গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা Pregnancy Testing Policy

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা Pregnancy Testing Policy কি?

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা

গ্র“প ১৯৩৯ সালের মাতৃত্বকালীন আইন (সংশোধিত আইন-অক্টোবর-২০০৬ইং) অনুযায়ী  মহিলা শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। পূর্বশর্ত ঃ মাতৃত্বকালীন সুবিধা পেতে হলে কোন মহিলা শ্রমিককে কমপক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠানে একটানা নূন্যতম ছয় মাস কাজ করতে হবে। সময়সীমা ঃ মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়সীমা সন্তান প্রসবের পূর্বে আট সপ্তাহ এবং প্রসবের পরে আট সপ্তাহ অর্থাৎ মোট ১১২ দিন।

  • কর্তৃপক্ষ এই মর্মে ঘোষনা করছে যে, অত্র প্রতিষ্ঠানে মহিলা শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রতি কখনই কোন বৈষম্য বা পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরন করা হয় না । কোন অবস্থাতেই তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কাজ করানো হয় না। কখনই তাদের সম্মতি ব্যতিরেকে রাত্র ১০টার পর কাজ করানো হয় না। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত শ্রম আইনও আই এল ও কনভেনশনের বিধি সমূহ যথাযথ অনুস্বরন করা হয়।
  • কারখানায় মহিলা শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা নিয়োগের সময় গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা যাবে না। নিয়োগের সময় সকলে সমান সূযোগ সুবিধা ভোগ করবে। কোন কর্মী নিয়োগ পাওয়ার পর যদি গর্ভাবস্থা আবি®কৃত হয় তা হলে তাকে গর্ভাবস্থার জন্য চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা যাবে না।
  • মহিলা কর্মীগণ বেপজা নির্দেশনা অনুযায়ী মার্তৃত্বকালীন সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন তবে এ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
  • এইচআরডি বিভাগ এই নিিতমালার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
  • Pregnancy testing is prohibited during recruitment of female worker.  All people will get same facility at the time of hiring. No worker will be terminated after joining if found pregnant after joining.
  • All female workers will get Maternity benefit as per BEPZA instruction.
  • HRD department will ensure implementation of this policy.

মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার নিয়ম ও পরিশোধ পদ্ধতিঃ-

  • মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য একজন মহিলা শ্রমিককে কমপক্ষে নূন্যতম ছয় মাস একটানা অত্র প্রতিষ্ঠানে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
  • কোন মহিলা শ্রমিক সন্তান সম্ভবা হলে লিখিত বা মৌখিকভাবে কমপ্লায়েন্স অথবা ওয়েলফেয়ার অফিসারকে জানাবে অথবা প্রাথমিক চিকিৎসাদলের সদস্য/ওয়েল ফেয়ার কমিটির সদস্য, মহিলা শ্রমিকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে কোন মহিলা শ্রমিকের গর্ভধারনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের সাথে ঐ শ্রমিকের যোগাযোগ নিশ্চিত করবেন।
  • সন্তান সম্ভবা হওয়া নিশ্চিত হওয়ার পরে সে নিয়মিত কোম্পানীর মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় চেক-আপ করাবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে।
  • সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সম্ভব্য আট সপ্তাহ পূর্বে কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্রসহ প্রশাসন বিভাগে আবেদনপত্র পেশ করতে হবে।
  • ছুটির আবেদনপত্র পেশ করার পরে মহাব্যবস্থাপক/ কারখানা প্রধান , মানব সম্পদ বিভাগ মাতৃত্বকালীন সময়ের জন্য ১১২ দিনের জন্য ছুটি অনুমোদন করবেন।
  • মাতৃত্বকালীন ছুটি পাশ হওয়ার পরে ঐ শ্রমিকের শেষ তিন মাসের প্রাপ্য মজুরী এবং আনুসাঙ্গিক সুবিধা (হাজিরা বোনাস ও অতিরিক্ত কাজের মজুরী) সহ সর্বমোট প্রাপ্য টাকাকে তার বিগত শেষ তিন মাসের মোট কর্মদিবস দিয়ে ভাগ করে একদিনের টাকা বের করে ১১২ দিনের ছুটির টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে।
  • ছুটিতে যাওয়ার আবেদনপত্র পেশ ( ই.ডি.ডি অনুযায়ী) করার পরবর্তী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রথম আট সপ্তাহের টাকা প্রদান করা হবে।মাতৃত্বকালিন ছুটি পাবার জন্য মহিলা শ্রমিক কে নির্ধারিত পদ্ধতিতে গর্ভাবস্থা
  • সন্তান প্রসবের পরে চিকিৎসক কর্তৃক সন্তান প্রসবের প্রমাণ পত্র অথবা জন্মমৃত্যু রেজিষ্ট্রিকরণ আইন (১৮৭৩ সনের ৪নং আইন) জন্ম রেজিষ্ট্রার এর প্রত্যায়িত সারাংশ পেশ করার তিন কর্ম দিবসের মধ্যে পরবর্তী আট সপ্তাহের টাকা প্রদান করা হবে।
  • কোন মহিলা যদি তার চাকুরীর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পূর্বে সন্তান সম্ভবা হন সেক্ষেত্রে তাকে বিনা সুবিধায় ১১২ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হবে।
  • একই মহিলা শ্রমিকের দুইটি সন্তান জীবিত থাকিলে পরবর্তী তৃতীয় সন্তানের জন্য তিনি উক্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হইবেন।

Posted

in

by

Comments

2 responses to “গর্ভাবস্থা পরীক্ষার নীতিমালা Pregnancy Testing Policy কি?”

Leave a Reply