ছাঁটাই কি? ছাঁটাই ও চাকুরী হইতে ডিসচার্জ পদ্ধতি গুলো কি কি?

ছাঁটাই ও চাকুরী হইতে ডিসচার্জ পদ্ধতি
ছাঁটাই ও চাকুরী হইতে ডিসচার্জ পদ্ধতি কি?

ছাঁটাই ও চাকুরী হইতে ডিসচার্জ পদ্ধতি

ছাঁটাই ও চাকুরী হইতে ডিসচার্জ পদ্ধতি – কোন শ্রমিককে প্রয়োজন অতিরিক্ততার কারণে কোন প্রতিষ্ঠান হইতে ছাঁটাই করা যাইবে। কোন শ্রমিক যদি মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যুন এক বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিককে- সুনির্দিষ্ট পদের  জন্য ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, শারীরিক এবং মানসিক ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে যা উক্ত পদের জন্য যথোপযুক্ত। …

(ক) তাহার ছাঁটাইয়ের কারণ উল্লেখ করিয়া এক মাসের লিখিত নোটিশ দিতে হইবে, অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী প্রদান করিতে হইবে; (খ) নোটিশের একটি কপি প্রধান পরিদর্শক অথবা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং আরেকটি কপি প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধিকে, যদি থাকে দিতে হইবে; এবং (গ) তাহাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ত্রিশ দিনের মজুরী বা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিতে হইবে। ৩. উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১৬ (৭) এর অধীন ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) (ক) এ উল্লিখিত কোন নোটিশের প্রয়োজন হইবে না, তবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিককে উপ-ধারা (২) (গ) মোতাবেক প্রদেয় ক্ষতিপূরণ বা গ্রাচুইটির অতিরিক্ত হিসাবে আরোও পনের দিনের মজুরী দিতে হইবে। ৪. যে ক্ষেত্রে কোন বিশেষ শ্রেণীর শ্রমিককে ছাঁটাই করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে, মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে এতদসংক্রান্ত কোন চুক্তি অবর্তমানে, মালিক উক্ত শ্রেণীর শ্রমিকগণের মধ্যে সর্বশেষ নিযুক্ত শ্রমিককে ছাঁটাই করিবেন।

চাকুরী হইতে ডিসচার্জ

১.কর্মীর অসদাচরন নয় বরং দীর্ঘদিন শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার কারনে দায়িত্ব    থেকে অব্যহতি প্রদান করা যেতে পারে।কোন শ্রমিককে, কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়িত, শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে চাকুরী হইতে ডিসচার্জ করা যাইবে।
২. ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিক অন্যুন এক বৎসর অবিচ্ছিন্ন চাকুরী সম্পূর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন।

বরখাস্ত, ইত্যাদি ব্যতীত অন্যভাবে মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান

অব্যহতি প্রদানঃ- কোন শ্রমিককে প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় মনে না করলে কর্মীকে ১২০ দিনের নোটিশ অথবা নোটিশ পে প্রদান পূর্বক চাকুরী হতে অব্যহতি দিবে।

বরখাস্তঃ- সুনির্দিষ্ট পর্যালোচনার ভিত্তিতে কর্মী দোষী সাব্যস্ত হলে অসদাচরনের জন্য অপসারণ করা যেতে    পারে।

১. এই অধ্যায়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক-
(ক)অসদাচরন নয় বরং শ্রমিক আধিক্য জনিত কারনে শ্রমিক নিযোগ স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী শ্রমিক  ছাটাই করা যেতে পারে। মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, একশত বিশ দিনের,
(খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ষাট দিনের, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন।
২. এই অধ্যয়ের অন্যত্র বিধৃত কোন পন্থা ছাড়াও মালিক-
(ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের,
(খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের,
লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া কোন অস্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে পারিবেন, যদি না এই অবসান যে অস্থায়ী কাজ সম্পাদনের জন্য শ্রমিককে নিযুক্ত করা হইয়াছে উহা সম্পূর্ণ হওয়া, বন্ধ হওয়া, বিলুপ্ত হওয়া বা পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে হয়।
৩. যে ক্ষেত্রে মালিক বিনা নোটিশে কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন, প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরী প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন।
৪. যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয় সেক্ষেত্রে, মালিক শ্রমিককে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ত্রিশ দিনের মজুরী, অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে।

শ্রমিক কর্তৃক চাকুরীর অবসান

২. কোন অস্থায়ী শ্রমিক-
(ক) মাসিক মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকের ক্ষেত্রে, ত্রিশ দিনের,
(খ) অন্য শ্রমিকের ক্ষেত্রে, চৌদ্দ দিনের,
লিখিত নোটিশ মালিকের নিকট প্রদান করিয়া তাহার চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারিবেন।
৩. ইস্তফা প্রদানঃ কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী চাকুরী হতে ইস্তফা দিতে চাইলে তা ৩০ দিন পূর্বে লিখিতভাবে যে ক্ষেত্রে শ্রমিক বিনা নোটিশে চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে চাহেন সে ক্ষেত্রে, তিনি উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন প্রদেয় নোটিশের পরিবর্তে নোটিশ মেয়াদের জন্য মজুরীর সমপরিমাণ অর্থ মালিককে প্রদান করিয়া ইহা করিতে পারিবেন।
৪. যে ক্ষেত্রে এই ধারার অধীন কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকুরী হইতে ইস্তফা দেন সে ক্ষেত্রে, মালিক উক্ত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাহার প্রত্যেক সম্পূর্ণ বৎসরের চাকুরীর জন্য-
(ক) যদি তিনি পাঁচ বৎসর বা তদূর্ধ, কিন্তু দশ বৎসরের কম মেয়াদে অবিচ্ছিন্নভাবে মালিকের অধীন চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, চৌদ্দ দিনের মজুরী;
(খ) অবসর ঃ-কর্মীর বয়স ৫৭ বছর পূর্ণ হলে কর্মচারী/কর্মকর্তা অবসরে যাবেন। কিন্তু কর্মকর্তা/কর্মচারী শারীরিক   যদি তিনি দশ বৎসর বা তদূর্ধ সময় মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরী করিয়া থাকেন তাহা হইলে, ত্রিশ দিনের মজুরী;
অথবা গ্রাচুইটি, যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন, এবং এই ক্ষতিপূরণ এই আইনের অধীন শ্রমিককে প্রদেয় অন্যান্য সুবিধার অতিরিক্ত হইবে। চাকুরী থেকে ইস্তফা নেওয়ার সময় কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা এবং পাওনা প্রদান করা  হবে।

কর্মী চাকুরী হতে ইস্তফা নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র-যেমন পরিচয়পত্র, কাঁচি, কাটার, পোশাক

(নিরাপত্তা কর্মীদের ক্ষেত্রে), চাবি সহ সকল ষ্টেশনারী মালামাল গুদাম কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিবে। প্রতিষ্ঠানের

মালামাল সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠান আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

অব্যয়িত বার্ষিক ছুটির মজুরী প্রদান

যে কোন নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান, জনবল নিয়োগ বিভাগ এবং প্রশাসন বিভাগের  নিকট লিখিত আকারে জানাবেন। যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, বরখাস্ত, অবসর, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে অবসান হয় এবং যদি তাহার কোন বাৎসরিক ছুটি পাওনা থাকে, তাহা হইলে মালিক ঐ পাওনা ছুটির পরিবর্তে এই আইনের বিধান অনুযায়ী ছুটিকালীন সময়ে উক্ত শ্রমিকের যে মজুরী প্রাপ্য হইত তাহা প্রদান করিবেন।

By Mashiur

He is Top Class Digital Marketing Expert in bd based on Google Yahoo Alexa Moz analytics reports.. He is certified IT Professional from Aptech, NCC, New Horizons & Post Graduated from London Metropolitan University (External) in ICT. Cell# +880 1792525354. যোগাযোগ এর জন্য নিম্নে Leave a Reply এ গিয়ে কমেন্টস Comments করুন

Leave a Reply