কোয়ালিটি ইন-চার্জ এর দায়িত্ত

কোয়ালিটি ইন-চার্জ এর প্রধান দায়িত্ত ও কর্তব্য গুলো কি কি?

কোয়ালিটি ইন-চার্জ

কোয়ালিটি ইন-চার্জ এর দায়িত্ত ও কর্তব্য গুলো –  গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশে একটি অনন্য রপ্তাণীমুখী প্রতিষ্ঠান। গুণগত মানের জন্য এর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। গার্মেন্টস শিল্প থেকে এদেশের সিংহ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়ে থাকে। একাবিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে এই শিল্পের উত্তরোত্তর প্রসার ও ব্যপ্তি বেশ উৎসাহ ব্যাঞ্জক। বর্তমানে বাংলাদেশর গার্মেন্টস খাতে ঙঢ়বী নিজ গুণ ও কর্ম দক্ষতায় দেদীপ্যমান একটি সক্রিয় গ্রুপ। এই গ্রুপের উত্তরোত্তর উন্নতিকল্পে এবং প্রতিটি ফ্যাক্টরীর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সুন্দর ও নিরাপদ কাজের পরিবেশ সুষ্টি করতে কর্তৃপক্ষ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আর সেই লক্ষ্যেই একটি সুষ্ঠু ও পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নীতি প্রনয়ন এবং তা কার্যে পর্যবেশিত করার কোন বিকল্প নেই। একটি সম্প্রুন ইউনিট এর কোয়ালিটি ইন-চাজ হিসাবে নিম্নোলিখিত দায়ীত্তো কতব্য পালন করতে হবে।দায়ীত্তো কতব্য সমুহ নিম্নে ধারাবাহীক ভাবে বর্ণনা করা হল।

১।রিপরটিং করার নিয়মাবলীঃ

প্রতিদিন সকাল নয়টার মধ্যে নিজ ইউনিট এর কোয়ালিটি স্টাটাস ম্যানেজারকে জানাতে হবে।

(ক). রানিং স্টাইল সমুহ।

(খ). প্রডাক্সন স্টাটাস।

(গ). প্রত্যেক লাইনের ডি.এইস.ইউ ও ডিফেক্টিভ পারসেন্টেজ।

(ঘ). বাইয়ার ইন-লাইন ও ফাইনাল রিপোট।

(ঙ). কিউ,এ আউয়ারলি রিপটের সামারি।

(চ). পি,পি মিটিং এর বিষয় উইথ পি,পি রেজিস্টার।

(ছ). স্পেসাল কমেন্টস।

(জ). ম্যান পাওয়ার কন্ত্রোল।

(ঝ). ডেইলি প্লান।

(ঞ). নতুন স্টাইল এর স্টাইল এ্যপ্রুভ করাতে হবে।

২। ইউনিট পরিচালনাঃ

(ক).প্রত্যেক সুপারভাইসর কে তার নিজ নিজ কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে এবং সফল ভাবে কাজ বুঝে নিতে হবে।

(খ). নিজ ইউনিটের সকল সেকসনের সফলতা ও ব্যথতার সমস্ত দায়ভার নিজেকে গ্রহন করতে হবে।

(গ). নিজ ইউনিটের সকল সেকসনের (কাটিং,সুইং এবং ফিনিসিং )যাবতীয় ডিসিশন নিজে প্রদান করতে হবে।

৩। সাপ্তাহিক মিটিংঃ

(ক).প্রতি সপ্তাহের মিটিং এর দিনে সাপ্তাহিক প্লান জানাতে হবে।

# সপ্তাহের রানিং বায়ার।

# সপ্তাহের টোটাল অডার কোয়ান্টিটি।

# পি.পি মিটিং।

# ইনস্পেকশন ডেট।

# বায়ার ইনেস্পেকটর মোটিভেসন প্লান।

# সাপ্তাহিক ডিফেক্ট রিডুইসিং।

# ইন্সপেকশন ফেল হলে তার রুট কজ এনালালাইসিস।

ময়েশ্চারের এর পরিমাণ ৬৫% এর বেশী হলে গার্মেন্টস প্যাক করা

পদ্ধতিঃ

১. ময়েশ্চার পরিমাপের জন্য নির্ধারীত মেসিন ব্যবহার করতে হবে।

২. অবশ্যই কার্টুন কমপ্লিট হওয়ার পর, কার্টুনের মুখ বন্ধ করার পূর্বে ময়েশ্চার চেক করতে হবে।

৩. তিন স্তরের গার্মেন্টস টপ, মিডেল, বটম এর ময়েশ্চার মাপতে হবে।

৪. প্রত্যেকটি অর্ডারের প্রত্যেকটি কালারের প্রতিদিন অন্তত একবার ময়েশ্চার চেক করতে হবে।

৫. মিটার ব্যাবহারের ক্ষেত্রে বায়ারের কোন নির্দেশনা থাকলে তা পালন করতে হবে,আর যদি কোন নির্দেশনা না থাকে সেক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত নির্দেশনা পালন করতে হবে।

৬. ময়েশ্চার সম্পর্কিত কাস্টমারের কোন নির্দেশনা থাকলে তা অবশ্যই পালন করতে হবে।

৭. গার্মেন্টসের ময়েশ্চার মাপার জন্য ২১৩ নং স্কেল ব্যাবহার করতে


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply