রাসায়নিক বর্জ্য

রাসায়নিক বর্জ্য এবং কেমিক্যাল কনটেইনার এর অপসারন প্রক্রিয়া

রাসায়নিক বর্জ্য

রাসায়নিক বর্জ্য এবং কেমিক্যাল কনটেইনার এর অপসারন প্রক্রিয়া. কারখানায় কর্মরত পর্যাপ্ত সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা শ্রমিক-কর্মচারীদের সমন্বয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রন দল গঠন করবেন। কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার ফলে উৎপাদিত কেমিকেল বর্জ্য এবং কেমিকেল মিশ্রিত খালি কন্টেইনার পরিবেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। এগুলির অপসারন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না হলে কেমিকেল বর্জ্য পরিবেশের সংস্পর্শে অর্থাৎ পানি এবং মাটিকে দূষিত করবে ফলে পরিবেশের ভারসাম্যে হুমকির মুখে পরবে। এজন্য এক্সেসরিজ লিঃ কেমিকেল বর্জ্য এবং কেমিকেল কনটেইনার অপসারনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। …

রাসায়নিক বর্জ্য অপসারন প্রক্রিয়া ঃ

  • কেমিকেল এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে কেমিকেল অপচয় বা কেমিকেল বর্জ্যরে পরিমান কমিয়ে আনতে হবে।
  • পরিবেশ নিয়ন্ত্রন দলের প্রত্যেক সদস্য/সদস্যাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য নিষ্কাশন সহ পরিবেশ নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত অন্যন্য বিষয়ের উপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন প্রদান করবেন।কেমিকেল বর্জ্যরে অপসারন করার জন্য দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন।
  • কেমিকেল বর্জ্যসমূহকে কেমিকেল কনটেইনারের মধ্যে সংরক্ষন করে ঢেকে রাখতে হবে এবং কন্টেইনারের গায়ে সঠিক লেবেলিং থাকতে হবে।
  • সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে কারখানা এলাকার পরিবেশ নিরাপদ, পরিষ্কারক পরিচ্ছন্ন ও ঝুকিমূক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।কেমিকেল বর্জ্যসমূহকে একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষন করতে হবে।
  • কেমিকেল বর্জ্যসমূহকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী কেমিকেল সাপ্লাইয়ারের কাছে রি-সাইক্লিং করার জন্য হস্তান্তর করতে হবে।
  • কেমিকেল বর্জ্যসমূহ হস্তান্তরের পরিমান উল্লেখসহ চালান কপি সংগ্রহ কওে রাখতে হবে।
  • ইটিপির সাথে সংযোগকৃত চৌবাচ্চায় ক্যামিকেলের জন্য ব্যবহৃত খালী ড্রাম গুলো ভাল ভাবে ধৌত করতে হবে। ধৌতকৃত পানি ইটিপিতে পরিশোধন করে নিঃসরণ করতে হবে। ধোয়ার কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অবশ্যই পিপিই ব্যবহার করতে হবে এবং উক্ত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন দিতে হবে।
  • নিরাপদ কর্মপরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে পরিবেশ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাপনার উপর সচেতনতা সৃষ্টি করবেন। খালি কনটেইনারগুলি আলাদা করে নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষন করতে হবে।
  • কেমিকেল কনটেইনারগুলি খোলা আকাশের নিচে না রেখে ছাউনির নিচে গুছিয়ে রাখতে হবে যাতে সরাসরি সুর্যের আলো, বৃষ্টির পানি বা আগুন থেকে দুরে থাকে।
  • নির্দিষ্ট পরিমান কেমিকেল কনটেইনার জমা হওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী. কে সরবারহ করে থাকে এবং উক্ত কোম্পানী রি সাইক্লিং করার পর সঠিকভাবে উক্ত

প্রশিক্ষণঃ

স্বাস্থ্যকর খাবার পানি সরবরাহ, বাতাস প্রবাহ ব্যবস্থা এবং কারখানার অভ্যন্তরের সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।দক্ষ মানব সম্পদ সৃস্টির মাধ্যমে ঠেকসই উন্নয়নকে তরান্বিত করা এবং সমূহ ঝুকি অনেকটাই কমানো  স্বাস্থ্যকর ক্যন্টিন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যকর ক্যন্টিন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। কমিটি সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশন পদ্ধতি নিশ্চিত করে কারখানার অভ্যন্তরে ও চারপাশে পরিবেশ সহায়ক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করবেন। যায়। পরিবেশ সংরক্ষণ ও তা দূষন হতে রক্ষা করার জন্য দক্ষ ও সচেতন মানব সম্পদের কোন বিকল্প নেই। কর্মক্ষেত্রে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার জনিত কারনে কোন ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠান যাতে কোন ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ না হয় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অত্র প্রতিষ্ঠান উক্ত বিষয়ের উপর নিয়মিত প্রশিক্ষন প্রদান করে থাকে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে মনিটরিং সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করবে। কেমিকেল ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যগন নিজ নিজ দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে এবং কেমিকেল ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।


Posted

in

by

Comments

3 responses to “রাসায়নিক বর্জ্য এবং কেমিক্যাল কনটেইনার এর অপসারন প্রক্রিয়া”

Leave a Reply