by Mashiur | Nov 19, 2018 | চিকিৎসা
এইচআইভি এইডস নির্দেশিকা
এইডস কী ? বাঁচতে হলে জানতে হবে।
বর্তমান বিশ্বে এইচআইভি/ এইডস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়িছে। নিশ্চিতভাবেই এর প্রভাব নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ যুবসমাজের উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করছে। আগামীতে এটি সর্বগ্রাসী রূপ ধারন করবে যদি না এখনই এইডস সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। ডিসেম্বর ২০০৬- এ ইউএনএইডস-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে প্রায় চার কোটি মানুষ এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩০ লক্ষ মানুষ এইডস-এ মারা গেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় ১৪০০০ নারী ও পুরুষ এইচআইভি’ তে আক্রান্ত হচ্ছে।এদের মধ্যে অর্ধেকই হলো যুবসমাজ যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৪। যুব সমাজের মধ্যে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এশিয়া মহাদেশেও এ রোগটি মহামারী আকার ধারন করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে যে কোন দেশের যুবসমাজ তথা আপামর জনসাধারন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই তরুন প্রজন্ম এইচআইভি/এইডস সংক্রন্ত তথ্য, সেবা ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক বৈষম্য যুবসমাজের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সার্বিকভাবে বাংলাশে এইচআভি সংক্রমনের হার কম। কিন্তু আমাদের আতœতুষ্টির কোন অবকাশ নেই কেননা সংক্রামনের সকল ঝুঁকিপূর্ন আচরন ও পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় এদেশে মহামারী আকারে এইচআইভি/এইডস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা খুবই প্রবল। ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য গ্রহন, অনিরাপদ রক্ত সন্বালন, বানিজ্যিক ও ভাসমান যৌন ব্যবসা, ঝুঁকিপূর্ন জনগোষ্ঠী ও সাধারন মানুষের আন্ত ঃসম্পর্ক, অনিরাপদ যৌনমিলন, কনডম ব্যবহারে অনীহা, নারী-পুরুষ বৈষম্য, দারিদ্র, শিক্ষার অভাব, যুব সমাজের মধ্যে নেশার আধিক্য, অপ্রতুল স্বাস্থ্যসেবা, এইচআইভি/এইডস সম্পর্কে সচেতনতা ও তথ্যের অভাব, ব্যাপকভাবে এইচআইভি আক্রান্ত বিভিন্ন দেশের সাথে নিবিড় ভৌগোলিক অবস্থান, দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা, শ্রমিক অভিবাসন, মানব প্রাচার ইত্যাদি বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রামনের উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের যুবসমাজ অর্থাৎ দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ হতে পারে এইডস ভয়াবহতার শিকার।এইডস সম্পর্কে আমাদের যুব সমাজের অধিকাংশেরই সঠিক ধারনা নাই। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় যুববান্ধব স্বাস্থসেবার অপ্রতুলতা এবং স্বাস্থসেবা সম্পর্কিত তথ্যের অভাবে তারা সেবা গ্রহনে র সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। যুবসমাজের বিরাট অংশ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিধায় গার্মেন্টেস শ্রমিকদের এইচআইভি/ এইডস বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিয়েলাটেক্্র নিজেদের বিভিন্ন ইউনিটগুলিতে নিজস্ব ডাক্তার দ্বারা এই গনসচেতনতামূলক জনকল্যানমূখী কার্য়ক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এইচ.আই.ভি কি?
এইচ.আই.ভি হচ্ছে একটি ভাইরাসের নাম।‘এইচ.আই.ভি ’এর পূর্ণ রূপ ‘হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস’। এর অর্থ হচ্ছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপকারী ভাইরাস, অথ্যাৎ এই ভাইরাসের সংক্রামনের কারণে মানুষের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়, ফলে মানব দেহ বিভিন্ন রোগ জীবানুর সংক্রামন প্রতিরোধ ব্যর্থ হয় এবং রোগাক্রান্ত হয়।
এইডস, কি ?
‘এইডস’এর পূণরুপ হচ্ছে, ‘অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্স সিনড্রোম’। এটা হচ্ছে এইচ.আই.ভি সংক্রামনের চুড়ান্ত পর্যায় এবং এ অবস্থায়, আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ বিভিন্ন-সুযোগ সন্ধানী রোগ জীবানুর সংক্রমন (যেমন:নিউমোনিয়া,যক্ষা, ক্যাপোসিস মারকোমা, ক্যানড্ডিা ইত্যাদি)প্রতিরোধ করতে পারেনা এবং বিভিন্ন রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে, ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যাক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এইচ.আই.ভি কি’/‘এইডস’ বিস্তারের উপায় সমূহ:
- যৌন মিলনের মাধ্যমে
- রক্ত,রক্তজাত সামগ্রী ও সংক্রমিত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে
- মা থেকে শিশুতে সংক্রমন
যৌন মিলনের মাধ্যমে সংক্রামন:-
- সুরক্ষা পদ্বতি গ্রহন না করে সংক্রমিত যে কারো সাথেযে কোন ধরেনের যৌন মিলন (যৌনীপথে, পায়ুপথে.মুখে) এইচ.আই.ভি সংক্রামনের এবং ব্যাপক হারে বিস্তরের সবচেয়ে বড় কারণ শতকরা ৯০% এইচ.আই.ভি ছড়ায় এই অরক্ষিত যৌন মিলনের মাধ্যমে।
- যৌন মিলনের মাধ্যমে সংক্রামনের ঝুকি কয়েক গুন বেড়ে যায় যদি যৌন সঙ্গীর কোন প্রজননতন্ত্রেরে ও যৌনবাহিত সংক্রামক রোগ থাকে।
- যৌন মিলনের মাধ্যমে মহিলাদের এইচ.আই.ভি সংক্রামনের হওয়ার ঝুকি তুলনামূলক ভাবে বেশী, কারণ:
- মহিলাদের যৌনঙ্গের দেওয়াল পাতলা এবং তা পুরুষদের যৌনাঙ্গের তুলনায় বেশী এলাকা জুড়ে থাকে তাই পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এইচ.আই.ভি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ২থেকে ৯ গুন বেশী ।
- মহিলারা সাধারনত যৌন বাহিত সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদানকারীর কাছে যাওয়ার সুযোগ কম পেয়ে থাকেন এবং অর্ধেকের বেশী মহিলারা রোগের তেমন কোন লক্ষণ থাকেনা বলে তারা চিকিৎসা সেবাও গ্রহন করেন না ।
- দীর্ঘ সময় ব্যাপী কিংবা জবরদস্তিমূলক যৌন মিলনে পুরুষেদের তুলনায় মহিলাদের যৌনঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশী থাকে ,ফলে বীর্যের মাধ্যমে সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
- মহিলারা তাদের স্বামীদের বিবাহবহির্ভূত যৌন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রন করতে না পারার কারনে তাদের ঝুকি বেশী থাকে
রক্ত, রক্তজাত সামগ্রী এবং সংক্রমিত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সংক্রমন:
- সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত বা রক্তজাত সামগ্রী (যেমন:প্লাজমা,রক্তজমাট বাঁধার উপাদান,প্যাকসেল ইত্যাদি) কোন সুস্থ্য ব্যক্তি শরীরে গ্রহন করলে,তা গ্রহনকারীর শরীরে এইচ.আই.ভি এর সংক্রামন নিশ্চিত করে।
- সংক্রমিত সূঁচ বা অন্যান্য ডাক্তারী যন্ত্রপাতির জীবানুমুক্ত না করে ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক এতে এইচ.আই.ভি সংক্রামনের ঝুকি থাকে অত্যন্ত বেশী।
- জীবানুমুক্ত না করে একই সূঁচ ও সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করার ফলে শিরার মাধ্যমে মাদক দ্রব্য সেবন কারীদের মধ্যে এইচ.আই.ভি সংক্রামনের ঝুকিও থাকে অত্যন্ত বেশী থাকে যেহেতু শিরায় মাদক দ্রব্য প্রবেশ করানোর আগে সাধারনত কিছু রক্ত সিরিঞ্জ টেনে আনা হয়।
মা থেকে শিশুতে সংক্রমন:
- এইচ.আই.ভি’ ভাইরাস গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় কিংবা প্রসব পরবর্তীকালে মায়ের কাছে থেকে তার গর্ভের ভ্রƒণে কিংবা শিশুর দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
- সংক্রমিত মা থেকে গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের পর তার সন্তানের সক্রমিত হওয়ার আশংকা ২০%-৪০%।
- সংক্রমিত মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমেও এইচ.আই.ভি’-এর সংক্রমন হতে পারে।
মনে রাখা প্রয়োজন:
- শরীরের অধিকাংশ তরল পদার্থের মধ্যে এইচ.আই.ভি’ ভাইরাস পাওয়া গেলেও সেগুলি কতটা সংক্রামন তা নির্ভর করে উক্ত তরলে ভাইরাসের পরিমানের ও পর।
- চোখের পানি, লালা বা প্রস্রাবের মাধ্যমে এইচ.আই.ভি ছড়ানোর কোন নজির নেই।
সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের যেসব তরল পদার্থ ছোয়াচে, সেগুলো হচ্ছে:
- রক্ত
- বীর্য এবং বীর্যপাতের পূর্বে নির্গত পিচ্ছিল রস
- যৌনা নিঃসৃত তরল পদার্থ
- মায়ের বুকের দুধ
এইচ.আই.ভি যে ভাবে ছড়ায় নাঃ
- সংক্রমিত লোকের ব্যবহ্নত গ্লাসে পানি বা অন্য কিছু পান করলে।
- সংক্রমিত লোকের ব্যবহ্নত পুকুর,সুইমিংপুল বা টয়লেট ব্যবহার করলে।
- সংক্রমিত ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক মেলামেশা বা সাময়িক ভাবে অবস্থান করলে, করমর্দন, আলিঙ্গন বা সাধারন চুম্বন করলে।
- হাচি বা কাশির মাধ্যমে।
- মশা বা অন্যান্য রক্তচোষা পোকামাকড় সংক্রমিত ব্যাক্তি রক্তচুষে তারপর সুস্থ কাউকে কামড়ালে।
এইডস এর লক্ষণ সমূহঃ
এইচ.আই.ভি’ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের সাথে সাথেই কোন লক্ষন দেখা দেয়না।ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর তা ‘এইডস’ এ রুপ নিতে গড়ে ০৮-১০ বছর সময় লাগে। তবে এটা নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের শারিরীক ও মানসিক সুস্থ্যতা ও রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতার ওপর।‘এইডস’ হলে যে সমস্ত লক্ষণ প্রকাশ পায় তা নিুরুপ:
প্রধান লক্ষণ সমূহঃ
- গত ছয় মাসের মধ্যে শরীরের ওজন শতকরা ১০ ভাগের বেশী কমে যাওয়া।
- একমাসের বেশী সময় ধরে থেমে থেমে বা সার্বক্ষণিক জ্বর।
- একমাসের বেশী সময় ধরে ডায়রিয়া
সাধারন লক্ষণ সমূহঃ
- একমাসের বেশী সময় ধরে ক্রমাগত কাশি।
- সারা শরীরে চুলকানিসহ ত্বকে সংক্রমন।
- বার বার ‘হারপিস জস্টারের’(ঠোটের একধরনের ভাইরাস জনিত ঘা )সংক্রমন
- বার বার মুখে –-গলায় ছত্রাকের সংক্রমন।
- র্দীঘ সময় ধরে এবং ধীরে ধীরে ‘হারপিস সিমপ্লেকক্স’ (বসন্ত) সংক্রমন ছড়িয়ে পড়া।
- সারা শরীরের লসিকা গ্রন্থিফুলে যাওয়া
এইডস-এর চিকিৎসাঃ
- এখন পর্যন্ত‘এইডস’ কোন নিরাময় যোগ্য রোগ নয়। এইচ.আই.ভি এইডস এর ক্ষেত্রে বর্তমানে যেসব ওষধ ব্যবহ্নত হয়, সেগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং রোগ নিরাময় করতে পারেনা।
- এইচ.আই.ভি –এর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর টিকাও এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি।
এইচ.আই.ভি/এইডস থেকে বাঁচার উপায়ঃ
- ধমীয় অনুশাসন মেনে চলা এবং বিবাহ পূবে ও বিবাহ বহি:র্ভূত যৌন সর্ম্পক না করা।
- স্বমী, স্ত্রীর প্রতি এবং স্ত্রী, স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকা।
- একাধিক যৌন সঙ্গী পরিত্যাগ করা এবং সম্ভাব না হলে অবশ্যই সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করা।
- যৌন রোগে সমূহের দ্রুত চিকিৎসা করানো।
- ডিসপোজ্যাবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা।
- ডাক্তারী যন্ত্রপাতি সঠিক ভাবে জীবানুমুক্ত করে ব্যবহার করা।
- রক্ত বা রক্তজাত দ্রব্য শরীরে নেওয়ার পূর্বে অব্যশই পরীক্ষা করে নেওয়্
- সংক্রমতি মহিলারা গর্ভধারণ ও শিশুকে স্তন দানের ব্যপারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তরের পরামর্শ নেওয়া
by Mashiur | Sep 5, 2018 | চিকিৎসা
ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির
অদ্য বিকাল ০৩.০০ ঘটিকার সময় কারখানার ক্যান্টিনে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব হাবিবুর রহমান, সহঃ সভাপতি, ক্যান্টিন ব্যবস্থ্াপনা কমিটি, এক্সেসরিজ লিঃ। সভার শুরুতে সভাপতি উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন।
ক্যান্টিনে খাবারের মানঃ
ক্যান্টিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সহঃ সভাপতি শুরুতেই তার বক্তব্যে বলেন ক্যান্টিনে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে। এইজন্য কেন্টিনে বাশি বা পচা খাবার কখনই রাখা যাবে না। ক্যান্টিনে প্যাকেটজাত খাবার অবশ্যই বি এস টি আই অনুমোদীত হতে হবে। সেই সাথে কখনই মেয়াদ উর্ত্তীর্ন খাবার কেন্টিনে রাখা যাবে না।
ক্যান্টিনের শৃঙ্খলা রক্ষা ঃ
সভায় কেন্টিনের অন্যতম সদস্য জনাব রাফিকুল অপারেটর তার বক্তব্যে বলেন কেন্টিনে খাবার সংগ্রহের সময় বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। খাবার সংগ্রহের সময় সাড়িবদ্ধভাবে লাইনে দাড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করতে হবে। খাবার বন্টনের সময় এবং গ্রহনের সময় অযতা ভির করা যাবে না।
সভায় আর কোন আলোচ্য বিষয় না থাকায় সভাপতি সকলকে আবারও সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সভার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
অন্যান্য আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত
ফ্যাশনস্ লিমিটেড অত্র কারখনার সকল স্টাফদেরকে কমপ্লায়েন্স এর কাজের প্রতি সহযোগীতা করার জন্য উৎসাহীত এবং অনুপ্রাণীত করেন।
আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন সেকশনে কাজ করলেও সবার পরিচয় একটাই, আর সেটা হচ্ছে আমরা সবাই একই এর সদস্য। সুতারং, আমরা সবাই দলগতভাবে কোম্পানীর উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করব।
আমরা সবাই আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালনের পাশাপাশি অন্যের কাজের তদারকি করব।
বহিঃ বিশ্বে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পের বর্তমান অবস্থা খুব একটা শুভকর নয়। যে কারণে বাংলাদেশের অনেক ছোট, মাঝারী এবং বড় বড় ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেকগুলো বন্ধের পথে। তাই আমাদের এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই দৃস্টি-ভঙ্গি বদলাতে হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য মোটেও সুবিধাজনক নয়। যে কোন মূল্যে আমাদেরকে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অতএব, আমরা হরতাল, ধর্মঘট, জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর এসকল বিশৃঙ্খল রাজনীতি থেকে বিরত থাকব এবং এ ধরনের বিরূপ রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ও দৃস্টি-ভঙ্গি পরিবর্তন করব। তাহলেই বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
by Mashiur | Sep 5, 2018 | চিকিৎসা
মেডিকেল বর্জ্য অপসারন নীতিমালা
কর্তৃপক্ষ কাঁচামাল ব্যবহার, পণ্য উৎপাদন এবং মেডিকেল বর্জ্য অপসারন নিষ্কাশনের সময় পরিবেশ রক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে ও বাহিরে “এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” বা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিশ্চিত করার উপর জোর দেন। কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে এবং চারদিকে পরিবেশ সহায়ক অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল নীতি প্রয়োগে বদ্ধপরিকর।
ফ্যাক্টরীর নিষ্কাশিত বর্জ্য থেকে পরিবেশ ও কর্মী, এক কথায় সার্বিক সমাজ রক্ষার্থে কিছু সুসংবদ্ধ কার্যপদ্ধতি তৈরী করেছে। নিষ্কাশিত বর্জ্য হচ্ছে ঃ অব্যবহারযোগ্য কাগজ, কাপড়, খালি থিনার পাত্র, বর্জ্য কাপড়ের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক পাত্র, স্টেশনারী বস্তু প্রভৃতি। বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নিম্নে উলে¬খ করা হলোঃ …
উদ্দেশ্যঃ
- উৎপাদন ব্যবস্থাপনার প্রতিদিনের বর্জ্য, নির্দিষ্ট কার্টুন বা বর্জ্যরে বাক্সে জমা করা হবে এবং প্রতি কর্ম দিনের শেষে এসব বর্জ্য ফ্যাক্টরীর বাইরে নির্ধারিত নিরাপদ জায়গায় ফেলা হবে। ফ্যাশনস্ লিমিটেড সব সময়ই সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কর্মীদের স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সুষ্ট ও সুন্দরভাবে বজায় রাখাই এই নীতি মালার অন্যতম লক্ষ্য ।
- কর্মীদের স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ফ্যাশনস্ লিমিটেড এ একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে । এই মেডিকেল সেন্টারে একজন এমবিবিএস মেডিকেল রেজ্রিষ্টার্টসহ দুইজন নার্স রয়েছে ।
- বর্জ্য সংগ্রহ এবং নিষ্কাশনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা, বর্জ্যরে বাক্স আনা নেয়ার সময় যেন কোন বর্জ্য মাটিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
এই মেডিকেল সেন্টারে পুরুষ এবং মহিলা রোগীদের জন্য পৃথক পৃথক রোগীর বিছানা রয়েছে। কেউ রোগী হয়ে কারখানার মেডিকেল সেন্টারে আসার পর তাকে যতœ সহকাওে চিকিৎসা দেয়া হয়।
- সকল অব্যবহারযোগ্য কাপড় নির্ধারিত নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে এবং সংরক্ষনের জায়গা সর্বদা শুকনা হওয়া উচিত। চিকিৎসা দেবার সময় মেডিকেলে যে বর্জ্য যেমন : ঔষধের খোসা , ব্যবহুত সিরিঞ্জ নির্ধারিত জায়গায় রাখা হয় এবং প্রতি সপ্তাহে তা ফ্যাক্টরীর বাহিরে নিয়ে গিয়ে পুড়ে ফেলা হয়।
- বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের অব্যবহারযোগ্য কাপড় একটি কার্টুন বা বর্জ্য বাক্সে রাখা হবে যাতে এগুলো ফ্লোরে ছড়িয়ে না পড়ে। কর্মীদের বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মীদের বোঝার সুুবিধার্থে বাংলায় “বিশুদ্ধ খাবার পানি” নির্দেশনা দেয়া আছে ।
অন্যান্য নীতিমালা
খালি থিনার অবশিষ্টাংশ ফ্যাক্টরীর বাহিরে নির্ধারিত খোলা শুকনো জায়গায় নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আপনারা সবাই বিশেষভাবে অবগত আছেন যে গ্রুপ একটি স্বনামধন্য শতভাগ রপ্তানীমুখী তৈরী পোষাক শিল্প কারখানা। এখানে আমরা প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কর্মরত আছি। এখানে কর্মকালীন সময়ে যে কেউ যে কোন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বা শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে পারে। তাই এখানে কর্মরত সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ফ্যাক্টরীতে রয়েছে একটি সুসজ্জিত ও উন্নত সেবা বিশিষ্ট মেডিকেল বিভাগ।
ফ্যাক্টরীর প্রশাসন বিভাগ পৃথক খাতায় বর্জ্য সম্পর্কীয় সকল তথ্য অর্ন্তভূক্ত করবেন। ষ্টোরে জমাদানের সময়ে উক্ত রেজিষ্টারে প্রাপ্তি স্বীকার মূলক স্বাক্ষর নিবেন।
আপনাদের সকলের বিশেষ অবগতির জন্য আমি এখন আমাদের ফ্যাক্টরীর মেডিকেল বিভাগের গঠন ও এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি ঃ
আমাদের মেডিকেল বিভাগে একজন মেডিকেল অফিসার বা এমবিবিএস ডাক্তার রয়েছেন। আমাদের মেডিকেল ডাক্তারের নাম – ডাঃ । উনি ডাক্তার নামে পরিচিত।
আমাদের ফ্যাক্টরীর নীচ তলায় বা ওয়াশিং ফ্লোরে রয়েছে আমাদের ফ্যাক্টরীর সেন্ট্রাল বা কেন্দ্রীয় মেডিকেল রুম। আমাদের মেডিকেল ডাক্তার ফারজানা জেরিন এখানে বসেন।
অবশিষ্টাংশ নিষ্কাশনের জন্য বা অন্য কোন কারণে থিনার ড্রাম কাটা উচিত নয়। এছাড়া আমাদের প্রত্যেক ফ্লোরেই মেডিকেল রুম রয়েছে এবং সেখানে দায়িত্বরত মেডিকেল নার্স রয়েছেন।
বর্জ্য নিষ্কাশনে নিয়োজত ব্যাক্তির বিভিন্ন ধরণের বর্জ্য, তাদের সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিক এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানানো হবে। আপনাদের যে কোন শারীরিক সমস্যায় বা পরামর্শের জন্য আপনারা আপনাদের নিজ নিজ ফ্লোরের মেডিকেল রুমে যোগাযোগ করবেন।
বর্জ্য সরানোর সময় যেন বর্জ্য সরানোর পদ্ধতির কারণে কোথাও বর্জ্য ছড়িয়ে না পড়ে এবং এর ফলে কোন শ্রমিক/ কর্মী ও এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তা নিশ্চিত করা হবে।
আপনাদের একটি বিষয়ে ভালোভাবে জানা থাকা উচিত যে, আমাদের ফ্যাক্টরীর মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য কোন টাকা বা খরচ লাগে না। ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বিনা খরচে আপনাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন।
সারাংশ
মেডিকেল বর্জ্য অপসারন – থিনার এবং রাসায়নিক পদার্থের খালি পাত্র ফ্যাক্টরীতে ব্যবহার করা উচিত নয় বা কোন কারণে কোন কর্মীকে ব্যবহারের জন্য দেয়া উচিত নয়।। সুপ্রিয় কর্মী ভাই ও বোনেরা এবং সম্মানিত স্টাফগণ, আসুন আমরা আমাদের যে কোন শারীরিক অসুস্থতায় বা সমস্যায় আমাদের মেডিকেল নার্স ও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করি, তাদের পরামর্শ নিই এবং আমাদের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করি।
by Mashiur | Jan 23, 2018 | চিকিৎসা
এইচ আই ভি এইডস প্রতিরোধ নীতিমালা
নীতিমালা প্রনয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
এইচ আই ভি এইডস প্রতিরোধ নীতিমালা বিস্তারিত বর্ণনা – এইডস (এইচ আই ভি পজিটিভ ) একটি মরন ব্যাধি। এই ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং আক্রান্ত ব্যাক্তি নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। তাই অত্র কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারীদের এইচ আই ভি/এইডস সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রনয়ন করা হল। Check Also English Version
ঐওঠ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের AIDS রোগ হয়। AIDS একটি রক্তবাহী রোগ। AIDS রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। AIDS হলে মৃত্যু অনিবার্য। AIDS এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা এখনো আবিষ্কার হয়নি। এই ভয়ংকর রোগের লক্ষন, কিভাবে ছড়ায়, কিভাবে ছড়ায় না এবং এর প্রতিরোধের ব্যবস্থা সম্মন্ধে নিম্নে আলোচনা করা হইলঃ …
AIDS রোগের লক্ষন সমূহ ঃ
- শরীরের ওজন ধীরে ধীরে কমে যাওয়া
- এক মাসের বেশী ডায়রিয়া হওয়া
- এক মাসের বেশী কাশী থাকা
- এক মাসের বেশী জ্বর থাকা
- সমস্ত শরীরে চর্ম রোগ দেখা দেয়া
- মুখ অথবা গলায় সাদা আবরন যুক্ত ক্ষত চিহ্ন দেখা দেয়া
নীতিমালা প্রণোয়ণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি:
যেকোন রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধেই উত্তম। আর এইডস রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হলো সচেতনতা। এ লক্ষ্যে অত্র কোম্পানীতে কর্মরত সকল মহিলা ও পুরুষ শ্রমিককে এইডস রোগ প্রতিরোগ এর উপায় সম্পর্কে জানিয়ে বিভিন্ন মিটিং করানো হয়। পুরুষ শ্রমিকদের কে পুরুষ অত্র কোম্পানীর মেডিকেল বিভাগ এ সম্পর্কে খুবই তৎপর ভূমিকা পালন করে। মেডিকেল বিভাগের নার্স, ডাক্তার ও মেডিকেল সহকারীগন সর্বদাই শ্রমিকদেও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন করে থাকে। এইডস প্রতিরোধ প্রসঙ্গে শ্রমিকদের যে সকল বিষয়ে অবগত করা হয়:
যে সকল ঝুকি পূর্ণ আচরনের জন্য এইডস হতে পারে ঃ
- এইচ আই ভি /এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে।
- একাধিক যৌন সঙ্গী থাকা।
- এইচ আই ভি /এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত বা অন্য কোন অঙ্গ- প্র তঙ্গ শরীরে গ্রহন করলে ।
- এইচ আই ভি এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, সূচ এবং অপারেশন এর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে।
- শিরার মাধম্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহন করলে ।
- আক্রান্ত মায়ের সন্তান গর্ভবস্থায় /প্রসবকালীন সময় বা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও এইডস হতে পারে।
যে সকল কারনে এইডস ছড়ায় না ঃ
- এইডস রোগীর সাথে স্বাভাবিক মেলামেশা ,চলাফেরা ও কাজ কর্মের মাধ্যমে।
- আক্রান্ত ব্যাক্তির কাপড়, বিছানাপত্র, থালা বাসন ব্যবহার করলে।
- বাতাস, পানি, খাদ্য, হাচি, কাশি, থু-থু বা শ্বাস- প্রশ্বাসের মাধ্যমে।
- একই টয়লেট বা বাথরূম ব্যবহার করলে।
- মশা বা অন্যকোন পোকা মাকড় কামড়ালে ।
- একই পুকুরে সাতার কাটলে ।
এইডস প্রতিরোধের উপায় ঃ
- ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা
- শরীরে রক্ত গ্রহনের পূর্বে ঐ রক্তে এইচ আই ভি ভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষা করা
- অন্যের ব্যবহৃত সুচ, ক্ষুর, কাটার সিজার ইত্যাদি ব্যবহার না করা
- সল্য চিকিৎসার যন্ত্রপাতি দুষনমূক্ত করে ব্যবহার করতে হবে
- সামাজিক সচেতনতা
- নারী পুরুষের যৌন মিলনে সাবধানতা অবলম্বন করা।
- ধর্মীয় অনুশাসন মেনে একাধিক যৌন সঙ্গীর পরিবর্তে কেবল স্বামী/স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন ।
- যদি স্বামী/স্ত্রী কারো শরীরে এইচ আই ভি থাকে তবে প্রতিবার যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।
- শরীরে অঙ্গ-প্রতঙ্গ গ্রহনের পূর্বে দাতার রক্তে এইচ আই ভি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে হবে ।
- একবার মাত্র ব্যবহার করা যায় এমন সূঁচ সিরিঞ্জ দিয়ে ইনজেকশন নিতে হবে ।
- অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশনের সূঁচ, সিরিঞ্জ, ব্লেড, কাঁচি, ক্ষুর ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না ।
- শল্য চিকিৎসার যন্ত্রপাতি দূষন মুক্ত, পরিষ্কার ও যথাযথ ভাবে জীবানুমুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে।
- আক্রান্ত মা সন্তান নিতে চাইলে বা শিশুকে বুকের বুকের দুধ খাওয়াতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মীর পরামর্শ ।
এইডস একটি ঘাতক ব্যাধি তবে ছোঁয়াচে নয় । শুধু আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যে কোন ধরনের যৌন মিলন এবং রক্তের মাধ্যমে এইডস হতে পারে । কোন ব্যাক্তির এইডস হয়ে থাকলে তাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে হবে এবং তার সাথে স্বাভাবিক আচরন করতে হবে। এইডস ভাইরাস যাতে সংক্রমিত হতে না পারে সে জন্য সকলের সচেতন হওয়া পয়োজন এবং এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য ।
উল্লেখ্য যে, কোন এইডস আক্রান্ত রোগীকে অটো গ্রুপে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ নেই। বরং এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কাজে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরন করা যাবে না।
কার্যকরী প্রক্রিয়া ও অনুমোদনঃ
উল্লেখিত নীতিমালা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কার্যকরী রাখার ক্ষমতা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উল্লেখিত পর্ষদ এই নীতিমালা প্রয়োগ ও চলমান রাখতে নীতিগতভাবে দায়বদ্ধ।
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/ যোগাযোগ ঃ
এই পলিসি যাতে কারখানার সব জায়গায় ও সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীকে কারখানার সাউন্ড সিস্টেম, মেডিকেল অফিসার, নার্স, মেডিকেল এসিসট্যান্ট, প্রাথমিক চিকিৎসক, শ্রমিক প্রতিনিধি, নোটিশ বোর্ড, মিটিং, ট্রেনিং এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়।
AIDS কিভাবে ছড়ায় ঃ
- AIDS আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে
- AIDS আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ইনজাকশনের সূঁচ এবং অপারেশনের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে
- যে সমস্ত গর্ভবতী মায়েদের শরীরে AIDS আছে সেই সব মায়েদের কাছ থেকে – ক) গর্ভাবস্থায় খ) প্রসবের সময় গ) দুধ পান করালে শিশুর শরীরে এ রোগ ছড়াতে পারে।
AIDS কিভাবে ছড়ায় না ঃ
- এক সাথে এক ঘরে বসবাস করলে
- এক সাথে খাওয়া দাওয়া করলে
- এক সাথে খেলাধুলা করলে
- একই বিছানায় ঘুমালে
- একই স্কুলে পড়াশোনা করলে
- মশা বা পোকামাকড় কামড়ালে
- শারীরিক স্পর্শ, যেমন – হাত মেলানো, কোলাকুলি বা সামাজিক চুম্বন করলে ( তবে একজনের মুখের থুথু বা লালা অন্যের মুখে / শরীরে না লাগাই ভাল।)
- হাঁচি, কাশি, থুথু বা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে
- একই টয়লেট বা পায়খানা বা বাথরুম ব্যবহার করলে।
- একই সাথে একই পুকুরে গোছল করলে AIDS ছড়ায় না।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
সচেতন করার লক্ষ্যে পলিসি বাস্তবাযণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি সদা তৎপর ও বদ্ধ পরিকর। এরপরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয়, তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য গঠিত কমিটি সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেন।
পরিশিস্টঃ
এইডসএকটি ঘাতক ব্যাধি যা নির্মূল করতে আমাদের সকলের সচেতনতাই যথেষ্ট। পরিশেষে বলা যায় এইডস যেহেতু মরন ব্যধি তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে যেন এই মরন ব্যধি কাউকে ছোবল মারতে না পারে।
by Mashiur | Jan 23, 2018 | চিকিৎসা
ঝুকি বিশ্লেষন নীতি
লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য ঃ
কর্মই জীবন। আর জীবনের প্রয়োজনে, বাঁচার তাগিদেই মানুষ কর্মক্ষেত্রে কর্ম করে। কিন্তু বাস্তবতা হল মানুষের এই কর্মক্ষেত্রই ঝুকিমুক্ত নয়। তাই বলে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি ছিল, আছে, তাকবে। সঙ্গত কারনেই অটো গ্র“পে কর্মরত সকলের জন্য কর্মক্ষেত্রে ঝুকি হ্রাস বা ঝুকিমুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত কল্পেই এই নীতিমালা প্রনয়ণের উদ্দেশ্য।
উল্লেখিত নীতিমালাটি প্রনোয়ন ও কর্মক্ষেত্রে তার সুষ্ঠু প্রয়োগের জন্য সংগঠকের ভূমিকায় রয়েছেন। কারখানার অভ্যন্তওে কর্মক্ষেত্রে কোথাও কোন ঝুকির সম্ভাবনা দেখা দিলে তিনি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করেন। আরতাকে সহায়তা দানের জন্য পুরো কমপ্লাইন্স বিভাগ সদা তৎপর । Similar Article in English Version
প্রয়োগ ও মূল্যায়ণ পদ্ধতি/প্রক্রিয়া ঃ
অটো গ্র“প কর্মক্ষেত্রে ঝুকি হ্রাস বা ঝুঁকিমুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত কল্পে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকে:
কল-কারখানা ঝুকি ঃ কল-কারখানা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক কর্মীর জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করে থাকে। তাছাড়া সকল শ্রেনীর মেশিনের কার্যকারীতা ও ফিটনেস নিশ্চিত করতে দক্ষ মেনটেইন্যান্স বিভাগ নিয়োজিত রয়েছে। আর ফ্লোরে ব্যবহৃত সকল কাটার, সিজর, টিনের প্যাটার্ণ, ভোমর ইত্যাদি নন ইলাষ্টিক ড্রসটিং দিয়ে বেধে রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ঝুকি বিষয়ে কল-কারখানা নিরাপত্তায় কমিটির মাসিক সভায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা, পর্যালোচনা করে পরবর্তি কার্যক্রম স্থির করতে হবে।
বৈদ্যূতিক ঝুকি ঃ প্রথমতঃ ঝুকি চিহ্নিত করে কিভাবে সম্ভাব্য ঝুকি নিয়ন্ত্রন করা যায় সে উপায় খূজে বের করতে হবে। আলগা তারে কোন ওয়্যারিং করা যাবে না। প্রত্যেকটা ইলেক্ট্রিক্যাল সর্কিট বক্স এবোইনেট শীট দিয়ে আচ্ছাদিত করতে হবে। আর প্রত্যেকটা ইলেক্ট্রিক্যাল সর্কিট বক্স এর নীচে রাবার ম্যাট নিশ্চিত করতে হবে। ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিট বক্স এর ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ি বিদ্যূৎ মজুত ও বিতরণ হচ্ছে কিনা এ বিষয়টি নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করতে হবে। প্রত্যেকটা সার্কিট বক্সের পাশে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস মজুত রাখতে হবে। আর বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা কমিটির মাসিক সভায় বৈদ্যুতিক ঝূকি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা, পর্যালোচনা করে পরবর্তি কার্যক্রম স্থির করতে হবে।
অগ্নি ঝুকি ঃ অগ্নি দূর্ঘটনা হতে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি রক্ষা কল্পে প্রথমতঃ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ফ্যাক্টরীর যে কোন সেকশনে বাধামুক্ত চলার পথ সর্বদা নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাক্টরীর সর্বত্র অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জামাদি মজুত রাখতে হবে এবং নিয়মিতভাবে এসব সরঞ্জামাদির কার্যকারীতা পরীক্ষা করতে হবে। নিয়মিতভাবে অগ্নি মহড়া দিতে হবে। একটি প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটিং টীম ফ্যাক্টরীতে সক্রিয় রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য ঝুকি ঃ স্বাস্থ্যগত ঝুকি হ্রাসে ফ্যাক্টরীর সার্র্বিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করতে হবে। কেমিক্যাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম অবশ্যই পরিধান করতে হবে। ওয়াশিং এ ব্যবহৃত কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি সরাসরি ড্রেনে বা উন্মুক্তস্থানে ছেড়ে দেয়া যাবে না। ইফ্লুয়েন্ট ট্রীটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি পরিশোধিত করে পরিবেশে ছাড়তে হবে। কেমিক্যাল, পি পি ¯েপ্র ও ডাইনিং এর সাথে যারা সম্পর্কিত তাদের প্রতি ৬ (ছয়) মাস পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। আর ফ্যাক্টরী চলাকালীন সময়ে কোম্পানীর নিজস্ব মেডিক্যাল টিম চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।
মাতৃত্বকালীন ঝুকিঃ অত্র কারখানায় কর্মরত মহিলা কর্মীদের মধ্যে যারা মাতৃত্ব কালীন ছুটিতে যাবে বা ছুটি থেকে ফিরে এসে পুনঃকর্মে যোগদান করেছে তাদের কাজের অবস্থা,গতি,প্রকৃতি ইত্যাদি পর্যবেক্ষন করা হবে এবং প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যান্য : কারখানার ঝুকিপূর্ন আরও বিভিন্ন বিষয়ে ঝুকি বিশ্লেষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করন/যোগাযোগ ঃ
নীতিমালা বাস্তবায়নে অবহিতকরন/ যোগাযোগ একটি বড় বিষয়। আরএ কাজের জন্য অত্র কারখানায় যে সকল পদক্ষেপ সমূহ গৃহীত হয় তা হলো-মোটিভেশনাল মিটিং/ট্রেনিং , কারখানার বিভিন্ন নোটিশ বোর্ড, সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি। এছাড়াও যোগাযোগ কার্যক্রমের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন অত্র কারখানার এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স বিভাগ।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল ঃ
এই পলিসি কারখানায় বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেতন এবং সার্বিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে।
এরপরও যদি পলিসি বাস্তবায়ন না হয় বা বাস্তবায়নের পথে কোন বাধাঁর সস্মুখীন হয় , তবে সদা নিয়ন্ত্রন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তগন ও নির্বাহী পরিচালক ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এমনকি মাননীয় ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ঠঃ
মানুষের জীবন যেমনি পুষ্পশয্যা নয়, তেমনি কুসুমাস্তীর্ণ নয় জীবনের চলার পথ। জীবনের পথে চলতে গেলে আসবে শত বাধা-বিপত্তি, থাকবে ঝুঁকি । ঝুঁকি মুক্ত কর্ম কল্পনা করা যায়না। তাই অটো গ্র“প কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নিরসনে ও ঝুঁকিমুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরনে সদা সচেস্ট।
by Mashiur | Jan 16, 2018 | চিকিৎসা
নিরাপত্তা ও মাদক নিরোধকরন নীতিমালা
মাদকদ্রব্য যুব সমাজকে গ্রাস করে নিয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক আজ মাদক নামক জীবন ধ্বংসকারী উত্তেজক পদার্থের স্বীকার। বিভিন্ন ভাবে মাদকদ্রব্য মানুষ ব্যবহার করে থাকে এর প্রধান কারন সঙ্গদোষ। অসৎ সঙ্গে একজন মেধাবী ছাত্র বা যুবক মাদক সেবনের মাধমে নিজেকে ও দেশের সম্পদ বিনষ্ট করছে। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের অভাব তাই ধীরে ধীরে বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে ..
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিল্প এলাকা মাদক মুক্ত থাকতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনে হতাষা, ব্যর্থতা, বেকারত্বের কারনে মানুষ-মানষিক বীকার গ্রস্থ হয়ে পড়ে আর তখনি আপাত যন্ত্রনা ভুলে থাকার জন্য মানুষ এই মাদকদ্রব্য বেছে নেয়। এর পেছনে রয়েছে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক চোরাচালান চক্র।ফ্যাক্টরী থেকে ফিনিস্ড পন্য নিরাপদভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি।
শিল্প প্রতিষ্ঠানে মাদক বহন বা সংরক্ষনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা অত্যন্ত সজাগ থাকবে এবং বাধা প্রদান করবে। গার্মেন্টস্ কারখানা বর্তমান বাংলাদেশে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ তাদের কর্মসংস্থানের অভাব ঘুঁচিয়েছে। যে হারে এ দেশের গার্মেন্টস্ শিল্প বিস্তার লাভ করছে তাতে ভবিষ্যতে আরো লক্ষ লক্ষ মানষের বেকারত্ব দূর হবে। গার্মেন্টস্ শিল্প শতভাগ রপ্তানীমূখী এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তাই অটো ফ্যাশনস্ লিঃ সকল শ্রমিক কর্মচারীর সুন্দর সুস্বাস্থের জন্য এবং আমদানী রপ্তানীর মাধ্যমে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য আর্ন্তজাতিক চোরাচালানকারীদের সংস্পর্ষে না আসতে পারে তার জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো
শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সচেতনতা ঃ
মাদক নিরোধকরন এর ক্ষেত্রে (যেমন নেশা উদ্রেককারী বস্তু /সুরা অথবা মাদক দ্রব্য যেমন ফেনসিডিল হেরোইন, গাজা, মরফিন,আফিম, প্যাথেড্রিন) নিরাপত্তা কর্মীগন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের দেহ তলাশী করবে। অটো ফ্যাশনস্ লিঃ সকল শ্রেণীর শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগ নীতিমালা অনুসরন সহ সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে এবং নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তি কোন প্রকার মাদকদ্রব্যের সাথে জড়িত কিনা এব্যাপারে নিশ্চিত হবে।
- সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য সাস্থ নির্দেশনা ঃ
- অত্র কোম্পানী সম্পূর্ণরূপে ধুমপান ও মাদকমুক্ত এলাকা।
- এখানে কোন প্রকার ধুমপান বা মাদক সেবন করা যাবে না।
- কাউকে কখনো সনাক্ত করা গেলে তাকে অবশ্যই ডাক্তারী পরীক্ষার আওতায় আসতে হবে।
- কমপ্লেক্সে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় প্রত্যেকে সিকিউরিটি কর্তৃক তল্লাশী করে তবেই প্রবেশ বা বাহির হবে।
- চাকুরীতে নিয়োগকালীন সময়ে অবশ্যই সকলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আসতে হবে।
- এইডস্ থেকে রেহাই পেতে অন্যের ব্যবহার করা সূঁচ, সিরিঞ্জ জীবানুমুক্ত না করে ব্যবহার করা যাবে না।
- যে সকল শ্রমিকগন কোন প্রকার মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা বাহনের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে।
মাদকদ্রব্য আজ সমগ্র যুব সমাজ তথা সমগ্র মানব সমাজের জন্য হুমকি সরূপ। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ মাদকদ্রব্যের কবলে পড়ে ধ্বংষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই অত্র কোম্পানী সকল কর্মচারীর সুস্বাস্থ এবং সুন্দর জীবনের কথা বিবেচনা করে এবং আমদানী রপ্তানীর মাধ্যমে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য আর্ন্তজাতিক চোরাচালানকারীদের সংস্পর্ষে না আসতে পারে তার জন্য এই নীতিমালাটি সকলকে অনুসরন বা মেনে চলার জন্য বলা হলো।
১। গাড়ী পরীক্ষা করণ
(ক) পন্য পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট্ গাড়ী কারখানা চত্ত্বরে প্রবেশ করলে সিকিউরিটি অফিসার গাড়ীর উভয় পার্শ্বের দেয়াল, ছাঁদ, মেঝে, পাশ্ব্র্ভাগ, নিচের অংশ ভাল করে পরীক্ষা করবেন এবং নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন, গাড়ীতে কোন ক্রুটি পরিলক্ষিত হলে তৎক্ষনাৎ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং গাড়ী পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত পরিবহন সংস্থার নিকট ফেরৎ পাঠাতে হবে।
(খ) পরীক্ষা নিরীক্ষার পর গাড়ীটি সম্পুর্ণ ক্রটিমুক্ত প্রতিয়মান হলে গাড়ীটি নির্ধারিত লোডিং এলাকায় পাঠাতে হবে এবং লোডিং এরিয়াতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করতে হব । মাদক নিরোধকরন এর জন্য প্রতিটি গারি চেক করা হয়
২। পন্য বোঝাইকরন:
(ক) গাড়ী লোডিং এরিয়াতে পার্ক করার পর সিকিউরিটি অফিসার/গার্ড কমান্ডার/সিকিউরিটি সুপারভাইজার চালানসহ উপস্থিত হবেন এবং উৎপাদিত পন্য গুদামে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ডকে কার্টুন ছাড়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন ।
(খ) উৎপাদিত পন্যগুদামে কর্তব্যরত গার্ড চালান অনুযায়ী কার্টুন ছাড়বেন এবং প্রতিটি কার্টুন গুদাম হতে বের হবার সময় কার্টুনের হিসাব বান্ডিলসীটে লিপিবদ্ধ করবেন। গুদাম হতে কার্টুন বের করার সময় কর্তব্যরত গার্ড অবশ্যই কার্টুনের গায়ে স্টাইল নম্বর বায়ারের নাম, কার্টুন নম্বর, কার্টুনের ওজন পরীক্ষা করবেন এবং চালানের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। চালানের সাথে কার্টুনের যে কোন তথ্যের সামান্যতম অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হলে তা সাথে সাথে সিকিউরিটি অফিসারকে জানাবেন। সিকিউরিটি অফিসার তৎক্ষনাৎ বিষয়টি স্টোর ম্যানেজার এবং কারখানার প্রধানকে অবহিত করবেন এবং বিষয়টি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
(গ) গুদাম হতে কার্টুন লোডিং এরিয়াতে এসে পৌছাঁলে সেখানে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড সকল কার্টুন পরীক্ষা করবেন এবং অসামঞ্জস্য দেখা দিলে তা সিকিউরিটি অফিসারকে জানাবেন। সিকিউরিটি অফিসার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
৩. বোঝাইকৃত পন্যের সঠিকতা নিরূপন এবং যাত্রা শুরুর অনুমতি প্রদান
(ক) লোডিং এরিয়াতে পরিক্ষিত কার্টূনগুলো গাড়িতে লাইন করে সাজিয়ে তুলতে হবে এবং প্রতি লাইনে কয়টি করে কার্টূন আছে এবং মোট কতটি লাইন করা হয়েছে সেই হিসাব নির্ভূলভাবে রাখতে হবে।
(খ) সকল কার্টুন সঠিক সংখ্যায় এবং সঠিক নিয়মে গাড়িতে উঠানো হলে গার্ড কমান্ডার গাড়িতে তালা লাগাবেন এবং গাড়িতে সীল করে দিবেন। অতপরঃ সিকিউরিটি অফিসার তালা ও সীল পরীক্ষা করবেন এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
(গ) অতপরঃ গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর নির্দিষ্ট্ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে গাড়ী চালককে গাড়ীতে বোঝাইকৃত মোট পন্যের চালান এবং রোড ম্যাপ প্রদান করবেন একই সাথে গাড়ী লোডিং এরিয়া থেকে সি পোর্ট এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করবেন উক্ত তথ্য একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
(ঘ) গাড়ী কারখানা থেকে ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সি এন্ড এফ এজেন্টকে গাড়ী ছাড়ার সময়, গাড়ী রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, চালকের নাম এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স অবহিত করতে হবে এবং গাড়ীটির পৌঁছানো সংবাদ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
(ঙ) পন্যবাহী গাড়ীটি যাত্রাকালীন সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গ্রহনযোগ্য সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগলে তৎক্ষনাৎ কারখানার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করতে হবে তদন্তে কোন গ্রহনযোগ্য যুক্তিযুক্ত কারণ পাওয়া না গেলে সি এন্ড এফ এজেন্ট গুদামে গিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করবেন।
কারখানা থেকে পন্য সামগ্রী নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে নিরাপদভাবে পৌঁছানোর জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
নিরাপত্তা কর্মীদের করনীয়ঃ
- কারখানায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় সকল শ্রমিক-কর্মচারীকে দেহ তল্লাশী করতে হবে।
- সকল গাড়ী প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় সঠিক ভাবে তল্লাশী করতে হবে।
- কন্টেইনার লোডিং/আনলোডিং এর সময় সেভেন পয়েন্ট চেকিং পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য কারখানার ভেতর প্রবেশ এবং বাহির হতে না পারে।
- প্যাকিং এরিয়ায় সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুমোদিত ব্যক্তির নামিয় তালিকা লাগানো থাকবে। এই তালিকার বাইরে সাধারণ কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
- কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের মাদক নিয়ন্ত্রন বিধিমালা না মানলে অথবা পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে প্রশাসন বিভাগের মাধ্যমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হবে। যদি কোথাও সন্দেহমূলক পাওয়া যায় সাথে সাথে সিকিউরিটি ইনচার্জকে অবহিত করতে হবে।
- সিকিউরিটি ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)/মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে জানাবে এবং তিনি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা নিবেন।
- মাদক নিরোধকরন ক্ষেত্রে প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।