Select Page
হোস পাইপ ব্যবহারের নিয়ম গুলো কি কি? অগ্নি নির্বাপক পানির পাইপ কি?

হোস পাইপ ব্যবহারের নিয়ম গুলো কি কি? অগ্নি নির্বাপক পানির পাইপ কি?

হোস পাইপ ব্যবহারের নিয়ম

  • দেওয়ালে রক্ষিত হোস্ বক্স থেকে হোস্ পাইপের মাথা
  • ধরে যতদূর সম্ভব আগুনের কাছে চলে যান।
  • দুই হাত দিয়ে হোস্ পাইপ শক্ত করে ধরুন।
  • হোস্ পাইপ এবার আগুনের কেন্দ্রের দিকে তাক করুন।
  • হোস্ পাইপের গোড়াঁয় সংযুক্ত পানির চাবিটি খুলে দিন।
  • হোস্ পাইপ দিয়ে পানি সজোরে বাহির হয়ে আসবে।
  • হোস্ পাইপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে অগ্নি সংঘটিত স্থানে পানি দিন

অগ্নি নির্বাপক পানির পাইপ

  • পানির লাইনের ভাল্ব খুলুন।
  • দৌড় দিয়ে চাকতি থেকে পাইপ বের করুন।
  • পাইপ আগুনের উৎসের দিকে তাক করে পাইপের মুখের ভাল্ব খুলুন ও পানি দিয়ে আগুন নেভান।

হোস পাইপ এর ব্যবহার বিধি

  • অগ্নি কান্ডের সময় ধীর স্থির থাকুন। কখনও তাড়া হুড়া করবেন না।
  • প্রতিটি সিড়ির নিকটের হোস বক্স থেকে হোস পাইপ বের করে নিন। প্রয়োজনে বক্সের দরজা ভাঙ্গুঁন।
  • হোস পাইপ প্যাঁচানো আছে কিনা লক্ষ্য করুন ।
  • পাইপের নজেল যুক্ত প্রান্ত ধরে আগুনের উৎসের দিকে ছুটে যান।
  • হাইড্রেন্ট লাইনের গেইট বাল্ব খুলুন এবং আগুনের উৎসের দিকে পানি ছিটাতে থাকুন।

Checking point:

  • Avonite Sheet is Available.
  • No Lick in Cable.
  • All Switch ok.
  • No Loose Ware.
  • Danger Marking has upon this Board.
  • Hot Ness.
  • Over Lode

Checking point:

  • Water reserve is available.
  • No lick in pipe.
  • Hose nozzle ok.
  • No loose pipe cork.
  • Red marking has under this cabinet
  • Hot Ness.
  • Over Lode.

Checking point:

  • Avonite Sheet is Available.
  • No Lick in Cable.
  • All Switch ok.
  • No Loose Ware.
  • Danger Marking has upon this Board.
  • Hot Ness.

Internal Memo

It has been observed that some of our official is not using ID card regularly within the factory premises. Under this circumstance all employee are strongly instructed to use their own ID card within the factory premises.

If anyone breaks the company rules and regulation then he will come under disciplinary action.

Thanking you,

কারখানায় আগুন লাগলে আপনার ও কর্ডন পার্টির দায়িত্ব কি?

কারখানায় আগুন লাগলে আপনার ও কর্ডন পার্টির দায়িত্ব কি?

কারখানায় আগুন লাগলে

সুপ্রিয়   শ্রমিক  ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগ, আপনাদের সকলের, বিশেষ করে নতুন শ্রমিক ভাই-বোনদের বিশেষ অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের  ফ্যাক্টরী  যথেস্ট বড় একটি ফ্যাক্টরী। এখানে রয়েছে অনেক মেশিনপত্র। মেশিনে রয়েছে অনেক বৈদ্যুতিক তার। আরও রয়েছে অনেক বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এখানে যে কোন সময় যে কোন ধরনের অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বা আগুন লাগতে পারে। আমরা কেউ চায় না আমাদের ফ্যাক্টরীতে কোন প্রকার অগ্নিকান্ড হোক। সেজন্য আমরা সবাই সচেতন হয়ে কাজ করতে চেষ্টা করি। এরপরও যদি ফ্যাক্টরীতে কখনও আগুন লাগে বা ফায়ার এলার্ম বাজে তখন আপনি কি করবেন? তখন অবশ্যই ভীতসন্ত্রস্ত না হয়ে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনি আপনার মেশিনের সুইচ বন্ধ করে, ফ্লোরের হলুদ লাইন দিয়ে, লাল তীর চিহ্নকে অনুসরন করে, আপনার সবচেয়ে কাছের গেট দিয়ে বের হয়ে যাবেন এবং ফ্যাক্টরীর সামনে অবস্থিত ফায়ার এ্যাসেম্বলী পয়েন্টে সমবেত হবেন। …

  • যদি কাজ চলাকালীন সময়ে আপনার সামনে আগুন দেখেন তখন আপনি কি করবেন? তখন আপনি অবশ্যই দ্রুত আপনার নিকটস্থ ফায়ার ফাইটারকে জানাবেন অথবা ফায়ার এলার্ম বা অগ্নি নিরাপত্তা এর জন্য  ন্টা বাজাবেন যাতে সবাই নিরাপদে ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
  • ফায়ার ব্রিগেড দল এসে পেীছালে তাদেরকে সর্বাত্ত্বক ভাবে সাহায্যে করবে।
  • আগুন লাগলে আপনার দায়িত্ব কি? আপনি যদি ফায়ার ফাইটার বা ফায়ার ফাইটার টীমের সদস্য না হয়ে থাকেন তাহলে আগুন লাগলে আপনার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে নিরাপদে ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে যাওয়া। ফ্যাক্টরী থেকে বের হওয়ার সময় ফ্যাক্টরীর কোন জিনিস বা ব্যাগপত্র সাথে করে নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আগুন লাগলে অবশ্যই ফ্যাক্টরীতে কর্মরত গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদে ফ্যাক্টরীর বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
  • দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
  • আপনাদের জানা উচিত যে, আমাদের ফ্যাক্টরীতে নিরাপদে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ৮ টা গেট আছে। যে কোন জরুরী প্রয়োজনের সময় আপনারা এ গেটগুলো ব্যবহার করে নিরাপদে ফ্যাক্টরীর বাইরে বের হয়ে যেতে পারবেন।
  • অগ্নি নির্বাপকেরা প্রয়োজনে বাথরুমে রক্ষিত ড্রামের এবং ফায়ার হোস পাইপের পানি দ্বারা আগুন নিভাতে চেষ্টা করবে।
  • আগুন লাগার সাইরেন শুনার সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্ট্রিশিয়ান/ অগ্নি নির্বাপক দলের দলনেতা ফ্লোরের বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করবে
  • আগুন লাগার সাইরেন শুনার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নি নির্বাপক দলের প্রত্যেকে দ্রুত নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্রের কাছে চলে যাবে ও যন্ত্র নামিয়ে নেবে এবং একত্রিত হয়ে আগুন কোথায় লেগেছে তা জানার চেষ্টা করবে বা পরবর্তী নির্দেশের জন্য
  • অপেক্ষা করবে। তবে যদি নিজ ফ্লোরে আগুন লাগে তাহলে দ্রুত আগুনের কাছে যাবে এবং আগুনের দিকে তাক করে আগুনের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করবে।
  • অগ্নি নির্বাপকেরা কে কোনটি অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করবে তা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকবে।
  • বৈদ্যুতিক আগুন নিভাতে শুধুমাত্র কার্বন ডাই অক্সাইড অগ্নি নির্বাপনী যন্ত্র ব্যবহার করবে। কোন অবস্থাতেই পানি ব্যবহার করবে না।
  • আমরা লক্ষ্য করি, আগুন লেগেছে- এ কথাটি শোনা মাত্রই আপনারা ভীত হয়ে পড়েন এবং ভয় পেয়ে বিচলিত হয়ে  অত্যন্ত তাড়াহুড়া করে ফ্লোর হতে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এর ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেই সাথে তাড়াহুড়া করে, ধাক্কাধাক্কি করে নামতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে, পদতলে পিষ্ট হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।
  • কিন্তু আগুন লাগলে ভয়ের কোন কারন নেই। কারন আগুন এক মুহূর্তে সর্বত্র ছড়াতে পারে না। আগুন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়াতে বেশ সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে আপনি নিরাপদে ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর সুস্থ্য না হলে উদ্ধারকারী দলের সদস্যকে দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরন করতে হবে। নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলে পি.এম বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিত স্থান ত্যাগ করবে না।
  • কখনও আগুন লাগলে সবাই যাতে নিরাপদে ফ্যাক্টরী হতে বের হতে পারে, সেজন্য কিছু বিষয়ের উপর আমাদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন ঃ যারা এক্সিট গেট বা বহির্গমন গেটের দায়িত্বে আছেন তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কর্মঘন্ট চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীর কোন এক্সিট গেট যেন বন্ধ না থাকে এবং ইনপুটের মালামাল, আইডল মেশিন, টেবিল, টুল, বক্স ইত্যাদি দ্বারা যেন গেটটি ব্লক করা না থাকে।
  • ফ্লোরে যে সকল এক্সিট রাস্তা বা আইল মার্কস আছে সেগুলো সবসময় সব রকম বাঁধা থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ সকল এক্সিট রাস্তার উপর কোন আইডল মেশিন, কার্টুন, টুল, টেবিল, গার্মেন্টস ইত্যাদি কিছুতেই রাখা যাবে না।
  • নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলে পি.এম বা কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের জন্য প্রস্তুত থাকবে অনুমতি ছাড়া ফ্লোর ত্যাগ করবে না।
  • ফ্লোরের উপর যত্রতত্র গার্মেন্টস ফেলে কাজ করা যাবে না। গার্মেন্টস ডাম্পিং বা অতিরিক্ত স্তুপ করে রাখা যাবে না।
  • সুপ্রিয় শ্রমিক  ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগন, যে কোন অগ্নি দুর্ঘটনা আমাদের অবশ্যই ধৈর্য্যরে সাথে, সাহসের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা সবাই যদি অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হই এবং অগ্নি নিরাপত্তার নিয়মগুলো সঠিকভাবে বা যথাযথভাবে মেনে চলি তাহলে আমরা যে কোন অনাকাক্সিক্ষত

উদ্ধারকারী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্যউদ্ধারকারী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দলনেতা হুইসেল বাজিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করবে।
  • তিনটি সিঁড়ি দিয়ে ইভাকুয়েশন প্ল্যান অনুযায়ী ১ থেকে ২ মিনিটের মধ্যে দ্রুততার সাথে সবাইকে নিরাপদে নেমে যেতে সহযোগীতা করবে। পূর্ব থেকেই কে কোথায় দাড়িয়ে লোকজন নামতে সহযোগীতা করবে বা নির্ধারিত থাকবে।
  • বাধরুমে বা অন্য কোথায় কেহ আটকা পড়ল কিনা তাহা মহিলা বাথরুমে একজন মহিলা এবং পুরুষ বাথরুমে একজন পুরুষ চেক করবে।
  • কেহ আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বা তাদেরকে দ্রুত ফাষ্ট এইড টিম এর কাছে নিবে এবং কাউকে মেডিকেল সেকশনে নেওয়ার প্রয়োজন হলে, ষ্টেচারে করে অথবা কাঁধে করে নিয়ে যাবে।
  • কেহ ভয় পেয়ে জানালা দিয়ে নামতে চেষ্টা করলে বা লাফ দিতে চাইলে তাকে ফেরাতে হবে এবং সিড়ি দিয়ে নামতে সাহায্যে করবে।
  • আগুন যেখানে লেগেছে তার চারিপাশ থেকে মালপত্র বা মেশিন সরিয়ে নিবে।৭. দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
  • নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলেও পি.এম বা কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবে।

ফাষ্ট এইড টিম এর দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দ্রুত ফাষ্ট এইড বক্স এর কাছে অবস্থান নিবে।
  • আহত বা অসুস্থ রোগীকে দ্রুততার সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
  • প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ার মত অবস্থা হলে উদ্ধারকারী সদস্যদেরকে দিয়ে দ্রুত মেডিকেল সেকশন এ প্রেরন করবে।
  • নিজের ফ্লোরে আগুন না লাগলেও পি.এম বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া স্থান ত্যাগ করবে না।

কর্ডন পার্টির দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • আগুন লাগলে বা ঐ রকম কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ফ্যাক্টরীর মূল ফটক সমূহ খুলে দিবে।
  • ফ্যাক্টরীর শ্রমিক কর্মচরীদেরকে এবং পার্ক করা গাড়ীকে দ্রুত বাহির হতে যাহায্যে করবে।
  • ফ্যাক্টরীর ভিতর যেন বাহিরের লোকজন বা কোন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থাকলে তা প্রতিহত করবে।
  • ফ্যাক্টরীর সামনের রাস্তা সর্বদা উন্মুক্ত রাখবে যেন প্রয়োজনে ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশের গাড়ী ও এ্যাম্বুলেন্স দ্রুত  চলাচল করতে পারে।
  • আগুন লাগলে বা ঐ রকম কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আনুষাঙ্গিক সাহায্যে সহযোগিতা প্রদান এবং কর্তৃপক্ষের যে কোন নির্দেশ পালনের জন্য প্রস্তুত থাকবে।

আগুন লাগলে চালকদের কর্তব্য

  • ফায়ার সাইরেন বা সংকেত শোনার সাথে সাথে নিজ নিজ গাড়ী অতি দ্রুত মেইন গেইটের বাহিরে নিয়ে যাবে। তবে রাস্তার উপর গাড়ি কোন ক্রমেই দাড় করাবে না, অর্থাৎ ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি চলাচলের  অসুবিধা সৃষ্টি করবে না।
  • গাড়ি পার্কিং- এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন, গাড়ির মুখ সামনের দিকে বা বাহির মুখী হয়ে থাকে।
  • গাড়ি পাকিং- এর সময় খুব প্রয়োজন না হলে হ্যান্ড ব্রেক লাগাবে না। যাতে প্রয়োজনে ঠেলে গাড়িটি সরানো যায়।
  • অকেজো গাড়ি (ঝসডিপ ফডড়ৃহপ) এমনভাবে পার্কিং করতে হবে যেন, সম্ভাব্য অগ্নি ঝুকি (অহপড ফহুত) থেকে দুরে থাকে এবং পথের মাঝখানে গাড়ি দাঁড় করাবে না।
জরুরী পরিস্থিতিতে পুরস্কৃতকরণ নীতিমালা সমুহের বর্ণনা।

জরুরী পরিস্থিতিতে পুরস্কৃতকরণ নীতিমালা সমুহের বর্ণনা।

জরুরী পরিস্থিতিতে পুরস্কৃতকরণ নীতিমালা

জরুরী পরিস্থিতিতে পুরস্কৃতকরণ নীতিমালা। ফ্যক্টরীর নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে নিম্নোক্ত নম্বরে জরুরী ভাবে যোগাযোগ করতে হবে (গাজীপুর ফায়ার স্টেশন -৯২৫২৬২৮, ৯২৫৬৩৭৮, ডি,ই,পি, জেড ফায়ার স্টেশন -৭৭০১৪৪৪, ফায়ার হেড কোয়াটার -৯৫৫৫৫৫৫, ৯৫৫৬৬৬৬, ৯৫৫৬৬৬৭, সাভার ফায়ার স্টেশন -৭৭১৩৩৩৩, কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশন -০১৭৪৪২৪২২৪৮, ০৬৮২২৫১৩৩৩)। কে কোন পথে বাহির হইবে সেই জন্য সকলকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। কাজেই, অগ্নি সংকেতের সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে জরুরী বর্হিগমন প্লান অনুসারে যাতে সকলে নিরাপদে স্বল্প সময়ের মধ্যে বের হতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। …

অগ্নি নিরাপত্তা কমিটি ও কারখানা নিরাপত্তা কমিটি সদস্যগন অগ্নি নির্বাপন ও উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সাহায্য করবে।কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তি যদি ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে তৎক্ষনাৎ ফ্যাক্টরীর সিকিউরিটিকে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে হবেঃ- ফ্যাক্টরীর সিকিউরিটি পোষ্টে জরুরী টেলিফোন নম্বর পোষ্টার আকারে লাগানো থাকতে হবে। উক্ত পোষ্টারে নিম্নলিখিত নম্বরগুলো থাকতে হবেঃ

  • নিকটস্থ থানার টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।
  • নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসের টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।
  • নিকটস্থ হাসপাতালের টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।
  • কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের টেলিফোন ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
  • নিকটস্থ এম্বুলেন্সের টেলিফোন নম্বর থাকতে হবে।

কারখানার ব্যবস্থাপক প্রশাসনকে কমিটি প্রধান করে নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে কারখানা নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদের কাজ হলো জরুরী মূহুর্তে যাতে বাহিরের অবাঞ্ছিত লোকের অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। এছাড়াও প্রতিটি নিরাপত্তা কর্মীকে অগ্নি নির্বাপন বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীগন জরুরী মূহুর্তে অগ্নি নির্বাপনে অগ্নি নির্বাপক দল এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাহায্য করবে।জরুরী পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজন মোকাবিলার জন্য প্রথমে নিকটস্থ থানায় ফোন করে পুলিশকে অবহিত করতে হবে এবং সাথে সাথে কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। কারখানার অভ্যন্তরে নাশকতামূলক সন্দেহভাজন ঢুকে গেলে অবশ্যই প্রথমে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিকিউরিটি গার্ড, সিকিউরিটি অফিসার শক্তহাতে মোকাবিলা করতে হবে। কোন অবস্থায় যাতে কারখানার অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে। কারখানার অভ্যন্তরে সন্দেহভাজন কাউকে ধরতে পারলে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি কর্মীকে পুরস্কৃত করা হবে। এতদসংক্রান্ত একটি নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানো থাকবে।

নির্দেশনা ও জরুরী বহিগর্মন প্লান

এ ছাড়া ফ্যাক্টরীতে ফায়ার ফাইটিং এর জন্য কমিটি / দল গঠন করা হয়েছে যার বর্ননা নিম্নে প্রদত্ত হল ঃ

  • ফায়ার ফাইটিং দল, উদ্ধারকারী দল, ফাষ্ট এইড টিম, কর্ডন পার্টি, ফায়ার ফাইটিং দলের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
  • আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিশিয়ান/অগ্নি নির্বাপক দলের দলনেতা/ফ্লেরে উপস্থিত নিকটতম ফায়ার ফাইটার অথবা সর্ব নিকটতম ব্যক্তি বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করবে।
  • আগুন লাগার সাইরেন শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ফাইটিং পার্টির প্রত্যেকে দ্রুত তাদের জন্য নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের কাছে চলে যাবে ও যন্ত্র নামিয়ে নেবে এবং একত্রিত হয়ে আগুন কোথায় লেগেছে তা জানার চেষ্টা বা পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবে। তবে যদি নিজ ফ্লোরে আগুন লাগে তাহলে দ্রুত আগুনের কাছে যাবে এবং আগুনের দিকে তাক করে বাতাসের প্রতিকুলে অবস্থান গ্রহন করে নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে।
  • ফায়ার ফাইটাররা কে কোনটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তা পূর্বেই নির্ধারিত থাকবে।
  • ফায়ার ফাইটাররা কারখানার হোস পাইপের সাহায্যে, প্রয়োজনে খাওয়ার পানির ড্রামের, বাথরুমে রক্ষিত ড্রামের, যদি বয়লার থাকে তবে সেখানে রক্ষিত ড্রামের পানি দ্বারা আগুন নিভানোর চেষ্টা করবে।
  • বৈদ্যুতিক আগুন নিভাতে শুধুমাত্র কার্বন ডাই অক্সাইড অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে।
  • ফায়ার ব্রিগেড দল আসলে তদেরকে সর্বোতভাবে সাহায্য সহযোগীতা করবে।
  • দলের সবাই দলনেতার নেতৃত্বে কাজ করবে।
  • কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের জন্য প্রস্তুত থাকবে। বিশেষ জরুরী অবস্থা ছাড়া ফ্লোর ত্যগ করবে না।

উদ্ধারকারী দলের দয়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

প্রতিটি ফ্লোরে ১৬ জন কর্মীকে নিয়ে উদ্ধারকারী দল গঠন করা হয়েছে, যাদের কাজ হলো জরুরী মূহুর্তে ফ্লোরের লোকজনকে নিরাপদে বাহির হতে সাহায্য করা। এছাড়াও ফ্লোর খালি হওয়ার পর নিশ্চিত হতে হবে ফ্লোরের কোথাও কেহ আছে কিনা। এই দলকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সাথে সাহায্য করতে হবে।

  • আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দলনেতা হুইসেল বাজিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করবে।
  • ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্রুততার সাথে সবাইকে নিরাপদে বাহিরে যেতে সহযোগিতা করবে। পূর্ব থেকে কে কোথায় দাড়িয়ে লোকজন নামাতে সহযোগিতা করবে তা নির্ধারিত থাকবে।
  • বাথরুমে বা অন্য কোথাও কেহ আটকা পড়ল কিনা তা মহিলা বাথরুমে মহিলা এবং পুরুষ বাথরুমে পুরুষ কর্মীগণ খোঁজ করবে।
  • কেহ আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বা তাদেরকে দ্রুত ফাষ্ট এইড টিম এর কাছে নিবে এবং কাউকে এম আই রুমে নেওয়ার প্রয়োজন হলে কাঁেধ করে অথবা প্রয়োজনে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাবে।
  • আগুন যেখানে লেগেছে তার চারপাশ থেকে মালপত্র বা মেশিনপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেবে।

মালামাল রক্ষাকারী দল ঃ

প্রতিটি ফ্লোরে ৬ জন কর্মীকে নিয়ে মালামাল রক্ষাকারী দল গঠন করা হয়েছে, যাদের কাজ হলো জরুরী মূহুর্তে যে সমস্ত মালামাল রক্ষা করা সম্ভব সেই সমস্ত মালামাল দ্রুত সরিয়ে নেওয়া। এছাড়াও আমরা জানি আগুনের সংস্পর্শে কোন বস্তু থাকলে সেই বস্তুতে আগুন লাগে, এক্ষেত্রে এই দলের কাজ হবে হুকের সাহায্যে বা অন্য কোন উপায়ে আগুনের নিকট থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়া, যাতে আগুন দ্রুত ছড়াতে না পারে বা অতি দ্রুত নির্বাপন সম্ভব হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা কমিটি ঃ

কারখানার আবাসিক ডাক্তারকে প্রধান করে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির অংশ হিসাবে আছে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মী দল যাদের কাজ হলো জরুরী মূহুর্তে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা এবং খুবই গুরুতর রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

জরুরী পরিস্থতিতে সন্দেহভাজন মোকাবেলা করনের লক্ষ্যে উপরোক্ত পদ্ধতি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

ধুমপান নিষিদ্ধকরন নীতিমালা No Smoking Policy বর্ণনা

ধুমপান নিষিদ্ধকরন নীতিমালা No Smoking Policy বর্ণনা

ধুমপান নিষিদ্ধকরন নীতিমালা

ভূমিকা ঃ ধুমপান মানুষের মৃত্যূ ঘটায়। তাছাড়া পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ধুমপান থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হতে পারে। আর অগ্নিকান্ডের ফলে কোম্পানীর সম্পদের পাশাপাশি মূল্যবান জীবনের মৃত্যূর ঝুকি রয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পে অগ্নি-দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকার কারণে এর প্রতিবিধান অপরিহার্য।  এই লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রনয়ন করা হল। …

উদ্দেশ্যঃ  ধুমপান নিষিদ্ধকরন নীতিমালা– কারখানায় কর্মরত সকলের জীবন রক্ষা ও কারখানার মালামাল সুরক্ষায় ধুমপান হতে বিরত থাকার প্রয়াসে । গ্রƒপ শতভাগ রপ্তানীমূখী তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখানে সকল শ্রমিক/কর্মচারী এবং সম্পদের নিরাপত্তার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এই নিরাপত্তা আরও জোরদার করা এবং শ্রমিক কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করবার জন্য ধুমপান বিরোধী নীতিমালা প্রনীত। ফ্যাক্টরীর কোন অংশে আগুনের সুত্রপাত হলে তা বাড়তে না দিয়ে যথাশীঘ্র সম্ভব আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করার সাথে সাথে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো তথা জানমাল রক্ষার স¦ার্থে একটি পদ্ধতি গত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অত্যন্ত সুশৃংখল ভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য অগ্নি-নির্বাপন কাজ সুচারু ভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে

পরিধি ঃ ফায়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত পা¤েপ সংযোগ দেওয়ার জন্য দুইটি পয়েন্ট করা আছে। এই পয়েন্ট সমুহের সংযোগ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি-নির্বাপনে সহায়তা করতে পারবে। অত্র কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও সকলের জন্য প্রযোজ্য ।

বিস্তারিত ঃঅগ্নি-কান্ডের সুত্রপাত কারো চোখে ধরা পরার সাথে সাথে বা কন্ট্রোল  প্যানেলে ধরা পরার সাথে সাথে তা কর্তব্যরত গার্ড কমান্ডারকে জানাতে হবে। গার্ড কমান্ডার তৎক্ষনাত নিকটবর্তী ফায়ার সার্ভিসকে টেলিফোনের মাধ্যমে জানাবে। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন), জেনারেল ম্যানেজার (প্রডাকশন) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পরিস্থিতি স¤পর্কে অবহিত করবেন। একই সাথে গার্ড কমান্ডার কমপ্লেক্সে উপস্থিত নিরাপত্তা প্রহরীদেরকে দিয়ে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে তিনি লক কার্টার দিয়ে গেটের লক কেটে ভিতরে প্রবেশ করে তড়িৎ আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করবেন। আমারা জানি ধুমপান এমনিই একটি কাজ যার কোন উপকার দিক নেই । ধুমপান কেবলই মানুষের অনিষ্ঠ করে এবং একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে নিয়ে যায় । ধুমপানের কারনে মানব জীবনে বিভিন্ন মরণব্যাধি যেমনঃ হৃদরোগের ঝুঁকি, ক্যান্সার, আলসার, কিডনি ও লিভার নষ্ট, সন্তান জন্ম দানে প্রতিবন্ধকতা, খাবারের রুচি নষ্ট ও মানুষিক অসুস্থ্যতা রোগ সহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় যার একমাত্র পরিনতি মৃত্যু । এছাড়াও বিভিন্ন কলকারখানায় বিভিন্ন সময়ে ঘটিত অগ্নিকান্ডের অধিকাংশই সংঘটিত হয়েছে জ্বলন্ত সিগারেটের আগুন থেকে । উপরোক্ত বিষয়গুলির আলোকে কর্তৃপক্ষ ধুমপান নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গে একটি পলিসি নির্ধারন করেছেন । যদিও আমরা জানি ধুমপান অত্যান্ত ক্ষতিকর, তথাপি আমাদের অনেকেই ধুমপানে আসক্ত । বিধায় কর্তৃপক্ষ যেসব ব্যাক্তি ধুমপানে আসক্ত এবং ধুমপান করার জন্য কারখানার বাহিরে যেতে চান তাদেরকে সংক্ষিপ্ত সময়ের ছুটি প্রদানের মাধ্যমে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন । কেননা কারখানার অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় (টয়লেট, ষ্টোর, সিঁড়ি কোঠা, কার্টুন এরিয়া, ছাদ ইত্যাদি) গোপনে ধুমপান করা অত্যান্ত বিপদজনক যা ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের কারণ হতে পারে । অগ্নিকান্ডের এই সমূহ বিপদ থেকে যান-মালের নিরাপত্তা লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ ধুমপান বিরোধী নীতি নির্ধারণ করেছেন ।

এছাড়াও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কম্প্লায়েন্স ও সি.এস.আর বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেন। যেখানে ধুমপানের কূফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। ধুমপান বিরোধী সতর্কীকরণ চিহৃ কারখানার বিভিন্ন স্থানে পর্দশিত রয়েছে যা দেখে ধুমপানের কূফল সম্পর্কে সহজেই সচেতন হওয়া যায়।

এই নীতিমালা বাস্তবায়নে কিছু কর্মসূচী পালন করা হয়। যেমন,

  • কারখানার অভ্যন্তরে ধুমপান করা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।
  • যদি কারো ধুমপান করার অভ্যাস থাকে তাহলে তাকে কারখানা শুরুর পূর্বেই কারখানার বাইরে ধুমপান সম্পন্ন করতে হবে।
  • কারখানায় প্রবেশের সময় কেউ বিড়ি/সিগারেট, দিয়াশলায় নিয়ে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
  • কারখানার টয়লেটের মধ্যেও ধুমপান করা যাবে না।
  • সাময়িক প্রবেশের অনুমতি নিয়ে যারা কারখানাতে প্রবেশ করবে তারাও কারখানার ভিতরে ধুমপান করতে পারবে না।
  • কোন সাপ্লায়ার বা অতিথি যে – ই হোক না কেন কেউই কারখানার ভিতরে ধুমপান করতে পারবে না।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন ঃ ধুমপান বিরোধী নীতিমালা কারখানায় কর্মরত সকলকে অবহিত করনের জন্য কারখানার বিভিন্ন নোটিশ বোর্ডে এই নীতিমালা টানানো আছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার মাটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে অবহিত করা হয়।

ফিডব্যাক ও নিয়ন্ত্রনঃ অত্র কারখানায়  কর্মরত সকলের প্রতি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তাইএই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয়, তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পরিশিষ্ঠঃ এই পরিকল্পনা প্রয়োজনের সময় সঠিক ভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্তে মাসে কমপক্ষে একবার করে ড্রিল/মহড়া করতে হবে। ফায়ার সেফটি অফিসারকে মহড়া পরিচালনার সার্বিক দ্বায়িত্বে নিয়োজিত করা হলো। তিনি পার্সোনেল বিভাগ ও প্রোডাকশন বিভাগের সহায়তায় অগ্নি-নির্বাপনের বিভিন্ন দল গঠন ও ব্যক্তি নির্বাচন করে তার তালিকা সরবরাহ করবেন। সর্বোপরি অগ্নি-নির্বাপন মহড়া তথা প্রয়োজনে সঠিক ভাবে অগ্নি-নির্বাপন কার্য সম্পাদনের জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা যাচেছ। পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে সকলের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আল মুসলিম গ্র“প বদ্ধ পরিকর।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ধুমপানের ক্ষেত্রে নীতিমালা সমুহের চমৎকার  বর্ণনা

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ধুমপানের ক্ষেত্রে নীতিমালা সমুহের চমৎকার বর্ণনা

ধুমপানের ক্ষেত্রে নীতিমালা

  • কারখানার অভ্যন্তরে পান খাওয়া, ধুমপান করা এবং যে কোন প্রকারের নেশা জাতীয়দ্রব্য সেবন সর্ম্পূনরুপে নিষিদ্ধ
  • উক্ত নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে নিন্মলিখিত পদ্ধতি অনুসরন করা হয়ে থাকে ঃ-
  • কারখানা অভ্যন্তরে কেউ যাতে ধুমপান না করে সে জন্য বিভিন্ন কর্মএলাকায় গ্রাফিক সাইন এর মাধ্যমে সকলকে সচেতন করা ।
  • চাকুরীতে যোগদানের পর প্রাথমিক মৌলিক প্রশিক্ষনের সময় এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন করা।
  • ধুমপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিষয়টি শ্রমিক সহয়িকায় অন্তঃর্ভূক্তির সাহায্যে সকল কর্মচারীদের বিষয়টি সম্পর্কে অবগতকরনের ব্যবস্থা রয়েছে ।
  • কোন অবস্থাতেই যেন কেউ বিড়ি/সিগারেট, দিয়াশলাই ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে কারখানা অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রবেশের সময় (জধহফড়স পযবপশরহম) এলোমেলো তল্লাসীর ব্যবস্থা রয়েছে ।
  • কারখানা অভ্যন্তরে প্রতিটি ফ্লোরে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্মোক ডিটেক্টর স্থাপিত রয়েছে যাতে যে কোন ধরনের স্মোক সহজেই সনাক্ত করা যায় ।
  • উল্লেখিত নীতিমালা অনুসরনের মাধ্যমে এবং ”ধুমপান মৃত্যু ঘটায়” এ বিষয়ে শ্রমিক/ কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত সচেতন করা হয়ে থাকে ।

Grow with Integrity

———————, believes in conducting business in an open environment based on ethics and integrity. By this we mean that all our business transactions should be straight forward and transparent.

To us, Integrity is a concept of consistency of actions, values, methods, measures, principles, expectations, and outcomes. Integrity is regarded as the honesty and truthfulness or accuracy  of one’s actions.

Gifts & Gratuities

Accepting gifts and gratuities can cause conflict of interest, or the appearance of a conflict between personal interests and professional responsibility.

We operate with a strict policy for our all staff, which prohibits the offering or acceptance of any gifts and gratuities, payment or benefit in any form, direct or indirect.

Interest of Supplier

 We have a responsibility to all our associates to select the suppliers on the basis of price, quality and performance.

Accordingly our associates must avoid personal, financial or other involvement with a supplier that might influence or appear to influence, that associate in making decisions on behalf of ———-.

Anti-Corruption

We believe in fair, free and open markets, and in promoting good governance. We do not tolerate, permit, or engage in bribery, corruption, or unethical practices of any kind. Bribery of company officials is treated as misconduct and it is illegal under country law in which we operate.

Anti-Money Laundering

We are committed to complying fully with all applicable money-laundering laws of Bangladesh. We must comply with all applicable laws prohibiting money laundering.

We hold all our business associates financially and morally accountable in their conduct in these areas and accordingly we reserve the right to take decisive action, up to and including termination of contracts or any other appropriate legal action.

Hotline

For any questions or if you have encountered any integrity issues in relation to ———– business, please contact:

স্বচ্ছতা, নৈতিকতা ও সততার সাথে ব্যবসায় বিশ্বাস করে। এর অর্থ এই যে, আমাদের সকল ব্যবসায়িক লেন-দেন অবশ্যই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীমূলক হতে হবে। সততা হচ্ছে কর্মের মূল্যবোধ, পদ্ধতি, পরিমাপ,নীতি, এবং আকা্খংার ধারাবাহিকতার ধারনা। সততা একটি ব্যক্তির ন্যায়ানুগত্যতা, সত্যবাদীতা অথবা স্গংতিপূর্ণ কাজকে বুঝায়।
উপঢৌকন বা সুবিধা: কারো কাছ থেকে উপঢৌকন বা সুবিধা গ্রহন কোম্পানীর স্বার্থের পরিপন্থী । আমাদের কোম্পানীতে এ ব্যপারে কঠোর নিয়ম করা আছে যাতে কারো কাছ থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে উপঢৌকন বা সুবিধা গ্রহন এবং কাউকে উপঢৌকন বা সুবিধা প্রদান করা থেকে সকল কর্মকর্তা – কর্মচারী বিরত থাকে।
সরবরাহকারীদের স্বার্থ: আমারা সকল সহযোগী /সরবরাহকারীদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য, গুনাগুন এবং ভাল পারফরমেন্সকে বিবেচনা করে থাকি। আমাদের সকল সহকর্মীরা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কোন রুপ ব্যক্তিগত, আর্থিক সুবিধা গ্রহন থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন যাহা —————-এর পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহনে প্রভাবিত করে।
দূর্নীতি ও ঘুষ নিরোধ নীতিমালা:  আমরা ন্যায় সংগত উম্মুক্ত বাজার এবং সুশাসনে বিশ্বাস করি। আমরা কোন প্রকার ঘুষ, দুর্নীতি, এবং অনৈতিক কর্মকান্ডকে সহ্য করিনা। কোম্পানীর কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহন এবং প্রদানকে আমরা প্রচলিত আইন অনুযায়ী অসদাচরন হিসেবে গণ্য করি।
হুন্ডি নিরোধ নীতিমালা: দেশে প্রয়োগযোগ্য হুন্ডি বিরুদ্ধ প্রচলিত সকল আইন কানুন আমরা মেনে চলি। আমাদের সহকর্মীদের অসদাচরনের দায়-দায়িতের¡ ব্যাপারে সকলকে জবাবদিহী করতে হবে। কোম্পানীর কর্ম-কর্তাকর্মচারীদের অসদাচরনের জন্য অর্থ দন্ড কিংবা প্রচলিত আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ শাস্তি প্রদানের অধিকার সংরক্ষণ করেন।
যোগাযোগ:  কোন জিজ্ঞাসা অথবা কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী কোন কার্জকলাপ পরিলক্ষিত হলে নিন্মলিখিত উপায়ে যোগাযোগ করুন:

অগ্নিানর্বাপন যন্ত্রের প্রকারভেদ। মানাসিক ঝুকিঁ সৃষ্টিকারী উপাদান কি কি?

অগ্নিানর্বাপন যন্ত্রের প্রকারভেদ। মানাসিক ঝুকিঁ সৃষ্টিকারী উপাদান কি কি?

অগ্নিানর্বাপন যন্ত্রের প্রকারভেদ

অগ্নিানর্বাপন যন্ত্রের প্রকারভেদ। মানাসিক ঝুকিঁ সৃষ্টিকারী উপাদান কি কি? কার্টিজ টাইপ এক্সটিংগুইসারে সিলিন্ডারের ভিতরে নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি থাকে। এ ধরণের এক্সটিংগুইসারের সিলিন্ডারের ভিতরের পানিকে বের করার জন্য কার্টিজে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (ঈড়২) গ্যাস ভরা থাকে। ব্যবহারের সময় অপারেটিং লিভারে চাপ দিলে কার্টিজ এর মুখ ছিদ্র হয়ে ইনলেট টিউব দ্বারা গ্যাস সিলিন্ডারের ভিতর ঢুকে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপের ফলে ভিতরের পানি ডিসচার্জ টিউব দিয়ে নজেল হয়ে ডিসচার্জ পাইপ হয়ে নজলের মাধ্যমে দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। সহজে বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র সাধারনত ০৫ প্রকার হয়ে থাকে। …
• ওয়াটার টাইপ
• ফোম টাইপ
• ডিসিপি টাইপ
• সিওটু টাইপ
• হ্যালোন টাইপ

ফায়ার এক্সটিংগুইসার আগুনের প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবহার করা হয়। এক্সটিংগুইসার ব্যবহারের সময় একই সংগে অনেকগুলি ব্যবহার করা যাবেনা। আগুনের অবস্থা বুঝে পর্যায়ক্রমে একটি একটি করে ব্যবহার করতে হবে। এবং পাউডার ও সিওটু যাতে নাকে ও মুখে প্রবেশ না করে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। Click Here for English Version

ওয়াটার টাইপ অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র

আলোচ্য বিষয়

এ অধ্যয় সম্পন্ন হলে আপনি জানতে সমর্থ হবেন ঃ-

সংজ্ঞা

প্রণালী

প্রকারভেদ

বর্ণনা

কারিগরি তথ্য

ব্যবহার বিধি (অপারেশন কার্যক্রম)

*          রিফিলিং পদ্ধতি

*          যতœ ও রক্ষণাবেক্ষণ

সংজ্ঞা (ওয়াটার টাইপ)

যে বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে পানি নিক্ষেপ করে সুচনালগ্নেই অগ্নি নির্বাপন করা হয় তাকে বহনযোগ্য ওয়াটার টাইপ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বলা হয়।

গঠন প্রণালী  (ওয়াটার টাইপ)

১. ১০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হালকা ষ্টিলের তৈরি গোলাকার একটি সিলিন্ডার। যার এক মুখ খোলা।

২. খোলা মুখটি ডেড ক্যাপ দ্বারা শক্তভাবে আটকিয়ে দেয়া হয়।

৩. ভিতরে ইনলেট টিউব,

৪.ডিসচার্জ টিউব,

৫.গ্যাস কার্টিজ (কার্বনডাই অক্সাাইড),

৬. কন্ট্রোল বাল – প্রেসার টাইপ

৬.মনো মিটার- প্রেসার টাইপ

৭.গ্যাস (নাট্রোজেন),

৮.ক্যারিং হ্যান্ডেল,

৯.সেফটি পিন,

১০.অপারেটিং লিভার ইত্যাদি।

ওয়াটার টাইপ এক্সটিংগুইসার অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র অগ্নি নির্বাপণ কাজে ব্যবহারের সময় নজেলটি আগুনের দিকে তাক করে সেফটি পিন খুলে বাতাসের অনুকূলে থেকে অপারেটিং লিভারে চাপ দিলে পানি নজেলের মাধ্যমে বের হয়ে নির্দিষ্ট, লক্ষ্য বস্তুর উপর পরে  কুলিং পদ্ধতিতে আগ্নি নির্বাপণ করে।

সতর্কতা ঃ-

প্রেসার টাইপ এক্সটিংগুইসারে সিলিন্ডারের ভিতরে নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত বিশুদ্ধ  পানি থাকে। এ ধরণের এক্সটিংগুইসারের সিলিন্ডারের ভিতরের পানিকে বের করার জন্য সিলিন্ডারের ভিতরে নাইট্রোজেন (ঘ২) গ্যাস ভরা থাকে। গ্যাসকে ভিতরে ধরে রাখার জন্য সিলিন্ডারের মুখে কন্ট্রোল বাল্ব থাকে। গ্যাসের চাপ দেখার জন্য মনো মিটার সংযুক্ত থাকে। ব্যবহারের সময় অপারেটিং লিভারে চাপ দিলে গ্যাসের চাপে পানি ডিসচার্জ টিউব দিয়ে  ডিসচার্জ পাইপ হয়ে নজেলের  মাধ্যমে দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। এ ধরণের এক্সটিংগুইসার বার বার ব্যবহার করা যায়। সম্ভাব্য অগ্নিকান্ডের স্থলে মেশিনম্যান, লাইনম্যানগন এবং সুপারভাইজারগন অথবা ট্রেনিংপ্রাপ্ত ফায়ার ফাইটিং সদস্যগন প্রাথমিক অবস্থায় এক্সটিংগুইসার ব্যবহারের মাধ্যমে আগুন নিভানোর কাজে ব্যস্ত থাকবে। যদি আগুন বড় হয় তখন অন্যান্য সাহায্যকারীগন হোজ লাইন খুলবে এবং প্রয়োজনে তা ব্যবহার করবে। অন্যান্যরা নিকটতম জ্বালানী দ্রব্য বা তুলা সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। এছাড়া উক্ত স্থানে উপরস্থ কর্মকর্তা যিনি হাজির থাকবেন তিনি অগ্নি নির্বাপন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। এমন ভাবে একে অপরের সাহায্যেও মাধ্যমে অগ্নি দূর্ঘটনা মোকাবিলা করতে হবে।

পরিবেশগত ঝুকিঁ ঃ কর্মস্থলে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে, যেগুলো শ্রমিকের স্বাস্থ্যকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে।

• অপরিষ্কার, নোংরা, ধুলাবালি, গ্যাস, বাষ্প
• মেশিন ও কাচাঁমাল এবং গার্মেন্টস ও কাপড়ের এলোমেলো অবস্থান।
• বর্জ্য পদার্থ নির্গমন।
• বর্জ্য পানি নির্গমন।
• পানি দূষন।

মানসিক ঝুকিঁ ঃ একজন শ্রমিক বা কর্মীর মানসিক ও সামাজিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া যা তার কর্ম পরিবেশে, কর্মের শর্তাবলী ও কর্মক্ষেত্রে উদ্ধতর্ন কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের আচার আচরন থেকে সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ঝুঁকি একজন কর্মীকে কর্মের সহিত মানিয়ে নিতে বাধাঁ সৃষ্টি করে।

মানাসিক ঝুকিঁ সৃষ্টিকারী উপাদান ঃ

• বৈষম্য
• চাকুরীর অনিশ্চয়তা
• কম বা নিম্ন মজুরী
• অনিয়মিত মজুরী ও ওভারটাইম প্রদান
• অতিরিক্ত কাজের চাপ
• দীর্ঘ কর্মঘন্টা
• চাকুরীতে পেশাগত অদক্ষতা
• হয়রানী ও নির্যাতন

বৈষম্য ঃ

বৈষম্যের শিকার হলে কর্মীর মন বিষিয়ে যায়, হতাশার সৃষ্টি হয় ও মনোবল কমে যায়।

চাকুরীর অনিশ্চয়তা ও কম বা নিম্ন মজুরী ঃ
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারনে সৃষ্টি হয় হতাশা, ভয়, টেনশন এমনকি দুর্ঘটনা ঘটে, ফলে শ্রমিকের শারীরিক ও মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দীর্ঘ কর্ম ঘন্টা ঃ
একজন শ্রমিকের পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং খাদ্য গ্রহনের জন্য বিরতির প্রয়োজন আছে। অনির্ধারিত ও দীর্ঘ সময় কাজ শ্রমিকের ক্লান্তি বাড়ায়, স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয় ফলে অনুপুস্থিতি ও অসুস্থতার হার বেড়ে যায়।

চাকুরীতে পেশাগত অদক্ষতা ঃ
একই কাজের পুনরাবৃত্তি এবং কর্ম পরিধির সীমাবদ্ধতার ফলে দক্ষতার উন্নতি হয়না। কর্মে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয় এবং শ্রম দক্ষতা ও কর্ম দক্ষতার অপব্যবহার হয়।

হয়রানি ও নির্যাতন ঃ
কর্ম ক্ষেত্রে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হলে কর্মীর মন তিক্ত হয়ে যায় যা থেকে হতাশার সৃষ্টি হয় এবং মনোবল কমে যায়।

মানাসিক ঝুকিঁতে করনীয় ঃ

নিজেকে উফুল্ল রাখতে হবে।
কাজ সম্পাদনের দৈহিক ও কোন ক্রমেই অসুস্থ অবস্থায় কাজ করা যাবেনা।
সদা সর্তক থাকতে হবে।
নিজ ও পারিপার্শি¦ক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যে ব্যক্তি কাজ করবে তাকে অবশ্যই উক্ত মেশিন সর্ম্পকে এবং দূর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ও পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
নিরাপত্তা বিষয়ক ট্রেনিং।
পারষ্পারিক ব›ধুত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ।

আঘাত উত্তর ব্যবস্থা ঃ

প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ফার্স্ট এইড এর তত্ত্বাবধায়নে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদীসহ ফার্স্ট এইড বক্সের ব্যবস্থা।
জরুরী অবস্থায় ফ্যাক্টরীর মেডিক্যালে ডাক্তার ও নার্সের শরনাপন্ন হওয়া।
অতঃপর প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।]

দূর্ঘটনা রেকর্ড রেজিষ্ট্রার ঃ

• দূর্ঘটনা রেকর্ড রেজিষ্ট্রার একটি সহযোগী মাধ্যম, যা থেকে দূর্ঘটনার কারন ও উৎস জানা যায়। নিম্নে দূর্ঘটনা রেকর্ড রেজিস্ট্রারের ব্যবহার সমুহ দেওয়া হলো ঃ
• কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক মাসে দূর্ঘটনা রেজিস্ট্রার চেক করবেন এবং সকল দূর্ঘটনা পর্যালোচনা করবেন এবং একই ধরনের দূর্ঘটনার শ্রেনী বিন্যাস করবেন।
• কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারন দূর্ঘটনার কারন সমুহ চিহ্নিত করে যথাযথ প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
• কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে বেশী দূর্ঘটনা কবলিত সেকশন চিহ্নিত করবেন এবং উক্ত সেকশনে দূর্ঘটনা কমাতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন নিবেন।

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাদী ঃ

• সবসময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং অন্যকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে সাহায্য করা।
• নিজের কাজের জায়গা এবং আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
• কাচাঁমাল এবং তৈরি দ্রবাদি সাজানো গোছানো রাখা।
• চলাচলের জন্য নিদির্ষ্ট বর্হিগমন পথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
• সঠিক উপায়ে টয়লেট ব্যবহারের পর পর্যাপ্ত পরিমানে পানি ব্যবহার করা।
• ইটিপির মাধ্যমে বর্জ্য পানি পরিশোধন নিশ্চিত করা।
• খাবার পানি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবহার ও পান করা।
• নিজ নিজ সেকশনে নির্ধারিত আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদী (পিপিই) ব্যবহার করা।
• খাবারের আগে হাত মুখ ধোয়ার অভ্যাস।
• খাদ্য দ্রব্য হাতে না লাগিয়ে চামচ ব্যবহার করা অথবা ভালোভাবে হাত ধুয়ে খাবার খাওয়া।

ফ্যাক্টরী পর্যায়ে করনীয় ঃ

• ফ্যাক্টরীর প্রতিটি ফ্লোরে পর্যাপ্ত পরিমানে অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদী থাকতে হবে।
• অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদীর একটি স্টার্ন্ডাড তালিকা ( এনেক্স – ৩) নাম সহ সরঞ্জামাদীর সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
• প্রতিটি ফ্লোরে ফায়ার স্টেশন,থানা ও হাসপাতালের টেলিফোন নম্বর লেখা থাকতে হবে।
• কমপ্লায়েন্স অফিসার /সেইফটি অফিসার / ওয়েল ফেয়ার অফিসার / এডমিন অফিসার একটি দূর্ঘটনা রেজিস্ট্রার মেইনটেন করবে।
• প্রতি মাসে কমপক্ষে অন্ততঃ একবার ফায়ার ড্রিল এবং ফায়ার ট্রেনিং করতে হবে ।
• প্রতিটি প্রশিক্ষনের জন্য হাজিরা রেজিষ্ট্রার মেনটেইন করতে হবে।
• ফ্যাক্টরী পযার্য়ে কমপ্লায়েন্স অফিসারগন বিভিন্ন ট্রেনিংএর সময়মূচী প্রস্তুত করবেন, ফেসেলিটেট করবেন ও প্রশিক্ষন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন।
• অগ্নি নির্বাপক দল আগুন নেভানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করবে।
• সেইফটি অফিসার ম্যানুয়ালে বণির্ত নিয়মে একটি দূর্ঘটনা রেজিষ্ট্রার খাতা সংরক্ষন করবেন।
• উদ্ধারকারী দল দূর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।
• পরবর্তীতে প্রয়োজনে তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।