ঘোষনা দিয়ে অংশগ্রহন পরিষদে শ্রমিকদের প্রতিনিধি নির্বাচনের আহবান জানাবেন। নির্বাচন কমিশনার অংশগ্রহনকারী কমিটির সদস্য নির্বাচন প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন তারিখ উল্ল্যেখসহ নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করিবেন । কারখানার সহজবোধ্য জায়গায় যেখানে শ্রমিকরা সহজে যাতায়াত করে অথবা নোটিশ বোর্ডে ইহা অবশ্যই টাঙ্গিয়ে দিতে হবে যাতে কারখানার শ্রমিকরা ইহা সহজেই অবগত হতে পারে । ভোটার তালিকায় প্রতিলিপি যুগপৎ নোটিস বোর্ড এবং প্রতিষ্ঠানের প্রকাশ্য স্থানসমূহে প্রদর্শিত হতে  হবে । এর নোটিসসহ ভোটার তালিকার একটি প্রতিলিপি শ্রম পরিচালককে পাঠাতে হবে যেন তিনি  তার যে কোন কর্মকর্তাকে নির্বাচন তত্ত¡াবধান করার জন্য ক্ষমতা দিতে পারেন ।

জামানত/ব্যায় ঃ নৈমিত্তিক এবং বদলী শ্রমিক ছাড়া অন্য সকল  শ্রমিক যারা প্রতিষ্ঠানে  অন্যুন তিন মাস চাকরি করেছেন, তারা সবাই শ্রমিকদের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন । অংশগ্রহনকারী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের কোন জামানত প্রদান করতে হবে না এবং নির্বাচনের যাবতীয় ব্যায় কারখানার মালিক নিজেই বহন করবেন । 
মনোনীত প্রার্থীগণের খসড়া তালিকা প্রকাশ ঃ সহকারী নির্বাচন কমিশনার তাহার নিকট দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্রসমূহ বাছাইপূর্বক মনোনয়ন প্রাপ্ত যোগ্য প্রার্থীদের ছবি সহ নামের খসড়া তালিকা নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করবেন।

মনোনয়নঃ যেকোন ভোটার অংশগ্রহন পরিষদে প্রতিনিধি নির্বাচনের  উদ্দেশ্যে একজন যথার্থ যোগ্য ভোটার নাম প্রস্তাব অথবা সমর্থন করতে পারেন । প্রত্যেক নিয়োগকারী কর্তৃক সরবরাহকৃত পৃথক মনোনয়নপত্র ’ড ফরমে’ হতে হবে এবং তা প্রস্তাবক কর্তৃক সমর্র্থিত এবং প্রার্থী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে । যদি কোন গ্রূপ,শাখা অথবা বিভাগে বরাদ্দ আসনের চেয়ে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হয় তবে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত তারিখে ভোট অনুষ্ঠিত হবে । নির্বাচন গোপন ব্যালটে অনুষ্ঠিত হবে এবং তা র্নিধারিত পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হবে ।

মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে যে সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে তাদের সংখ্যা যদি নির্বাচিতব্য প্রতিনিধির সমান হয় তবে নির্বাচিত পরিষদ বিজ্ঞপ্তি দ্বারা সে সকল প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষনা করবেন  প্রত্যেক মনোনয়নপত্র মনোনয়ন দিবসে অথবা তার আগে প্রার্থী অথবা তার প্রস্তাবক অথবা তার সমর্থক নিয়োগকারীর কাছে দেবেন । তিনি লিখিত স্বীকারপত্রের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র গ্রহন  করবেন। 

বাছাই : মনোনয়নপত্র পরীক্ষায় প্রার্থীগন , তাদের প্রস্তাবকগন এবং তাদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যেকোন ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারেন এবং নির্বাচন কমিটি  প্রদত্ত সকল মনোনয়নপত্র পরীক্ষার জন্য তাদের সঙ্গত সুযোগ দেবেন । নির্বাচন পরিষদ  মনোনয়নপত্র পরীক্ষায় উপস্থিত সকল ব্যক্তির উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্রসমূহ পরীক্ষা     করবেন এবং যেকোন মনোনয়নপত্র সম্পর্কে  কোন ব্যক্তি আপত্তি উত্থাপন করলে তার নিস্পওি   করবেন । নির্বাচন পরিষদ  যেকোন মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারেন । যদি তাঁরা সন্তষ্ট হন যে : ক) বিধি অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রতিনিধি হওয়ার অযোগ্য, অথবা  খ)  মনোনয়ন বিধির কোন নিয়ম মান্য করা হয়নি ।

প্রার্থীর প্রত্যাহার ঃ সহকারী নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক কোন প্রার্থী তার প্রাপ্ত মনোনয়নপত্র বাতিল করতে চাইলে নোটিশ প্রকাশের পরবর্তী ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনারের বরাবর আপীল করতে পারবেন।

অংশগ্রহনকারী  কমিটির  গঠন

গঠনের তারিখ থেকে অংশগ্রহন পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ হবে দুই বছর । কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদ্বয় অংশগ্রহনকারী কমিটি গঠন সংক্রান্ত নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনার, সহকারী নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং অফিসার, পরিদর্শক এবং পুলিং এজেন্ট নিয়োগ সহ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করবেন । কোন সাময়িক শূন্যপদ পূরন করার উদ্দেশ্যে কোন সদস্য নির্বাচিত হলে মেয়াদের অনূওীর্ণ অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত তিনি সদস্য থাকবেন ।

অংশগ্রহনকারী  কমিটির  দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা।
  • শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস , সহযোগিতা ও সমঝোতা সৃষ্টি করা।
  • কারখানার উন্নয়ন কর্মকান্ডে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করা।
  • জাতীয় শ্রম আইনের সুবিধাদি যাতে শ্রমিকরা গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা।
  • শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা ও তা রক্ষা করা এবং প্রতিষ্টানের প্রতি শ্রমিকের অঙ্গীকার ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা।
  • শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে পার¯পারিক বিশ্বাস, সহযোগিতা ও সমঝোতা সৃষ্টি করা।
  • কারখানার উন্নয়ন কর্মকান্ডে শ্রমিকদের স¤পৃক্ত করা।
  • প্রচলিত শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা ও প্রচলিত শ্রম আইনের সুবিধাদি যাতে শ্রমিকরা গ্রহন করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা।
  • বৃত্তিমূলক শিক্ষা, পরিবার কল্যান এবং প্রশিক্ষন বিষয়ক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
  • কারখানার উন্নয়নের স্বার্থ স¤পর্কিত নিয়মনীতি বিষয়ে শ্রমিক ও মালিকদের অবহিত করা।
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয় সহ শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।
  • শৃংখলাবোধ, নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষা, কাজের অবস্থার উন্নয়ন ও সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা।
  • পন্যের মান ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখা ও উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন , উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস এবং অপচয় রোধ করা ও উৎপাদিত দ্রব্যের মান উন্নত করা।
  • সকল প্রয়োজনীয় তথ্য মালিক ও শ্রমিকদের অবহিত করা।  
  • সময় মত মিটিং এ উপস্থিত থাকা।
  • কমিটি ও কমিটির প্রতিনিধিদের স্বার্থ পরিপন্থি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না। বদলী, পদোন্নতি, চাকুরী থেকে বরখাস্ত ইত্যাদি ব্যাপারে কারখানায় বিদ্যমান নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করা হবে।
  • অনভিপ্রেত কোন ঘটনার উদ্ভব ঘটলে, কর্তৃপক্ষের সংগে আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
  • সাধারণ শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
  • কারখানার উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নিয়ম নীতি বিষয়ে শ্রমিক ও মালিকদের অবহিত করা।
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সহ শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।
  • পণ্যের মাণ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।
  • সকল প্রয়োজনীয় তথ্য শ্রমিকদের অবহিত করা।

অংশগ্রহনকারী  কমিটির কর্মপন্থা

প্রতিষ্ঠানের প্রধান হবেন অংশ গ্রহন পরিষদের চেয়ারম্যান / সভাপতি এবং তিনি অংশগ্রহন পরিষদের  সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন । প্রতি ১৫ দিনে একবার কমিটির মিটিং করা ( প্রয়োজনে জরুরী মিটিং করা যেতে পারে)।

  • শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারষ্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস ,সমঝোতা এবং সহযোগীতা বৃদ্ধির প্রচেষ্ঠা চালানো ।
  • মাসে অন্তত একবার একত্রিত হয়ে শ্রমিক অংশ গ্রহন কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা, মতামত গ্রহণ ও প্রদান  করতঃ করণীয় সম্বন্ধে ফ্যাক্টরীর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় উত্থাপন করা।
  • ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল ষ্টাফ ও শ্রমিকগণের ব্যক্তিগত ফাইল নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত হচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষন করা।
  • ষ্টাফ ও শ্রমিকদের বেতন, ভাতা, বোনাস ও ওভার টাইম বিল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধান করা।
  • ষ্টাফ ও শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধাদি এবং ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়াদি তদারকি করা।
  • শ্রমিক প্রতিনিধিগণ তাদের মধ্য থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন এবং তিনি  সভাপতির     অনুপস্থিতিতে পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন।১৮ বৎসরের নীচে কোন শ্রমিক নিয়োগ রোধ করা।
  • শ্রমিকদের হয়রানী ও জোরপূর্বকভাবে যেন কাজ করানো না হয় তা নিশ্চিত করা।
  • কোন ষ্টাফ/শ্রমিক শৃংখলা পরিপন্থী কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি-না তা নিশ্চিত করা।
  • নিয়মিত শ্রমিকদের নিয়ে প্রশিক্ষন কার্য পরিচালিত হচ্ছে কি-না তা তদারকি করা।
  • আঘাত ও রোগের কারণে অসুস্থ শ্রমিকগণের নানাবিধ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি রাখা
  • পার্সোনেল / এইচ আর অফিসার অথবা শ্রমকল্যান অফিসার পরিষদে নিয়োগকারীদের অন্যতম  প্রতিনিধি হবেন এবং সদস্য সচিব হিসাবে কাজ করবেন এবং তিনি পরিষদের সভার বিবরণী রাখার জন্য এবং সভা আহ¡বান করার জন্য দায়ী থাকবেন। কোম্পানীর নীতিমালা অনুযায়ী সকল প্রকার ছুটি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা।
  • কাজ চলাকালে অথবা কাজের পরে মিটিং করা যাবে।
  • মিটিং এর আলোচ্য সূচী মিটিং এর পূর্বেই স্থির করা।
  • মিটিং এর কার্য বিবরণী লিপিবদ্ধ করা।
  • সভার কার্য বিবরণী কারখানা কর্মীদের মধ্যে প্রচার করা।
  • মিটিং এর যে কোন তথ্য বা আলোচনা কারখানার বাইরে প্রচার করা যাবে না।

অংশগ্রহনকারী কমিটি Participation Committee গঠনের নিয়ম- এই কমিটির মেয়াদ কাল হবে পূর্ন এক বছর । তবে যে সমস্ত সদস্য /সদস্যা কমিটিতে আছে তারা যদি কোন কারনে চাকুরী ছেড়ে চলে যায় তবে তার স্থলে নতুন সদস্যা/সদস্য নিতে হবে । এছাড়া এক বছর পর বছর পর সভাপতি সহ নতুন সদস সদস্যা/সদস্য নিতে হবে ।

Comments

2 responses to “অংশগ্রহনকারী কমিটি Participation Committee গঠনের নিয়ম”

Leave a Reply