ঘুষ ও দূর্নীতি নীতি Anti Bribery Policy

ঘুষ ও দূর্নীতি নীতি Anti Bribery Policy সমুহের চমৎকার বর্ণনা

ঘুষ ও দূর্নীতি নীতি Anti Bribery Policy

সংজ্ঞা  ঃ অবৈধ (বিধি সম্মত নয়) ও অনৈতিক কর্মকান্ডকে দূর্নীতি বলে।দূর্নীতি মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। কঠোর পদক্ষেপ ও পর্যবেক্ষনের মাধ্যেমে  দূর্নীতি রোধ করা স্বম্ভব। ঘুষ ও দূর্নীতি বলতে আমরা বুঝি অবৈধ লেনদেন বা আদান-প্রদান করা। অর্থাৎ অন্যায় ভাবে কোন কাজ করার জন্য এক পক্ষ অপর পক্ষকে আর্থিক বা বস্তুগত উপঢৌকন প্রদান করা। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ২৩ (গ) ধারা অনুযায়ী “মালিকের অধীন তাহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান অসদাচরন হিসেবে গন্য ।”

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ র্দূনীতি এমন একটা বিষয় যা কিনা একটি অফিস / কারখানার প্রশাসনিক অবকাঠামোকে ধ্বংস করে ফেলে। তাই কোনভাবেই দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক না। কর্মরত সকল কমকর্তা / কর্মচারী / শ্রমিকগনরা যাতে দূর্নীতি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে সুক্ষ তদারকি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। অটো গ্র“প একটি ১০০% রপ্তানীমুখী পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। দেশে ও বিদেশে এই প্রতিষ্ঠানের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আর এই সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর। অটো গ্রুপ  দুর্নীতি/ঘুষ গ্রহণ-প্রদান করাকে নীতিগতভাবে ঘৃনা করে থাকে। এ লক্ষ্যে অত্র কোম্পানীতে একটি  ‘ঘুষ গ্রহণ-প্রদান বিরোধী  নীতিমালা’ প্রণোয়ন করা হয়েছে। …

উদ্দেশ্য  : কারখানার আভ্যন্তরীন কর্ম পরিবেশ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করা,  উৎপাদন ও সারবরাহকরন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, সততা ও কোয়ালিটি সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট সরবরাহকরনের মাধ্যমে অত্র কোম্পানীর সুনাম অক্ষুন্ন রাখা-ই কম্পোজিট লিঃ এর উদ্দেশ্য।

প্রযোজ্য ক্ষেত্র  : কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সমঅধিকারে বিশ্বাসী। সুতরাং অত্র কারখানায় কার্যরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার জন্য এই নীতিমালা প্রযোজ্য।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কম্পোজিট লিঃ  ঘুষ ও দূর্নীতি মুক্ত পরিবেশ গঠনে বদ্ধ পরিকর। শ্রমিক নিয়োগ অথবা অন্য যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক কার্য-কলাপে ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য কম্পোজিট লিঃ বিশেষ নীতিমালা প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।

দূর্নীতির প্রকারভেদ ঃ

দূর্নীতি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা ঃ

ঘুষ / উৎকোচ প্রদান ঃ-  কোন কাজের বিনিময়ে যখন কোন ব্যক্তি অন্য কারো সাথে আর্থিক লেনদেন করে থাকে  তখন  তাকে ঘুষ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সেক্ষেত্রে  ব্যবস্থাপনা  কর্তৃপক্ষকে  অবশ্যই চোখ খোলা রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই একজন অন্যজনের সাথে  আর্থিক অনৈতিক সর্ম্পক গড়ে না তোলে।

চুরি  ঃ-  যখন কেউ  সাময়িক কিংবা প্রতিনিয়ত বিনা অনুমুতিতে কারখানা থেকে কোন জিনিস  নিয়ে যায় তখন  সেটা চুরির পর্যায়ে অর্ন্তভূক্ত হয়। কেউ যাতে চুরি করতে না পারে  সেক্ষেত্রে  শক্ত  হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। যদি কেউ চুরির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তা যথাযথ প্রমানের দ্বারা উপযুক্ত শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করার সাহস অন্য কেউ না পায়।

অনৈতিক  সুবিধা গ্রহন ঃ- ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে তার কোন  অর্ধতনঃ ষ্টাফ উদ্ধর্তন স্টাফের কাছ থেকে তার প্রাপ্র্য পাওনার  চেয়ে   কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা না পায়। যদি তা পায় তাহলে সকলের ভিতরে  নৈতিক মূল্যবোধের  অবক্ষয় ঘটবে।

উপহার সামগ্রী প্রদান ঃ- কর্মক্ষেত্রে  কোন কাজের প্রতিদান সরুপ কারো কাছ থেকে কোন প্রকার উপহার গ্রহন কিংবা প্রদান করা  সম্পূর্ন  অনৈতিক বা নিয়ম পরিপন্থি। তাই এরকম পরিস্থিতি যাতে কেউ সৃষ্টি করতে না পারে সে ক্ষেত্রে  সঠিক  তদারকি করতে হবে।

সচেতনতা ঃ- মানুষ মাত্রই ভুল। অন্যায় সবসময় মানুষের চারপাশে ঘূর্ণায়মান। যেহেতু মানূষ প্রকৃতিগত ভাবে নরম স্বভাবের। সেহেতু অন্যায়ের প্রতি সহজেই সে আকৃষ্ট হতে পারে। তাই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের  উচিত  সামাজিক/নৈতিক/ধর্মীয়  মূল্যবোধের উপর এমনভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা যাতে কেউ কখনো দূর্নীতি  করতে সাহস ও আগ্রহী না হয়।

কার্যকরী পরিষদঃ

দুর্নীতি/‘ঘুষ গ্রহণ-প্রদান বিরোধী  নীতিমালা’ বাস্তবায়নে  যদি কোন বাধার সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পর্ষদ গঠন করা হয়েছে যা এই নীতিমালাটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করেঃ

কার্যকরী প্রক্রিয়া ও অনুমোদন ঃ   উল্লেখিত নীতিমালা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যকরী রাখার ক্ষমতা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উল্লেখিত পর্ষদ এই নীতিমালা প্রয়োগ ও চলমান রাখতে নীতিগতভাবে দায়বদ্ধ।

নীতিমালা প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রকৃয়া ঃ

  • ঘুষ গ্রহণ-প্রদান বিরোধী নিন্মোক্ত নীতি অনুসরণ করে থাকে:
  • কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ।
  • পদোন্নতি, বেতন বৃদ্ধি, সেকশন পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
  • কোম্পানীর মালামাল ক্রয় – বিক্রয়ের ক্ষেত্রে।
  • অব্যহতি বা চাকুরী অবসানের ক্ষেত্রে।
  • যে কোন প্রকার নথিপত্র রদবদলের ক্ষেত্রে।
  • চিকিৎসা ও ঔষধ পত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে।
  • যে কোন রশিদ, গেটপাশ, ভাউচার, চালান, বিল স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে।
  • রিজেক্ট এবং অবৈধ মালামাল ইন-আউট এর ক্ষেত্রে।
  • কোন অপরাধ গোপন করার ক্ষেত্রে।
  • শাস্তি থেকে নিস্কৃতি বা শাস্তি মওকুপের ক্ষেত্রে।
  • অটো গ্র“পের কোন বায়ার, ভিসিটর বা অডিটর এর সাথে কোন প্রকার ব্যক্তিগত লেনদেন করা যাবে না।

উল্লেখিত ক্ষেত্র শুধু নয় অত্র কোম্পানী সকল ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহণ-প্রদান বিরোধী। আর উল্লেখিত বিষয়ে কেউ সম্পৃক্ত হলে এবং  দোষী সাব্যস্ত হলে শ্রম আইন ও কোম্পানীর নীতি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

নীতিমালা গুলো হলো ঃ

  • নিয়োগ, প্রশিক্ষন, পদোন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকের কর্মদক্ষতাকে প্রাধান্য দিতে হবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোন আর্থিক বা বস্তুগত উপঢৌকন লেনদেন এর ভিত্তিতে নয়, যাহা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ বিভাগ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • এতদবিষয়ে শ্রমিকের অভিযোগ গ্রহনের জন্য কারখানার বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।
  • অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন ও প্রাপ্ত অভিযোগ সমূহের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক সমাধানের ব্যবস্থা করা।
  • অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলোর তথ্য প্রদানকারী যেন কোন প্রকার হয়রানী, অত্যাচার, প্রতারনা বা বৈষম্যহীনতার শিকার না হয় সে সকল বিষয়গুলো অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে পর্যবেক্ষন করা হয়।
  • যদি কেউ অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ লিখিত বা সশরীরে জানাতে না চান তবে উক্ত অভিযোগ নিম্নে উল্লেখিত মোবাইল নম্বরে কল করে জানাতে পারেন।
  • সর্বোপরি কারখনার কর্মপরিবেশ সুষ্ঠু ও সঠিক ভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে কম্পোজিট লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কার্যরত – ঘুষ ও দূর্নীতি নীতি Anti Bribery Policy বর্ণনা

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ

এই পলিসি যাতে কারখানার সব জায়গায় ও সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীকে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, শ্রমিক প্রতিনিধি, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এছাড়াও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও ওয়েলফেয়ার অফিসার ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগরেন মাধ্যমে অবহিত করা হয়।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পরিশিস্ট:

অটো গ্র“প সর্বদা  দুর্নীতি/ঘুষ গ্রহন ও প্রদান এর বিপক্ষে। তাই দুর্নীতি/ ঘুষ গ্রহন  ও প্রদান বিরোধী নিতীমালা বাস্তবায়নে অত্র কোম্পানী বদ্ধ পরিকর। এরপরও যদি কেহ এর সাথে জড়িত থাকে তবে,তাদেও বিরুদ্ধে কোম্পানীর প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply