বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা কি কি

বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা কি কি?

বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা

বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা – বিদ্যুৎ অতি মূল্যবান সম্পদ । আমাদের দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশী । প্রয়োজনমত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায়, প্রায় সময়েই বিদ্যুতের ঘাটতি জনিত কারনে নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এবং শিল্পের ক্রমবিকাশে অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় । অপচয় রোধ কল্পে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠনকে এগিয়ে আসতে হবে । দূর্যোগ যেভাবেই আসুক না কেন মালিক/শ্রমিকদের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করাই নি¤েœাক্ত কমিটির কাজ এবং প্রতি দুই মাস অন্তর উক্ত বিষয়ে একটি সাধারন সভা অনুষ্টিত হবে তবে জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময় সভাপতি সভার আয়োজন করতে পারে। …

আমাদের বিদ্যুৎতের উৎসগুলো হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ ও জেনারেটর। অন্যদিকে বিদ্যুতের ব্যয় হচ্ছে – বৈদ্যুতিক বাতি, সেলাই মেশিন, বৈদ্যুতিক পাখা, বয়লার, আয়রন, কমপ্রেসার, পিএ সিস্টেম(মাইক), প্রিন্টিং মেশিন, নীটিং মেশিন, এবং সকল প্রকার কম্পিউটারে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে । ———————- লিঃ বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা বাস্তবায়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে । নি¤েœ তা আলোচনা করা হইল ।

  • বিদ্যুৎ সংরক্ষন করতে কারখানার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জামাদী ব্যবহার করা যায় যেমনঃ এনার্জী সেভিং বাল্ব, ব্যালেষ্ট ইত্যাদি । এতে কম বিদ্যুতে বেশী আলো পাওয়া যায় । দূর্যোগ ভয়াবহতা যদি তীব্র হয় এবং যদি এমন আশংকা থাকে যে, দূর্যোগে জান মাল মেশিন ও অন্যান্য     দ্রব্যাদির ক্ষতি হবে তাহলে কারখানা বন্ধ ঘোষনা করতে হবে।
  • ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যাদি যেমন- কাপড়, তৈরী পোষাক, মেশিন, মেশিনের অংশ  অথবা অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্যাদি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেকটি সেকশনে আলাদা আলাদা ডিষ্ট্রিবিশউন বোর্ড লাগানো হয়েছে, যখন প্রয়োজন হবে তখন বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে, যখন প্রয়োজন হবে না তখন বন্ধ করে রাখতে পারবে এভাবে কারখানার বিদ্যুৎ সংরক্ষিত করা যায় ।
  • প্রয়োজন হলে সাহায্য সহযোগীতার জন্য সরকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
  • দূর্গত শ্রমিক কর্মচারীদের পূর্নবাসনের জন্য সহজ শর্তে লোন দিয়ে অথবা অগ্রীম বেতন দিয়ে অথবা অন্য কোন ভাবে সাহায্য করা গেলে অবশ্যই তাদের সাহায্য করতে হবে।
  • প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় ছোটখাট চুরি এবং বৃহৎ চুরির আশংকা খুব বেশী থাকে তাই এ সময় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সকল সিকিউরিটি পয়েন্টে ইমারজেন্সি লাইট এবং তদারকির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • দূর্যোগ শেষ হওয়া মাত্রই কারখানা পূনরায় সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
  • শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হবে এবং তাদের গন্তব্যে নিরাপদে পৌছিয়ে দেয়া নিশ্চিত করা হবে। দুপুরের খাবার বিরতীসহ যে কোন ছুটির পর কারখানার সমস্ত শাখায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। যার ফলেও বিদ্যুৎ সংরক্ষিত হয় ।
  • প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কোন বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা হয় না যেমন ঃ আলোক সজ্জা, সৌন্দর্য্য বর্ধনে অথবা কোন জায়গা তাপ বৃদ্ধিকরন ইত্যাদি ।
  • দূর্যোগে পতিত শ্রমিক কর্মচারীদের দ্রæত উদ্ধার করে আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে এবং গুরুতর আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
  • প্রয়োজনে বিদ্যুতিক সরবরাহ বন্ধ করে দিতে হবে। যে সকল জায়গায় সূর্যের আলোয় কাজ চালানো যায় সে সকল জায়গায় বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার না করে সূর্যের আলোয় কাজ চালিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় কার যায় ।

সংক্ষেপ বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা

বিদ্যুৎ সংরক্ষন নীতিমালা যে কোন ধরনের দূর্যোগ যেমন বন্যা, সাইক্লোন, ভূমিকম্প, অগ্নিকান্ড, বর্জপাত, মহামারি অথবা উত্তেজিত জনতার আগমন যা কারখানার ভেতরে অথবা বাইরে সংগঠিত হয়ে কারখানা এবং শ্রমিকের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে, তা মোকাবেলা করার জন্য নি¤œলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। সার্বিক ভাবে সকলে মিলে বৈদ্যুতিক সাশ্রয় মোকাবেলায় একযোগে কাজ করে দেশ তথা কোম্পানির সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর ।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply