জেনারেটর রক্ষনাবেক্ষন ও সতর্কতা নীতিমালা গুলো কি কি

জেনারেটর রক্ষনাবেক্ষন ও সতর্কতা নীতিমালা গুলো কি কি ?

জেনারেটর রক্ষনাবেক্ষন ও সতর্কতা

ইঞ্জিন চালু করার পূর্বে ঃ

  •  জেনারেটর রক্ষনাবেক্ষন এ জেনারেটরের বেসমেন্ট যাতে তেল পড়ে ভিজা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চারপাশ পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। শুকনো কাপড় দিয়ে বহিরাবন মুছে ধুলাবালি মুক্ত রাখতে হবে। অভ্যন্তরে যাতে কোন ভাবেই পানি প্রবেশ না করে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের জন্য দরজা জানালা খুলে দিতে হব্
  • প্রতিদিন ইঞ্জিনে তেল,পেট্রোল/ডিজেল,মবিল এবং রেডিমেটের পরিমানমত পানি আছে কি-না এর পরিমান চেক করতে হবে। পেট্রোল টাংকির মুখ ভালোভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
  • মবিল এর ভিসকোসিটি বা আঠালোতা মবিল গেজের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে। মবিল কালো বা ময়লা যুক্ত হলে তাৎক্ষনিক মবিল পরিবর্তন করতে হবে।
  • ব্যাটারির তার সমূহে মরিচা থাকলে পরিস্কার করতে হবে ব্যাটারির ফ্লুইড/পানি নিচে নেমে গেলে ঘাটতি পুনর করতে (ডিসটিভ ওয়াটার দিয়ে)।
  • ডিজেল পাইপ,পানির পাইপ বা মবিল লাইনে লিকেজ আছে কি-না দেখতে হবে।
  • যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য জেনরেটর রুমের ভিতরে প্রবেশ থেকে সকলকে বিরত রাখতে হবে। কেবল মাএ নির্দিষ্ট মনোনীত ব্যক্তিই জেনারেটর অপারেট করবে। কোন অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট ম্যানেজারের নির্দেশের বাহিরে কেহ অপারেট করবে না।
  • সাইলেন্সার এ কোন বাধা থাকলে তা অপসারন করুন। সেফটি ডিভাইজ-এর বাতি সমূহ পরীক্ষা করতে হবে।

ইঞ্জিন চালুর পরে ঃ

  • ইঞ্জিনের শব্দ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কন্ট্রোল প্যানেলের প্রতি মিটারের কার্যকলাপ স্বাভাবিক কি-না তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • ইঞ্জিনের মবিল প্রেসার দেখতে হবে। ভোল্টেজ এবং ফ্রিকোয়েন্সি দেখতে হবে। পানির তাপমাএা দেখতে হবে।ধীরে ধীরে জেনারেটর লোড দিতে হবে।
  • প্রতি ঘন্টায় মিটারসমুহের ডাটা খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। জ্বালানী তেল ব্যবহারের হিসাব এবং ব্যবহারের সময় লিপিবদ্ধ রাখার জন্য নির্ধারিত রেজিষ্টার ছকে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

ইঞ্জিন বন্ধ করার সময় ঃ

  • ধীরে ধীরে ইঞ্জিনের লোড কমাতে হবে। কোন লোড ছাড়া ইঞ্জিন অন্ততপক্ষে ৩-৪ মিনিট চালাতে হবে।
  • সুইচ দ্বারা ইঞ্জিন বন্ধ করতে হবে। সেল্ফ ষ্টার্ট জেনারেটরের ক্ষেএে রাতে প্রয়োজন ন থাকলে জেনারেটরের মেইন সুইচ বন্ধ রাখতে হবে।

ফিল্টার সমূহ রক্ষনাবেক্ষণ এর সময়সূচী ঃ

  • প্রতি ১০০ ঘন্টা চলার পর নিয়মিত সার্ভিসিং নিশ্চত করতে হবে। কোন ভাবেই যেন ১০০ ঘন্টার বেশী না হয়।(এয়ার ফিল্টার সার্ভিসিং এবং মবিল ফিল্টার পরিবর্তন)
  • প্রতি ১৫০ ঘন্টা চলার পর এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে।
  • প্রতি ১০০ ঘন্টা চলার পর মবিল এবং অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে।

সর্তকতা ঃ

  • জেনারেটর এর মাধ্যমে ওয়েল্ডিং এর কাজ করা যাবে না। জেনারেটর সেট এ অতিরিক্ত লোড দেওয়া যাবে না।
  • জেনারেটরের সম্পূর্ণ ক্যাপাসিটি থেকে কিছু কম লোডে চালালে জেনারেটরের আয়ুকাল বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেএে অপ্রয়োজনীয় কিছু কম লোডে জেনারেটরের আয়ুকাল বৃদ্ধি পাবে। মোট নির্ধারিত লোডের ৮০% এর বেশী চালানো উচিৎ হবে না।
  • জেনারেটর মেডের বাহিরে প্লেট ঝুলিয়ে সর্তকতামূলক সংতেক দেওয়া যেতে পারে। যেখানে জ্বালানী থাকবে সেই স্থানে কোন অবস্থায় দাহ্য কোন পদার্থ বহন করা যাবে না বা ধুমপান, দিয়াশলাই ইথ্যাদি বহন করা যাবে না। সার্বিক নিরাপওা বিষয়টি প্রশাসন / ফ্লোর ইন চার্জ এবং সিকিউরিটি সেকশনের দ্বায়িত্বে থাকবে। সংশ্লিষ্ট ফ্লোর ইন চার্জ এবং প্রশাসন কর্মকর্তাগন জেনারেটর ব্যবহারের উপরিউক্ত অপারেটিং ও সঠিক রক্ষনাবেক্ষন করনীয় বিষয় সমূহ সরাসরি তত্ত্বাবধান করবে এবং দৈনিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করবেন। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা একান্ত কম্য।

Posted

in

by

Comments

4 responses to “জেনারেটর রক্ষনাবেক্ষন ও সতর্কতা নীতিমালা গুলো কি কি ?”

Leave a Reply