কার্টুন এবং ফেব্রিক ষ্টোর সংক্রান্ত নিরাপত্তা

কার্টুন এবং ফেব্রিক ষ্টোর সংক্রান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা এর বিশেষ বর্ণনা

কার্টুন এবং ফেব্রিক ষ্টোর সংক্রান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা

কার্টুন এবং ফেব্রিক ষ্টোর সংক্রান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা – একটি স্বনামধন্য পোষাক রপ্তানীকারী প্রতিষ্ঠান নীট ওয়্যার লিঃ এর সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধানের জন্য বদ্ধ পরিকর। স্থানীয় ও আন্তর্-জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই প্রতিষ্ঠান অবৈধ দ্রব্যাদি রপ্তানী ও আমদানীর সম্পূর্ন বিরোধী। সকল প্রকার উৎপাদন নীতি মেনে চলে উৎপাদিত পোষাক সঠিক সময়ে রপ্তানীর জন্য প্রয়োজন যথাযথ নিরাপত্তা যা সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীট ওয়্যার লিঃএর রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা বিধিমালা। কোন প্রকার অবৈধ বা নিষিদ্ধ জিনিসপত্র নিয়ে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ করা যাবে না। বিনা অনুমতিতে কেউ, ফ্যাক্টরীর সম্পদ, মালামাল/ কাপড়/ গার্মেন্টস/ যন্ত্রপাতি/ জিনিসপত্র নিয়ে বাহিরে যেতে পারবেনা। ফ্যাক্টরীর ভিতর কোন প্রকার ধূমপান করা যাবে না; এমনকি কি মাদক দ্রব্য বা ধূমপান জাতীয় পদার্থ বহন করা যাবে না।

১) সিকিউরিটি কাজের পূর্বে প্রধান দরজা খুলবে এবং নিরাপত্তা ও অগ্নি সংক্রান্ত সবকিছু চেক করবে।
২) ষ্টোর ম্যানেজার ষ্টোর এর সবস্থান চেক করবে যাতে সবকিছু ঠিক আছে কি না। -,
৩)ষ্টোর ম্যানেজার কাজের সময় ষ্টোরে থাকবে।
৪)নিদিষ্ট রেজিষ্টারে সকল ইন এবং আউট কার্গো রেকর্ড থাকবে। নষ্ট কাটুর্ন সনাক্ত করার পর তা তৎক্ষণাত ষ্টোর থেকে বের করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডির্পাটমেন্ট প্রধানকে জানাতে হবে।
৫) সকল ইনকামিং এবং আউট গোয়িং রেকর্ডস সঠিক রেফারেন্স নম্বর সহকারে রেজিষ্টারে লিপিবব্ধ থাকবে।
৬) কাজ শেষ করার পূর্বে, ষ্টোরের সকল কাগজপত্র যথাযথ ভাবে ফাইল এবং সংরক্ষন করতে হবে।
৭) কাজ শেষ করার পূর্বে, সিকিউরিটি গার্ড নিশ্চিত করবে যে ষ্টোরের বাহিরে কোন অতিরিক্ত কার্টুন থাকবে না, যদি থাকে, তবে অতিরিক্ত কার্টুন ষ্টোরের ভিতর রাখতে হবে।
৮) ষ্টোর বন্ধ করার পুর্বে সিকিউরিটি ষ্টোরের দরজা জানালা যথাযথ ভাবে লক করে বন্ধ করবে।
৯) সিকিউরিটি দরজা বন্ধ করার র্পুবে ষ্টোরের চারপাশে চেক করবে। দরজা Ÿন্ধ পর সিকিউরিটি ষ্টোর লক করার সময় রেজিষ্টারে লিপিবব্ধ করবে।
১০) ষ্টোর একটি সংরক্ষিত এলাকা। অনুমতি ছাড়া কেউ ষ্টোরে ভিতরে প্রবেশ করবে না।

কার্টুন এবং ফেব্রিক ষ্টোর সংক্রান্ত নিরাপত্তা

এটি সম্পূর্ণ লিখিত একটি নিরাপত্তা বিধি এবং এই বিধি সূচারুরুপে পালন করতে কোম্পানী বদ্ধ পরিকর। নিম্নে নীট ওয়্যার লিঃএর নিরাপত্তা বিধি দেওয়া হলো ঃ

  • কারখানার প্রবেশপথ সুক্ষèভাবে নিয়ন্ত্রিত যার মধ্যে শুধুমাত্র দুইটি প্রধান দরজা দ্বারা প্রবেশ করা যায়।
  • কারখানার নিরাপত্তার জন্য সবাই সচেতন এবং এ বিষয়ে শ্রমিকদের আরো সচেতন করার জন্য “নিরাপত্তা সচেতনতা” নামে কোম্পানীর একটি প্রকল্প আছে।
  • কারখানা ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা পাহারা দেওয়া হয়। নিরাপত্তা প্রহরীরা কোম্পানীর নিজস্ব নিয়োগকৃত ও প্রশিক্ষিত যারা কোম্পানীর অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সহ সপ্তাহে ১ দিন ছুটি ভোগ করে।
  • কারখানার শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তারা কারখানায় প্রবেশের পূর্বে কোম্পানী প্রদত্ত তাদের নিজ নিজ “প্রোক্সিমিটি কার্ড” সোয়াইব করে। তাদের আগমন ও বহিঃর্গমন অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দ্বারা সনাক্ত করা হয়। এছাড়া প্রবেশের পূর্বে তাদের কাছে রক্ষিত ব্যাগ বা এ জাতীয় কিছু থাকলে তা সার্চ করা হয়।
  • দর্শনার্থী, সরবরাহকারী, সরবরাহকারী গাড়ীর ড্রাইভার, ট্রান্সপোর্ট এজেন্ট, ঠিকাদার ও বিভিন্ন সংস্থার এজেন্ট তাদের পরিচয় প্রদান করে গেটে রক্ষিত রেজিষ্টার বুকে নাম ও ঠিকানা লিখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কারখানায় প্রবেশ করে। এছাড়া কারখানায় অবস্থানকালে নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের অবস্থান ও গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে।
  • কারখানার সমস্ত প্রকার তালা ও লকের চাবি কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়।
  • দর্শনার্থী, সরবরাহকারী, ঠিকাদার ও অন্যান্য যে কোন গাড়ী পার্ক করার জন্য আলাদা জায়গায় ব্যবস্থা আছে।
  • “ফিনিসড গুডস” কন্টেইনারে লোড হওয়ার সময় কোম্পানী নিযুক্ত নির্দিষ্ট ব্যক্তি তা পর্যবেক্ষণ করে এবং মালামাল লোড হওয়ার পর তিনি তা সিল করে দেন।
  • প্যাকিং এরিয়া এবং লোডিং এরিয়ার প্রবেশ সংরক্ষিত। প্যাকিং এবং লোডিং করার কাজ ও তা পর্যবেক্ষণের জন্য একমাত্র নিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া প্যাকিং এরিয়া এবং লোডিং এরিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ।
  • খালি ও ভরা কন্টেইনার নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হয় এবং এসব কন্টেইনার নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিদর্শন করা হয়।
  • শিপিং এর পূর্বে সিল করা কন্টেইনার ও এর শিপিং ডকুমেন্ট, ইনভয়েজ, প্যাকিং লিষ্ট মিলিয়ে দেখা হয়।
  • কাজের জন্য সরবরাহকৃত নিদির্ষ্ট ব¯ত্তু ব্যতীত ফ্যাক্টরীর ভিতর অন্য যে কোন প্রকার বিপদজনক বস্তু (যেমন- ছুরি, চাকু, ধারালো বস্তু বা আগ্নেয়াস্ত্র) আনা যাবে না। ফ্যাক্টরীর ভিতর কোন প্রকার দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না (যেমন- দিয়াশলাই, জ্বালানীতেল, মোমবাতি, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ , বোমা, আঁতশবাজী ইত্যাদি)।
  • শিপমেন্টযোগ্য মালামাল যেখানে রাখা হয় অর্থ্যাৎ প্যাকিং এরিয়া, ফিনিশড্ গুডস এরিয়া, লোডিং – আনলোডিং এরিয়ায় নির্ধারিত শ্রমিক ও কর্র্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যদের  প্রবেশ নিষিদ্ধ।
  • ফ্যাক্টরীর ভিতর প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় ব্যাক্তিগত ব্যবহার্য দ্রব্যাদি যেমন- হাতব্যাগ, লাঞ্চ ক্যারিয়ার, ব্রিফকেস ইত্যাদি খুলে নিরাপত্তা রক্ষী পরীক্ষা করবে, এতে কারও বাধা দেওয়া চলবে না।
  • ফ্যাক্টরীর ভিতর বা আশেপাশে কারো কোন ধরনের সন্দেহমূলক চলাফেরা/ কার্যকলাপ করা যাবে না।
  • প্রত্যেক শ্রমিককে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের মূহুর্তে সিঁিড়তে উঠার আগেই তাদের জুতা অবশ্যই ব্যাগে রাখতে হবে এবং ফ্লোর থেকে বের হয়ে সিড়ি থেকে নেমে পুনরায় প্রত্যেকের জুতা খুলে বাহিরে যেতে হবে।
  • অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত ফ্যাক্টরীর ভিতর মোবাইল ফোন আনা ও ব্যবহার করা যাবেনা, যদি ধরা পড়ে, জব্দ করা হবে।
  • যদি কোন শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা, নিরাপত্তা প্রহরী কিংবা অন্য যে কেউ কোনরকম সন্দেহমূলক আচরণ করে তবে তা পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করা হয় এবং ঐ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে তার শা¯িতর ব্যবস্থা করা হয়।

উল্লেখিত/ উপরোক্ত বিধিনিষেধগুলো ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাহী কর্র্তৃপক্ষের আইনানুগ অনুমতিক্রমে পরিচালিত হয়। উক্ত বিধি- নিষেধগুলো যদি কেউ অমান্য করে বা ভাংতে চেষ্টা করে, নিরাপত্তা বিভাগ তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে; এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তি/ ব্যক্তিবর্গকে পুলিশে সোপর্দ করতে বাধ্য হবে।

Comments

One response to “কার্টুন এবং ফেব্রিক ষ্টোর সংক্রান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা এর বিশেষ বর্ণনা”

Leave a Reply