ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা

কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা । এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ?

কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা

এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ঃ

  • উচ্চমাত্রার প্রজ্জলন ক্ষমতাসম্পন্ন তরল পদার্থ যাতে ধোঁয়া তৈরী হতে পারে।
  • গিলে ফেলা বা শ্বাসের মাধ্যমে ভিতরে প্রবেশ দুটোই ক্ষতিকর যা কিনা জ্বালাময় অনুভুতি তৈরী করে।
  • ত্বক, চোখ ও শ্বাস প্রশ্বাসের এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

এসিটন ব্যবহারে পি পি ই

মাস্ক ঃ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে কেমিক্যাল ভিতরে গিয়ে যাতে যন্ত্রনামূলক অনুভুতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

হ্যন্ড গ্লোবস ঃ স্পট রিমোভিং শেকসনে যেহেতু স্পট লিফটার ৮৩৩ নিয়ে কাজ করা হয় সেহেতু এই কেমিক্যাল হাতে লাগলে স্কিন এর ক্ষতি হতে পারে। তাই কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লবস ব্যবহার করতে হবে।

কার্যকরী প্রভাব

শ্বাসের সাথে গ্রহণ জনিত সমস্যা ঃ শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী মাত্রার এসিটন গ্যাস ভিতরে গিয়ে যন্ত্রনাময় অনুভূতি তৈরী করে যা  থেকে কাশি, নিস্তেজতা, অসাড়তা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করার মত অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

ত্বক ঃ এসিটনের সংস্পর্শে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে যেমন লালচে ভাব, ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে ব্যথা অনুভুত হওয়া ইত্যাদি।

চোখ ঃ চোখের ভিতর এসিটন এসিটন ছিটকে গিয়ে চোখ জ্বালা, লালচে ভাব, পানি পড়া, চোখে ব্যথার মত অনুভুতির সৃষ্টি হতে পারে।

দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা ঃ এসিটন ক্রমাগত চোখের সংস্পর্শে এলে তা ত্বকসংক্রান্ত দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

যদি কারো ক্ষেত্রে  শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে অধিকমাত্রার এসিটন গ্যাস ঢুকে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটে তবে তাকে দ্রুত খোলা বাতাসে সড়িয়ে নিতে হবে। জরুরী ক্ষেত্রে কৃত্তিম শ্বাস প্রশ্বাসের অথবা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অতিদ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে হবে।

এসিটন গিলে ফেললে ক্রমাগত বমি হতে পারে কিন্তু সেটা বেশী মাত্রায় হতে দেওয়া উচিৎ নয় । এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত রেখে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

এসিটন ত্বকের সংস্পর্শে এলে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। সংক্রমন ঘটতে পারে এমন জুতা পুনরায় ব্যবহারের পূর্বে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

যদি শরীরের কোন স্থানে লেগে যায় তখন ঐ স্থান প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজন

হলে সাবান ব্যবহার করতে হবে।

যদি চোখে যায় তখন যত দ্রুত সম্ভব প্রচুর পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

নিঃশ্বাসের সাথে ভিতরে চলে গেলে মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে। যদি সমস্যা বেশি হয় ডাক্তারের

পরামশর্  নিতে হবে।

দুর্ঘটনাবশতঃ খেয়ে ফেললে মখু দ্রত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মক্তু বায় ু সেবন করতে হবে এবং দ্রত ডাক্তারের পরামশর্  নিতে হবে।


Posted

in

by

Comments

3 responses to “কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতা । এসিটন কেন ঝুঁকিপূর্ন ?”

Leave a Reply