কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা কমিটির

ঝুঁকি সনাক্তকরণ নীতিমালা। বিপজ্জনক বস্তুর মোকাবিলায় গ্রহণীয় ব্যবস্থা

ঝুঁকি সনাক্তকরণ নীতিমালা

এই সেকসনটি দুটি অংশে বিভক্ত। প্রথমটিতে ম্যাাটিরিয়ালটির চেহারার বর্ণনা এবং ইমারজেন্সী কর্মীদের জন্য সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়গুলোর কথা বিবৃত থাকে। আপাতদৃষ্টিতে সম্ভাব্য বিপদ ও ঝুঁকিগুলোর স্বতন্ত্র ও উল্লেখযোগ্য ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যগুলোর চিত্র তুলে ধরা হয়। ঐ সব ম্যাটেরিয়াল জলজ প্রাণী কিংবা পরিবেশের কতটা ক্ষতি করতে সক্ষম তার একটা বিবরণ এতে থাকে। এব্যাপারে আরও তথ্যেও জন্য  নম্বর সেকশন লক্ষ্য করা যায়।

এই সেকশনের দ্বিতীয় অংশে স্বাস্থ্যের উপর সম্ভাব্য ক্ষতির প্রভাব, ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থের সংস্পর্শে এসেছে কিনা তার আলামত, ম্যাটিরিয়ালে ব্যবহৃত উপকরণ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য প্রদান করা হয়। দেহের কোন অঙ্গে কতটা ক্ষতি হতে পারে সেই মাত্রা এবং ভয়াবহতার ইঙ্গিতও এখানে পাওয়া যায়। এতে অবশ্যই স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী বিরূপ প্রভাব, এর লক্ষণ এবং এক্সপোজারের মেডিক্যাল কন্ডিশন কি ভাবে খারাপ হতে পারে সে সম্পর্কে তথ্য ও থাকবে।

বলা বাহুল্য যে, আগে কোনো বস্তুর এক্সপোজার এর ঝঁুঁকি এবং তার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সহজতর হয়। শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব রাখে এমন ম্যাটিরিয়াল বিশেষভাবে ভয়ংকর বিপজ্জনক কেননা এর তাৎক্ষনিক আলামত পাওয়া যায় না কিংবা প্রভাবিত ব্যাক্তি তার দৈনন্দিন কাজে সেটা অনুভব-ও করেনা। কিন্তু ঐ শ্রমিক কিংবা এক্সপোজড ব্যাক্তি অবসর জীবনে মারাতœক স্বাস্থ্য সমস্যায় পতিত হয়। কোন কোন ম্যাটেরিয়াল শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গেও (হৃৎপিন্ড, লিভার, ফুসফুস, কিডনী ইত্যাদি) ক্ষতি করে।

শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের দেহের মধ্যে বিপজ্জনক বস্তু প্রবেশ করে থাকে। কোন রাসায়নিক তরল পদার্থের উগ্র গন্ধ দ্বারা তার ক্ষতির পরিমাপ করা সক সময়ে সঠিক হয় না। এমনও দেখা গেছে উগ্র গন্ধ ছড়ায় না এমন কেমিক্যাল  ও দীর্ঘমেয়াদে আপনার অগোচরে আপনাকে সতর্ক থাকতে সাহায্য করতে পারে। ক্ষতিকর ব্যাক্তিগত সংস্পর্শের বিষয়ে এবং সুরক্ষার ব্যবস্থাদি সম্পর্কে  এ কেবল জন্তু জানোয়ারের উপাত্তগুলো তালিকাভুক্ত হয় তবে যদি তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য প্রাসংগিক হয়। প্রাণী সম্পর্কিত বিশদ উপাত্ত  সেকশনে লক্ষ্য করা যাবে।

দুর্ঘটনাজনিত কারণে নিসৃত বিপজ্জনক বস্তুর মোকাবিলায় গ্রহণীয় ব্যবস্থা

ঝুঁকি সনাক্তকরণ নীতিমালায় এই সেকশনে ইমারজেন্সী কর্মী এবং পরিবেশ সংক্রান্ত পেশাদারদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বস্ত মেঝেতে উপচে বা ছিঁটকে পড়লে তা মোকাবেলায় কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তারই একটা বিবরণ থাকে। উদ্ধারকার্য পরিচালনা, পাত্র পুনরায় ভর্তি করা এবং যথাযথ সংরক্ষণ এবং পরিষ্কার করার কৌশল এবং অন্যান্য জরুরী পরামর্শ এতে থাকে। সেগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ কওে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের নিজের এবং পরিবেশের সু-রক্ষা নিশ্চিত করতে হতে।ক্স এতে পরিবেশিত জ্ঞান দ্বারা জরুরী অবস্থায় করণীয় বিষয়ে ষ্টাফদের প্রশিক্ষণ এবং কর্ম এলাকায় যাবতীয় প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা প্রনয়ন করা যায়।ক্স এতে পরিবেশিত জ্ঞান দ্বারা জরুরী অবস্থায় করণীয় বিষয়ে ষ্টাফদের প্রশিক্ষণ এবং কর্ম এলাকায় যাবতীয় প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা প্রনয়ন করা যায়।ক্স দাহ্য পদার্থের দুর্ঘটনাজনিত নিঃসরণে এবং তা জরুরী ভিত্তিতে পরিষ্কার করে ফেলার প্রণালী সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া যায়। জানতে পারা যায় কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরনের টুল এবং ইকুইপমেন্ট এবং কোন প্রকারের অদ্রাহ্য শোষক পদার্থ ব্যবহার করতে হবে, ব্যবহারের কৌশলগুলো কি কি?


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply