বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন রোধে করনীয়

বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন রোধে করনীয় কি? অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ

বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন রোধে করনীয়:

নিয়মিত ফ্যাক্টরীর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার হালনাগাদ করতে হবে । যোগ্যতাসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য কর্মী নিয়োগ দিতে হবে। মানসম্মত তার, সার্কিট ব্রেকার ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। বাধাহীন ও পরিস্কার কর্মস্থল থাকতে হবে। কর্তৃপক্ষ কর্মস্থলে শ্রমিক কর্মচারীগনের সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতির লক্ষ্যে স্থানীয় শ্রম আইন, স্থানীয় নিরাপত্তা আইন, আর্ন্তজাতকি নিরাপত্তা আইন, আর্ন্তজাতকি শ্রম সংঘ এবং ক্রেতাগনের আচরণ বিধি সম্পূর্নরূপে মেনে চলে। কর্তৃপক্ষ মনে করে কর্মস্থলে যে সমস্থ নিরাপত্তা ঝুকি রয়েছে তার মধ্যে অগ্নি ঝুকি শ্রমিক কর্মচারীর জীবন এবং ফ্যাক্টরীর সম্পদের জন্য সবচেয়ে মারাতœক। এই জন্যই বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন বা যে কোন আগুন রক্ষা পাবার জন্য অগ্নি নিরাপত্তা আইন প্রনোয়ন করা হয়েছে। স্থানীয় শ্রম আইন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অগ্নি নিরাপত্তা আইনের বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মস্থলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। বৈদ্যুতিক সংযোগ ব্যবস্থার ওভারলোড বর্জন করতে হবে। অস্থায়ী বৈদ্যুতিক সংযোগ বর্জন করতে হবে। অদক্ষ হাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মেরামত বর্জন করতে হবে। …

See English Version

অগ্নি বিপদ থেকে নিরাপত্তায় করণীয়:

অগ্নি র্দূঘটনার সময় অগ্নি নর্বিাপক সরঞ্জানাদরি ব্যবহার করে প্রাথমকি অবস্থাতইে আগুন নভোনোর কাজে ফ্যাক্টরী থকেে বরে হতে সাহায্য করা, উদ্ধার তৎপরতা, প্রাথমকি চকিৎিসা র্কাযক্রম অগ্নি নর্বিাপক দলরে কাজ।

  • অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান
  • ফায়ার র্সাভসি দল আসলে তাদরে র্সবতোভাবে সাহায্য করব।ে
    জরূরী অবস্থায় কর্মীদের নিরাপদ বহির্গমন পরিকল্পনা করা
  • ফ্যাক্টরীতে কোন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হলে যথাযথ কেমিকেল হ্যান্ডেলিং, পরিবহন/বহন সংরক্ষণ এবং অপসারণ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়।
    কারখানায় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সংস্থাপন করা
  • আগুন লাগার সাইরনে/ফায়ার এর্লাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইলকেট্রশিয়িান/ফায়ার ফাইটংি দলরে নতো ফ্লোররে মইেন সুইচ বন্ধ করব।ে
    কারখানায় বৈদ্যুতিক ও হস্ত চালিত এলার্ম সিস্টেম সংস্থাপন করা
    কারখানায় কেন্দ্রীয় মাইক সিস্টেম সংস্থাপন করা
  • সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা, বৈদ্যুতিক তার, ওয়্যারিং সংযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, জন্য ফ্যাক্টরী মেইটেন্যান্স ইন্চার্জ সংশ্লিষ্ঠ ইলেক্টিশিয়ান এবং মেকানিকদেও সহয়তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
  • সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা, বৈদ্যুতিক তার, ওয়্যারিং সংযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, জন্য ফ্যাক্টরী মেইটেন্যান্স ইন্চার্জ সংশ্লিষ্ঠ ইলেক্টিশিয়ান এবং মেকানিকদেও সহয়তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
  • সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনা, সংযোগ, মেশিনারী নিদিষ্ট সময় সময় পর চেক কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন রা হবে এবং রের্কড সংরক্ষণ করা হবে।
  • ফ্যাক্টরী অভ্যান্তওে কোন ধরনের ওয়েলডিং প্রয়োজন হলে দাহ্য বস্তসমূহ নিরাপদ দুরত্ব সরিয়ে ফেলতে হবে এবং সিকিউরিটি, এইচ আর ও মেইনটেন্যান্স এর প্রতিনিধিদেও উপস্থিতিতে যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত সাপেক্ষে তা করা হবে।
  • ফ্যাক্টরী অভ্যান্তওে কোন ধরনের উম্মক্ত আগুন যেমন চুলা, হিটার, ম্যাচ লাইটার, ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
  • দাহ্য বস্ত সমূহের নিরাপদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।
  • দলরে সবাই দলগত শৃঙ্খলা মনেে চলব।ে
    কারখানায় হোস পাইপ সিস্টেম সংস্থাপন করা
    প্রতি মাসে একবার ফায়ার ড্রিল করানো এবং তার ডকুমেন্ট রাখা
  • বদ্যৈতকি আগুনরে নভিাতে শুধু র্কাবন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করব।ে
    ফ্লোরে বহির্গমন পথ দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা যাতে বিপদের সময় কর্মীরা সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে
  • মেটারেজ সমূহে কোন ধরনের ইলেকট্রিক ওয়্যারিং সংযোগ দেয়া যাবে না।৫. ফ্যাক্টরী কমপ্লেক্সেও ভেতওে ধুমপান এমনকি ধুমপানের দ্রব্য সামগ্রী বহন সম্পূর্নরুপে নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ,
    ফ্লোরে, সিড়ির গোড়ায়, স্টোরে ব্যাটারী চালিত ইমার্জেন্সি লাইট সংস্থাপন করা
    স্টোরের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সুইচ, ব্যালাস্ট ইত্যাদি স্টোরের বাইরে স্থ্াপন করা
  • অপদ্রব্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ ভাবে মেনে চলা হবে।ওয়েসটেস পৃথকীকরন, লেবেলিং এবং অপসারণ এর ক্ষেত্রে সকল নিয়ম পালন করা হবে।
    কারখানায় অন্তত ২ (দুই) টি সিড়ির ব্যবস্থা করা এবং সিড়ির নূন্যতম প্রশস্থতা ৮র্ – ০র্র্র্র্ র্ হতে হবে
    কাঠের তৈরী আসবাবপত্র ব্যবহার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে
  • আগুন লাগার সাররনে শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ফাইটংি দলরে সদস্যগন দ্রুত ফায়ার ফাইটংি সরঞ্জানাদরি ব্যবহার করব।ে

অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ:

  • কারখানায় বিপদ সম্মন্ধে সকল কর্মীদের বিস্তারিত জানানো।
  • কর্মীদের শিক্ষা দিতে হবে যাতে আগুন লাগলে তারা আতঙ্কগ্রস্থ ও দিশেহারা না হয়। তারা যেন শান্ত হয়ে বহির্গমন পথে বেরিয়ে যায়।
  • কর্মীদের শিক্ষা দিতে হবে যে আগুন দ্বারা না যতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় হুরাহুড়ি করে নামতে গিয়ে পায়ের তলে চাপা পড়ে। এটাও বোঝাতে হবে যে আগুন ছড়িয়ে পরতেও সময় লাগে।
  • কর্মীদের মাসে অন্তত একবার ফায়ার ড্রিল করানো উচিত কারণ এতে তারা অগ্নি বিপদে করণীয় বিষয়ে অভ্যস্ত হবে।
বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন রোধে করনীয় কি? অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ
অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ

বিদ্যুৎ অধ্যাদেশ

বৈদ্যুতিক নীতিমালা (তারের সংযোগ)

তারের সাইজ: বৈদ্যুডুশ তারের ব্যাসের উপর নির্ভর করে ঐ তারের মধ্য দিয়ে কি পরিমান বিদ্যুৎ পরিবাহিত হবে। আমেরিকান ওয়ার গেজ- অনুসারে তারের ব্যবহার। ( সংখ্যা যত বড় তারের ব্যাস তত ছোট হয়)

  • বৈদ্যুতিক তারের ধরন তারের ব্যবহার
  • এ.ডব্লিউ.জি কম্পিউটার
  • এ.ডব্লিউ.জি টেলিফোন
  • এ.ডব্লিউ.জি ডোর বেল সার্কিট
  • এ.ডব্লিউ.জি লাইট, সুইচ
  • এ.ডব্লিউ.জি লাইট, সুইচ, গরম পানির জন্য হিটার,
  • এ.ডব্লিউ.জি কাপড় শুকানোর জন্য ড্রাইয়ার
  • এ.ডব্লিউ.জি বৈদ্যুতিক রেঞ্জ
  • এ.ডব্লিউ.জি গ্রাউন্ড ওয়ারিং
  • এ.ডব্লিউ.জি সার্ভিস এন্ট্রান্স ক্যাবল
  • এ.ডব্লিউ.জি সার্ভিস এন্ট্রান্স ক্যাবল

বৈদ্যুতিক তারের ধরন ব্যবহৃত তারের রং

হট ওয়ার কালো (সাদা, সবুজ, বেয়ার কপার ছাড়া যেকোন রং)
নিউট্রাল ওয়ার সাদা ( বাধাহীন ভাবে ১২০ ভোল্টে প্রবাহিত হয়)
গ্রাউন্ড ওয়ার সবুজ এবং বেয়ার কপার
২-ওয়ার সার্কিট কালো এবং সাদা (লাইট এবং বাধাহীন ভাবে ১২০ ভোল্টের এ.সি. সার্কিট)
২-ওয়ার সার্কিট কালো এবং লাল (বৈদ্যুতিক হিটার এবং ২২০ ভোল্ট সার্কিটের গরম পানির ট্যাঙ্ক)
২-ওয়ার সার্কিট কালো এবং লাল (সুইচ এবং লাইটিং আউটলেট)
৩-ওয়ার সার্কিট কালো, লাল, সাদা / সবুজ (ইলেক্ট্রিক ড্রাইয়ার)

বৈদ্যুতিক নীতিমালা (নিবন্ধন)
বৈদ্যুতিক পন্য (নিরাপত্তা) নীতিমালা
[গৃহস্থলি বা অন্যান্য যে কোন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক পন্য সমূহের যেমন:প্লাগ, সকেটস, এ্যাডাপ্টার এবং এক্সেটেনশন বোর্ড ইত্যাদির নিরাপত্তা মান নিশ্চিত করা নিরাপদ সরঞ্জাম এবং প্রয়োগ/ব্যবহার বিধি নিশ্চিত করা]
বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন (সুরক্ষা) নীতিমালা

সারসঙ্খপ

বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন কারখানায় আকস্মিক অগ্নি দূর্ঘনাজনিত দূর্যোগের সময় উদ্ভূত পরিস্থিত মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানের একটি কার্যকরী অগ্নি নির্বাপনী পরিক্লপনা থাকবে। এ পরিকল্পনার আওতায় অগ্নি নির্বাপক এবং দূর্যোগকালীণ সময়ে কারখানার জানমাল সহ মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী রক্ষা এবং কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ কাজ সুচারুপে সম্পাদন করার জন্য একটি কার্যকরী কমিটি থাকবে।


Posted

in

by

Comments

6 responses to “বিদ্যুৎ সৃষ্ট আগুন রোধে করনীয় কি? অগ্নি বিপদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ”

Leave a Reply