মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা

মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা গুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা

লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য ঃ

অটো  গ্র“পে বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত সকল মহিলা শ্রমিকদের মান মর্যাদা, সম্ভ্রম, যৌন হয়রানী,  উৎপীড়ন, নিপীরন, শালীনতা,   কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন  ইত্যাদির বিরুদ্ধে কোম্পানী ও বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহনে বদ্ধ পরিকর। আর কর্মক্ষেত্রে এর সঠিক রুপদান ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এ নীতিমালা প্রণীত। অটো কম্পোজিট লিঃ কর্তৃপক্ষ মহিলাদের অধিকার সম্বন্ধে সর্বদাই সচেতন। আমাদের কারখানায় মহিলা কর্মীরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। যা আমরা বাংলাদেশের শ্রম আইন ও আমাদের সকল বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারন করেছি। উল্লেখিত নীতিমালাটি প্রনোয়ন ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগের জন্য একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে কোন মহিলা শ্রমিক তিনি যে পদমর্যাদারই হউন না কেন তাদের প্রতি যদি কেহ কোন প্রকার অশালীন কিংবা অভদ্রজনোচিত আচরন করেন তাহলে তা নিরসনের জন্য জিএম  প্রশাসন সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেন। এছাড়াও এ,জিএম ( এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স ) তাৎক্ষনিকভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সদা তৎপর ।

  • কর্মী-নিয়োগঃ আমাদের কারখানায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষ ভেদাভেদ করা হয় না। যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে মহিলাকর্মীরা সঠিক ও যথার্থ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। গর্ভবতী মহিলা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থাকে কোন প্রকার অবহেলা করা হয় না। তাছাড়াও ঐ কর্মীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার কাছে থেকে কোন প্রকার গর্ভকালীন পরীক্ষার কথা জানতে চাওয়া হয় না।
  • মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুযোগ-সুবিধা ঃ আমাদের কারখানায় গর্ভবতী মহিলা কর্মীদেরকে সবেতনে ১৬ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা হয়। যদি তার চাকুরীকাল ৬ মাস পূর্ণ হয়। গর্ভবতী মহিলাদের দ্বারা কোন প্রকার ভারী কিংবা ঝুঁকিপূর্ন কাজ করানো হয় না। তাছাড়া নিয়মিত কর্মঘন্টা ছাড়া অতিরিক্ত কর্মঘন্টা (ওভারটাইম) করানো হয় না।
  • বৈষম্যহীনতাঃ আমাদের কারখানায় মহিলা ও পুরুষ কর্মীদের কর্মস্থলে বৈষম্য নেই। মহিলা ও পুরুষ একই পরিবেশে, একই চিকিৎসায়, একই শৃংখলা আইনে নিজ নিজ কার্য সম্পদন করছে।
  • পক্ষপাতমূলক আচরনঃ পদোন্নতি, শ্রেষ্ঠ কর্মী নির্বাচন, চাকুরীচ্যুতি অথবা বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোন প্রকার পক্ষপাতমূলক আচরন করা হয় না।
  • সমবেতনঃ আমাদের কারখানায় একই কাজের জন্য সমান কর্মদক্ষতা সম্পন্ন একজন পুরুষ কর্মী যে পরিমান বেতন পায়, একজন মহিলা কর্মীও সেই পরিমান বেতন পেয়ে থাকে।
  • প্রতিনিধিত্বকারীঃ ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের অংশগ্রহনকারী কমিটিতে অধিকাংশ সদস্যই নারী যাতে তাদের সমস্যাগুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে পারে।
  • ডে-কেয়ার সেন্টারঃ আমাদের কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টারের সুবিধা রয়েছে। এখানে মহিলা কর্মীরা কর্ম কালীন সময়ে তাদের ৬ বছর পর্যন্ত বয়সের বাচ্চাদের নিরাপদে রাখতে পারেন। যেখানে ১ জন গভর্নেজ বাচ্চাদের পূর্ণ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।

মহিলাদের অধিকারকে সামনে রেখে শ্রম আইনের আলোকে আমাদের আরো কিছু সুবিধা উল্লেখ করা হলোঃ

  • আমাদের কারখানায কোন সুস্থ মহিলা ৫০ পাউন্ডের বেশী মাল উত্তোলন করবে না।
  • কোন মহিলা শ্রমিক রাত ৮ টার পর কোন কাজ করবে না।
  • কোন ঘূর্ণায়মান যন্ত্রের নিকট কাজ করবে না।

প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রক্রিয়া ঃ

  • কর্মক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের জন্য গৃহীত নীতিমালা গুলো বাস্তবায়নে যে সকল বিশেষ নীতিমালা গুলো আর মসলিম গ্র“প কর্তৃপক্ষ অনুসরন করে থাকে তা নিম্নরুপ:
  • কর্মক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকদের প্রতি কোনরুপ অন্যায় বা অশালীন আচরন না করা
  • মহিলা শ্রমিকদের প্রতি হুমকি প্রদান বা গায়ে হাত না দেওয়া
  • যে কোন প্রকারের যৌন হয়রানীমূলক আচরন না করা
  • মহিলা শ্রমিকদের মানসিক নির্যাতন না করা
  • র্ভবতী মহিলা শ্রমিকদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরন করা ও তাদের সহজ কাজ নিশ্চিত করা।
  • মহিলা শ্রমিকদের কাজকে হেয় চোখে না দেখা
  • মহিলা শ্রমিকদের সাথে বৈষম্য মূলক আচরন না করা।
  • পানীয়জল, টয়লেট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অন্যাণ্য মানবিক প্রয়োজনের উপর বিধি নিষেধ আরোপ না করা ।
  • শ্রম আইন পরিপন্থি কোন কর্মঘন্টায় মহিলা শ্রমিক দ্বারা কাজ করানো যাবে না।

অটো  গ্র“প কর্তৃপক্ষ মহিলা শ্রমিকদের অধিকার সম্মন্ধে সর্বদাই সচেতন। আমাদের কারখানায় মহিলা কর্মীরা অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। যা আমরা বাংলাদেশে শ্রম আইন ও আমাদের সকল ক্রেতার/বায়ারের চাহিতা অনুযায়ী নির্ধারন  করা হয়ে থাকে।

মহিলা কর্মীদের সাথে  আচরণের নীতিমালা

ভুমিকা : বাংলাদেশ একটি রক্ষনশীল ও মুসলিম প্রধান দেশ। আমরা নারী পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী তবে আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উশৃংখলতা ও নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার পরিপন্থী। আমাদের দেশের আর্থসামাজিক কর্মকান্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে আসছে এটা জাতীয় উন্নয়নের একটি ইতিবাচক দিক। তবে আমাদের কর্মক্ষেত্রে শালীনতা ও শৃংখলা বজায় রেখে কর্ম পরিবেশকে সুন্দর রাখতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা শ্রমিক কর্মরত আছেন এবং সর্বপ্রথম তাদেরকে মানুষ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। অধিকন্তু আমাদেরকে সর্বাগ্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, এটি একটি ব্যবসায়ী প্রিিতষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও উন্নতির জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মীর সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে।

Comments

2 responses to “মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা গুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা”

Leave a Reply