জেনারেটর চালু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা গুলো কি কি?

জেনারেটর চালু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা গুলো কি কি?

জেনারেটর চালু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা

সকল প্রকার জেনারেটর চালু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা গুলো ও উৎপীড়ন মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান এটা কারখানায় কর্মরত সকলের উদ্দেশ্যে অবহিত করনের জন্য কারখানার নোটিশ বোর্ডে এই নীতিমালা টানানো আছে। বিভিন্ন প্রকার মাটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে অবহিত করা হয়।।এছাড়াও অভিযোগ ও পরামর্শ বক্স, শ্রমিক অংমগ্রহনকারী কমিটি ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ এ ব্যাপারে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।

১. সার্কিট ব্রেকার বা অন্য কোন পাওয়ার কানেকশন থাকলে তা বন্ধ কিনা নিশ্চিত হতে হবে।
২. ইঞ্জিনের উপরে বা ভিতরে কোন যন্ত্রপাতি বা অন্য কিছু থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩. ইঞ্জিনের বেল্টগুলো পরীক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে যথাযথ টাইট টিতে হবে ও গ্রিজ পয়েন্টে গ্রিজ দিতে হবে।
৪. সার্জ ট্যাংকে পানি আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। প্রয়োজনে পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
৫. পানি, মবিল ও গ্যাস লাইনে কোন লিকেজ আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

জেনারেটর চালু করার নিয়মাবলী

১. ইগনিশন সুইচ অন করতে হবে এবং ম্যানুয়াল সাট ডাউন লিভার ওপেন পজিশনে রাখতে হবে।
২. কন্ট্রোন প্যানেল থেকে স্টার্ট সুইচ অন করতে হবে।
৩. ইঞ্জিন চালু হলে এয়ার ষ্টার্টারের ভাল্ব বন্ধ করতে হবে।
৪. ভোর্টেজ ও ফ্রিকোসন্সী ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে। না থাকলে এডজাস্টিং নব দ্বারা এডজাস্ট করতে হবে।
৫. মেইন সার্কিট ব্রেকার অন করতে হবে এবং ধীরে ধীরে লোড দিতে হবে।

জেনারেটর চালু অবস্থায় সতর্কতা

১. মেইন গ্যাস ভাল্ব এবং গ্যাস প্রেসার গেজে কোন লিকেজ আছে কিনা।
২. জ্যাকেট ওয়াটার পাম্পে কোন লিকেজ আছে কিনা।
৩. ইঞ্জিনের কোথাও কোন লিকেজ আছে কিনা।
৪. প্রতিটি মিটার গেজের মিটার রিডিং ঠিক আছে কিনা।

জেনারেটর বন্ধ করার নিয়মাবলী

১. ধীরে ধীরে লোড কমাতে হবে এবং মেইন সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে হবে।
২. পাচঁ মিনিট বিনা লোডে ইঞ্জিনচালু রাখতে হবে যাতে ইঞ্জিন ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে পারে।
৩. কন্ট্রোল প্যানেল হতে ইঞ্জিন বন্ধ করতে হবে।
৪. ম্যানুয়াল গ্যাস ভাল্ব বন্ধ করতে হবে।
৫. কুলিং টাওয়ারের পাম্প ও ফ্যান বন্ধ করতে হবে।
সম্ভাব্য দুর্ঘটনাসমূহ

১. ইলেকট্রিক লাইনে সর্ট সার্কিট।
২. ইঞ্জিনে ব্যাক ফায়ার।

জেনারেটর- এর কাজ হল মেগনেটিক ফ্লাক্স এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করাএবং সেই বিদ্যুৎ ফেক্টরিতে সাপ্লাই করা। যখন আর ই বি চলে যাবে তখন জেনারেটর র্স্টাট করার ২-৩মিঃ এর মধ্যে বিদ্যুৎ ফেক্টরিতে সাপ্লাই করে দিবে। ডিজেল জেনারেটর এর বিদ্যুৎ ক্যাপাসিটি হল ৬৩৫ কেভিএ(কিলো ভোল্ট এ্যম্পিয়ার)। জেনারেটর ট্যাংকিতে ডিজেল ক্যাপাসিটি ১,০০০লিটার।

 

*১২৫০ কেভিএ(কিলো ভোল্ট এ্যম্পিয়ার) =  ১ মেগা ওয়াট

*১০০০ কিলো ওয়াট           =  ১ মেগা ওয়াট

*৬৩৫কেভিএ =৫০৮কিলোওয়াট*২=১.০১৬ কিলো ওয়াট

*১.০১৬ কিলোওয়াট/১০০০ = ১.০০১০১৬ মেগা ওয়াট

*১কেভিএ*০.৮ = ৮০০কিলো ওয়াট

*৬৩৫কেভিএ*.৮= ৫০৮ কিলো ওয়াট প্রতিটি জেনারেটরের ক্ষেত্রে।


Posted

in

by

Comments

5 responses to “জেনারেটর চালু করার পূর্বে প্রস্তুতিমূলক সতর্কতা গুলো কি কি?”

Leave a Reply