পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা Health & Safety

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা Health & Safety নীতি কি কি ?

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা  ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশের জন্য তাদের শ্রমিক /কর্মচারী, কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও নিরাপওা নির্দেশিকা চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। নিæলিখিত ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য ও নিরাপওা নির্দেশিকা চালু হবে। ….

উদ্দেশ্য

  • পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
  • পরিবেশ সংক্রান্ত জাতীয় বিধিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
  • কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কারখানায় একটি স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা চাল রাখা।
  • কারখানার কর্মী ও সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষা করা।
  • English Version

পরিবেশ সংক্রান্ত নীতি

  • যেখানে সেখানে থুথু ফেলা যাবে না। কারখানায় নির্দিষ্ট সংখ্যক ময়লা ফেলার ঝুড়ি, স্পিটন এবং ডাস্টবিন এর ব্যবস্থা থাকবে।
  • সার্বক্ষনিক ময়লা পরিস্কার করার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লিনার, সুইপার নিয়োজিত থাকবে জাতে পরিবেশ স্বাস্থ্য অনিরাপত্ত ঠিক থাকে
  • এক্সটিংগুইশার, হোসপাইপ এবং ফায়ার সরঞ্জামাদির সামনে কোন বস্তা, কাটিং পার্টস, মার্কার, প্যার্টান বা অন্য কিছু রাখা যাবে না। ধরণ অনুযায়ী ওয়েস্টেজ এর শ্রেণীবিন্যাস, সংরক্ষণ ও অপসারণ করা হয়।
  • ওয়েস্টেজ স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।
  • কাঠ, প্লাস্টিক, মেটাল, এক্্েরসরিজ, গ্লাস, টিউব লাইট প্রভৃতি ক্ষেত্রে জবপুপষব এর জন্য
  • প্রস্তুতকারক বা স্থানীয় জবপুপষব ইড়ফু র নিকট বিক্রি বা ফেরত দেয়া হয়।
  • পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষন বিষয়ে বিদ্যমান জাতীয় আইন ও বিধিমালা, ক্রেতাদের চাহিদা, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত নিয়ম নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
  • পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে ক্রমাগত উন্নয়ন সাধন করা।
  • ফ্লোর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্লোরের উপর কাপড় বা উৎপাদন কার্যে ব্যাবহার যোগ্য অন্য কোন কিছু যেমন: রাখা যাবে না। ঝুড়িতে, প্লেটে বা বাস্কেটের মধ্যে রাখতে হবে। সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।

স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতি

  • কারখানায় কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে এবং কর্তব্যরত ডাক্তারকে জানাতে হবে ।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স, প্রত্যহ চেক করে পরিদর্শন ট্যাগে স্বাক্ষর করতে হবে ।
  • মেডিসিন লগ এবং এক্সিডেন্টলগ যথাযথ ভাবে সংরক্ষন করতে হবে ।
  • রোগী বহনকারী “ষ্ট্রেচার” নির্ধারিত স্থানে আছে কিনা চেক করতে হবে ।
  • পানি খাওয়ার স্থান সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে। পানি পান করার সময় কোন ক্রমেই পানি মেঝেতে ফেলা যাবে না। খাবার পানীয় বিশুদ্ধ এবং প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারী পৃথক পৃথক বোতল বা গ্লাস ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • প্রত্যহ কমপক্ষে ৫ বার টয়লেট ও ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করে চেক লিষ্টে স্বাক্ষর করতে হবে।
  • টয়লেট ব্যবহার করার  পরে অবশ্যই প্রয়োজন মতো পানি ব্যবহার করতে হবে যাতে টয়লেটে ময়লা না থাকে। টয়লেটের ফ্লাশ, বেসিন ট্যাপ, পানির ফিল্টার ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে।
  • টয়লেটে সাবান আছে কিনা ও টয়লেট দুর্গন্ধমুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
  • স্পট তোলার জন্য সকল স্পট রিমোভিং ম্যানকে সকল প্রকার আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে। যেমন:- হাতমোজা, চশমা, এবং মাক্স ইত্যাদি।
  • উলে­খ্য যে স্পট তোলার জন্য কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। সাধারন সাবান ব্যবহার করা হয়।
  • হাত শুকানোর জন্য ড্রায়ার ঠিক আছে কিনা এবং শ্রমিক কর্মচারীগন সঠিক ভাবে ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।

অগ্নি নিরাপত্তাসংক্রান্ত নীতি

  • প্রতিটি ফ্লোরে ০২ টি করে জরুরী বর্হিগমন / বাহির পথ রয়েছে। প্রতি মাসে অগ্নি মহড়া অনুষ্ঠিত ঘয়। আগুন দেখা মাত্র ঊসবৎমবহপু অষধৎস (ঘন্টা) বাজাতে হবে ।
  • অগ্নি সংকেত ঘন্টা বাজার সাথে সাথে সবাই নির্ধারিত বর্হিগমন পথ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। ইলেকট্রিকেল সুইচ বন্ধ করতে হবে ।
  • মাইকিং করে সকল শ্রমিক কর্মচারীগনকে আগুন লাগার স্থান বলতে হবে এবং সর্তকতার সাথে নিজে এবং অন্যকে বাহির হওয়ার জন্য পথ নির্দেশনা এবং করণীয় আদেশ উপদেশ প্রদান করতে হবে ।
  • দুঘর্টনা এড়ানোর জন্য প্রথমে গর্ভবর্তী মহিলা, মহিলা কর্মী পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য নিয়োজিত ব্যাক্তিদের সর্তকতার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
  • সাথে সাথে যারা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভাবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে ।
  • শ্রমিক কর্মচারীগনকে বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য নিয়োজিত ব্যাক্তিরা নিজ নিজ কর্তব্য স্থানের প্রতিটি স্থান এমনকি টয়লেট পরীক্ষা করে দেখবে কোন লোক আটকা পড়ে আছে কিনা ।
  • যারা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তারা নিজ নিজ অগ্নি নির্বাপক যšত্র এবং ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই মুখে মুখোশ ব্যবহার করবে ।
  • যাতে কোন প্রকার চধহরপ (ভয়-ভীতি বা দৌড়াদৌড়ি) শুরু না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে ।
  • স্থানীয় দমকল বাহিনী এবং থানা (পুলিশ ষ্টেশন) কে সংবাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীকে উপরোক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।
  • নীচ তলায় অগ্নিমহড়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে জমায়েত হতে হব্।ে অগ্নি মহড়ার সময় বা অগ্নি কান্ডের সময় অগ্নি নির্বাপনকারী ছাড়া কেউ ফ্যাক্টরীর অভ্যান্তরে থাকবে না। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি নিয়মিত চেক করে চেক লিষ্টে সই করতে হবে ।

বৈদ্যুতিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত নীতি

  • কাজ শুরু করার পূর্বে আয়রনের ইলেকট্রিক পাওয়ার লাইন ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা চেক করতে হবে।বিপদ সংকেত শুনা মাত্রই বৈদ্যুতিক প্রধান সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে হবে ।
  • কারখানায় অবস্থিত প্রতিটি বৈদ্যুতিক লাইন, সুইচ বক্স, সার্কিট ব্রেকার, লাইট, পাখা,
  • ইলেকট্রিক পাওয়ার লাইন চেক করা . কাট আউট দৈনিক ভিত্তিতে পরীক্ষা করতে হবে।
  • ইলেকট্রিক পাওয়ার সুইচ বন্ধ করাঃ বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে চালিত প্রতিটি যন্ত্রপাতি মেশিন পরীক্ষা করতে হবে ।
  • বৈদ্যুতিক লাইন আছে, এমন প্রতিটি স্থান নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।
  • কাজ শেষ বা কর্মস্থল ত্যাগ করার পূর্বে অবশ্যই আয়রনের পাওয়ার লাইন বন্ধ  করতে হবে। জেনারেটর, বয়লার মেশিন নিয়মিত ভাকে চেক করতে হবে ।
  • কারখানায় কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিক কর্মচারীগনকে ঊষবপঃৎরপধষ ঝধভবঃু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হইবে ।

শিল্প নিরাপত্তা নীতি

  • সুইং মেশিনের বেল্ট গার্ড, নিডেল গার্ড, ওভারলক ও বারটেক মেশিনের নিডেল/ আই গার্ড, ø্যাপ-বাটন মেশিনের বেল্ট এবং সেফটি গার্ড, নিয়মিত ভাবে চেক করতে হবে ।
  • প্রতিটি কাটার সিজার এবং হ্যান্ডটেক ড্রষ্টিং/ফিতা/সুতা দ্বারা মেশিনের সাথে অথবা হাতের সাথে বেধে রাখতে হবে। কাটিং মেশিনের অপারেটরগন মেশিন ব্যবহারের সময় হাতে মেটাল গ্লোভস্ ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করে কিনা তা চেক তে হবে ।
  • ওভারলক মেশিন বা পেডিং কাটার আপারেটরগন মাস্ক ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • নিটিং ,ডাইং বিভাগের ফিনিশিং সেকশন এবং গার্মেন্টস বিভাগের সকল সেকশনের সকল শ্রমিককে মাক্স ব্যবহার করতে হবে। (দাগ মোচার) কাজে নিয়োজিত কর্মচারীগন রাবার গ্লোভস্, মাস্ক এবং গগলজ (চশমা) ব্যবহার করে কিনা চেক করতে হবে ।
  • বিদ্যুৎ চলে গেলে সাথে সাথে মেশিনের সুইচ অফ ও নিডেল প্রেসার ফিট নিচে নামিয়ে রাখতে হবে ।
  • ফিনিসিং সেকশনে প্রতিটি আয়রন টেবিলের নীচে রাবার মেট দেওয়া আছে। আয়রন করার সময় অবশ্যই পায়ের নীচে রাবার মেট ব্যবহার করতে হবে।
  • কেউ যাতে ভেজা হাত দিয়ে মেশিনের সুইচ অন বা অফ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • বয়েলার, আয়রন ও মেশিনের সহিত বৈদ্যুতিক সংযোগ তার নিয়মিত ভাবে চেক করতে হবে।
  • কেউ অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র অথবা ফায়ার এক্সটিংগুইশার এর সামনে কোন কিছু রাখতে পারবে না। বৈদ্যুতিক সুইচে খধনবষ থাকতে হবে।
  • যে কোন প্রকার কেমিক্যাল আলো থেকে দূরে পর্যাপ্ত বাতাশপূর্ণ শুষ্ক (নির্দিষ্ট) স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে এবং কন্টেইনারের গায়ে খধনবষ থাকতে হবে। কেমিক্যাল স্টোর ও ব্যবহারের স্থানে গঝউঝ ও নিরাপত্তা প্রতীক থাকতে হবে।
  • কাটার, সিজার এবং হ্যান্ড ট্যাক বেধে রাখতে হবে কাটার, সিজার বেঁধে রাখতে হবে কাটিং সেকশনে রক্ষিত সকল সিজার ড্রষ্টিং/ফিতা/সুতা দ্বারা বেধে রাখতে হবে এবং তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ব  করে রাখতে হবে।
  • সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হইবে ।

হাউজ কিপিং সংক্রান্ত নীতি

  • কারখানায় ব্যবহৃত ও প্রক্রিয়াধীন কাপড়-চোপড় (পোষাক) কোনক্রমেই মেঝের উপর যত্রতত্র রাখা যাবে না ।
  • অগ্নি নির্গমন পথ সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে এবং নির্গমন পথের উপর কোন কিছু রাখা যাবে না ।
  • কোন অবস্থাতেই উৎপাদন ফ্লোরে খাবার বাক্স এবং জুতা রাখা যাবে  না। কারখানার সকল স্থান পরিস্কার-পরিচছন্ন রাখতে হবে ।
  • আয়রন কোনভাবেই টেবিলে রাখা যাবে না। আয়রন সব সময় রাবার মেটের উপর রাখতে হবে।
  • প্রতিটি কাটারম্যানের জন্য ধাতব মোজা রয়েছে। কাটারম্যান কাটিং করার সময় অবশ্যই ধাতব মোজা ব্যবহার করতে হব্।ে যাতে কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা       না ঘটে।
  • ডাইনিং হলে এক সাথে ৩০০ জন লাঞ্চ বা দুপুরের খাবার খেতে পারে।
  • মেশিন ও টেবিল পরিস্কার-পরিচছন্ন ও মেশিন লাইন সোজা করে রাখতে হবে ।
  • পর্যাপ্ত আলো বাতাস এর ব্যবস্থা রাখতে হবে ।
  • কাপড় সর্বত্র গুছিয়ে রাখতে হবে ।
  • খাবার এর স্থান পরিস্কার-পরিচছন্ন আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা আছে কিনা দেখতে হবে ।
  • অগ্নি নির্বাপক যšেত্রর নিচে এবং কারখানায় অবস্থিত সুইচ বোর্ডের নিচে সকল সময় পরিস্কার রাখতে হবে ।
  • আমাদের একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে একজন দায়িত্বরত সেবিকা রয়েছ্।ে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে ০৬ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মজীবি মহিলার বাচ্চা কাজের সময় উক্ত শিশূ পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে পারবে।
  • বচ্চাকে অফিস থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়।

সারাংশ

পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা – অগ্নি নির্বাপক কর্মী, প্রাথমিক চিকিৎসক কর্মী এবং ঝাড়ূদারগন নিজ নিজ নির্দিষ্ট পোষাক পরিধানরত আছেন কিনা নিশ্চিত করিবেন । সকলকে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে ।


Posted

in

by

Comments

3 responses to “পরিবেশ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা Health & Safety নীতি কি কি ?”

Leave a Reply