বর্জ্য অপসারন চুক্তিপত্র কি? বর্জ্য পরিত্যাজ্য পদ্ধতি কি?

বর্জ্য অপসারন চুক্তিপত্র
বর্জ্য অপসারন চুক্তিপত্র

বর্জ্য অপসারন চুক্তিপত্র

গ্র“প কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার বর্জ্য সহ অন্যান্য যে কোনো  -, প্রকার ময়লা সঠিক উপায়ে অপসারনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট নীতি অনুসরন করার লক্ষ্যে  মেসার্স এন্টারপ্রইজ  চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ্, বাংলাদেশ । এর সাথে চুক্তি সম্পাদন করা । সকল পরিত্যাক্ত বজ্য উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে। শর্ত থাকে যে,প্রক্রিয়াজাত করনে পরিবেশের ক্ষতি বা ভারসাম্যের বিষয়ে মেসার্স এন্টারপ্রইজ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। এর ব্যতিক্রম হইলে চুক্তি বাতিল করা হইবে । …

পানীয়/ তরল বর্জ্য পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ

পয়ঃনিষ্কাশনের পানি, ব্যবহৃত খাবার পানি, স্বাভাবিক নিঃষ্কাশনের পানি, ব্যবহৃত ময়লা পানি এবং সেনিটেশনের পানি সুুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে প্রবাহিত করা হয় যা  বর্জ্য অপসারন চুক্তিপত্র উল্লেখ করা হয়েছে।

ডাষ্ট/পরিত্যক্ত খাবার/আবর্জনা/পরিত্যক্ত কাগজ ঃ

এগুলো ফ্লোরে রক্ষিত ডাষ্টবিনে জমা করা হয় এবং দিনশেষে এগুলো  স্থানীয় সরকারের ডাষ্টবিনে ফেলা হয় যা স্থানীয় সরকার ক্লিনার দ্বারা পরিষ্কার করা হয়।

প্লাষ্টিক জাতীয় বর্জ্য পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ

খালি ড্রাম/ ব্যবহৃত কনটেইনার/ খালি বোতল/পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক এগুলো ফ্লোরের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলোর রি-সাইক্লিং এর জন্য সরবরাহকারী বা সংগ্রহকারীর নিকট পাঠানো হয়।

কাঠ জাতীয় বর্জ্য পরিত্যজ্য পদ্ধতি ঃ

কাঠের ভাঙ্গা বাক্স, ভাঙ্গ টেবিল, চেয়ার, ভাঙ্গা আসবাবপত্র এগুলো প্রথমে মেরামত করা হয়। যেগুলো  মেরামত করা সম্ভব না হয় সেগুলো সাময়িকভাবে স্টোরে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো রি-সাইক্লিং এর জন্য প্রস্ততকারকের নিকট বিক্রয় করা হয়।

মেটাল জাতীয় বর্জ্য পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ

ভাঙ্গা ইস্ত্রি, ভাঙ্গা রড, অব্যবহৃত মেশিনের যন্ত্রপাতি ,ভাঙ্গা সিজার, কাটার, টেবিল এগুলো প্রথমে মেরামত করা হয়। যেগুলো মেরামত করা সম্ভব না হয় সেগুলো সাময়িকভাবে স্টোরে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো রি-সাইক্লিং এর জন্য  প্রস্ততকারকের নিকট বিক্রয় করা হয়।

ওয়েষ্টেজ একসেসরিজ পরিত্যাজ্য পদ্ধতি ঃ

কার্টুন, বাটন, হ্যাঙ্গার, ফেব্রিক, পলি, জিপার ইত্যাদি প্রথমে মেরামত করা হয়। যেগুলো মেরামত করা সম্ভব না হয় সেগুলো সাময়িকভাবে স্টোরে জমা করা হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো রি-সাইক্লিং এর জন্য প্রস্ততকারকের নিকট বিক্রয় করা হয় অথবা নির্দিষ্ট স্থানে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

বর্জ্য  সমুহ:

কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার বর্জ্য (ঝুট, টুকরা সুতা, টুকরা কাপড়, ব্যবহৃত সুতার কোন্ ও অন্যান্য ময়লা) ,ব্যবহৃত ধাতব  পদার্থ  কাটার, সিজার, সেলাই কাজে ব্যবহৃত নিডল্ সহ অন্যান্য ধাতব পদার্থ ,বৈদ্যুতিক  সরজ্ঞাম যেমন টুকরা তার, ভাঙা বা ফিউজ টিউবলাইট (ঞঁনব ষরমযঃ), ভাঙা সুইচ সহ ব্যবহার অনুপযোগী বৈদ্যুতিক সামগ্রী প্রকার কাঠের  সামগ্রী ভেঙে গেলে বা ব্যবহারের অনুপযোগী ,উৎপাদন ফ্লোরে ব্যবহৃত সকল প্রকার কাগজ, কলম, মার্কার, প্লাষ্টিক  সামগ্রী, পলিথিন , কাগজের তৈরী কার্টুন জেনারেটরের পোড়া লুব্রিকেটিং ওয়েল, সেলাই মেশিনে ব্যবহৃত তেল ,ডক্টর রুম ,এ ব্যবহৃত সকল প্রকার সিরিজ সূইচ, ব্যবহৃত বজ্য ইত্যাদি।

সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক আবর্জনা ফেলার বাক্র ও পিকদানীর ব্যবস্থা রাখিতে হইবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নীতিমালা

১। বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ও স্বাচ্ছন্দবোধ করার মত তাপমাত্রার ব্যবস্থা করিতে হইবে।

২। আলোর ব্যবস্থা  ঃ কাজের ও চলাচলের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করিতে হইবে যাহাতে চোখে চাপ না পড়ে। জানালার কাঁচ ভিতর ও বাহিরের দিকে পরিষ্কার রাখিতে হইবে।

৩। পান করার পানি ঃ  ব্যবহারের জন্য  সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করিতে হইবে এবং “পান করার পানি” কথাটি লিখিয়া রাখিতে হইবে যাহাতে চোখে পড়ে।

৪। প্রস্রাবখানা ও পায়খানা ঃ পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচল ব্যবস্থাসম্পন্ন ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক স্থানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক প্রস্রাবখানা ও পায়খানার ব্যবস্থা করিতে হইবে। এইগুলি যথোপযক্ত  ভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ডিটারজেন্ট বা জীবানুনাশক বা উভয়টি দ্বারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে।

By Mashiur

He is Top Class Digital Marketing Expert in bd based on Google Yahoo Alexa Moz analytics reports.. He is certified IT Professional from Aptech, NCC, New Horizons & Post Graduated from London Metropolitan University (External) in ICT. Cell# +880 1792525354. যোগাযোগ এর জন্য নিম্নে Leave a Reply এ গিয়ে কমেন্টস Comments করুন

Leave a Reply