টাইম ক্লক নির্দেশিকা এবং পাঞ্চ কার্ড

টাইম ক্লক নির্দেশিকা এবং পাঞ্চ কার্ড পলিসি সমুহের চমৎকার বর্ণনা এবং নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন

টাইম ক্লক নির্দেশিকা এবং পাঞ্চ কার্ড পলিসি

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ

টাইম ক্লক নির্দেশিকা এবং পাঞ্চ কার্ড পলিসি প্রতিটি কারখানার কিছু সু-নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে। অটো  গ্র“পে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। কেননা সুশৃঙ্খলতাই যে কোন কর্মপরিবেশকে কর্মপোযোগী করে তুলতে সহায়তা করে। কোম্পানীতে প্রবেশের সময় থেকেই কোম্পানীর নিয়ম শৃঙ্খলা অনুসরন করার জন্য সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। অত্র কোম্পানীর শ্রমিক, কর্মচারী থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন পর্যায় পর্যন্ত সকলকেই প্রবেশ কার্ড- সোয়াইপ কার্ড, টাচ কার্ড ফিংগার টাচ নির্দেশক মেশিনে নিয়ম অনুযায়ী পাঞ্চ করে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করতে হবে। ফ্যাক্টরী ত্যাগ করার সময় ও একই নিয়ম অনুসরন করতে হবে। কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ওভার টাইম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সুষ্ঠুভাবে প্রদান করার লক্ষ্যে এ পলিসি প্রণোয়ণ করা হয়েছে।

নীতিমালা প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রকৃয়া ঃ অত্র কোম্পানীতে তিন ধরনের প্রবেশ কার্ড রয়েছে-

১.            সোয়াইপ কার্ড

২.           টাচ কার্ড

৩.           আঙ্গুলের ছাপ

প্রত্যেক শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ ও বাহির হবার সময় নিম্নলিখিত নিয়মগুলো অনুসরন করতে হবে

  • প্রত্যেকের নিজ নিজ প্রবেশ কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে এবং ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ এবং বাহির হবার সময় নির্দেশক মেশিনে পাঞ্চ করে ঢুকবে।
  • পাঞ্চ করার সময় প্রত্যেককে নিয়ম মেনে লাইন ধরে কার্ড পাঞ্চ করতে হবে। যার জন্য যেই নির্দিষ্ট মেশিন তাকে ঐ মেশিনে পাঞ্চ করতে হবে।
  • কার্ডটিকে পাঞ্চ করার জন্য লম্বালম্বি করে ধরতে হবে যাতে করে বারকোডটি পিছনে থাকে। মেশিনের ডানপাশে যে লম্বা ফাকা লাইন আছে তার উপর থেকে নীচ পর্যন্ত কার্ডটিকে টান দিতে হবে। কার্ড টান দেয়ার পর যদি টি-টিট শব্দ হয় তাহলে
  • বুঝতে হবে সঠিকভাবে পাঞ্চ হয়েছে। একবার সঠিক ভাবে পাঞ্চ হলে কেউ দ্বিতীয়বার পাঞ্চ করবে না। টি-টিট শব্দ না পাওয়া গেলে পুনরায় পাঞ্চ করতে হবে।
  • কার্ড পাঞ্চ করার পর অবশ্যই স্ক্রিনে কাডর্ নাম্বার দেখায় কিনা তা লক্ষ্য করতে হবে। স্ক্রিনে কার্ড নাম্বার দেখালে বুঝতে হবে যে কার্ডটি সঠিকভাবে পাঞ্চ হয়েছে।
  • পাঞ্চ করার সময় কেউ তাড়াহুড়া বা ধাক্কা-ধাক্কি করবে না । পাঞ্চ করা হয়ে গেলে কেউ মেশিনের সামনে দাড়িয়ে ভীড় করবে না।
  • একজনের কার্ড অন্যজনে পাঞ্চ করবে না।
  • মেশিনের উপরের কোন নাম্বার বাটনে অথবা মেশিনের গায়ে অন্য কোথাও কেউ হাত লাগাবে না।
  • কোন শ্রমিক ছুটির সময় যদি সন্ধ্যা ৭.১৫ ঘটিকার পর অথ্যৎ ৭:১৬ অথবা এর পর কার্ড পাঞ্চ করে সেক্ষেত্রে তার উক্ত দিনের অতিরিক্ত কর্মঘন্টা ২:৩০ ঘন্টা গন্য করা হবে। কিন্তু ৭:১৫ ঘটিকা বা এর আগে কার্ড পাঞ্চ করলে তার উক্ত দিনের অতিরিক্ত কাজের সময় ২ ঘন্টা ধরা হবে এবং এই অনুসারে মজুরী প্রদান করা হবে।
  • ফ্যাক্টরীর কর্মঘন্টা শুরু হয় সকাল ৮ ঘটিকায়। যদি কোন শ্রমিক অভ্যাসগত ভাবে সকালে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করতে দেরী করে অথ্যাৎ সকাল ৮ ঘটিকার পর কার্ড পাঞ্চ করে সেক্ষেত্রে এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স ওয়েলফেয়ার অফিসারগন তাদের মিটিং, ট্রেনিং ও মোটিভেশনের মাধ্যমে সঠিক সময়ে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের ব্যাপারে উৎসাহিত করে থাকে। বিলম্বে পাঞ্চ করার কারনে মজুরী কর্তন করা হয় না।
  • নতুন শ্রমিক বা কর্মচারী কোম্পানীতে যোগদানের পর থেকে যত দ্রুত সম্ভভব এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ থেকে তাদের প্রবেশ কার্ড প্রদান করা হয়।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ

টাইম ক্লক নির্দেশিকা কারখানার সকল শ্রমিক, কর্মচারী থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই এই পলিসি সম্পর্কে যাতে কারখানার সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীকে অবগত হতে পারে সেলক্ষ্যে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, শ্রমিক প্রতিনিধি, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর প্রচারনা চালানো হয়।

দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও ওয়েলফেয়ার অফিসার ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগন এই পলিসি অবহিতকরনে ও যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

টাইম ক্লক নির্দেশিকা পলিসিটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এই পলিসি বাস্তবায়নের পথে যদি কোম্পানী কোন বাধার সম্মুখীন হয় সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।


Posted

in

by

Comments

5 responses to “টাইম ক্লক নির্দেশিকা এবং পাঞ্চ কার্ড পলিসি সমুহের চমৎকার বর্ণনা এবং নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন”

Leave a Reply