ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্

ফায়ার লাইসেন্স এর প্রধান প্রধান শর্তাবলী গুলো কি কি ?

ফায়ার লাইসেন্স এর শর্তাবলী

ফায়ার লাইসেন্স এর শর্তাবলী । ফায়ার ফাইটার টিমের দ্বায়িত হল আগুন উৎস চিহ্নিত করা । ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  বা মহাপরিচালকের  ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা মনোনীত অফিসার / পরিদর্শক দল কর্তৃক  গুদাম / কারখানা যে কোন সময় (সুর্যদ্বয়ের পরে এবং সুর্যস্তের পূর্বে) পরিদর্শনের জন্য উন্মক্ত রাখতে হবে।  গুদাম বা কারখানার অংশবিশেষ বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। গুদাম বা কারখানার ছাদ পূর্ণ বা আংশিক ভাবে দ্রব্যাদি তৈরী, প্রস্তুত বা শুকানোর কাজে বা মজুদ করনের নিমিত্তে ব্যবহার করা যাবে না । …

আগুন নিবানোর জন্য নিকটস্থ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আগুন নিবানোর চেষ্টা করবে। কারখানা বা গুদামের অভ্যন্তরে, মালামাল উঠানামার স্থানে এবং নির্ধারিত চৌহাদ্দির মধ্যে ধুমপান করা, দিয়াশলাই ও লাইটার, বিড়ি সিগারেটের প্যাকেট বহন, খোলাবাতি ব্যবহার করা, স্পার্ক হয় এমন কোন লাইট ও বাতি ব্যবহার স¤পূর্ণ নিষিদ্ধ।

গুদাম বা কারখানা অভ্যান্তরে কারখানা আইন অনুযায়ী বিদ্যুতায়ন/ আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং একই আইন অনুযায়ী মালামাল সংরক্ষণ ও মেশিন স্থাপনসহ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ফায়ার ফাইটার টিমের সকল সদস্য নিদ্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ে থাকবে। প্রতিষ্ঠানটিতে সংগঠিত সম্ভাব্য অগ্নি দুর্ঘটনা তৎক্ষনিকভাবে নির্বাপন ও নিয়ন্ত্রন এবং অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে নিম্নেবর্নিত ব্যাবস্থা সমুহ বলবৎ ও নিশ্চিত করতে হবে।

ক. ভবনের ওয়েট রাইজার ও বেইজমেন্টে  ¯িপ্রংকলার স্থাপন করতে হবে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে প্রতি ৪৫০০ বর্গফুট এরিয়ার জন্য নুন্যতম একটি এবং অতিরিক্ত ফ্লোর এরিয়ার জন্য  আরো একটি রাইজার পয়েন্ট স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি রাইজার পয়েন্টে ১.৫ ডায়া বিশিষ্ট ১০০ ফুট লাম্বার ভেরিয়েবল নজল/ ডিফিউজার নজল সংযুক্তকরে রাইজার পয়েন্টটির পার্শের বাক্সে সংরক্ষন করা হবে।

খ. ভবনের সকল তলায় অবস্থিত  গুদাম / কারখানার অভ্যান্তরে প্রতি ১০০ ফুট এরিয়ার জন্য একটি ¯িপ্রংলার হেড স্থাপন করতে হবে। প্রতিটি ¯িপ্রংলার হেড এর গ্যাস ভাল্ব/ ফিউজেবল কভারের সঠিক তাপ ধারন ক্ষমতা হবে ৬৫ সেলসিয়াস। সাথে একটি ফায়ার সার্ভিস কানেকশান (ফিমেল কপলিন) সংযুক্ত থাকবে। ফায়ার সার্ভিস কানেকশানের ডায়ামিটার হবে ২.র্র্র্৫র্  । রাইাজার পাইপের পানির প্রেসার হবে ন্যূনতম ২.৫ বার এবং ফায়ার সার্ভিস কানেকশনের পানির প্রেশার হবে ৫ বার।

এ দলের সদ্যস্যরা জায়গা খালি করবে এবং লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।কারখানা ও গুদামের প্রতি ১০০ বর্গফুট এলাকার জন্য ১টি করে অটো ইলেক্ট্রিক টাইপ স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন নিশ্চিত করিতে হইবে।

পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বয়ংক্রিয় ফায়ার এলার্ম বেল মেনুয়েল কলপয়েন্টসহ জরুরী নির্গমন সিঁড়ির/ ধোঁয়ামুক্ত সিড়ি রয়েছে।

ওয়্যারহাউজ বা কারখানা  প্রতিটি সিঁড়ির দরজার উভয় পার্শ্বে উপরে এবং জরুরী নির্গমন সিঁড়ির একজিট একসেস এর উপরে ব্যাটারী ও বিদ্যুৎ চালিত (ডুয়েল সোর্স) আলোকিত একজিট সাইন স্থাপনসহ সকল তলার ফ্লোর এড়িয়ায় পর্যাপ্ত সংখ্যক (ডুয়েল সোর্স) ইমার্জেন্সি লাইট স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।

ফায়ার এলার্ম বাজাবে এবং বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করবে।  প্রতি ২৫ মিটার পর পর ১টি করে জরুরী নির্গমন দরজা স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে। জরুরী নির্গমন সিঁড়ির সকল উপকরন ইঘইঈ চধৎঃ-১ অনুযায়ী হতে হবে।

মালামাল উদ্ধারকারী টিমের দ্বায়িত হল দুর্ঘটনা কালীন কারখানার মালামাল উদ্ধার করা। অগ্নি কান্ডের সময় ধোয়া ও তাপ দ্রুত বের করার জন্য

প্রতি তলায় ৫৫০ বর্গফুট এলাকার জন্য ১টি ফায়ার এক্্রটিংগুইসার স্থাপন করতে হবে।এ হিসেবে ৫/৬ কেজি ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রাই কেমিকেল উঈচ টাইপ, ঈঙ২ কার্বন ডাই অক্সাইড অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষন করতে হবে।

মালামাল উদ্ধারকারী টিমের সকল সদস্য নিদ্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ে থাকবে।ওয়্যারহাউজ গ্যাংওয়ে উজ্জল রং দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে।

ভবনের ছাদে অবশ্যই বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ভবনের বৈদ্যুতিক আর্থি ব্যবস্থা অবশ্যই সুরক্ষিত হতে হবে।

আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করবে। অতি দাহ্যশীল ক্যামিক্যালস সমূহ পৃথক পৃথক কক্ষে সহনীয় তাপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাসহ গুদামজাত করতে হবে। কারখানার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানী তেল নিরাপদ স্থানে সংরক্ষন করতে হবে।

কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২৫% জনবলকে অবশ্যই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হতে অগ্নি নির্বাপন, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষন গ্রহণ করতে হবে। এ প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে সার্বক্ষনিক অগ্নি নির্বাপক দল গঠন করতে হবে।

প্রতি ১ মাস অন্তত: রেসকিউ ড্রিল আয়োজন করতে হবে এবং ফায়ার ড্রিলে সকলের আংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

কারখানায় পি এ সিস্টেম স্থাপন করতে হবে এবং গুদাম ও কারখানার সকল কক্ষকে এবং সকল সিঁড়ি ও জরুরী নির্গমন সিঁড়িকে  পি এ সিস্টেম এর আওতায় আনতে হবে। পি এ সিস্টেম ফায়ার কমান্ড কক্ষ হতে নিয়ন্ত্রিত হবে।

দুর্ঘটনাকালীন কেউ আটকে পড়ল কিনা তা খুজে বের করবে। প্রতি সপ্তাহে ন্যুন্নতম ১ বার বিল্ডিং ও দেয়ালে ও ছাদে জমে থাকা ডাষ্ট পরিষ্কার নিশ্চিত করতে হবে।

মালামালের ক্ষতির পরিমান যতদুর সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করবে ।  বিদ্যমান সিঁড়ি দুইটির প্রতি ফ্লোর হতে প্রবেশ পথের বাইরে স্মোক ষ্টোর লবি তৈরী করতে হবে এবং জরূরী নির্গমন সিঁড়ির ন্যায় সিঁড়ি দুইটিতে নূন্যতম ১ঘন্টা ফায়ার রেটেড দরজা স্থ্পান সহ সিড়ি দুইটিতে তাপ ও ধোঁয়া মুক্ত রাখার জন্য সিঁড়ির অভ্যান্তরে অগ্নিকান্ড কালীন সময় স্বয়ংত্রিয় ভাবে যাতে সিঁড়ির অভ্যান্তরে ন্যূনতম প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৩বার প্রেশার সৃষ্টি করা যায় সে ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। সিঁড়ির ল্যান্ডিং এরিয়া আগুনের শিখা ও ধোয়ামুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

ভবনের সিকিউরিটি পোষ্ট অথবা ভবনের মূল প্রবেশদ্বার সংলগ্ন ১টি কক্ষকে ফায়ার কমান্ড কক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করে এ কক্ষে মেইন প্যানেল বোর্ড স্থাপন করে প্যানেল বোর্ডের সাথে ভবনের স্থাপিত সকল ডিটেক্টর ও এ্যলার্ম বেল এর সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার কমান্ড ষ্টেশনে জরুরী প্রয়োজনে নিম্নোক্ত সাজ সরঞ্জাম সংরক্ষন করতে হবে। এবং সার্বক্ষনিক ভাবে ১জন অপারেটরের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

উদ্ধারকারী টিমের সকল সদস্য নিদ্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ে থাকবে। ভবনের উচ্চতা ৬ষ্ট তলার উর্দ্ধে বা ভবন বহুতল ও ফ্লোর এরিয়া ন্যুনতম ৫০০ বর্গ মিটারের বেশী হলে ভবনে ফায়ার লিফট নিশ্চিত করতে হবে।


Posted

in

by

Comments

2 responses to “ফায়ার লাইসেন্স এর প্রধান প্রধান শর্তাবলী গুলো কি কি ?”

Leave a Reply