Select Page
শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল নীতি সাধারণত কেমন হওয়া উচিত ?

শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল নীতি সাধারণত কেমন হওয়া উচিত ?

কল্যাণ তহবিল নীতি

শ্রমিক কল্যান কমিটি – শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে, শ্রমিকদের সমস্যার উৎসমূলেই  সমাধানের লক্ষ্যে এবং শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল সম্পর্কিত বিষয়াদীর সঠিক মূল্যায়নের লক্ষ্যে ফোর উইংস লি: এর শ্রমিক এবং কর্তৃপক্ষের সদস্য সমন্বয়ে একটি শ্রমিক কল্যান তহবিল  কমিটি গঠন করার নীতিমালা প্রনয়ন করা হলো। যে সমস্ত ক্ষেত্রে কল্যাণ তহবিল হতে সাহায্যের জন্য আবেদন করা যাবে তা নিন্মরুপ ঃ

  • কর্মকালীন অবস্থায় কেহ কোন প্রকার দূর্ঘটনার স্বীকার হলে।
  • শারিরীকভাবে গুরুতর অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা খরচ বাবদ। (কোম্পানী ডাক্তারের সুপারিশক্রমে)
  • দূর্ঘটনার ফলে কোন অঙ্গহানী হলে।
  • আগুনে পুড়ে বাসস্থানের ক্ষতিসাধিত হলে।
  • প্রসবকালীন জটিলতায় প্রসুতির মৃত্যূ হলে।
  • কণ্যাদায়গ্রস্থতার ক্ষেত্রে কল্যাণ তহবিল হতে সহায়তা দান।
  • বিবিধ

আবেদন পদ্ধতি ঃ

এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ হতে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদন পত্রে শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটির অন্তঃত ২ (দুই জন) সুপারিশ ও স্বাক্ষর নিশ্চিত করতে হবে। অতঃপর সংশ্লিষ্ঠ সেকশনের স্বাক্ষর নিশ্চিত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সাহায্যপ্রাপ্তি সম্পন্ন হবে।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ

এই পলিসি যাতে কারখানার সব জায়গায় ও সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীকে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, শ্রমিক প্রতিনিধি, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এছাড়াও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ও ওয়েলফেয়ার অফিসার ও এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগরেন মাধ্যমে অবহিত করা হয় এবং এই নীতিমালার যাবতীয় কার্যক্রম নথিভূক্ত করা হয়।

শ্রমিক কল্যান – উদ্দেশ্য :

  • শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষের অধিকার স্বার্থ রক্ষা করা।
  • একটি হৃদ্যতাপূর্ন শ্রমিক মালিক সম্পকের্র সৃষ্টি করা ।
  • কাজের শর্তাদী ও পরিবেশ সমুন্নত রাখা ।
  • দক্ষতা বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতায় আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।

শ্রমিক কল্যান – মূল নীতি :

  • কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা ।
  • রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক না রাখা।
  • স্থানীয় জনগন কিংবা বহিরাগত কারো সাথে সম্পর্ক রাখবেনা।
  • ফ্যাক্টরীর কল্যান কমিটির কোন সদস্য অন্য কোন কমিটির সদস্য না হওয়া।

শ্রমিক কল্যান -কমিটির কাজ :

  • শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, সমযোতা এবং সহযোগীতা বৃদ্ধিও লক্ষ্যে কাজ করা।
  • শৃংখলা বোধে উৎসাহিত করা ,নিরাপত্তা , পেশাগত স্বাস্থ্য রক্ষা ও সংরক্ষনের ব্যবস্থা শ্রমিক এবং তাদের পরিবার বর্গের প্রয়োজনীয় কল্যানমূলক ব্যবস্থা সমূহের উন্নয়নের লক্ষে আদেশ ,উপদেশ ,শিক্ষার মাধ্যমে উৎসাহিত করা ।
  • উৎপাদন লক্ষমাএা অর্জন ,উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি,উৎপাদন হ্রাস ও অপচয় রোধ করা এবং আন্তরিক হওয়া এবং আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।

কল্যান কমিটির সদস্যদের নিয়োগ ও স্থায়িত্ব :

  • শ্রমিকগনের প্রতিনিধির সংখ্যা মালিকের প্রতিনিধির সংখ্যা অপেক্ষা কম হবেনা।
  • কোন শ্রমিক, যে অন্তত দুই বৎসর সন্তোষজনকভাবে চাকুরীতে বহাল রয়েছে সে উক্ত কমিটির সদস্য হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে ,যদি না সে ফৌজদারী মোকাদ্দমায় আসামী হয়ে থাকে । তার নামে থানায় বা কোর্টে ডাইরী বা মামলা থাকলেও সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবে ।মানসিক ভারসাম্যহীন,প্রতিবন্দী, দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থ কর্মীও অযোগ্য বলে গন্য হবে।
  • কমিটির স্থায়িত্বকাল /মেয়াদকাল- ১বৎসর।
  • মহিলা / নারী শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

শ্রমিক কল্যান কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য:

  • শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা ও রক্ষা করা।
  • শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের মধ্যে পারষ্পরিক বিশ্বাস, সহযোগিতা ও সমঝোতা সৃষ্টি করা।
  • ফ্যাক্টরীর উন্নয়ন কর্মকান্ডে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করা।
  • কারখানার উন্নয়নের সাথে সম্পর্কীত নিয়মনীতি বিষয়ে শ্রমিক ও মালিকদের অবহিত করা।
  • স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সহ শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা।
  • পন্যের মান ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।
  • সকল প্রয়োজনীয় তথ্য শ্রমিকদের অবহিত করা।
  • জাতীয় শ্রম আইনের সুবিধাদি যাতে শ্রমিকরা গ্রহন করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা।

শ্রমিক কল্যান কমিটির কর্মপন্থা:

  • প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার কমিটির মিটিং করা (বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী মিটিং করা যেতে পারে)
  • ২/৩ সদস্য ছাড়া কোরাম পূর্ণ হবে না এবং মিটিং বাতিল হবে।
  • কাজ চলাকালে (বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে ) অথবা কাজের পরে মিটিং করা যাবে

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীর আকস্মিক কোন দূর্ঘটনা, অঙ্গহানী, গুরুতর অসুস্থ্যতা, কণ্যাদায়গ্রস্থতা, প্রসবকালীণ জটিলতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল হতে অর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পরিশেষে, অটো  গ্র“প একটি প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের নাম। এই পরিবারের একজন সদস্যের সমস্যা সকলের সমস্যা বলে বিবেচিত হয়। তাই অটো  গ্র“পে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কল্যান কল্পে গঠিত এই  ওয়েল ফেয়ার ফান্ড যেন যথাযথভাবে তার উদ্দেশ্য সাধন করতে পারে এ লক্ষ্যে অটো  গ্র“প বদ্ধ পরিকর।

জরিমানা বিরোধী নীতি Anti-Deduction Policy বর্ণনা

জরিমানা বিরোধী নীতি Anti-Deduction Policy বর্ণনা

জরিমানা বিরোধী নীতি

লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য

ভুল করা মানুষের স্বভাব। কাজ করতে গেলে মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। অটো গ্র“পে কর্মরত কেহ যদি কর্মক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল করে, তবে তাকে কোন প্রকারের জরিমানা করা হয় না। যদিও বাংলাদেশ শ্রম আইনে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, তথাপিও অটো গ্র“প কর্তৃপক্ষ কাউকে জরিমানা না করে তাকে মোটিভেশনাল মিটিং এর মাধ্যমে সংশোধনের পন্থা অবলম্বন করে । আর অটো গ্র“প কে সকল প্রকার  জরিমানা মুক্ত ঘোষনা করাই  জরিমানা বিরোধী নীতি প্রনয়নের উদ্দেশ্য।

অটো গ্র“পে কমরত কেহ যাতে কোন প্রকার জরিমানার স্বীকার না হয় সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ অত্র কারকানার স্ব-স্ব সেকশন প্রধানকে বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন।

প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রক্রিয়া ঃ

অটো গ্র“প  জরিমানা বিরোধী নিম্নোক্ত নীতি অনুসরণ করে থাকে ঃ

  • ফ্যাক্টরীতে কর্মরত কোন শ্রমিক কর্মচারী বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনরুপ জরিমানা ধার্য্য করা যাবে না।
  • যদি কেউ কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার জরিমানা ধার্য্য করে তবে জরিমানা মঞ্জুরকারীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
  • কাজ বা আচার – আচরণ সংক্রান্ত ব্যাপারে কেউ যদি কোনরুপ অপরাধ করে তবে তাকে মৌখিকভাবে বা লিখিতভাবে সতর্ক করা যাবে তবে তা অবশ্যই আইন সম্মত হতে হবে।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন ঃ

নীতিমালা বাস্তবায়নে অবহিতকরন/ যোগাযোগ একটি বড় বিষয়। আরএ কাজের জন্য অত্র কারখানায় যে সকল পদক্ষেপ সমূহ গৃহীত হয় তা হলো-বিভিন্ন প্রকার মোটিভেশনাল মিটিং, ট্রেনিং, কারখানার সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে একযোগে সকলকে অবহিত করা হয়।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তগন ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

 জরিমানা বিরোধী নীতির পরিশিষ্ঠঃ

মানুষ কোন দেবদূত নয় যে সে ভুল করবে না । ভুল হলে তাকে শাস্তি না দিয়ে  ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে বিবেচনা করা হয়। অপরাধীকে শাস্তি নয়, সংশোধনের সুযোগ দিতে হয় এই নীতিতে বিশ্বাস করে কর্তৃপক্ষ অটো গ্র“পকে সম্পূর্নরুপে জরিমানা মুক্ত ঘোষনা করেছেন।

সংলাপ প্রক্রিয়া নীতিমালা Dialogue System Policy বর্ণনা

সংলাপ প্রক্রিয়া নীতিমালা Dialogue System Policy বর্ণনা

সংলাপ প্রক্রিয়া নীতিমালা

নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: অটো গ্র“প সকলের জন্য সমান অধিকার, মর্যাদা নিশ্চিত করতে সদা সচেষ্ট । ফ্যাক্টরীর সম সাময়িক পরিস্থিতি, চাহিদা, অভিযোগ, প্রভৃতি বিষয় দ্রুত অবগতি ও নিষ্পত্তি হওয়ার লক্ষ্যে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তত একবার কর্তৃপক্ষ ও কিছু সংখ্যক শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটি, সাধারন শ্রমিক,  প্রাথমিক চিকিৎসক ও প্রোডাকশন স্টাফদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ মিটিং বা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তবে, আরো উল্লেখ্য যে, জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময় এই সংলাপ বা মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই সংলাপ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্র কোম্পানীতে একটি সংলাপ প্রক্রিয়া নীতি প্রণোয়ণ করা হয়েছে।

কার্যকরী পরিষদঃ সংলাপ নীতিমালা বাস্তবায়নে একটি পর্ষদ গঠন করা হয়েছে যা এই নীতিমালাটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করেঃ

কার্যকরী প্রকৃয়া ও অনুমোদনঃ উল্লেখিত নীতিমালা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যকরী রাখার ক্ষমতা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উল্লেখিত পর্ষদ এই নীতিমালা প্রয়োগ ও চলমান রাখতে নীতিগতভাবে দায়বদ্ধ।

নীতিমালা প্রণোয়ণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি:

  • সংলাপ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার ২ থেকে ৩ দিন পূর্বেই মিটিং এর তারিখ সকলের অবগতির জন্য সাউন্ড সিস্টেম ও নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়। নোটিশের কপি প্রত্যেক নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়।
  • সংলাপ প্রকৃয়ার মাধ্যমে শ্রমিক পক্ষ তাদের দাবী-দাওয়া, অভিযোগ, ক্ষোভ (যদি থাকে) তা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবে। ছোট ছোট অপরাধ, ক্ষোভ, অসন্তোষ জমা হয়ে বড় আকার ধারণ করতে না পারে তা সংলাপ প্রকৃয়ার উদ্দেশ্য।
  • সংলাপ শেষে উভয় পক্ষের মধ্যকার আলোচনার বিষয় বস্তু যেমন কোন সমস্যা বা প্রস্তাবিত বিষয়, সমাধান বা গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ নোটিশ বোর্ড ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে জানানো হয়।
  • তবে, আরো উল্লেখ্য যে, জরুরী প্রয়োজনে যে কোন সময় এই সংলাপ বা মিটিং অনুষ্ঠিত হতে পারে।

নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ

সংলাপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর আলোচিত বিষয় ও গৃহীত সিদ্ধান্ত নোটিশ বোর্ড ও পি,এ সিষ্টেমের মাধ্যমে  সকলকে অবগত করা হয়। এই নীতিমালার যাবতীয় কার্যক্রম নথিভূক্ত করা হয়।

ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ

এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা  সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে। এর পরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য কার্যকরী পরিষদ ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

পরিশিষ্ঠ ঃ

ফ্যাক্টরীর কর্ম পরিবেশ, বহিরাগত নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা প্রভৃতি বাস্তবস্থা জানবার জন্য কর্তৃপক্ষ ও কিছু সংখ্যক শ্রমিক অংশগ্রহনকারী কমিটি, সাধারন শ্রমিক,  প্রাথমিক চিকিৎসক ও প্রোডাকশন স্টাফদের মধ্যেকার এই সংলাপ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এ নীতি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।

শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ বিবেচনা সংক্রান্ত নীতিমালা

শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ বিবেচনা সংক্রান্ত নীতিমালা

শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ

১. সূচনা

যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানেই শ্রমিক কর্তৃক অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। আর এ সকল অপরাধ বিবেচনার নির্দ্ধারিত একটি পদ্ধতি থাকা আবশ্যক। অটো তার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায় বিচার করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। অপরাধের ধরন অনুসারে তাই তার শাস্তি ও নির্দ্ধারন করা বিধেয়। এ জন্য অটো তার আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানে একটি অপরাধ বিবেচনা নীতিমালা প্রণয়ন  করছে।

২. উদ্দেশ্যে

কোন আইন যত ভালই হোক না কেন তার প্রয়োগই তাকে ভাল/মন্দে রুপান্তর করে। অটো তাই শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত অপরাধ বিবেচনার ক্ষেত্রে নিু বর্নিত পদ্ধতি অনুসরন করে ঃ

ক.        মৌখিক ভাবে বুঝান বা

খ.        মৌখিক ভাবে সর্তক করন

গ.        লিখিত ভাবে সর্তক করন

ঘ.        চাকুরী হইতে অপসারন/বহিস্কার

ক.        মৌখিক ভাবে বুঝানো বা  ঃ কারখানার কোন শ্রমিক যদি বুঝে বা না বুঝে কোন অপরাধ করে। তখন তাকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ডেকে নিয়ে তার অপরাধ সম্পর্কে বুঝাবে। এ বিষয়য়ে তার কি করা উচিত/অনুচিত তা সঠিক ভাবে বুঝাতে হবে। এ অপরাধের জন্য তার কি ধরনের শাস্তি হতে পারে বা হওয়া উচিত তাও তাকে বুঝাতে হবে। এছাড়া এ ধরনের অপরাধ না করলে তার অবস্থান কেমন হবে তাও তাকে বুঝাতে হবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্র“তি হলো আমরা এ নীতিমালা সঠিক ভাবে অনুসরন করি। কোন শ্রমিক ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোন অপরাধ করে বসলে আমরা যতবার প্রয়োজন ততবারই তাকে বুঝিয়ে তার কাজ/স্বভাবের পরিবর্তন করতে চেষ্ঠা করি। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

খ.        মৌখিক ভাবে সর্তক করন ঃ কোন শ্রমিক যখন একাধিক বার বুঝানোর পরও তার কাজের/স্বাভাবের পরিবর্তন হয় না এবং একই অপরাধ একের পর এক করতে থাকে, তখন তাকে তার অপরাধ সম্পর্কে পুনরায় অবহিত করতে হবে এবং সে যা কারছে তার জন্য তাকে মৌখিক ভাবে সর্তক করতে হবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ আমরা কোন শ্রমিক অপরাধ করলে তাকে একাধিকবার বুজানোর পরই তাকে মৌখিক ভাবে সর্তক করে থাকি। আর এ রুপ ভাবে তাকে প্রতি অপরাধের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে কমপক্ষে ০৫ বার সর্তক করে থাকি, কেন না আমাদের উদ্দেশ্য শ্রমিকের স্বভাবের পরিবর্তন তাকে শাস্তি দেয়া নয়।

গ.        লিখিত ভাবে সর্তক করন ঃ কোন শ্রমিক যখন পর্য্যায়ক্রমে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করতে থাকে এবং বুঝানো এবং মৌখিক ভাবে সর্তক করা সত্বেও তার কাজের/স্বাভাবের পরিবর্তন হয় না, তখন তাকে লিখিত ভাবে তার শাস্তি সম্পর্কে সর্তক করে দিতে হবে। অনুরুপ অপরাধের জন্য কমপক্ষে তিন বার লিখিত ভাবে সর্তক করতে হবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্র“তি হলো কোন শ্রমিক অপরাধ করলে আমরা প্রথমে তাকে বুঝিয়ে সংশোধন করার চেষ্ঠা করি। এতে তার কাজের/স্বাভাবের পরিবর্তন না হলে তাকে লিখিত ভাবে সর্তক করি। কমপক্ষে তিন বার মৌখিক ভাবে সর্তক করার পরও যদি তার কাজের/স্বভাবের পরিবতৃন না হয়, তখনই কেবল তাকে লিখিত ভাবে সর্তক করে থাকি। চরম শাস্তি প্রদানের পূর্বে অনুরুপ ভাবে কমপক্ষে তিন বার লিখিত সর্তক নোটিশ প্রদান করে থাকি। কেননা ন্যায় বিচার আমাদের অঙ্গীকার।

ঘ.        চাকুরী হইতে অপসারন/বহিস্কারঃ কোন শ্রমিক যখন বুঝান, মৌখিক সর্তক করন এবং লিখিত সর্তকতামুলক নোটিশ প্রদান করার পরও তার কাজ/স্বভাবের পরিবর্তন না হয়। তখন চরম ব্যবস্থা হিসাবে তাকে চাকুরী হইতে আতœপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে অপসারন/বহিস্কার করা যাবে।

প্রতজ্ঞিা ঃ কোন বহিরাগত শ্রমিককে গুরুত্বধন্ড বা শাস্তি প্রদান আমাদের কাম্য নয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রমিককে তার অপরাধের জন্য নূন্যতম শাস্তি প্রদান তথা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা আমাদের অঙ্গীকার।

৩. উপসংহার

শ্রমিককে শাস্তি প্রদান আমাদের কাম্য নয়। শ্রমিকেরা যাতে তাদের ভূল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে কাজ করতে পারে আমদের এ নীতিমালা তাই শ্রমিক কল্যান উৎসগ্রকৃত।

শ্রমিকদের সহিত আচরন সংক্রান্ত নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা

শ্রমিকদের সহিত আচরন সংক্রান্ত নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা

শ্রমিকদের সহিত আচরন সংক্রান্ত নীতিমালা

সূচনা  ঃ একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন ধরণের শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে। এই সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সহিত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক কেমন হবে? কিভাবে ব্যবস্থাপণা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনা করবে, তা একটি নীতিমালার আলোকে নির্দ্ধারিত না হলে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক তিক্ত হতে বাধ্য। এক্ষেত্রে তার অধীনস্থ সকল শিল্প কারখানার শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্য ১৯৬৫ সালের শ্রম আইন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশনের আলোকে একটি সুষম আচরন বিধি প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছে। এই আচরন বিধি অনুসরণ করলে শ্রমিক-মালিক সম্পর্কে কখনও বিরোধ দেখা দেবেনা। See English Version

উদ্দেশ্যে  ঃ যে কোন আইন, বিধি বা নিয়মই হোক না কেন তা যদি সঠিক ভাবে প্রণয়ন এবং উহার কার্য্যকরী প্রয়োগ না হয়, তা হলে ঐ বিধি, আইন বা নীতিমালা কখনই শ্রমিক কর্মচারীর কল্যান বয়ে আনবে না। কর্তৃপক্ষ তাই লিঙ্গ বেইসম্ম  শ্রমিক-কর্মচারীর সার্বিক কল্যানের বিষয় বিবেচনা করে একটি নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে। এ নীতিমালার প্রধান বিষয় ও তার আলোচনা পর্য্যাক্রমে নীচে প্রদান করা হল ঃ

ক. ভর্ৎষনা ও নির্যাতন

খ. অভিযোগ গ্রহন

গ. আর্থিক দন্ড

ঘ. জোর পূর্বক কাজ করানো

ঙ. শ্রমিকদের অধিকার

চ. ব্যক্তিগত সুযোগ/সুবিধা

ছ. মহিলা শ্রমিক নিয়োগ

জ. শিশু শ্রমিক নিয়োগ

ঝ. চিকিৎসা সুবিধা

ঞ. সংগঠন করার অধিকার

ট. স্বল্পকালীন ছুটি

ঠ. উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

ড. বেতন বৃদ্ধি/পদোন্নতি

ঢ. রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার

ণ. ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা

ক.        ভর্ৎষনা ও নির্যাতন ঃ কোন শ্রমিককে গালিগালাজ, কটুক্তি, শারিরীক বা মানষিক ভাবে নির্যাতন করা যাবেনা। কোন শ্রমিককে যৌন হয়রানি করা যাবেনা। কাহার ও বিরুদ্ধে অনুরুপ অভিযোগ উত্থাপিত হলে এবং অভিযোগ প্রমানিত হলে ১৯৬৫ সালের শ্রম আইনের ধারা ১৭ ও ১৮ মোতাবেক তার/তাহার বিরুদ্ধে শস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে কোন অবস্থায়ই শ্রমিককে কোনরুপ নির্যাতন না করা। এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত আলোচনা সভা করে শ্রমিক কর্মচারীদের বুঝিয়ে থাকি। শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য অটো  কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে।

খ.        অভিযোগ গ্রহন ঃ কোন শ্রমিক যদি কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করতে চায় তবে তা আন্তরীকতার সাথে শুনতে বা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে যতদুর সম্ভব ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আমরা আমাদের শ্রমিকদের যে কোন অভিযোগের বিষয়ে খুবই আন্তরীক। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ পেশ করতে কোন বাধা নাই।এ ছাড়া অভিযোগ বাক্স/সুপারিশ সংক্রান্ত বাক্সের মাধ্যমেও শ্রমিকেরা তাদের আবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করতে পারে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি।

গ.        আর্থিক দন্ড ঃ কোন শ্রমিক অপরাধ করলে সে অপরাধের জন্য তাকে কোনরুপ আর্থিক দন্ড প্রদান করা যাবে না। আর্থিক দন্ড প্রদান আইনতঃ নিষিদ্ধ। এমনকি কোন শ্রমিককে বিনা পরিশ্রমিকে কাজ করানো যাবে না। ইহাও দন্ডনীয় অপরাধ।

আমরা কখনও কোন শ্রমিককে আর্থিক দন্ড প্রদান করি না, এমনকি কখনও বিনা পরিশ্রমিকে কোন শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো হয় না। এটা আমাদের অঙ্গীকার।

ঘ.        জোর পূর্বক কাজ করানোঃ কোন শ্রমিককে দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানো যাবে না। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন শ্রমিককে দিয়ে অধিকাল(ঙাবৎঃরসব) কাজ করানো যাবে না। এই রুপ কার্যকলাপ দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে।

শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দিয়ে কাজ করানো অটো -এর মূলনীতির পরিপন্থী। এই নীতিমালা সমুন্নত রাখা আমাদের প্রতিশ্র“তি।

ঙ.        শ্রমিকের অধিকার ঃ কোন শ্রমিককে তার ন্যায্য অধিকার হইতে বঞ্চিত করা যাবে না। সঠিক মুজরী, ছু্িট, স্বল্পকালীন ছুটি সহ যেসব অধিকার একজন শ্রমিক শ্রম আইন অনুসারে প্রাপ্য হবেন তার সবই তাকে ভোগ করতে দিতে হবে। এরুপ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা দন্ডনীয় অপরাধ।

প্রতজ্ঞিা  ঃ এ বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার হলো সমতার ভিত্তিতে কাজ করা। শ্রমিক যদি তার অধিকার না পায়, তবে তার থেকে চাহিদাকৃত উৎপাদন পাওয়া যাবেনা। আমরা তাদের সব অধিকার সংরক্ষণে সচেষ্ঠ।

চ.         ব্যক্তিগত সুযোগ/সুবিধা ঃ কারখানায় নিয়োজিত সকল শ্রমিককে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সুযোগ/সুবিধা প্রদান করতে হবে। ব্যক্তিগত সুযোগ/সুবিধা হতে তাহাদেরকে বঞ্চিত করা যাবে না।

প্রতজ্ঞিা  ঃ আমরা প্রতিটি শ্রমিকও তার ব্যক্তিগত ব্যাপারে সহানুভুতিমূলক আচরণ করে থাকি। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তাদেরকে স্বল্পকালীন ছুটি দেয়া হয়ে থাকে। এ জন্য তার বেতন কর্তন বা ছুটি থেকে কর্তন করা হয়ন।

ছ.        মহিলা শ্রমিক নিয়োগঃ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন রুপ বৈষম্য করা যাবেনা। মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদেরকে মাতৃত্ব কালীন অবস্থা সম্পর্কে কোন রুপ প্রশ্ন বা পরীক্ষা করা যাবেনা। এরুপ কার্যকলাপ দন্ডনীয় অপরাধ। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় মহিলা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ও কোন রুপ বিধি নিষেধ আরোপ করা যাবে না। মহিলা শ্রমিকদের বেতন নির্দ্ধারনে ও কোন রুপ বৈষম্য গ্রহণ যোগ্য নয়।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অটো  তার সকল শ্রমিককে সমতা আইনে বিচার করে।  বেতন নির্দ্ধানরেও কোন বৈষম্য করা হয় না।

জ.       শিশু শ্রমিক নিয়োগ ঃ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন অবস্থায়ই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না। শিশু শ্রমিক নিয়োগ আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অটো  তার আওতাধীন কোন প্রতিষ্ঠানেই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে না। বরং শিশুদের লেখা পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য অটো  একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।

ঝ.        চিকিৎসা ঃ শ্রমিকগন কারখানায় আসার পর যে কোন কারনে অসুস্থ হোক না কেন তাহার সু-চিকিৎসার বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তিসহ যে কোন জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অটো  কর্তৃপক্ষের অঙ্গীকার অনুযায়ী শ্রমিকদের সব ধরণের চিকিৎসার ব্যয় ভার কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করে। জরুরী প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক সব ধরনের ঔষধ সরবরাহ করা হয়। অটো   কর্তৃপক্ষ মনে করে সুস্থ্য শ্রমিক ব্যতিত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।

ঞ.       সংগঠন করার অধিকার ঃ সকল শ্রমিকের নিজ ইচ্ছা মত সংগঠন করা বা তাতে যোগদান করার অধিকার আছে।  এক্ষেত্রে কোন শ্রমিককে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ইহা দন্ডনীয় অপরাধ।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অটো  কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শ্রমিকদের সংগঠন করার বা তাতে যোগদান করতে কখনই বাধা দেয় না। এটা অটো  নীতিমালার পরিপন্থী। এখানে কর্মকর্তা, কর্মচারী সমন্বয়ে বিভিন্ন কমিটি ( রয়েছে। এ সকল কমিটি সার্বক্ষনিক ভাবে শ্রমিকদের কল্যান মুলক কাজে নিয়োজিত।

ট.         স্বল্পকালীন ছুটিঃ ব্যক্তিগত জরুরী প্রয়োজনে সকল শ্রমিককে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ছুটি প্রদান করতে হবে। এজন্য তার জমাকৃত ছুটি থেকে বা বেতন থেকে কর্তন করা যাবে না। ইহা নিষিদ্ধ।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অটো  কর্তৃপক্ষ তার কর্মীবাহিনী তথা শ্রমিকদের সব সময়ই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। জরুরী প্রয়োজনে তাদেরকে স্বল্পকালীন ছুটি দেয়া হয়। এ জন্য ছুটি বা বেতন কর্তন করা হয় না। অটো  কর্তৃপক্ষ সকলের মানবিকতার মূল্য দেয়।

ঠ.         উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্দ্ধারন  ঃ কোন শ্রমিককে তার যোগ্যতার অধিক কাজ করতে দেয়া যাবে না। এ লক্ষে উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্দ্ধারন করে দেয়া নীতি বিরুদ্ধ। ইহা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অটো  কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিকদের নিয়োগের সময় যোগ্যতার ভিত্তি নিয়োগ করে। কোন অবস্থায়ই শ্রমিককে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্দ্ধারণ করে দেয়া হয় না। শ্রমিকদের যোগ্যতা অনুসারে কারখানার কাজের লক্ষমাত্রা নির্দ্ধারণ করা হয়।

ড.        বেতন বৃদ্ধি/পদে ঃ যোগ্যতাই একজন শ্রমিককে যাচাই-এর মুলসূত্র। যোগ্য শ্রমিক কর্মচারীকে বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতির সুবিধা প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনরুপ বৈষম্য করা যাবে না। সামাজিক অবস্থান বা ব্যক্তিগত সম্পর্ককে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসাবে গননা করা নিষিদ্ধ।

প্রতজ্ঞিা  ঃ আমরা প্রতি বৎসর শ্রমিক কর্মচারীদেরকে তাদের যোগ্যতা অনুসারে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান করে থাকি। এ ক্ষেত্রে কোনরুপ বৈষম্য করা হয় না। এ ছাড়া যোগ্য শ্রমিক-কর্মচারীকে পদোন্নতি প্রদান ও অটো  এর নীতি মালার অংশ।

ঢ.         রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ঃ কারখানায় খোলা মেলা অবস্থায় রাসায়নিক দ্রব্য (ঝঢ়ড়ঃ জবসড়াবৎ) ব্যবহার করা যাবে না। নির্দ্ধারিত নিরাপত্তা নীতি অনুসরণ করা স্বাপেক্ষে উহা ব্যবহার করা যেতে পারে।এক্ষেত্রে খোলামেলা ব্যবহারের অপকারিতা সংশ্লিষ্ঠ শ্রমিক কর্মচারীদেরর অবহিত করতে হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অটো  এর কোন শিল্প কারখানায় খোলামেলা ভাবে স্পট রিমুভার ব্যবহার করা হয় না। শ্রমিকদেরকে প্রয়োজনীয় বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। খোলামেলা ব্যবহারের কু-ফল সম্পর্কে শ্রমিকদের সর্বদা অবহিত করা হয়। এছাড়া চচঊ ব্যবহার সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান অটো  কর্তৃপক্ষের অঙ্গীকার।

ন.        ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ঃ শ্রমিকের উপর অর্পিত কাজের জন্য যদি তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ শ্রমিককে দিয়ে সম্পাদন করা যাবে না। স্বাস্থ্য হানিকর কোন দ্রব্য ব্যবহারের পূর্বে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

প্রতজ্ঞিা  ঃ অত্র তার শ্রমিক কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক গঁংশ, এধং গঁংশ-সহ অন্যান্য নিরাপত্তা মুলক দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করে। এগুলি ব্যবহারের কারণে এ কারখানায় দূর্ঘটনা ঘটেনা বল্লেই চলে। আমরা শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্যের ব্যপারে সম্পূর্ণ সজাগ।

৩.        উপসংহার  ঃ একটি সুষ্ঠ, সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা অনুসরণ করলে যে কোন শিল্প কারখানা তার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। অটো  তাই শ্রমিকদের সাথে আচরণ সংক্রান্ত নীতিমালাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এবং এর অনুসরণ বাধ্যতামূলক বলে গন্য করে। অটো  মনে করে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উৎপাদনে মুল চালিকা শক্তি।

জবরদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা এর প্রয়োজনীয় সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

জবরদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা এর প্রয়োজনীয় সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

জবরদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা

গার্মেন্টস লিঃ এর কর্তৃপক্ষ শ্রম আদায়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় শ্রম আইন , আন্তর্জাতিক শ্রম সংঘ  এবং বায়ারদের আচরণবিধি  সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে। সর্বোপরি কর্তৃপক্ষ উন্নত মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অংগীকারাবদ্ধ বিধায় অত্র গ্র“পভুক্ত যেকোন শিল্প প্রতিষ্ঠানে যেকোন ধরণের জবরদস্তিমূলক শ্রমের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেকোন ধরণের শ্রম যা জবরদস্তিমূলকভাবে আদায় করা হচ্ছে প্রমানিত হলে এ ধরণের শ্রম আদায়কারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। স্থানীয় শ্রম আইন, আইএলও এবং বায়ার কর্তৃক স্বীকৃত এবং ঐচ্ছিক  শ্রম ধারা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে একটি সুস্পষ্ট জরবদস্তিমূলক শ্রম নীতিমালা প্রনয়ন করা হলো।

১। জবরদস্তিমূলক শ্রম ঃ

শ্রম আদায়ে শ্রমিকদেরকে দৈহিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করা জবরদস্তিমূলক শ্রমের অন্তর্গত। যেকোন ধরণের বন্দী নিবাসমূলক শ্রম ,  চুক্তিপত্র দ্বারা আবদ্ধমূলক শ্রম  এবং বলপূর্বক আদায়কৃত শ্রম জবরদস্তিমূলক শ্রমের পর্যায়ভূক্ত। সহজ কথায় যেকোন ধরণের অনৈচ্ছিক শ্রমই জবরদস্তিমূলক শ্রম বলে অভিহিত হবে।

২। অত্র গ্র“পভুক্ত সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারী শ্রম আদায়ের ক্ষেত্রে নিুোক্ত নীতিসমুহ সুচারুরূপে পালন করবেন –

  • সাজাপ্রাপ্ত কোন পলাতক আসামী কিংবা কোন বন্দীকে শ্রমের জন্য নিয়োগ করা যাবে না।
  • বন্দী নিবাসমূলক শ্রম আদায় থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে।
  • কোন ধরণের চুক্তি দ্বারা আবদ্ধমূলক শ্রম আদায় থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।
  • যেকোন ধরণের বলপূর্বক শ্রম আদায় থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • শ্রমিকের সম্মতি ব্যতীত নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত শ্রম  কোন ক্রমেই আদায় করা যাবে না অর্থাৎ অতিরিক্ত কাজ সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাকৃত ।
  • স্বেচ্ছাকৃত অতিরিক্ত কাজের জন্য শ্রমিককে বৈধ হারে ওভারটাইম ভাতা প্রদান করতে হবে।
  • অতিরিক্ত সময়  কাজ করানোর পূর্বে সংযুক্ত ক্রোড়পত্র ‘ক’ অনুযায়ী শ্রমিক প্রতিনিধিগনের সম্মতি সুচক প্রত্যায়ণ পত্র নিতে হবে।

৩। জবরদস্তিমূলক শ্রমের শিকার হলে করনীয় ঃ

  • কারখানায় কর্মরত কোন শ্রমিক/কর্মচারী জবরদস্তিমূলক কোন ধরণের শ্রমের শিকার হলে নিুের যেকোন পন্থা অবলম্বন করে কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ পেশপূর্বক প্রতিকার পেতে পারেন।
  • কারখানায় কর্মরত কমপ্লায়েন্স ইনচার্জ/ পার্সোনেল ইনচাজ /কাউন্সেলিং অফিসারকে বিষয়টি মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত করবেন।
  • কারখানার শ্রম কল্যাণ কমিটির সদস্যদেরকে অবহিত করণের মাধ্যমে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন।
  • টয়লেন এলাকায় রক্ষিত অভিযোগ বাক্সে লিখিতভাবে অভিযোগ পেশ করতে পারবেন।
  • উল্লেখিত পন্থাসমুহ অবলম্বন করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোন প্রতিকার পাওয়া না গেলে উক্ত অভিযোগ সরাসরি কারখানার জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন)কে জানাতে পারেন।

৪। জবরদস্তিমূলক শ্রমের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা ঃ

জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায়ের অভিযোগের ক্ষেত্রে কারখানার কমপ্লায়েন্স ইনচার্জ / পার্সোনেল ইনচার্জ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত শেষে জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) এর নিকট প্রতিবেদন পেশ করবেন। জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা পূর্বক বলপূর্বক শ্রম আদায়কারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় শ্রম আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

একটি স্বীকৃত এবং মানবিক শ্রম ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কারখানায় কর্মরত সকল ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক উপরোক্ত নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা বাঞ্চনীয়। কর্তৃপক্ষ আশা পোষন করে অত্র শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগন উক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে সকল প্রকার সহযোগিত প্রদান করবেন।