শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ বিবেচনা সংক্রান্ত নীতিমালা

শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ বিবেচনা সংক্রান্ত
শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ বিবেচনা সংক্রান্ত নীতিমালা

শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ

১. সূচনা

যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানেই শ্রমিক কর্তৃক অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। আর এ সকল অপরাধ বিবেচনার নির্দ্ধারিত একটি পদ্ধতি থাকা আবশ্যক। অটো তার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায় বিচার করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। অপরাধের ধরন অনুসারে তাই তার শাস্তি ও নির্দ্ধারন করা বিধেয়। এ জন্য অটো তার আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানে একটি অপরাধ বিবেচনা নীতিমালা প্রণয়ন  করছে।

২. উদ্দেশ্যে

কোন আইন যত ভালই হোক না কেন তার প্রয়োগই তাকে ভাল/মন্দে রুপান্তর করে। অটো তাই শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ বিবেচনার ক্ষেত্রে নিু বর্নিত পদ্ধতি অনুসরন করে ঃ

ক.        মৌখিক ভাবে বুঝান বা

খ.        মৌখিক ভাবে সর্তক করন

গ.        লিখিত ভাবে সর্তক করন

ঘ.        চাকুরী হইতে অপসারন/বহিস্কার

ক.        মৌখিক ভাবে বুঝানো বা  ঃ কারখানার কোন শ্রমিক যদি বুঝে বা না বুঝে কোন অপরাধ করে। তখন তাকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ডেকে নিয়ে তার অপরাধ সম্পর্কে বুঝাবে। এ বিষয়য়ে তার কি করা উচিত/অনুচিত তা সঠিক ভাবে বুঝাতে হবে। এ অপরাধের জন্য তার কি ধরনের শাস্তি হতে পারে বা হওয়া উচিত তাও তাকে বুঝাতে হবে। এছাড়া এ ধরনের অপরাধ না করলে তার অবস্থান কেমন হবে তাও তাকে বুঝাতে হবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্র“তি হলো আমরা এ নীতিমালা সঠিক ভাবে অনুসরন করি। কোন শ্রমিক ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোন অপরাধ করে বসলে আমরা যতবার প্রয়োজন ততবারই তাকে বুঝিয়ে তার কাজ/স্বভাবের পরিবর্তন করতে চেষ্ঠা করি। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

খ.        মৌখিক ভাবে সর্তক করন ঃ কোন শ্রমিক যখন একাধিক বার বুঝানোর পরও তার কাজের/স্বাভাবের পরিবর্তন হয় না এবং একই অপরাধ একের পর এক করতে থাকে, তখন তাকে তার অপরাধ সম্পর্কে পুনরায় অবহিত করতে হবে এবং সে যা কারছে তার জন্য তাকে মৌখিক ভাবে সর্তক করতে হবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ আমরা কোন শ্রমিক অপরাধ করলে তাকে একাধিকবার বুজানোর পরই তাকে মৌখিক ভাবে সর্তক করে থাকি। আর এ রুপ ভাবে তাকে প্রতি অপরাধের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে কমপক্ষে ০৫ বার সর্তক করে থাকি, কেন না আমাদের উদ্দেশ্য শ্রমিকের স্বভাবের পরিবর্তন তাকে শাস্তি দেয়া নয়।

গ.        লিখিত ভাবে সর্তক করন ঃ কোন শ্রমিক যখন পর্য্যায়ক্রমে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করতে থাকে এবং বুঝানো এবং মৌখিক ভাবে সর্তক করা সত্বেও তার কাজের/স্বাভাবের পরিবর্তন হয় না, তখন তাকে লিখিত ভাবে তার শাস্তি সম্পর্কে সর্তক করে দিতে হবে। অনুরুপ অপরাধের জন্য কমপক্ষে তিন বার লিখিত ভাবে সর্তক করতে হবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্র“তি হলো কোন শ্রমিক অপরাধ করলে আমরা প্রথমে তাকে বুঝিয়ে সংশোধন করার চেষ্ঠা করি। এতে তার কাজের/স্বাভাবের পরিবর্তন না হলে তাকে লিখিত ভাবে সর্তক করি। কমপক্ষে তিন বার মৌখিক ভাবে সর্তক করার পরও যদি তার কাজের/স্বভাবের পরিবতৃন না হয়, তখনই কেবল তাকে লিখিত ভাবে সর্তক করে থাকি। চরম শাস্তি প্রদানের পূর্বে অনুরুপ ভাবে কমপক্ষে তিন বার লিখিত সর্তক নোটিশ প্রদান করে থাকি। কেননা ন্যায় বিচার আমাদের অঙ্গীকার।

ঘ.        চাকুরী হইতে অপসারন/বহিস্কারঃ কোন শ্রমিক যখন বুঝান, মৌখিক সর্তক করন এবং লিখিত সর্তকতামুলক নোটিশ প্রদান করার পরও তার কাজ/স্বভাবের পরিবর্তন না হয়। তখন চরম ব্যবস্থা হিসাবে তাকে চাকুরী হইতে আতœপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে অপসারন/বহিস্কার করা যাবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ কোন বহিরাগত শ্রমিককে গুরুত্বধন্ড বা শাস্তি প্রদান আমাদের কাম্য নয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রমিককে তার অপরাধের জন্য নূন্যতম শাস্তি প্রদান তথা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা আমাদের অঙ্গীকার।

৩. উপসংহার

শ্রমিককে শাস্তি প্রদান আমাদের কাম্য নয়। শ্রমিকেরা যাতে তাদের ভূল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে কাজ করতে পারে আমদের এ নীতিমালা তাই শ্রমিক কল্যান উৎসগ্রকৃত।

By Mashiur

He is Top Class Digital Marketing Expert in bd based on Google Yahoo Alexa Moz analytics reports.. He is certified IT Professional from Aptech, NCC, New Horizons & Post Graduated from London Metropolitan University (External) in ICT. Cell# +880 1792525354. যোগাযোগ এর জন্য নিম্নে Leave a Reply এ গিয়ে কমেন্টস Comments করুন

Leave a Reply