গার্মেন্টস কারখানায় ট্রেনিং

গার্মেন্টস কারখানায় কি কি বিষয়ে তথ্য নির্ভর ট্রেনিং দিতে হয়?

গার্মেন্টস কারখানায় ট্রেনিং পলিসি

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রশিক্ষন একটি অতি গুরুত্বপূর্ন বিষয় কারণ মানুষের মানসিক উৎকষতা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষনের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষনের মাধ্যমে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দক্ষ মানব সম্পদে পরিনত করা যায়। এতে সকলের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদান হয় এবং সুন্দর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাই আমরা আমাদের  কোম্পানীতে নিয়োজিত সকল শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনের আওতায় নিয়ে এসে আয়োজন করে থাকি সারা বছর ব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মসূচীর। শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের আলাদা আলাদা প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য প্রথমেই তৈরী করা হয় প্রশিক্ষনের সিডিউল। প্রশিক্ষনের শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মতামত বা অভিমত গ্রহন করা হয়।

প্রশিক্ষণ / ট্রেনিং বিষয়বস্তু

  • গার্মেন্টস কারখানায় ট্রেনিং এর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্বন্ধে অবগত করা হয়।
  • শ্রমিক নিয়োগ পদ্ধতি, বৈষম্য এবং শিশু শ্রম।
  • শ্রমিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
  • মজুরী ও ওভার টাইম ।
  • ছুটি।
  • কার্যঘন্টা।
  • জোরপূর্বক শ্রম বা কাজ।
  • হয়রানি বা নির্যাতন।
  • চাকুরী হতে বরখাস্ত ও অব্যাহতির পদ্ধতি।
  • শ্রমিক কল্যাণ কমিটি ( ড ড ঈ )।
  • অভিযোগ ও পরামর্শ পদ্ধতি ।
  • পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা।
  • অগ্নি নিরাপত্তা।
  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
  • হাউস কিপিং।
  • মধ্য ব্যবস্থাপনা
  • সার্টিফিকেট সমুহ
  • OEKO-TEX
  • ISO 9001:2000
  • SRM
  • ISO14001:2004
  • OHSAS18001:1999
  • WRAP

এখানে শ্রমিক নিয়োগ পদ্ধতি বর্ণনা করা হল

অটো নিটওয়্যারস লিঃ এ  শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও নিয়োগবিধি মেনে চলা হয়। এ ক্ষেত্রে, প্রধানতঃ রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ( ইুঁবৎং) কাংখিত নিয়ম নীতি বা বিধি বিধান মানা হয়ে থাকে, যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়। কারখানার শ্রমিক নিয়োগ বিধি ও পদ্ধতি নিুরূপঃ

১। সকল শ্রমিকদেরকে বিধি সম্মত উপায়ে নিয়োগ করা হয়।

২। কখনও জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ ভেদে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয় না। নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সকলকেই সমানভাবে               মূল্যায়ণ করা হয়।

৩। শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবাদপত্র, পোষ্টার বা অন্য কোন উপায়ে বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়।

৪। আবেদনকারীকে কারখানায় নিয়োগের পূর্বে অবশ্যই নিুোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হয় ঃ

  • জীবনবৃত্তান্ত।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • জন্ম তারিখ ও বয়সের প্রত্যয়নপত্র ( এস.এস.সি.অনুযায়ী বা রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত)।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ( যদি থাকে )।
  • জাতীয়তার সনদপত্র (স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত)।
  • সার্ভিস বুক।
  • যোগ্যতার ও অভিজ্ঞতার সনদপত্র (যদি থাকে)।
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

৫। ১৮ বছরের কম বয়সী কোন শ্রমিককে কোন অবস্থায়ই নিয়োগ করা হয় না। যদি কখনো নিয়োগ করা হয় সেক্ষেত্রে প্রচলিত আইন মেনে চলা হয়।

৬। যদি কোন শ্রমিকের বয়সের ব্যাপারে সন্দেহের সৃষ্টি হয় তবে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তার জন্ম তারিখের প্রত্যয়ন পত্রের সত্যতা যাচাই করেন এবং প্রয়োজনে রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের (কোম্পানীর নিজস্ব ডাক্তার) দ্বারা বয়স পুনঃ প্রত্যয়ন করা হয়।

৭। ইন্টারভিউ এর সময় নিু বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়ঃ

  • শারীরিক উপযুক্ততা
  • পদানুসারে শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • প্রয়োজনে কর্মীদের যোগ্যতার পরীক্ষা
  • যোগ্যতার ভিত্তিতে মজুরী নির্ধারণ
  • জন্ম তারিখ ও বয়স

৮। কাউকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয় না। কোন প্রকার জামিনে বা দায়বদ্ধতায় শ্রমিক নিয়োগ করা হয় না।

৯। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।

১০। কাজে যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ৩ মাস চৎড়নধঃরড়হ চবৎরড়ফ (আবেক্ষ কাল) হিসাবে গণ্য হয়। কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন তবে চৎড়নধঃরড়হ চবৎরড়ফ (আবেক্ষ কাল) আরও ৩ মাস বর্ধিত করতে  পারেন।

১১। প্রত্যেক শ্রমিক/কর্মচারীকে সনাক্ত করার জন্য আইডি নম্বর প্রদান করা হয়। যার দ্বারা তার সমস্ত হিসাব পরিচালিত হয়।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply