ডাইং প্রোজেক্ট অপারেশন

ডাইং প্রোজেক্ট অপারেশন এর ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়?

ডাইং প্রোজেক্ট অপারেশন

কোন ম্যানুফাকচারিং ব্যবসায় ইনিশিয়াল ইনভেস্টমেন্ট বেশি হওয়ার কারনে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পে-ব্যাক পিরিয়ড সরটার হয়।ব্যাবসায়

ব্যাচ মেকিংঃ

ব্যাচ মেকিং এর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ব্যাচ ডাইং মেশিনে সল্পতম সময়ে লোডিং হয়।এখেত্রে প্লেটিং টাইপ নজেল মেকিংবাঞ্ছনীয়। ব্যাচিং মেশিনে টারনিং এবং নন টারনিং দুই অপশন ই থাকতে হবে।

ব্যাচ মেকিং করে সুন্দর এবং ইনফরমেটিভ একটা ব্যাচ কার্ড থাকতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকে।ব্যাচ কার্ড প্রসেসিং রুটে ভিজে ছিড়ে যাবে না, সে রকম হার্ড পেপারে তৈরি করতে হবে।ব্যাচ কার্ড এ সাইকেল টাইম ও রোপ লেংথ তথ্য থাকা জরুরি।

ব্যাচ মেক করে ডাইং মেশিনের সামনে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে অপারেটরের পক্ষে সহজে লডিং করা সম্ভব হয়।এক্ষেত্রে কমফিট কম্পজিটের সিস্টেম ফলো করলে ভালো হয়।

ডাইংঃ

ডাইং এর শুরু হোল ব্যাচ প্রিপারেশন। ব্যাচ প্রিপারেশন এমনভাবে ইঞ্জিনিয়ারড হতে হবে যাতে একটা ডাইং মেশিনের সবগুলা নজেল একসাথে লডিং করতে পারে।ধরি একটা ডাইং মেশিনে ছয়টা নজেল আছে।সেখেত্রে তিনটা নজেল শেষ হলে অন্য তিনটা নজেল লডিং হলে সময় প্রায় দিগুন নেবে।এটা সময় অপচয়ের একটা অন্যতম কারন।

ডাইং প্রোজেক্ট এর শুরুতে লডিং এবং আনলডিং টাইম সম্পর্কে বলে নেওয়া ভালো, কারন টোটাল ডাইং টাইমের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে লডিং/আনলডিং এবং এখানে সময় সাধারণত অনেক অপচয় হয়। একটা ভালো ডাই হাউজে এক টনের একটা ডাইং মেশিনে একজন অপারেটর একটা ব্যাচ লডিং করতে সময় নেবে ১৫ মিনিট এবং আনলড করতে সময় নেবে ১৫ মিনিট। এ সম্পর্কে পর্তুগালের একটা ডাই হাউজের লডিং ভিডিও আছে।সেটা সবাইকে দেখাতে হবে।

ফ্যাব্রিক প্রিত্রিটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশয়।আনিভেন প্রিত্রিট্মেন্ট হলে আনিভেন ডাইং হবে। বিশেষ করে রানিং শেড এর জন্য প্রিত্রিট্মেন্ট দায়ী।

প্রিত্রিটমেন্ট স্টেজে ডাইং প্রোজেক্ট এ ডাইং মেশিনের ডোর খোলা যাবে না।

প্রিত্রিটমেন্ট স্টেজে টেম্পারেচার গ্রেডিং ব্যাবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রিত্রিটমেন্ট স্টেজে টেম্পারেচার গ্রেডিং ব্যাবহার না করলে white  L/S/J ফ্যাব্রিক এ রানিং শেড আসবেই।উপরন্ত অন্যান্য কালারে রানিং শেড আসতে পারে।

নরমালি, কটন ডাইং এর ডিফিকাল্ট পার্ট হোল টার্কিশ, রয়াল, অরেঞ্জ, লেমন ইওলো এবং রেড এস ২ বি।এই ৫ টা ডাইস দিয়ে ডাইং করতে গেলে অবশ্যই অধিকতর সতর্কতা মুলক ব্যাবস্থা নিতে হবে। প্রিত্রিত্মেন্ট স্টেজে এমন একটা ডিটারজেন্ট ব্যাবহার করতে হবে যার ক্রাকিং পাওয়ার আছে। যেমন Huntsman এর Invatex CRA. সিকুএস্টারিং এজেন্ট অবশ্যই শক্তিশালি হতে হবে, যেমন Huntsman এর Invatex CS. ডাই বাথ এ একটা শক্তিশালি ডিস্পারসিং এজেন্ট ব্যাবহার করতে হবে, অন্যথায় কালার স্পট আসবে। Croscolor ADM (Eurodye CtC) একটা শক্তিশালি ডিস্পারসিং এজেন্ট। ডাইং মেশিনে ড্রাই সল্ট ট্রান্সফার সিস্টেম থাকলে খুবই ভালো, অন্যথায় লবন তিনভাগে ১/১০,২/১০,৭/১০) দিতে হবে।

ডাইং এ ছোট ছোট জে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুল হলঃ

হট ওয়াটার ফর স্যাম্পল ওয়াশ

ডি ওয়াটার ফর কাট স্যাম্পল

ড্রায়ার ফর স্যাম্পল ড্রাইং

ওয়াটার ট্রিগার ফর ওয়াটার পাইপলাইন

ফ্যাব্রিক কালারেশন এর সবচেয়ে ডিফিকাল্ট সেগমেন্ট হোল শেড ম্যাচিং।শেড ম্যাচিং এর জন্য ডাইং পিপল বার বার এডিশন/ টপিং করে। ফলে রাইট ফাস্ট টাইম হয় না এবং ফ্যাব্রিক এ আনইভেন, রানিং শেড আসে। পুনরায় সেটা ঘুরে কনভার্ট এর জন্য আসে, একসময় ফ্যাব্রিক টা রিজেক্ট হয়।

শেড ম্যাচিং এর ক্ষেত্রে এমন সিস্টেম চালু করতে হবে যাতে রাইট ফাস্ট টাইম হয়, শেড ভেরিয়েশন হওয়ার সুযোগ না থাকে।

প্রথমে ল্যাব টু বাল্ক RFT  ডেভলপ করতে হবে।ল্যাব টু বাল্ক RFT কমপক্ষে ৬০% হতে হবে।ডাইহাউস ম্যানেজার কোন রেসিপি এডজাস্ট করতে পারবে না। ল্যাব এবং বাল্ক এর মধ্যে পদ্ধতিগত যে পার্থক্য আছে সেটা দূর করলেই, ল্যাব টু বাল্ক RFT বাড়ানো সম্ভব।

প্রথম ব্যাচ লাইটার থাকলে ভালো হয়। প্রথম ব্যাচ টপিং করে, পরের ব্যাচে, টপিং এর ৮০% কালার যোগ করলে পরের ব্যাচের শেড মিলে যাবে। তার পরের ব্যাচ থেকে বাদবাকি সব ব্যাচ RFT হতে হবে।

প্রথম ব্যাচের শেড অবশ্যই গুড ম্যাচিং (ডেলটা E = 0.75)এর মধ্যে থাকতে হবে। কাস্টমার এপ্প্রুভাল এর জন্য দেরি করা চলবে না।কাস্টমার বাল্ক রিজেক্ট করলে, কাস্তমারের কাছে ডাটাকালার রিপোর্ট দিয়ে চেজ করতে হবে।

ডাইং প্রোজেক্ট  RFT  বীল্ড আপ করতে হলে ডাইং মেশিনের ডাইং প্রোগ্রাম ইউনিফাইড করতে হবে। অর্থাৎ ২০/২৫ তা প্রোগ্রাম ফিক্স করে দিতে হবে এবং সব মেশিনে একই প্রোগ্রাম থাকতে হবে।মেইন ফাংশন এবং প্যারালাল ফাংশন একই হতে হবে।

সেন্ট্রাল কন্ট্রলিং সফটওয়্যার থাকলে সবচেয়ে ভালো হয়।সেক্ষেত্রে মানুষের উপর ডিপেন্ডেন্ট হতে হয় না।

কস্ট রিডাকশনের জন্য, প্রত্যেকটা কেমিক্যালের অপ্টিমাইজড ডোজ চার্ট আকারে লিখে রেসিপি মেকিং গাইডলাইন বোর্ডে সেঁটে দিতে হবে।

ডাই হাউসের কষ্ট কমানোর অন্য উপায় হোল মাল্টি ফাংশনাল ডাইসের অপ্টিমাইজড ইউজ।

আমার দেখা সবচেয়ে ভালো মাল্টি ফাংশনাল ডাইস হোল kisko’s HB series এবং DyStar’s  Ultra RGB series.

রিএকটিভ ডাইং এর শেড ভেরিএশনের জন্য সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য ব্যাপার হোল সল্ট এর কনসেন্ট্রেশন (g/l) ঠিক না থাকা। এর একটা কারন হোল ৫০ কেজির বস্তা না মেপে ৫০ কেজি হিসাবে নিয়ে আসা এবং গুরুত্ত না দিয়ে ভাংতি অংশ মাপা।মোট কথা লবন কম বেশি মাপা।সেজন্য লবন মাপার জন্য একটা ডিজিটাল ব্যালান্স (৩০০ কেজি, OHAUS)সেট করে দিতে হবে।

Correction Recipe for unlevel disperse dyeing

Albatex AR    = 0.5 g/l

Univadine Top = 1.0 g/l

Albatex AB-45 = 2.0 g/l

Univadine DFM = 3.0 g/l

Formic Acid  = 0.1 g/l

ফিনিশিংঃ

ফিনিশিং এ প্রত্যেক মেশিনের অপারেটিং প্যারামিটারের ভ্যারিএবল গুলাকে ফিক্স করে দিতে হবে।ফ্যাব্রিক ভেদে সেটা বিভিন্ন হবে।

ফিনিশিং এ টেম্পারেচার ভেরিএশন করে শেড ম্যাচিং এর চেস্টা করা যাবে না।তাতে লাভের পরিবর্তে লস হবে। অর্থাৎ শেড কে ক্লোসার না করে ভেরিএশন ইন্ট্রডিউস করবে।

কোয়ালিটি কন্ট্রোলঃ

ডাই হাউসের প্রোডাক্টের কোয়ালিটি কন্ট্রোল করতে হলে অবশ্যই অন লাইন কোয়ালিটি কন্ট্রোলের দিকে নজর দিতে হবে।

অন লাইন কোয়ালিটি কন্ট্রোল হোল ডাইং প্রসেস এর স্টেপ গুলোতে চেক পয়েন্ট সেট করে প্যারামিটার চেক করতে হবে।

ফিনিশিং এ অন লাইন কোয়ালিটি কন্ট্রোল মানে প্রত্যেকটা ব্যাচে মেশিনের সেটিংস ঠিক করে তা মেইন্টেইন করা।

পাশাপাশি প্রত্যেকটা ব্যাচ অফ লাইন এ চেক করে রিপোর্ট জেনারেট করে নিটিং, ডাইং ও ফিনিশিং এ বিতরন করা যাতে প্রোডাকশন পিপল তাড়াতাড়ি কারেক্টিভ একশন নিতে পারে।

স্টোরিংঃ

প্রত্যেকটা ব্যাচ চেকিং এর পরে ডিজিটাল ব্যালান্সে ওয়েট করে স্টোরিং করতে হবে যাতে গারমেন্টিং ইউনিটে ইজিলি ডেলিভার করা যায়।নন কনফরমেন্স প্রোডাক্ট যাতে পুনরায় রি ওয়ারকের জন্য আনা যায় সেভাবে স্টোরিং করতে হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

One response to “ডাইং প্রোজেক্ট অপারেশন এর ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়?”

Leave a Reply