কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা কমিটির

বিষবিজ্ঞানগত তথ্য নীতিমালা। এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?

বিষবিজ্ঞানগত তথ্য

কোনো পদার্থ কিংবা তার গঠনকারী উপকরণগুলোর বিষাক্ততা পরীক্ষা সম্পর্কিত তথ্য আমরা এই সেকশনে পাই। সাধারণতঃ তথ্যগুলোতে পশুর উপরে পরীক্ষার প্রতিফলন থাকে। যদিও কিছু কিছু মানবীয় উপাত্ত পাওয়া যাবে যদি কোনো মানুষের দুর্ঘটনাজনিত কারণে বিষক্রিয়া ঘটে তার পরীক্ষা শেষে। এই সেকশনের তথ্যগুলো ডাক্তারী পেশা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রফেশনাল এবং বিষবিজ্ঞানীদের জন্য পরিবেশিত। এতে সন্নিবেশিত উপাত্তগুলোর সাহায্যে মানব দেহে সৃষ্ট বিপজ্জনক অবস্থার মাত্রা নিরূপণ করা যায়।

এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?

বিষাক্ত পদার্থের কাছে উন্মুক্ত শ্রমিকদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্য -ঝুঁকি মূল্যায়ন করার জন্য বিষবিজ্ঞানগত উপাত্তগুলোর মূল্য অপরিসীম। এক্সপোজড জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যের উপরে ব্যবহৃত অধিকাংশ কেমিক্যাল কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলে তার সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া কষ্টসাধ্য। তাই পেশাদার ব্যক্তিবর্গকে মানব দেহের উপর সম্ভাব্য প্রভাবের পূর্বাভাস দিতে পশু সম্পর্কিত বিষবিজ্ঞানগত উপাত্তের উপরে অবশ্যই আস্থা রাখতে হয়।

ফাষ্ট এইড এর ব্যবস্থাদি ফাষ্ট এইড এর ব্যবস্থাদি এই সেকশনের তথ্যাদিতে দুর্ঘটনাজনিত এক্সপোজারের জন্য মেডিক্যাল এবং ফাষ্ট এইড সম্পর্কে তথ্য থাকে। কিভাবে এক্সপোজার হল তারও উদ্ধৃতি এতে থাকবে। যেমন –নিশ্বাস গ্রহণ, ত্বক, চোখ এবং পাকস্থলীতে গ্রহণ, ইত্যাদি। একজন সাধারণ কিংবা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ব্যাক্তি তাৎক্ষনিকভাবে যে প্রতিষেধক ব্যবহার করতে পাওে তার উল্লেখ এতে থাকবে। এর একটি সার সেকশনে চিকিৎসকের পরামর্শমূলক বিবৃতি সহ প্রশিক্ষিত মেডিক্যাল কর্মীদের অবগতি ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের এবং রোগ নির্নয় পদ্ধতির উপর কিছু বিনির্দিষ্ট মেডিক্যাল ইনফরমেশশন থাকবে। এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?দুর্ঘটনার পওে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পেশাদার চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহন করা উচিত। তথাপি, তাৎক্ষণিকভাবে গৃহীত পদক্ষেপে কোনো ছোটখাটো এবং বড় আঘাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তারতম্য ঘটাতে পারে। যেমন চোখে ব্যাটারীর এসিড লাগার সাথে সাথে যদি পানির ঝাপটা দেওয়া যায় তাহলে দৃষ্টিশক্তি হারাবার আশংকা বহুলাংশে হ্রাস পাবে। এসিড আক্রান্ত চোখটা বা চোখ দুটো বাঁচানো যাবে। তাই আপনাকে হাতের কাছে কোনো প্রতিষেধক দ্বরা প্রাথমিক পরিচর্যা কিভাবে করা দরকার তা আবশ্যিকভাবে আগেই জানা দরকার।
সেকশন-৫ৎ অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থাএমএসডিএস এর এই সেকশনে অগ্নি প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রশিক্ষিত অগ্নি নির্বাপন কর্মী, জরুরী পরিসেবায় নিয়োজিত কর্মী, কর্মচারীবৃন্দ এবং বৃত্তিগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রোফেশনালদের জন্য মৌলিক নির্দেশনা থাকবে। সংশ্লিষ্ট বস্তুর প্রজ্জ্বলন এবং বিস্ফোরণ বৈশিষ্ট্যাবলী, নির্বপানের জন্য যথোপযুক্ত ম্যাটিরিয়াল এবং নিরাপদ এবং কার্যকরভাবে অগ্নি নির্বাপনের যাবতীয় সতর্কতা এবং পদ্ধতিগুলোর বিবরণ লিপিবব্দ থাকে।
এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?
ক্স সংশ্লিষ্ট বস্তুর বিপজ্জনকতার পরিমাপ সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট পূর্ব ধারণা পাওয়া এবং তা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য আগাম পরিকল্পিত ব্যবস্থা হাতের কাছে রাখা যায়। (সেকশন ৯ দ্রষ্টব্য)ক্স কোনো দাহ্য বিষবিজ্ঞানগত তরল পদার্থের ”ফ্লাস পয়েন্ট”  কিংবা সর্বনিু যে তাপমাত্রায় আগুন লেগে যেতে পাওে, সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া এবং প্রতিরক্ষা/প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। ক্স এই সেকশনে থেকে জানা যাবে যে আগুনের তাপ নয় বরং আগুন থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া মানব দেহের জন্য সবচাইতে বেশি বিপজ্জনক। এই সেকশনে জানা এবং প্রত্যাশিত ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পণ্যের একটা তালিকা সন্নিবেশিত করা হয়। (কেশন ৫ দ্রষ্টব্য)ক্স এখানে ব্যাখ্যা পাওয়া যায় কখন কোন ম্যাটিরিয়্যাল বিষ্ফোরণোন্নুখ হতে পারে কিংবা সচরাচর হয়না এমন কোন আগুনজনিত বিপদ বা ঝুঁকি আছে কিনা।

বিষক্রিয়া ঃ বিষক্রিয়া হতে রক্ষার্থে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে নিুোক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ঃ

যতদূর সম্ভব রসায়ন সর্ম্পকে অবগত থাকা যাতে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়।

কেমিক্যালস নিয়ে মেশিনে কাজ করার সময় সঠিক সরঞ্জামাদি বেছে নিতে হবে।

জ্ঞানের অভাবে যাতে দূর্ঘটনা সংঘটিত না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

মেশিন/ সরঞ্জামাদি কর্মস্থলে মেরামতের সময় নিয়ন্ত্রনকারী যথাযথ নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করা।

নিয়োজিত শ্রমিকদের জন্য কর্র্তৃপক্ষের দায়িত্ব হচ্ছে শ্রমিকদের কাজে সহযোগিতা করা, নিয়ম-কানুন সর্ম্পকে অবগত করা এবং তাদের কর্মস্থলে কেমিক্যাল ব্যবহারে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সর্ম্পকে সচেতন করা। শ্রমিকদের উচিৎ ঝুঁকি সর্ম্পকে নিজেকে সর্তক রাখা এবং অন্যদেরকে এ ব্যাপারে অবগত করা। সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিুোক্ত সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে ঃ

সমস্ত সরঞ্জামাদি যথাযথ ব্যবহার করণ যাহা নিজেকে এবং অন্যদেরকেও ক্ষতি হতে রক্ষা করে।

কাজ আরম্ভের পূর্বে সরঞ্জামাদি যথাযথ পরীক্ষা করা এবং যে কোন জরুরী ভিত্তিতে পরিদর্শককে অবহিত করা।

রসায়ন ব্যবহারে যে বিপদ সংঘঠিত পারে সে ব্যাপারে যথেষ্ট মনযোগী হওয়া।

ঝুঁকিপূর্ণ রসায়ন ব্যবহার থেকে বিশেষত মহিলা কর্মী, গর্ভবতী অথবা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা।

ক্ষতি বা রোগ ভোগের সময় তাকে সঠিক চিকিৎসা ও ক্ষতিপুরণ দেয়া।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ঃ ওয়াশিং প্লান্টে কাজে নিয়োজিত সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে নিুলিখিত ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামের অবশ্যই ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ক।   নোজ মাস্ক

খ।   প্রটেকটিভ গ্লাভস

গ।   এপ্রন (ওয়াশের জন্য)

ঘ।   রেক্সিন এপ্রন (স্যান্ড ব্লাস্টের জন্য)

ঙ।   রাবারের তৈরী গাম বুট/ শর্ট বুট

চ।   আই প্রটেকটর।

ছ।   তাৎক্ষনিক চক্ষু ধৌত করার ব্যবস্থা।

প্রশিক্ষন এবং শিক্ষা ঃ রসায়নের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রন করতে প্রশিক্ষন ও শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। যারা কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করে তাদের সম্ভাব্য শিক্ষা দেওয়া উচিৎ। কেমিক্যাল দ্বারা ঝুঁকি ঘটলে আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করবে এবং জরুরী ভিত্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। শ্রমিকরা প্রশিক্ষন প্রাপ্ত হলে ঝুঁকিপূর্ন রসায়ন ব্যবহারে ঝুঁকি এড়ানো সহজ বিধায় এ ব্যাপারে শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।


Posted

in

by

Comments

2 responses to “বিষবিজ্ঞানগত তথ্য নীতিমালা। এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কে?”

Leave a Reply