by Mashiur | Jan 15, 2018 | চিকিৎসা
পোকা মাকড় নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা
পোকা মাকড় নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা Pest Control Policy সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে একজন কল্যান কর্মকর্তা এবং শ্রমিক কল্যান কমিটি রয়েছে যা মালিক ও শ্রমিকদের যোগাযোগের সেতু বন্ধন হিসাবে কাজ করে। কল্যান কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিমাসে কল্যান কমিটির সভার অয়োজন করা হয়এবং উক্ত সভায় মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষ তাদের সমস্যা সমূহ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যা কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে কর্মীরা জানতে পারে। কল্যান কর্মকর্তা প্রতি সপ্তাহে উক্ত বাক্স খোলেন প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ পরিচালক মহোদয়কে জানান। পরিচালক মহোদয় অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান টিম নির্ধারন করে দেন এবং টিমের পেশকৃত রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। Read This Article in English Language
- সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু পূর্বেই দরজা জানালাগুলো বন্ধ করতে হবে।
- জানালার বাইরের সোডিয়াম লাইটগুলি জ্বালিয়ে দিতে হবে।
- এক্্রপোর্টকৃত ফ্রেব্রিক্সের বান্ডিল/কার্টন কিংবা বস্তা কাঠের/প্লাস্টিকের প্লেটের উপর রাখতে হবে।।
- প্যাকিং/ডেলিভারি সেক্শনে কার্টন এর মধ্যে কোন পোকা-মাকড় যাতে না থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন এবং প্যাকিং এর পূর্বে ও পরে ফ্রেব্রিক্সের বান্ডিল/কার্টন কিংবা বস্তা ভালোভাবে ও নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।।
- পোকা-মাকড়ের উৎস খুজে পেলে সাথে সাথে তা ধ্বংস করতে হবে এবং প্রশাসন বিভাগকেও অবহিত করতে হবে।।
- জানালার গ্লাস ভেঙে গেলে বা নেট ছিঁড়ে গেলে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করতে হব্।ে
- প্রতি ৩ মাস অস্তর পোকা মাকড় নিধন ওষুধ ¯েপ্র করা হয়।
- ইদুর মারার জন্য আলাদাভাবে শক্তিশালী আঠা কিংবা যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে পূর্বেই সকল কমকর্তা ও কর্মচারীকে অবগত করা হয়।
- আপনার আশ-পাশ পরিস্কার রাখুন – পোকামাকড় দমন করুন।
কর্তৃপক্ষ শ্রমিক/কর্মচারীদের সুষ্ঠ ও সুন্দর কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে বিভিন্ন প্রকার কল্যাণমূলক ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকেঃ
- পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকদের আলাদা আলাদা ধৌতাগারের ব্যবস্থা।
- প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও কর্মক্ষেত্রে অবস্থানরত সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সুবিধা।
- খাবারে জন্য আলাদা স্থানের ব্যবস্থা।
- শিশুদের জন্য ডে-কেয়ারের ব্যবস্থা।
- প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থা।
- জরুরী বর্হিগমনের ব্যবস্থা।
- বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা।
- বৎসরে পাঁচ ধরনের ছুটি ভোগের সুবিধা।
- বেতন ও ওভার টাইম এক সাথে প্রদানের ব্যবস্থা।
- পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের জন্য আলাদা আলাদা সিঁড়ির ব্যবস্থা।
এছাড়া শ্রমিকদের যে কোন প্রকার অভিযোগ/ পরামর্শ গোপনে ও নির্ভয়ে সরাসরি কোম্পানীর পরিচালকের নিকট জানাতে পারে। এই জন্য প্রত্যেক টয়লেটে অভিযোগ/ পরামর্শ বক্স রয়েছে যা সরাসরি মানব সম্পদ বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন।
by Mashiur | Jan 15, 2018 | চিকিৎসা
বিভিন্ন সেকশনের দূর্ঘটনার কারন ও প্রতিকার
কারখানায় বা কারখানার কাজে নিয়োজিত কর্তব্যকালীন সময়ে কেউ যদি দূঘটনার স্বীকার হয় যেমন ঃ চলাফেরার সময় পরে যাওয়া, মেশিন পরিচালনার সময় আঘাত পাওয়া, রাস্তায় গাড়ী এক্সিডেন্ট করা, কেমিক্যাল ব্যবহার থেকে ইত্যাদি তাহলে কর্তৃপক্ষ আইনানুযায়ী যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।বন্যা ঃ বাংলাদেশের একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। কখন কোথায় কোন এলাকা বন্যা কবলিত হবে তা বলা মুশকিল। তাই বন্যা কবলিত অথবা বন্যাত্তোর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যেগ গ্রহন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে কারখানা ও কারখানার শ্রমিকদের জানমাল ও সম্পদ রক্ষার জন্য ফ্যাক্টরীর নির্বার্হী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিনটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি কারখানার সমুদয় সম্পদ ও বন্যা কবলিত শ্রমিকদেরকে নিম্নোক্ত উপায়ে সাহায্য সহযোগিতা করবে। ক) কারখানার সকল সম্পদ নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা। (খ) ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। (গ) যথাসম্ভব আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করা। (ঘ) রোগব্যধি মহামারি আকারে বিস্তার রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
- ফ্যাক্টরীর ভিতরে কোন দুঘর্টনা ঘটার সাথে সাথে তার নিকটবর্তী প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষন প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিরাপত্তা প্রহরী সেখানে পৌঁছবে।
- দুঘর্টনায় কেহ সামান্য আহত হলে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
- দুঘর্টনায় কেহ বেশী আহত হলে, প্রশিক্ষন প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী কোম্পানীর আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে অবহিত করলে তিনি তৎক্ষনাৎ সেখানে হাজির হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
- দুঘর্টনায় কেহ গুরুতর আহত হলে কোম্পানীর আবাসিক মেডিকেল অফিসার প্রয়োজন অনুসারে কোম্পানীর গাড়ীতে অথবা নিকটস্থ ক্লিনিক বা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করবেন।
- দূঘর্টনায় আহত ব্যক্তির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় কোম্পানী বহন করবে।
দূর্ঘটনার সংজ্ঞা ঃ
দূর্ঘটনা শুধু হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কোন দূভার্গ্যজনক ঘটনা নহে। ইহার পেছনে কোন না কোন কারণ অবশ্যই আছে। ভাগ্যকে দোষারোপ করা শুধু বৃথাই নয় ভুলও বটে। একজন সেফটি ইঞ্জিনিয়ারের দৃষ্টিকোণ হতে বলা যায় যে, দূর্ঘটনা হল সঠিক পরিকল্পনা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বৈজ্ঞানিক কার্য পদ্ধতি এবং সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের অভাবে ঘটিত অনাকাংখিত দুখঃজনক ও ক্ষয়ক্ষতিমূলক ঘটনা।
কর্মস্থলে দূর্ঘটনার কারন সমূহ ঃ
- সাধারনত যে কোন ফ্যাক্টরীতে নিম্নলিখিত কারনে ধূর্ঘটনা ঘটতে পারে
- যথাযথ যন্ত্রপাতি ও নির্দেশিকার অভাব
- কর্মস্থলের পরিবেশ সংক্রান্ত ঃ বিশৃংখলা, উচ্চ শব্দ,উচ্চ তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত বায়ু ও আলোর অভাব
কর্মী সংক্রান্ত ঃ
- দক্ষতার অভাব
- নির্দেশিকা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব
- কর্ম, যন্ত্রপাতি বা কর্ম পদ্বতি সংক্রান্ত উদাসীনতা
- বয়স ও দৈহিক সামর্থ্যের অভাব।
প্রতিরক্ষাকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদী ঃ
- বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার পরিহার করা।
- ব্যক্তিগত নিরাপত্তা / আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা।
- নির্ধারিত কাজের জন্য উপযোগী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা / আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা।
- নির্ধারিত কাজের জন্য উপযোগী ব্যক্তিগত নিরাপত্তা / আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা।
- পর্যাপ্ত টেনিং ব্যবস্থা।
- ব্যক্তিগত সচেতনতা গড়ে তোলা।
- সুশৃঙ্খল কর্মস্থল ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বৈদ্যুতিক কারন ঃ বৈদ্যুতিক শক, শর্ট সার্কিট হওয়া ও আগুন লাগা।
সমাধান ঃ
- ইলেকট্রিক প্যানেল বোর্ড ষ্টিলের বক্স দিয়ে ঢেকে দেওয়া।
- শিল্প কারখানা ভবনে উন্নত মানের ইনসুলেটেড বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা।
- ইলেকট্রিক প্যানেল বোর্ড প্রতিদিন চেক করা এবং রেকর্ড রাখা।
- কারখানার অভ্যন্তরে কিংবা ফ্লোরের কোন জায়গায় খোলা, কাপড়/টেপ দিয়ে মোড়ানো এবং ঝুলানো তার রাখা যাবেনা।
- সাবধানে মেশিনের সুইচ চালু করা এবং কাজ শেষের পর পুনরায় মেশিনের সুইচ বন্ধ করা।
- মাঝে মাঝে বৈদ্যুতিক তার পরীক্ষা করা এবং পুরাতন বা ক্রুটিপূর্ন তার বদলে ফেলা।
- বৈদুতিক চ্যানেলগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা।
- সর্ট সার্কিট এড়াতে সঠিক মান ও পরিমাপের তার ব্যবহার করা।
- বন্ডেড ওয়্যার হাউস / ষ্টোরে বৈদ্যুতিক ওয়ারিং না রাখা।
- ইলেকট্রিক প্যানেল বোর্ডের নিচে কিংবা সামনে কোন মালামাল রাখা যাবেনা।
- ইলেকট্রিক প্যানেল বোর্ডের নিচে রাবার ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।
- সচেতন মূলক বিপদজনক ইলেকট্রিক চিহ্ন প্রদর্শন করা।
- নির্ধারিত ব্যক্তি ব্যতীত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিতে হাত দেওয়া যাবেনা।
- ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি অবশ্যই ব্যবহার করা। (যেমন ঃ রাবার সেন্ডেল/সু, ম্যাট, রাবার গ্লাভস ইত্যাদী)
শ্রমিক অসন্তোষ ঃ
শ্রমিক অসন্তোাষ অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিক আন্দোলনে রুপ নেয় যদি উহা সমাধানে যথা সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। কাজেই পি.এন. কম্পোজিট লিঃ ঃ খুব গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি অনুধাবন করে। প্রথমে শ্রমিকদের মধ্যে যাতে কোন প্রকার আন্দোলন দানা বাধঁতে না পারে সে জন্য শুরুতেই শ্রমিকদের সমস্যা গুলো অনুধাবন করে এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। শ্রমিকদের অসন্তোষ দানা বেধেঁ ওঠার আগে উহা মিটানোর কল্পে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এর ওয়েল ফেয়ার কমিটি নিয়মিত শ্রমিকদের অসুবিধাগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে।
- এছাড়া ভিতরের অথবা বাহিরের কোন আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য নিবার্হী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ সমুহ গ্রহন করতে হবে।
- ভিতরের বা বাহিরের আন্দোলনকে স্থিমিত করার জন্য নিয়োজিত সিকিউরিটি সহ স্থানীয় পুলিশ র্যারে সহায়তা নেওয়া।
- পরবর্তীতে সমস্যাগুলো অনুধাবন করে উহার সমাধানের জন্য চেষ্টা করা।
- যদি তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান করা সম্ভব না হয় তবে তদন্ত পরিষদের মাধ্যমে সমাধান করা এবং ভবিষ্যতে যাতে এরুপ সমস্যার সন্মুখিন হতে না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ মালা পেশ করা।
- বাহিরের শ্রমিক অসন্তোষ যাতে আভ্যন্তরীন শ্রমিক অসন্তোষে পরিনত না হয় বা বাহিরের শ্রমিক অসন্তোষ বা আন্দোলন ফ্যক্টরীর কোন ক্ষতি করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহিত সুসম্পর্ক বজায় রেখে সার্বক্ষনিক ভাবে যোগাযেগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
মেশিন জনিত কারন ঃ মেশিন জনিত দুর্ঘটনার কারনগুলি নিম্নরুপ ঃ
- মেশিনে সেফটি গার্ডের ব্যবস্থা না থাকা।
- কর্মরত ব্যক্তি মেশিন চালানো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকলে।
- কর্মরত ব্যক্তির অবহেলা ও অসচেতনতা।
- আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার না করা।
- পর্যাপ্ত রক্ষনাবেক্ষনের অভাব।
- ক্রুটিপূর্ণ সুচঁ / বেল্ট /যন্ত্রপাতি ব্যবহার
- ক্রুটিপূর্ণ মেশিন সেটিং
- নিয়মিত মেশিন মেইনটেন্যান্স এবং রেকর্ড সংরক্ষন না করা।
মেশিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করনীয় ঃ
- ইলেকট্রিক জেনারেটর, মোটর এবং যেকোন যন্ত্রপাতির প্রতিটি বিপদজনক অংশ নিরাপদভাবে রাখা।
- যন্ত্র চালনার কাজে অথবা চলমান যন্ত্রের উপরে বা কাছে কাজ করার সময় ঢোলাঢালা কাপড় ব্যবহার করে কাউকে কাজ করতে দেয়া যাবেনা।
- কেবল মাত্র প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারাই মেশিন চালাতে হবে।
- কোন মেশিন / যন্ত্র চালু অবস্থায় রেখে কোন প্রকার চেক / পরিচর্যা পরিষ্কার / মেরামত কিংবা তৈল লাগানো যাবেনা।
- বিভিন ধরনের মেশিনের নিয়মিত মেইনটেন্যান্স করা।
ভুমিকম্প ঃ
ভুমিকম্প অনুভূত হইলে সাথে সাথে সাইরেন বাজাতে হবে এবং ঊসবৎমবহপু ঊাধপঁধঃরড়হ চষধহ অনুসারে কারখানার সকল লোক স্বল্পতম সময়ে বাহিরে নিরাপদ স্থানে চলে আসবে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিটের জন্য উদ্ধারকারী দল কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে কাজ করবে। যদি ভূ-কম্পের মাত্রা বেশী থাকে এবং এর ফলে দালান কোটা ভেঙ্গে ভিতরে লোকজন আটকা পড়ে সেই ক্ষেত্রে ফায়ার ব্রিগেড ও বাহিরের অন্যান্য উদ্ধারকারী দলকে সাহায্য সহযোগিতা করবে।
দূর্ঘটনার রুপ ঃ
কর্মস্থলে যে কোন দূর্ঘটনা কাজে অংশগ্রহনকারীর উপর বিরুপ প্রভাব বিস্তার করে যা কার্য ক্ষেত্রে উৎসাহ উদ্দীপনা কমিয়ে দেয়। দূর্ঘটনা বিভিন্নরুপে প্রকাশ পায় তা হলো নিম্নরুপ ঃ
- পুড়েঁ যাওয়া
- ঝলছে যাওয়া
- বিস্ফোরন
- আঘাত পাওয়া
- আটকে পড়া
- বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া
- বিদ্যুতায়িত হওয়া
- দূষিত বাতাস বা গ্যাসের মধ্যে আটকে পড়া
- নিডল ইনজুরী
- আই ইনজুরী (সুই ও রাসয়নিক কারনে)
- অন্যান্য
দূর্ঘটনার ফলে প্রধান ঝুকিঁ সমুহ ঃ
- স্বাস্থ্যগত ঝুকিঁ
- আগুনের ঝুকিঁ
- পরিবেশগত ঝুকিঁ
- মানসিক ঝুকিঁ
- আর্থিক ঝুকিঁ
মানব দেহে ঝুকিঁপূর্ণ অঙ্গসমুহ ঃ
হাত , পা, নাক, কান, মুখ, চোখ, ফুসফুস, পেট, চর্ম ইত্যাদী
ক্ষতি সমুহ ঃ
- জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
- অর্থের ক্ষতি
- উৎপাদনের ক্ষতি
- সুনামের ক্ষতি
স্বাস্থ্যগত ঝুঁিক
কর্ম ক্ষেত্রে যে সকল কারনে শ্রমিকগন বিভিন্ন রকমের অসুস্থতা ও দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে সে সকল সমস্যা হচ্ছে
স্বাস্থ্যগত ঝুঁিকর কারন কিকি ?
- দূষিত পানি
- অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ও ধৌতালয়
- অপর্যাপ্ত সেনিটারী ব্যবস্থা
- কর্মস্থলে অত্যধিক লোক
- অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা
- গরম ও আদ্র আবহাওয়া
- অপরিচ্ছন্ন ওজন উত্তোলন
উক্ত ঝুঁকির কারনে সৃষ্ট রোগ সমুহ
- ডায়রিয়া / পাতলা পায়খানা
- জন্ডিস
- চোখের রোগ
- চর্ম রোগ
- স্ত্রী রোগ
- ঘাড় ও মেরুদন্ডে ব্যাথাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ঃ
আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অধিক। সরকার পরিবর্তন কিংবা রাজিৈনতিক অশন্তোষ এর কারনে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হয় এবং কারখানার মালিক ও শ্রমিক উভয়ই সংকট এর সম্মূখীন হয়। এই সংকট পূর্ণ সময়ে কারখানা ও কারখানা নিয়োজিত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। যেমন ঃ
- তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি সর্ম্পকে সকলকে অবগত করা।
- যাতায়াতের জন্য গাড়ী সরবরাহ করা।
- প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা গ্রহন করা।
উল্লেখিত বিষয় সমূহ সফল ভাবে বাস্তবানের জন্য কর্তৃপক্ষ আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন যেমন ঃ
- বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করন।
- প্রতিমাসে নূন্যতম একবার জরুরী বর্হি গমনের উপর প্রশিক্ষন প্রদান।
- জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্য প্রয়োজানানুশারে কার্যকরী কমিটি গঠন।
- কার্যকরী কমিটি সদস্যদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করা।
- প্রতিমাসে একবার কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং করা।
- মিটিং ও প্রশিক্ষনে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা।
- জরুরী মূহুর্তে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদী সরবরাহ করা।
- প্রয়োজানানুশারে জরুরী প্লান এর সংযোজন ও বিয়োজন করা।
সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ঐকান্তিক চেষ্টা থাকলে যে কোন সমস্য সমাধান করা সম্ভব। আর এরই ফলশ্র“তিতে বিরাট ক্ষতি / বিশৃংঙ্খলা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
by Mashiur | Jan 15, 2018 | চিকিৎসা
কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা
নীটওয়্যার লিঃ তার ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকলের স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যাপারে যথেষ্ঠ সচেতন। যদি কর্মরত অবস্থায় কেউ আহত বা অসুস্থ হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে। একটি ১০০% রপ্তানী মূখী তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান তার কর্মক্ষেত্রের সকল পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করে। পরিবেশগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গার্মেন্টস সর্বদা স্থানীয় আইন অনুযায়ী কর্মীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে থাকে। পদক্ষেপগুলো নি¤েœ তুলে ধরা হল ঃ-
১. আঘাত জনিত ঃ-
ক) গুরুত্ব অনুধাবন করে ক্ষত স্থানে চেপে ধরে বা বরফ দ্বারা রক্ত পড়া বন্ধ করতে হবে।
খ) যদি ক্ষত বড় হয় তাহলে নিকটস্থ হাসপাতালে অতি দ্রুত নিয়ে যেতে হবে।
গ) টিটেনাস ইনজেকশন নিতে হবে অবস্থা বুঝে।
২. পুড়ে গেলে ঃ-
ক) তৎক্ষনাৎ পোড়া স্থানে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে এবং তা অনেক সময় ধরে চলতে থাকবে।
খ) তারপর ক্ষত স্থানে স্যাভলন ক্রিম লাগিয়ে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
৩.ডায়রিয়া / খুব বেশী বমি হলে ঃ-
ক) অল্প অল্প করে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
খ) তবে যদি পানি শূন্যতার কারণে রোগী বেশী অসুস্থ/অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।
৪. হিট ষ্ট্রোক/গরমের কারণে অজ্ঞানঃ-
ক) প্রথমেই রোগীকে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল হচ্ছে এমন স্থানে নিতে হবে।
খ) পাখার নিচে রেখে আস্তে আস্তে খাবার স্যালাইন খেতে দিতে হবে।
গ) শরীরের ঘামে ভেজা কাপড় যথাসম্ভব ঢিলে করে দিতে হবে।
ঘ) বেশী দূর্বল হলে চিকিৎসকের কছে নিতে হবে।
৫. জ্বর হলে ঃ-
ক) প্রথমেই জ্বরের পরিমাপ করতে হবে থার্মোমিটার দ¦ারা।
খ) ১০১ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশী জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অষুধ খাওয়াতে হবে।
গ) জ্বর বেশী হলে এবং সাথে খুব বমি, বেশী মাথা ব্যথা, শরীরে দানা এবং চোখে রক্ত দেখা গেলে সরাসরি ডাক্তার বা নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।
৬. বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা ঃ-
ক) বিদ্যুৎ স্পৃষ্ঠকে সারা শরীর ভালভাবে ম্যাসেজ করতে হবে।
খ) দ্রুত হাসপাতালে প্রেরন করতে হবে।
জরুরী স্বাস্থ্যগত বিষয় এবং করনীয় ঃ
মাথায় আঘাত
- প্রাথমিক চিকিৎসকগণ মূলত কোন অনুমোদিত চিকিৎসক নন।তারা শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়া থাকেন। তাই আইনগত ভাবে তারা কোন রোগীকে কোন প্রকার ওষুধ (খাবার/ইনজেকশন্) দিতে পারেন না।মাথায় আঘাত পাওয়া রোগীদের বিশেষ নজর দিতে হবে। আঘাতে মাথার কোন অংশ কেটে গেলো কিনা রোগী অজ্ঞান কিনা, বমি হচ্ছে কিনা, চোখে দেখতে অসুবিধা কিনা, খিচুনি হচ্ছে কিনা এইগুলি ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে।
- কেটে গেলে কাটার স্থানের চার পার্শ্বে সেভ করে উক্ত স্থান ড্রেসিং করে ডাক্তারের কাছে পাঠাতে হবে।
- প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাথমিক চিকিৎসকগণ শুধুমাত্র ডাক্তার আসার পূর্ব পর্যন্ত আহত ব্যাক্তির সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বমি হলে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারে তত্ত্বাবধায়নে রাখতে হবে।
- অজ্ঞান হলে জরুরী ভিত্তিতে রোগীর প্রতি নিম্ন লিখিত কাজ গুলো করতে হবে । যেমন :
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবার ওষুধ আমাদের ৫ম তলার ডক্টরস্ রুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে যা শুধুমাত্র কর্তব্যরত ডাক্তার দ্বারা অনুমোদিত হলে প্রয়োগ করা হয়। রোগীকে মাথা নিচু করে লম্বা করে শুয়ে দিতে হবে।
- শরীরের পরিহিত কাপড় গুলি ঢিলা ঢালা করে দিতে হবে।
- মাথা এক দিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে।
- এই নীতিমালা অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে কোন প্রকার ওষুধ রাখার ব্যবস্থা করেনা। মুখে এবং ঘাড়ে পানির ঝাপটা দিতে হবে।
- শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে রোগীকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
অবিরাম পাতলা পায়খানা দিনে তিন বারের বেশী পাতলা পায়খানা হলে তাকে আমরা সাধারনত পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া বলি। বিভিন্ন কারনে ডায়রিয়া হতে পারে। যেমন – কাচাঁ পানি খাওয়া, বাসি খাবার খাওয়া, অপরিষ্কার হাতে খাবার খাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে ডায়রিয়া হতে পারে। কিছু ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাস জনিত কারনে এটি হয়। তাছাড়া কিছু ঔষধ যেমন – এন্টাসিড এবং বিভিন্ন এন্টিবায়েটিক ঔষধ দ্বারা এই রোগ হতে পারে। ডায়রিয়া হলে কিছুক্ষন পর পর স্যালাইন খাওয়াতে হবে। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরন ও হাত পা ভেংগে যাওয়া রক্ত ক্ষরন থামাতে হলে ক্ষত স্থানে তুলা বা গজ দিয়ে শক্ত করে বাধঁতে হবে এবং মাটি থেকে একটু উচু করে রাখতে হবে। হাত বা পা ভেংগে গেলে উক্ত স্থানে ট্রাইগুলোর ক্লথ বা উডেন স্পিন্ট দ্বারা নিয়ম মাফিক বেঁেধ ডাক্তারের কাছে পাঠাতে হবে।
পুড়ে যাওয়া রোগীর কোন স্থান পুড়ে গেলে উক্ত স্থান প্রথমে ঠান্ডা পানির অথবা বরফের সংস্পর্শে বেশ কিছু সময় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে পোড়াঁ ঘাঁ খুব মারাত্বক। তাই যত তাড়াতাড়ি স্বম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
রোগীর বিভিন্ন সমস্যা এবং করনীয় ঃ
জ্বর জ্বও মূলতঃ কোন রোগ নয়। রোগের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রী ফাঃ থেকে উপরের দিকে উঠতে পারে। ঠান্ডা, কাশি হলেও জ্বর হতে পারে আবার যক্ষা, ক্যানসার ইত্যাদি হলেও জ্বর হতে পারে। জ্বর হলে রোগীকে সাধারন খাবার দিতে হবে। অতিরিক্ত জ্বর হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর বার বার মুছে দিতে হবে। এবং ডাক্তারের পরার্মশ নিতে হবে। বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত জ্বর আছে যেমন- টাইফয়েড, ডেঙ্গু , ম্যালেরিয়া, কালাজ্বও ইত্যাদি। এ সকল ক্ষেত্রে অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
চোখে কিছু গিয়ে প্রদাহ করলে কাজ করার সময় চোখে বিভিন্ন কেমিক্যাল যেতে পাওে, অথবা অন্য কোন বস্তুুর আঘাত লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে চোখে যথেষ্ঠ পরিমান পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে এবং অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
সূচের আঘাত অনেক সময় মেশিনে সেলাই করতে গিয়ে সূচের আঘাত লাগতে পারে। এক্ষেত্রে সূচের ভাংঁগা অংশ হাতের ভিতরে রয়ে গেলো কিনা তা খেয়াল করতে হবে। যদি থাকে তবে তা বের করার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে।
বমি করা কোন কারনে পেটের মাংশ পেশীর সংকোচনের ফলে পাকস্থলী থেকে খাবার বের হয়ে আসাটাকে বমি বলে। বিভিন্ন কারনে বমি হতে পারে। যেমন – ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং, গ্যাসট্রিক, মাথা ব্যাথা, পেট ব্যাথা ইত্যাদি। বমি হলে রোগীকে মুখে কোন খাবার না দেওয়াই ভাল। প্রয়োজনে স্যালাইান মুখে বা শিরা পথে দিতে হবে। প্রয়োজনে শুকনো খাবার বা ঠান্ডা পানি খাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
ডায়রিয়া ও আমাশয় সাধারনত তিন বা ততোধিক পাতলা পায়খানা (পানির মত) হলে তাকে ডায়রিয়া বলে। এইগুলো সাধারনত ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসার জন্য স্যালাইন খেতে দিতে হবে এবং শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
দূর্ঘটনা বশতঃ কোন জায়গা কেটে গেলে দূর্ঘটনা বশতঃ শরীরের কোন জায়গা কেটে গেলে উক্ত স্থান পরিষ্কার (ড্রেসিং) করে ডাক্তারের কাছে পাঠাতে হবে। প্রয়োজনে টিটেনাস ইঞ্জেকশন নিতে হবে।
আমাশয় সাধারনত তিন বা ততোধিক আমযুক্ত পায়খানা হলে তাকে আমাশয় বলে। এইগুলো সাধারনত ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।ফফফ
by Mashiur | Dec 19, 2017 | চিকিৎসা
প্রাথমিক চিকিৎসা First Aid নীতিমালা
স্বাস্থ্য বিষয়ে জরুরী অবস্থায় তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এ কারণে এ পদ্ধতিগুলো নিুে সন্নিবেশিত হল্ঃো
কেউ অজ্ঞান হলে তাৎক্ষণিক ভাবে করণীয়
- তাকে একটা সমতল ভূমিতে শুইয়ে দিন এবং তার পাশে হাটু গেড়ে বসুন। কপালে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মাথাটিকে কাত করে দিন। তার মুখটি হা করে দিন। যদি সে শ্বাস নিতে না পারে, তবে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করুন।
- তার চিবুক তুলে ধরুন যাতে চোয়াল সামনের দিকে যায় এবং মুখ খুলুন ও নাকে দু’আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরুন।
- বড় একটা নিঃশ্বাস নিন এবং আপনার ঠোঁট তার মুখে চেপে ধরুন, এরপর আস্তে আস্তে তার মুখে শ্বাস গেড়ে দিন।
- নিঃশ্বাসের সঙ্গে তার বুক উঠা-নামা করছে কিনা লক্ষ্য করুন।
- প্রয়োজনে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
বিদ্যুতায়িত হলে
- বিদ্যুতায়িত ব্যক্তিকে মাটিতে শুইয়ে মাথা এক পাশে কাত করে দিন।
- কম্বল দিয়ে তাকে ঢেকে রাখুন যাতে সে উষ্ণ থাকে।
- যদি সে পিপাসা বোধ করে তবে তার ঠোট ভেজা কাপড় দিয়ে ভিজিয়ে দিন।
- যদি সে অজ্ঞান হয়ে যায় তবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস লক্ষ্য করুন।
- প্রয়োজনে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
পুড়ে গেলে
সাথে সাথে পোড়া অংশটি ঠান্ডা পানিতে ধুইয়ে নিন এবং যতক্ষণ জ্বালা না কমে ততক্ষণ আস্তে আস্তে পোড়া অংশে পানি ঢালুন। যদি ফোস্কা পড়ে তবে এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় (তুলা নয় এমন) দিয়ে জায়গাটি ঢেকে রাখুন। ফোস্কাটি ফাটাবেন না। কোন প্রকার ক্রীম বা লোশন পোড়া জায়গার উপরে লাগাবেন না।
কাপড়ে আগুন ধরলে করনীয়
- অগ্নি নির্বপক দ্বারা আগুন নিভিয়ে ফেলুন।
- ঢিলা ঢালা কাপড় হলে খুলে ফেলুন কিন্তু তবে যেসব কাপড় পোড়ার উপরে লেগে আছে তা খুলবেন না।
- পানির সাহায্যে পোড়া অংশটি ঠান্ডা করুন, ভুলেও পোড়া অংশে ঘষা দিবেন না।
- তুলা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে পোড়া অংশটি ঢেকে রাখুন।
- কি পরিমান আঘাত পেয়েছে তা বুঝে তাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করুন।
প্রচুর রক্তক্ষরণ
- যদি প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তবে সেই অংশটি তুলে ধরুন এবং চারপাশে চাপ দিন যতক্ষণ পর্যন্ত না রক্ত বন্ধ হয়।
- কিছুক্ষণের জন্য চাপ বন্ধ করুন এবং রুমাল জাতীয় কোন কাপড় পেচিয়ে নিন।
- ক্ষত অংশের চারপাশে রুমালটি বেঁধে নিন এবং একটি গেজের মাধ্যমে ক্ষতটিকে ব্যান্ডেজ করুন। আহতকে তোলার চেষ্টা করবেন না এবং ক্ষতটিকে পরিস্কারের চেষ্টা করবেন না।
- তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
কেটে গেলে
- ডেটল বা সেভলন দ্বারা জায়গাটি পরিস্কার করে নিন।
- যদি ৫ মিনিটে রক্ত পড়া বন্ধ না হয়, তবে একটি প্যাড ক্ষতটির উপর কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে রাখুন।
- ড্রেসিং করে জায়গাটি বেঁধে রাখুন এবং পরিস্কার রাখুন।
নাকে রক্ত আসলে
- তাকে একটি বেসিনের সামনে মিনিট দশেক নাকে চাপ দিয়ে রাখুন। টেনে রক্ত ভিতরে নেয়া থেকে বিরত থাকুন।
- এরপর ও যদি রক্ত বন্ধ না হয় তবে একটি ভেজা কাপড় তার নাকে ২ মিনিটের জন্য চেপে ধরুন এবং এর পর আবার নাকে চাপ দিয়ে রাখুন।
- রক্ত পড়া বন্ধহবার ঘন্টা চারেক পর্যন্ত নাক দিয়ে বাতাস বের না করতে বলুন।
মাথা বা মুখের ক্ষত
- যদি মাথা ফেটে যায় তবে ক্ষত অংশে একটি ভেজা কাপড় জড়িয়ে দিন। এটা ক্ষতটি স্ফীত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
- যদি আথা হতে রক্তক্ষরণ হয় তবে একটি পরিস্কার কাপড় ক্ষতের উপর চাপ দিয়ে রাখুন।
- তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
খিচুনী বা পেশীর টান
- যেভাবে আরাম বোধ করে সেভাবে অঙ্গটি রাখুন এবং তাতে বরফ শীতল পানি ঢালুন।
- পেশীর চারপাশে তুলা দিয়ে ব্যান্ডেজ করুন।
চোখে ময়লা পড়লে
- কিছুক্ষণ চোখ বুঝে অপেক্ষা করুন দেখুন, স্বাভাবিক চোখের পানি দিয়ে ময়লা ধুয়ে যায় কিনা।
- যদি তাতে ধুয়ে না যায় তবে পর্যাপ্ত আলোতে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে করে চোখটি খুলুন এবং চোখের সাদা অংশে ময়লা থাকলে একটি রুমাল দিয়ে ময়লাটি চোখের কোণে নিয়ে আসুন।
- যদি এই পদ্ধতিতে কাজ না হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাদি
রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস ইন্ডাট্রিজ এর অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অগ্নি দূর্ঘটনা এড়ানো ও অগ্নি নির্বাপনের বিষয়ে বিশেষ গরুত্ব দিয়ে আমরা নিুর্লিখিত ব্যবস্থাদি ও পদক্ষেপ নিয়েছি। যা প্রতিটি শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগনকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
প্রথমে আমরা আগুনের ধরণ সম্বন্ধে আলোচনা করবো। সাধারনতঃ চার ধরণের আগুন আছে। যেমনঃ
- কঠিণ পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার)
- তরল পদার্থের আগুন (ইনফ্লেইমব্ল লিকুইড ফায়ার)
- বৈদ্যুতিক আগুন ও
- বিস্ফোরক আগুন।
উপোরোক্ত আগুন সমূহ নির্বাপনের জন্য নিুলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
- কঠিন পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার) ঃ এই আগুন সাধারনতঃ কাপড়, কাগজ, কাঠ, রাবার ইত্যাদি লেগে উৎপন্ন হয়ে থাকে। সাধারনত পানি ব্যবহার করে এই আগুন নেভানো যায়। এ ছাড়া ও ভেজা কাপড় দিয়ে অথবা কম্বল দিয়ে ও এই আগুন নেভানো যায়।
- তরল পদার্থের আগুন ( ইনফ্লেমেবল লিকুইড ফায়ার ) ঃ এই আগুন সাধারনতঃ তেল, পেট্রোল লেগে উৎপন্ন হয়। পানি দিয়ে এই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা মোটেই উচিৎ না।
- বৈদ্যুতিক আগুন ঃ বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট থেকে অথবা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে এ আগুন উৎপত্তি হয়। এ ধরনের আগুনে কখনো পানি জাতীয় নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা নিষেধ। ইহা ব্যবহার করলে বিদ্যুতায়িত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই জাতীয় আগুন নিভানোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ও মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে। পাউডার টাইপ এক্সটিংগুইশার অথবা হ্যালন বা কার্বন- ডাই- অক্সাইড এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করতে হবে।
- বিষ্ফোরক আগুন ঃ এই আগুন সাধানত ঃ উচ্চচাপযুক্ত সিলিন্ডার, ক্ষয়িষ্ণু দ্রব্য, বোমা বা, গ্যাস থেতে উদ্ভুত হয়। এ আগুন নিভানোর জন্য উপরোক্ত ২ ও ৩ এ বর্ণিত পদ্ধতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবহার করা হয়।
অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটলে নিুলিখিত বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে :
- ধোঁয়া প্রশ্বাসের সংগে ভিতরে নেয়া যাবে না।
- কাপড় অথবা ভেজা টাওয়েল দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
- সকল দরজা জানালা খুলে দিতে হবে।
- সবাই এক সংগে বের হবার জন্য দরজার দিকে যেতে তাড়াহুড়া করবেন না।
- লাইন ধরে বেরুতে হবে।
- জরুরী নির্গমন পথ সহজে পাওয়া যায় এমন নির্গমন পথ দিয়ে বের হতে হবে।
by Mashiur | Dec 19, 2017 | চিকিৎসা
স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ নিরাপত্তা নীতি
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা সব সময়ে একটি অগ্রাধিকার হতে হবে এবং একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কাজের পরিবেশ প্রদান করা হইবে. ন্যূনতমরূপে অন্তত.অটো গ্র“প সব সময়ই সুস্থ্য ও সুন্দর পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সৃষ্টিই এই নীতি মালার লক্ষ্য। স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে সমস্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে সে গুলো নিম্নরুপ …
উদ্দেশ্য ঃ
- আমরা সর্বদাই আশা করি আমাদের শ্রমিকদের বাংলাদেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং তার উপর ভিত্তি করে রচিত কো¤পানীর নিজস্ব আইন সম্বন্ধে স্বচছ ধারণা থাকা উচিত। অগ্নিকাণ্ড প্রশিক্ষণ এবং ড্রিলস এবং আগুনের বিপদ প্রতিরোধ মাধ্যমে পরিচালিত হইবে.পরিবেশ, নিরাপত্তা , এবং স্বাস্থ্য আইন বিধি ও চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন ছক ও নির্দেশিকার মাধ্যমে আমরা আভ্যন্তরীন মান পর্যবেক্ষণ করি।
- এই কারণে আমরা পূর্বে ও বিভিন্ন নোটিশ বোর্ডে পোষ্টার আকারে এই সকল বিষয় আপনাদের জানাবার চেষ্টা করেছি। যুক্তিগত কারণেই আবার গর্ভবতী শ্রমিকদের চাহিদা মিটমাট..কক্ষের অভ্যন্তরীন সব দেয়াল, শ্রমিকদের কাজের ঘর, মেঝে এবং সিড়িগুলো মযলা ও দর্গন্ধমুক্ত এবং সঠিকভাবে চুনকাম করা।
- এই বইটিতে আমাদের দেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং আমাদের কো¤পানীর নিয়ম-নীতি পরিষ্কার ভাবে বর্নিত রয়েছে। মেঝের আপ্রয়োজনীয় ময়লা সর্বদাই ক্লিনার দ্বারা পরিস্কার করানো হয় এবং প্রতি সপ্তাহে একবার জীবানু নাশক ও গুড়ো সাবান দিয়ে ধৌত করা হয়।
- উৎপাদন প্রক্রিয়ার দরুন যে সমস্ত কাপড়ের টুকরা, সুতা, ও অন্যান্য ময়লা আবর্জনা বের হয় তা প্রতি মাসে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ সমস্ত জিনিস গুলো তুলায় রূপান্তরিত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরী করেন যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। ব্যবহারকৃত ময়লা পানি এবং অন্যান্য ময়লা আবর্জনা প্রবাহিত হয়ে যাওয়ার মত যথেষ্ঠ ড্রেন এবং সেফটি টেংক আছে। ফলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নাই্ ।
- বিপজ্জনক মেশিন, সরঞ্জাম এবং / অথবা পদার্থ কোন অনিরাপদ এক্সপোজার. দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য উদ্ভূত সঙ্গে যুক্ত, বা কাজ ও কর্মচারীদের কোর্সে ঘটমান আঘাত নিয়মিত এবং রেকর্ড স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ. পুরাতন টিউব লাইট রিসাইকেলদের নিকট বিক্রয় করা হয় ।
- কর্মীদের কাজের স্থানে প্রয়োজনীয় বায়ুচলাচল এবং উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ফ্যান এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহৎ আকারের জানালা দিয়ে অবাধে বায়ু চলাচল করে যা শ্রমিকদের কাজের স্থানের তাপমাত্রা আরামদায়ক করে তোলে।
- বৃহদাকার জানালা গুলি গিয়ে প্রাকৃতিক আলো জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। জানালার গ্লাসগুলি উভয় দিকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকায় বাঁধাহীন ভাবে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ সম্ভবপর হয়েছে। প্রাকৃতিক আলোর সাথে ইলেকট্রিক্যাল লাইট গুলো আলোর গতিকে আরো তীব্রতর করেছে। যার ফলে সমস্ত কাজের স্থান এবং প্রবেশ পথ গুলো নিরাপদ ও কর্মোপযোগী হয়ে উঠেছে। সমগ্র ফ্লোরে আলোর তীব্রতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট ক্যান্ডেল।
- ফায়ার সেফটি পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং সুবিধা শর্ত, নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি এবং টয়লেট সুবিধা অ্যাক্সেস নেই. পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা এবং তাপমাত্রা প্রদান করা হয়.
- কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার পানির সরবরাহের জন্য সুবিধাজনক স্থানে খাবার পানির বোতল স্থাপন করা হয়েছে। এবং কর্মীদের বুঝার সুবিধার্থে বংলায় এবং ইংরেজীতে ” বিশুদ্ধ খাবার পানির ” নির্দেশনা দেয়া আছে। বোতল গুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
- কারখানা আইন অনুযায়ী কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজন মাফিক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সমস্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানা গুলো যথোপযযুুক্ত ভাবে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানু নাশক দ্বারা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
- এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় হলো, সময়ের সাথে সাথে আমাদের কোম্পানীর নিয়ম-নীতির বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে তা পুস্তকে সর্বশেষ তথ্য হিসাবে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আবাসন / হাউজিং, যখন প্রদান, কর্মক্ষেত্রে থেকে আলাদা করতে হবে এবং সর্বোপরি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সাপেক্ষে. কারখানার সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তা নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
সারাংশ
তবে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য Health এবং পরিবেশ নিরাপত্তা বিশেষ নীতি আরো কিছূ পরিবর্তন হতেও পারে। ঐ সকল নিয়ম-নীতি প্রচলনের সাথে সাথেই আপনাদের অবগতির জন্য আমরা তা নোটিশ আকারে বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দিব। Read in English Version
by Mashiur | Dec 19, 2017 | চিকিৎসা
অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ পাচার সংক্রান্ত নীতিমালা
সূচনা
যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানই তার উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাজারজাত করনের ক্ষেত্রে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা মোতাবেক এই বাজারজাত করন বা রপ্তানী করতে হয়। তার উৎপাদিত সামগ্রী স্থানীয়, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা পরিপালন সাপেক্ষে বাজারজাত তথা রপ্তানী করে থাকে। রপ্তানীর ক্ষেত্রে অটো গ্র“প কোনরুপ নিষিদ্ধ/অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ যাতে পাচার না হয় সে ক্ষেত্রে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন-কানুন পরিপালন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সহযোগীতা করে।
উদ্দেশ্যে
আইন যত ভালই হোক না কেন তার প্রয়োগই তাকে ভাল/মন্দে রুপান্তর করে।তার উৎপাদিত সামগ্রী রপ্তানীর ক্ষেত্রে নিু বর্নিত নীতিমালা অনুসরন করে ঃ
- নেশাজাতীয় ঔষধের অবৈধ পাচার রোধ
- প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চোরাচালান রোধ সংক্রান্ত কার্যক্রম
- রপ্তানী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুর্ব-পরিচিতি যাচাই
- আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগায়োগ রক্ষা
- অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচারে সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন
- অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করন
অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ এর পাচার রোধ ঃ
কারখানায় উৎপাদিত দ্রব্যদি রপ্তানীর সময় উহার সাথে কোনরুপ অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচার করা যাবে না। এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন মোতাবেক কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
আমাদের উৎপাদিত পোষাক রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমরা কঠোর শৃংখলা বজায় রাখি। কোনরুপ নেশাজাতীয় দ্রব্য/ঔষধ পাচার হওয়ার সাথে অত্র সংস্থা জড়িত নয়। ইহা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ কাজ হিসাবে আমাদের কাছে বিবেচিত।
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চোরাচালান রোধ সংক্রান্ত কার্যক্রম ঃ
চোরাচালান রোধে সরকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কারখানার সকল স্থরের কর্মকর্তা, কর্মচারীকে সহযোগীতা করতে হবে। এক্ষেত্রে চোরাচালানের অপকারিতা ও শাস্থি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে চোরাচালান রোধ সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পর্য্যায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
চোরাচালান রোধে আমাদের সকল স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকেরা সদা সতর্ক। চোরাচালানীর শাস্তি সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে সকলকে নিয়মিত অবহিত করা হয়। এছাড়া চোরাচালান রোধ কল্পে সকল স্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের বিশেষ ভাবে অনুপ্রানিত করা হয়।
রপ্তানী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুর্ব-পরিচিতি যাচাই ঃ শিল্প কারখানায় যে সকল শ্রমিক কর্মচারী রপ্তানী কাজে নিয়োজিত তাদের নিয়োগ দানের পুর্বে পূর্ব-পরিচিতি তদন্ত করতে হবে।
রপ্তানী কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়োগের পূর্বে আমরা তাদের পূর্ব-পরিচিতি তদন্ত করে দেখি এবং এক্ষেত্রে সৎ-চরিত্রবান ব্যক্তি ব্যতীত কাউকে নিয়োজিত করা হয় না। এছাড়া চাকুরীতে যোগদানের পরেও তাদের কাজের প্রতি সার্বক্ষনিক নজর রাখা হয়।
আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগ রক্ষা ঃ
অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ পাচার এবং চোরাচালান রোধে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সর্বদা সহযোগীতা করতে হবে।
অবৈধ নেশাজনিত ঔষধ পাচার এবং চোরাচালান রোধে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সার্বক্ষনিক ভাবে সহযোগীতা করি এবং যোগাযোগ রক্ষা করি। এধরনের অবৈধ কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যাপারে আমরা কঠোর মনোভাব পোষন করি।
অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচারে সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন ঃ
অবৈধ নেশাজাতীয় ঔষধ পাচার রোধে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
উপরোক্ত বিষয়ে আমরা সর্বদা সতর্ক থাকি। রপ্তানীযোগ্য পোষাক বিভিন্ন পর্য্যায়ে একাধিক বার চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয় যাতে কোন পর্য্যায়েই অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার বা চোরাচালান না হয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষেত্রেও আমরা দৃঢ় ব্যবস্থা গ্রহনে তৎপর থাকি।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের যাতায়েত নিষিদ্ধ করন ঃ
শিল্প কারখানায় যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করতে না পারে যে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কারখানা এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা কারখানা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। কারখানার মালামাল এবং এর জনবলের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। পূর্বানুমতি ব্যতীত কেহ কারখানা এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। আমাদের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ছবিসহ পরিচয় পত্র প্রদান করেছি। কাজেই আমাদের কারখানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করার সুযোগ নাই।
উপসংহার
অবৈধ নেশামুক্ত পরিবেশে উৎপাদন পরিচালনা এবং উৎপাদিত পোষাক রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমরা অত্র নীতিমালা অনুসরনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।