বিপদ সংকেত
বিপদ সংকেত কি ? কোন সন্ত্রাসী কর্তৃক আক্রমনের পূর্বাভাষ পাওয়া গেলে, আক্রমন হলে, কোন বড় ধরনের চুরি বা ডাকাতি হলে বা কোন বড় ধরনের বিপদ হলে বিপদ সংকেত সুইচ করে সংকেত বাজাবে। এতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সহ স্থানীয় বিভিন্ন সাহায্যকারী সংস্থা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে।
সন্ত্রাসী কিভাবে চিহ্নিত করা হয়ঃ
একজন সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের করা সহজ নয় । সন্ত্রাসী এই পৃথিবীর বাহিরের কোন লোক নয় না সে অন্য কোন গ্রহের লোক । সে আমাদের সমাজেরই সাধারণ একজন মানুষ। সে সাধারণ মানুষের মতই আমাদের সাথে বসবাস করে। অতএব একজন সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের করার ব্যপারে নিরাপাত্তা বিভাগের কর্মীরা সর্বদা সজাগ থাকবে । নিরাপত্তা কর্মীদের এ ব্যপারে যথাযথ প্রশিক্ষন গ্রহন করতে হবে এবং যা হতে হবে আধুনিক যুগের। সন্ত্রাসী খুঁজে বের করার ব্যাপারে নিরাপত্তা কর্মীরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। নিরাপত্তা কর্মীরা প্রয়োজনে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার সাহায্য নিবে।
আভ্যন্তরীন ও বহিঃ সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করা ব্যাপারে সমর্থ হতে হবে। তাহারা সন্ত্রাসী চিহ্নিত করনে ‘মেটাল ডিটেক্টর’ অথবা ‘ক্লোজ সার্কিট’ ক্যামেরার মত আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নিবে। এছাড়া প্রয়োজনে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে। নিরাপত্তা কর্মীরা ঘনিষ্ঠভাবে শ্রমিকদের আসা যাওয়া, কথাবার্তা গতিবিধি লক্ষ্য রাখবে । এর মাধ্যমে সন্দেহজনক আচরনকারী কর্মচারীদের চিহ্নিত করবে। সন্দেহের বিষয়ে প্রয়োজনে প্রশাসন বিভাগকে জানাবে।
হুমকি বিষয়ক কর্মসূচী ঃ
প্রতিষ্ঠান ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক মানসম্মত পন্য উৎপাদন করবে ও নির্ধারিত সময়ে তা রপ্তানী করবে এটাই নিয়ম। কিন্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বা অস্থিরতার কারনে প্রতিষ্ঠানে বিশৃংখলা সৃষ্টি সম্পদ ধবংস,উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ, মান খারাপ করা, ভুল তথ্য প্রদান , উস্কানিমূলক কথা বলার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে । এসংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া গেলে তা সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন শ্রমিক-কর্মচারীদের ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের ও বাহির হবার সময় ভাল ভাবে পরীক্ষা করতে হবে। তাদের ব্যাগ, পকেট বা শরীরের অন্য কোন অংশে কোম্পানীর জন্য ক্ষতিকর বা হুমকি স্বরূপ এমন কিছু আছে কিনা তাহা পরীক্ষা করে দেখবে। বিপদ সংকেত কি