Select Page
পন্য অথবা মালামাল গ্রহন,মজুদ ও রপ্তানী নীতিমালা এর বর্ণনা

পন্য অথবা মালামাল গ্রহন,মজুদ ও রপ্তানী নীতিমালা এর বর্ণনা

মালামাল গ্রহন,মজুদ ও রপ্তানী নীতিমালাঃ

তৈরিকৃত মালামালকে মোল্ড মুক্ত রাখার জন্য মালামাল গ্রহন,মজুদকরন ও রপ্তানীর ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আচরন বিধি ও নিয়মকানুন অনুসরণ করে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি মেনে চলে। তা নি¤েœারুপঃ
১. চালান অনুযায়ী মালামাল গ্রহন করা হয়।
২. মালামাল গ্রহন এর সময় স্টোরে নির্ধারিত কোয়ালিটি সেকশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কর্তৃক মালামালের আদ্রতা যেসব মালের জন্য প্রযোজ্য যাচাই করা হয় এবং মালামাল সঠিক কিনা তা পূর্ব নির্ধারিত নমুনার সাথে মিলিয়ে মালামাল গ্রহন করা হয়।
৩. অতিরিক্ত আদ্রতা যুক্ত কোন মালামাল ষ্টোর কর্তৃক গ্রহন করা হয় না।
৪. গ্রহনকৃত মালামাল নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন এলাকায় প্যালেট/র‌্যাকে নিদিষ্ট নে রাখা হয়।
৫. মালামাল মজুদ এর সময় মেঝে ও দেয়াল হতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হয়।
৬. ভেজা বা স্যতস্যেতে জায়গা পন্য রাখা হতে বিরত থাকা হয় যদি ভেজা বা স্যাতস্যেতে জায়গা পরিলক্ষিত হয়।
৭. মালামাল জানালা দিয়ে বৃষ্টির পানি বা ছাদ, দেয়াল কোন দিক থেকে পানি আসতে পারে এমন ন হতে দূরে রাখা হয়।
৮. পন্য সংরক্ষন এর সময় নির্দিষ্ট বিন কার্ড এর মাধ্যমে পৃথক পৃথক ভাবে সংরক্ষন করা হয়।
৯. ব্যবহৃত মালামাল ও বতিলকৃত মালামাল পৃথক ভাবে সংরক্ষন করা হয়।
১০. কোন অর্ডার সম্পন্ন হওয়ার পর অতিরিক্ত অবশিষ্ট মালামাল পরবর্তী অর্ডারে ব্যবহার করা হয় এবং অব্যবহৃত মালামাল বিক্রয় করে দেওয়া হয়।
১১. ওয়াশকৃত মালামাল নির্দিষ্ট ট্রলিতে করে সংরক্ষন করা হয় এবং পরে সংশ্লিষ্ট সেকশনে পাঠানো হয়।।
১২. গার্মেন্টস ট্রলিটি নির্দিষ্ট কাপড় দিয়ে আবরিত করে রাখা হয় যাতে ময়লা না লাগে।
১৩. পন্য পরিবহনের সময় গার্মেন্টস গুলো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে পরিবহন করা হয়।
১৪. পন্য রপ্তানির সময় মালামাল রপ্তানী নীতিমালাঃ অনুসারে নির্দিষ্ট কভার্ড ভ্যান এর ব্যহ্যিক আভ্যন্তরীন অব¯’া পর্যবেক্ষন করা হয়, যেন গাড়ীর কোন অংশ ভেজা, ছিদ্রযুক্ত বা অপরিস্কার আছে কিনা।

ডাইনিং রুম ব্যবহারের নিয়মাবলী

  • লাঞ্চ ও টিফিনের জন্য নির্ধারিত সময়ে ডাইনিং রুমে গিয়ে দুপুরের খাবার ও টিফিন খান।
  • লাঞ্চ ও টিফিনের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুমে যাবেন না।
  • ডাইনিং রুমে কাপড়ের টুকরা, কাগজ ইত্যাদি ফেলবেন না । খাবারের পরিত্যাক্ত অংশ যতদূর সম্ভব নিজেই পরিস্কার করুন।
  • ডাইনিং রুম ছাড়া অন্য কোথও বসে খাবার খাবেন না।
  • খাবারের আগে ও পরে নির্ধারিত স্থানে বা পানির কলে হাত ধৌত করুন।
  • ব্যবহারের পর পানির কল বন্ধ করুন।
ফ্যাক্টরী শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুলো কি কি?

ফ্যাক্টরী শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুলো কি কি?

অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা

শ্রম নিবিড় রপ্তান মুখী গার্মেন্টস্ ইন্ডাষ্ট্রিজ এর জন্য অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বাংলাদেশের শ্রমনিবিড় শিল্পগুলোর মধ্যে ১০০% রপ্তানীমুখী তৈরী পোশাক শিল্প অন্যতম। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ শিল্পে ১৫ লক্ষাধিক শ্রমিক সরাসরি সম্পৃক্ত, যাদের ৯০ শতাংশই নারী শ্রমিক। পোশাক শিল্পের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সদা সচেষ্ট এই বিপুল শ্রম-শক্তির সার্বিক কল্যানে, কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা বিধানে সকলের সু-দৃষ্টি, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সচেতনতা অত্যাবশ্যক। তৈরী পোশাক শিল্প কারখানা এবং এ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের উন্নয়নে পলমল গ্র“প সদা জাগ্রত ও সচেষ্ট এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। … ফফফ

অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনার কারন সমূহ

  • এ যাবৎ কালে সংঘটিত সকল অগ্নিকান্ডের মূল কারন হিসাবে বৈদ্যুতিক “ শর্ট সার্কিট” কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
  • বিড়ি-সিগারেট এর আগুন থেকে অগ্নিকান্ড হতে পারে।
  • দিয়াশলাই, সিগারেটের লাইটার থেকে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে।
  • যে কোন ধরনের বিস্ফোরক বা কেমিক্যাল থেকে অগ্নিকান্ড বা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পোশাক শিল্পের কর্মরত সকল প্রিয় কর্মচারী/কর্মকর্তাদের জরুরী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন, অগ্নী প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে প্রচার পত্রটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। যা প্রতিটি শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগনকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রথমে আমরা আগুনের ধরণ সম্বন্ধে আলোচনা করবো। সাধারনত চার ধরণের আগুন আছে। যেমনঃ ১। কঠিন পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার), ২। তরল পদার্থের আগুন (ইনফ্লামেবল লিকুইড ফায়ার), ৩। বৈদ্যুতিক আগুন, ৪। বিস্ফোরক আগুন।
উপরোক্ত আগুন সমুহ নির্বাপনের জন্য নিুলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

১। কঠিন পদার্থের আগুন (সলিড ফায়ার)ঃ
এই আগুন সাধারণত কাপড়, কাগজ, কাঠ, রাবার ইত্যাদিতে লেগে উৎপন্ন হয়ে থাকে। সাধারণভাবে পানি ব্যবহার করে এই আগুন নেভানো যায় এ ছাড়াও ভেঁজা কাপড় দিয়ে অথবা কম্বল দ্বারা ঢাকা দিয়েও এই আগুন নেভানো যায়।
২। তরল পদার্থের আগুন (ইনফ্লামেবল লিকুইড ফায়ার) ঃ
এই আগুন সাধারনত তেল, পেট্রোল লেগে উৎপন্ন হয়। পানি দিয়ে এই আগুন নেভানো চেষ্টা করা মোটেই উচিৎ নয়। কেননা জ্বলন্ত তরল পদার্থটি পানি থেকে হালকা। বালি অথবা ফোম টাইপ এক্সটিংগুইশার এই আগুন নেভানোর জন্য ব্যবহার করা উচিৎ।
৩। বৈদ্যুতিক আগুন ঃ
বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট থেকে অথবা বৈদ্যুতিক যন্ত্র পাতি থেকে ও আগুনের উৎপত্তি হয। এ ধরনের আগুনে কখনো পানি বা পানি জাতীয় নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা নিষেধ। ইহা ব্যবহার করলে বিদ্যুতায়িত হওয়ার অত্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এই জাতীয় আগুন নেভানোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ও মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে। পাউডার টাইপ এক্সটিংগুইশার অথবা হ্যালন অথবা কার্বন-ডাই-অক্সাইড এক্সটিংগুইশার (ঈঙ২) ব্যবহার করতে হবে।
৪। বিস্ফোরক আগুনঃ
এই আগুন সাধারণত উচচ চাপ যুক্ত সিলিন্ডার, ক্ষয়িঞ্চু দ্রব্য, বোমা বা গ্যাস থেকে উদ্ভুত হয়। এ আগুন নেভানোর জন্য ২ নং ও ৩ নং এ বর্ণিত পদ্ধতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবহার করা যায়।
অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে নিুলিখিত বিষয়ে সাবধান থাকতে হবেঃ-
১। ধোঁয়া নিশ্বাসের সঙ্গে ভিতরে নেয়া যাবেনা।
২। কাপড় অথবা ভেঁজা টাওয়েল দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে।
৩। যদি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয় তবে নাকে বা গলায় ধোঁয়া প্রবেশের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
৪। সকল দরজা জানালা খুলে দিতে হবে যাতে সব ধোঁয়া বেরিয়ে যায়।
৫। সকল দরজা জানালা খুলে বের হবার জন্য দরজার (এক্সিট ) দিকে যেতে তারাহুরা করবেন না।
৬। লাইন ধরে বেরোতে হবে।
৭। জরুরী নির্গমন পথ (এমারজেন্সি এক্সিট ) অথবা সহজে পাওয়া যায় এমন নির্গমন পথ দিয়ে বের হতে হবে।
আমাদের ফ্যাক্টরীতে অগ্নি নির্বাপন ও নিরাপত্তার জন্য নিুলিখিত যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা আছে।
১। অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) (এবিসি ড্রাই পাউডার, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ফোম ) ২। হোস পাইপ ৩। ওভার হেড ট্যাংকে সংরক্ষিত পানি, ৪। বালি ভর্তি বালতি ৫। অগ্নি প্রতিরোধক হাত মোজা ৬। স্ট্রেচার ৭। লক কাটার /গ্লিল কাটার ৮। ফায়ার বিটার ৯। ফায়ার হুক ১০। অগ্নি প্রতিরোধক কম্বল ১১। দড়ি ১২। শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রপাতি ১৩ । ফায়ার ম্যান পোশাক ১৪। ব্যাটারী চালিত স্মোক (ধোঁয়া) ডিটেকটর ইত্যাদি।

অন্যান্য ব্যবস্থা ঃ

ফায়ার ফাইটার টিম ঃ আমাদের ফ্যাক্টরীতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ফায়ার কর্মী রয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনার সময় করনীয় সম্বন্ধে তারা ট্রেনিং প্রাপ্ত। এছাড়া শ্রমিকদেরকে অগ্নি দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতন করার জন্য নিয়মিত উদ্যোগ নেয়া হয়।
ফ্লোর মার্কিং ঃ- আইলস্গুুলো সবুব রং এবং সাদা রং এর তীর চিহ্ন দ্বারা ফেœার চিহ্নিত করে পথ খোলা রাখার ব্যবস্থা আছে। এই খোলা পথে কোন কিছু রেখে পথ বন্ধ করে চলাফেরার অসুবিধা সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এমারজেন্সি লাইট ও এক্সিট লাইট ঃ এমারজেন্সি লাইট ও এক্সিট লাইট পর্যাপ্ত পরিমান আছে। এক্সিট লাইট সব সময় জ্বালানো থাকে।
অগ্নিমহড়া ঃ এক মাস পর পরর্ ফ্যাক্টরীতে ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিমহড়া করা হয় এবং তার রেকর্ড রাখা হয়।
ফায়ার ইভ্যাক্যুয়েশন প্ল্যান এবং লে আউটঃ প্রতিটি ফ্লোরে এই প্ল্যান ও লে আউট রয়েছে। ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার কে করবে, কারা সাহায্য কারী থাকবে, কি ভাবে কর্মীরা ফ্লোর থেকে বের হবে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা কালিন পালনীয় যাবতীয় দায়দায়িত্ব এই লে আউটে উল্লেখিত আছে।
ফার্ষ্ট এইড টিম ঃ প্রত্যেক ফ্লোরের জন্য আলাদা আলাদা ফাষ্ট এইড কর্মী ও ফাষ্ট এইড বক্স রয়েছে যাবে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনার সময় আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা এরা দিয়ে থাকে।

অগ্নি দুর্ঘটনার সময় ফ্লোরের অন্যান্য করনীয় কাজঃ-

অগ্নিকান্ড বা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সমূহ

  • অগ্নিকান্ড ঘটার সুযোগ না দেয়াই এর প্রতিরোধের প্রধান  উপায়।
  • পর্যাপ্ত পরিমান সচল অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র বিভিন্ন সুবিধাজনক পয়েন্টে মজুদ রাখা।
  • অগ্নিকান্ডের সময় আত্ম-বিশ্বাসী হয়ে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার করা।
  • বিড়ি, সিগারেট অথবা ধুমপান সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ করা।
  • দিয়াশলাই বা সিগারেটের লাইটার সমেত ফ্যাক্টরীতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।
  • গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন তথা বিভিন্ন ফিকচার ফিটিংস নিয়মিত পরিদর্শন করা এবং পরিদর্শন বইতে তা লিপিবদ্ধ করা।
  • ফ্যাক্টরীতে কেমিক্যালস ব্যবহারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা।
  • অগ্নিনির্বাপনের উপর নিয়মিত অনুশীলন/মহড়ার ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ সকলকে সচেতন করা।
  • প্রত্যেক ফ্লোর/সেকশনে পূর্বাহ্নে অগ্নি নির্বাপন দল এবং উদ্ধারকারী দল গঠন করা।
  • ফ্যাক্টরী চলাকালীন প্রত্যেক গেটের/দরজায় তালা খোলা রাখা এবং তালাচাবি প্রশাসনিক কর্মকর্তার নিকট জমা রাখা। প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবশ্যই তা নিশ্চিত করবেন।
  • ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবার পর রুটিন মাফিক নিয়মিত চেক করা। উক্ত চেকের সময় এডমিন, সিকিউরিটি, ইলেক্ট্রিক এবং ষ্টোরের প্রতিনিধি থাকবে।
  • প্রত্যেক সিঁড়িতে এবং প্রত্যেক ফ্লোরের উভয় প্রান্তে জরুরী বাতি/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • ফ্যাক্টরীতে অবস্থানরত গাড়ীগুলি সবসময় বর্হিমূখী করে পার্ক করতে হবে। যাতে স্বল্প সময়ে নিরাপদ অবস্থান গ্রহনসহ গাড়ী কর্তৃক কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়।
  • ফ্লোরে নিয়ন্ত্রনের সুবিধার্থে পিএ ইকুইপমেন্ট/হ্যান্ড মাইকের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • আগুন দেখা মাত্র ”বিপদ ঘন্টা” (ঊসবৎমবহপু অষধৎস) বাজাতে হবে। যে ব্যক্তি প্রথম আগুন প্রত্যক্ষ করবেন, তিনিই ”বিপদ ঘন্টা” (ঊসবৎমবহপু অষধৎস) বাজাবেন।
  • ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দুর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য
  • আগুন লেগেছে দেখা মাত্র যে কেউ ফ্লোরে স্থাপিত ফায়ার এলার্ম সুইচ টিপে এলার্ম বাজাবে।
  • ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনামাত্র ফায়ার ফাইটার ব্যতিরেকে ফ্লোরের সমস্ত লোকজন যত দ্রুত সম্ভব মেশিনের সুইচ অফ করে অথবা হাতের কাজ ফেলে ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী প্রত্যেক সিঁড়ি দিয়ে নেমে করবে।
  • ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনা মাত্র ইলেক্ট্রিশিয়ান বা ফায়ার ফাইটিং পার্টির দলনেতা দ্রুত ফ্লোরের মেইন সুইচ অফ করবে এবং সাবষ্টেশন থেকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর মেইন সূইচ অফ করবে।
  • লোকজন সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামার সময়ে কোন ভাবেই ধাক্কা এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে না।
  • দ্রুত নামার সুবিধার্থে নিজের জুতা বা টিফিন ক্যারিয়ার বা অন্য কিছু সঙ্গে নেয়ার চেষ্টাও করবে না।
  • কাহারো গায়ের কাপড়ে আগুন ধরে গেলে তৎক্ষনাৎ ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোন ক্রমেই দৌড়ানো যাবে না।
  • এছাড়া ফায়ার ফায়ার ফাইটিং, স্যালভেজ পার্টি ফাষ্ট এইড পার্টি, কর্ডন পার্টি এবং অন্যান্য সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য বিশ্বস্ততা এবং সাহসিকতার সাথে আবশ্যই পালন করবে।
  • নির্ধারিত ব্যক্তি সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করবে।
  • যে ফ্লোরে আগুন লেগেছে সেই ফ্লোরের বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ করে দিতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর প্রধান সুইচও অফ করে দিতে হবে।
  • নির্ধারিত ফায়ার কর্মীগন অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করবেন।
  • নির্ধারিত কর্মী বা বয়লারের কাছের ব্যক্তি বয়লারের সুইচ বন্ধ করবে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল কর্তৃক ফ্লোর/সেকশনে রক্ষিত অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
  • সুপারভাইজারগন মেইন গেট ও এমারজেন্সি এক্সিট দিয়ে শ্রমিকদের বের করার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
  • নিরাপত্তার নিয়োজিত ব্যক্তিগন তৎক্ষনাৎ ফ্যাক্টরীর চারটি গেইটের ভিতর এবং বাহিরে অবস্থান নিবে। বাহির থেকে কেহ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা নিবে অর্থাৎ কর্ডন পার্টি এই কাজ করবে। তাছাড়া মানুষ ও গাড়ী চলাচলের জন্য সম্মূখের রাস্তা উন্মুক্ত রাখবে।
  • নির্ধারিত দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগন শৃখঙলার সাথে ও সুষ্ঠু ভাবে নির্গমন কাজে সাহায্য করবে।
  • শৃখঙলার সাথে নির্গমন কাজ স¤পন্ন করার জন্য ইভ্যাক্যুয়েশন লে আউট অনুযায়ী দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিগন কাজ করবে।
  • কোন কর্মীই ফ্যাক্টরীতে রাখা তার নিজের জিনিস পত্র দুর্ঘটনার সময় নিতে চেষ্টা করবে না।
  • আগুন লাগার সাথে সাথে সকলকে সতর্কীকরনের নিমিত্তে হুটার/সাইরেন/কলিং বেল বাজিয়ে  সতর্ক করতে হবে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল উদ্ধারকারীদল ব্যতীত মহিল ও পুরুষগন ১/২ মিনিটের দ্রুততায় সিড়ি দিয়ে স্কেপ প্ল্যান অনুযায়ী বের হয়ে যাবে।
  • র বা সেকশন থেকে লোকজন নেমে যাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল দ্রুত দুর্ঘটনা কবলীতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসক দলের কাছে নিয়ে যাবে এবং প্রয়োজনে ফ্যাক্টরীর চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌছে দেবে।
  • কোন ভাবেই সিঁড়ি ব্যতীত অন্য কোন ব্যবস্থায় নামবার চেষ্টা করবেনা।
  • অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনা কবলিত মালামাল উদ্ধার করবে।
  • অন্যান্য অগ্নি প্রতিরোধক ব্যবস্থা
  • মেইন গেট ফ্যাক্টরী চলাকালীন সব সময় খোলা থাকবে।
  • কাহারো গায়ের কাপড়ে আগুন লেগে গেলে তৎক্ষনাৎ ফ্লোরে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোনক্রমেই দৌড়ানো যাবে না।
  • সকালেই সকল এমার্জেন্সি এক্সিট খুলে দেওয়া হয় এবং এক্সিট এরিয়া সব সময় প্রতিবন্ধক হীন রাখা হয়।
  • ফ্যাক্টরীর দায়িত্ব প্রাপ্ত কয়েক জন অফিসার নিচে গিয়ে রান্তার যানবাহন নিয়ন্ত্রন করবে যাতে শ্রমিক কর্মচারীগন নিরাপদে থাকে।
  • অগ্নিনির্বাপক দল এবং উদ্ধারকারী দলকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে হবে।
  • প্রত্যেক ফ্লোর-ইনচার্জগন সবার শেষে ফ্লোর থেকে বের হবে এবং নিশ্চিত হবে যে ফ্লোরে বা বাথ রুমে কেহ আটকে নেই।
  • বারুম/টয়লেট ও বিল্ডিং-এর ছাদ চেক করতে হবে যাতে কোন লোক আটকা পড়ে না থাকে।
  • সিকিউরিটি গার্ডগন ফ্যাক্টরী থেকে বের হবার সময় শৃখঙলা ভঙ্গ না হয় তা দেখবে এবং নিশ্চিত করবে যে দ্রুত নির্গমনের জন্য প্যাসেজ খোলা আছে, বাইরের কোন লোক ভিতরে প্রবেশ করবে না এবং কোন শ্রমিক জুতা স্যান্ডেল নেওয়ার জন্য নির্গমন পথে বাধা সৃষ্টি করছে না।
  • আগুন লাগলে নিুলিখিত টেলিফোনে যোগাযোগ করতে হবে।
  • ফায়ার সার্ভিস ৯৫৫৫৫৫৫, ৯৫৫৬৬৬৬
  • ফায়ার সার্ভিস হেড কোয়াটার ৯৫৫৬৬৬৭
  • ফায়ার সার্ভিস সাভার ৭৭১৩৩৩৩
  • ফায়ার সার্ভিস ই.পি.জেট ৭৭০১৪৪৪
  • ফায়ার সার্ভিস টঙ্গী ৯৮০১০৭০
  • ফায়ার সার্ভিস ক্যান্টনমেনট ৬০৫১৬৮
  • যে বা যারা ইলেক্ট্রিক সুইচ বোর্ড এর নিকট অবস্থান করবেন তারা মেইন সুইচ বন্ধ করবে। অথবা ইলেক্ট্রিক্যাল ইনচার্জ বা ইলেক্ট্রিশিয়ান বা মেইন্টেন্যান্স সেকশনের যে কেহ দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করবে।
  • প্রোডাকশন অফিসার মাইকিং করে সকল শ্রমিক কর্মচারীগণবে আগুন লাগার স্থান বলবেন এবং সতর্কতার সাথে বের হওয়ার জন্য পথ নির্দেশনা এবং করনীয় আদেশ উপদেশ প্রদান করবেন। প্রোডাকশন অফিসারের অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা সময় রক্ষক উক্ত মাইকিংয়ের কাজ করবেন।
  • রিসেপশনিস্ট টেলিফোন করে স্থানীয় দমকল বাহিনী, থানা (পুলিশ ষ্টেশন) এবং একাউন্টস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী কে সংবাদ জানাবে।
  • দ্রুত নামার সুবিধার্থে কেহ আতঙ্কের সৃষ্টি এবং হৈ-চৈ বা কান্নাকাটি করবেনা।
  • নিরাপত্তা রক্ষী গেটে দাঁড়িয়ে বহিরাগতদের ফ্যাক্টরীর ভিতরে প্রবেশে বাধা দিবে যেন অযথা ভীড় না হয়। নিরাপত্তা রক্ষী নিজ নিজ ডিউটির স্থানে দায়িত্ব পালন করবে। মেইন গেটের নিরাপত্তা রক্ষী চারতলার পশ্চিম পাশের গেটে অবস্থান গ্রহন করবে।
  • উদ্ধার বাহিনীর (জবংপঁব ঞবধস) সদস্যগণ দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কতার সাথে প্রথমে গর্ভবতী, মহিলা কর্মী ও পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের বাহির হওয়ার ব্যবস্থা করবে। বিস্তারিত দায়িত্ব জবংপঁব ঞবধস লিষ্টে প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার বাহিনীর সদস্যগণ উদ্ধার কাজের সময় প্রয়েজনে অবশ্যই গ্যাস মাস্ক ব্যবহার করবে।
  • ধোয়ার আছন্ন হয়ে বাহির হওয়ার পথ দেখতে না পেলে দ্রুত বসে হামাগুড়ি দিয়ে বাহির হয়ে আসতে হবে।
  • অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর সদস্যগণ নিজ নিজ নির্দিষ্ট সরঞ্জাম/যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভাবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনবে। বিস্তারিত দায়িত্ব ঋরৎব ঋরমযঃরহম ঞবধস লিষ্টে প্রদান করা হয়েছে।
  • যারা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে তারা অবশ্যই মুখোশ ব্যবহার করবে।
  • ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না। সোজা নিজের বাসায় চলে যাবে।
  • উদ্ধার কার্যাবলী সম্পাদনের পরে লাইন করে সকল শ্রমিক এর সংখ্যা গণণা করতে হবে। এ ব্যাপারে পিএম এবং ফ্লোর ইনচার্জ নিজ নিজ ফ্লোরের লোক সংখ্যা গণণা করবে।
পরিবেশ নিরাপত্তা কি? পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি এর বর্ণনা

পরিবেশ নিরাপত্তা কি? পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি এর বর্ণনা

পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি।

উদ্দেশ্য ঃ ডাইং ও ওয়াশিং সেকশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন দূষিত পানি যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তা শোধনের জন্য ই,টি,পি প্লান্ট বা বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা রয়েছে । কারখানাটিতে দাগ উঠানোর জন্য পানিতে দ্রবনীয় ধৌত সামগ্রী ব্যবহার করে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার সীমিতকরনের ব্যবস্থা রয়েছে ।অটো গ্র“প সব সময়ই সুস্থ্য ও সুন্দর পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। …

কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সৃষ্টিই এই নীতি মালার লক্ষ্য। দেশে প্রচলিত শ্রম আইন  বা ক্রেতাগনের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে এবং শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা ত্বরান্বিত করার জন্য কর্ম পরিবেশের একটি নীতিমালা অনুসরন করে থাকে । Read English Version

পদ্ধতি / অনুসরন নীতিমালা ঃ

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ

  • টয়লেটের ফ্লোরে পানি ফেলা যাবেনা। হাত মুখ ধোয়ার পর পানি শুকানোর মেশিন দ্বারা হাত শুকিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন কর্মস্থল, মেঝে, ওয়ার্ক টেবিল, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা হয় ।
  • টয়লেট পরিস্কার রাখার জন্য সকলকে সতর্ক/সচেতন থাকতে হবে। টয়লেট অপরিস্কার থাকলে সাথে সাথে সুইপারকে   জানাবেন।
    মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ভেজা কাপড় ব্যবহার করা হয় এবং পালাক্রমে এ কাজের জন্য ৫ জন লোক নিয়োগ করা আছে ।
  • চলাচলে পথের উপর কোন ফেব্রিক্স, প্যার্টান, বাস্কেট বা অন্যকিছু রাখা যাবে না। চলা চলের পথ সবসময় খোলা বা উম্মুক্ত রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর কারখানার দেয়াল ও ছাদ রং করা হয় ।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ।

স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে সমস্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে সে গুলো নিম্নরুপ ঃ
১) পরিবেশ, নিরাপত্তা
২) কক্ষের অভ্যন্তরীন সব দেয়াল, শ্রমিকদের কাজের ঘর, মেঝে এবং সিড়িগুলো মযলা ও দর্গন্ধমুক্ত এবং সঠিকভাবে চুনকাম করা।
৩) মেঝের আপ্রয়োজনীয় ময়লা সর্বদাই ক্লিনার দ্বারা পরিস্কার করানো হয় এবং প্রতিসপ্তাহে একবার জীবানু নাশক ও গুড়ো সাবান দিয়ে ধৌত করা হয়।
৪) উৎপাদন প্রক্রিয়ার দরুন যে সমস্ত কাপড়ের টুকরা, সুতা,ও অন্যান্য ময়লা আবর্জনা বের হয় তা প্রতি মাসে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ সমস্ত জিনিস গুলো তুলায় রূপান্তরিত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরী করেন যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। ব্যবহারকৃত ময়লা পানি এবং অন্যান্য ময়লা আবর্জনা প্রবহিত হয়ে যাওয়ার মত যথেষ্ঠ ড্রেন এবং সেফটি টেংক আছে। ফলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নাই্
৫) পুরাতন টিউব লাইট রিসাইকেলদের নিকট বিক্রয় করা হয় ।
৬) কর্মীদের কাজের স্থানে প্রয়োজনীয় বায়ুচলাচল এবং উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্ব পশ্চিম এবং উত্তর দিকে বৃহৎ
৭) বৃহদাকার জানালা গুলি গিয়ে প্রাকৃতিক আলো জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। জানালার গ্লাসগুলি উভয় দিকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকায় বাঁধাহীন ভাবে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ সম্ভবপর হয়েছে। প্রাকৃতিক আলোর সাথে ইলেকট্রিক্যাল লাইট গুলো আলোর গতিকে আরো তীব্রতর করেছে। যার ফলে সমস্ত কাজের স্থান এবং প্রবেশ পথ গুলো নিরাপদ ও কর্মোপযোগী হয়ে উঠেছে। সমগ্র ফ্লোর এ আলোর তীব্রতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট ক্যান্ডেল।
৮) কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য সুবিধাজনক স্থানে দুটো ফিল্টার স্থাপন করা হয়েছে। এবং কর্মীদের বুঝার সুবিধার্থে বংলায় এবং ইংরেজীতে ” বিশুদ্ধ খাবার পানির ” নির্দেশনা দেয়া আছে। ফিল্টারগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
৯) কারখানা আইন অনুযায়ী কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনমাফিক পায়খানা ও প্রস্রাবখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সমস্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাগুলো যথোপযযুুক্তভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানু নাশক দ্বার প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
১০) কারখানার সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তা নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।

বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ

প্রতিটি কাটারম্যান কে অবশ্যই কাজের সময় ধাতব মোজা এবং মাক্স পরিধান করতে হবে/কাটার/সিজার কাটিং টেবিলের সাথে বেধে রাখতে হবে। কারখানাটিতে পর্যাপ্ত পরিমান জানালা রয়েছে যা প্রাকৃতিক ভাবে বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে যথেস্ট সহায়ক ।

ধূলা-বালি ও ধোয়া ঃ

  • প্রতিটি ফ্লোরে ০২ টি করে অভিযোগ/পরামর্শ বাক্স রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে ব্যক্তিগত অথবা কাজের অথবা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ/মতামত থাকলে উক্ত বাক্সে তার মতামত লিখে জানাতে পারে। উক্ত মতামত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন। ধূলা-বালি ও ধোঁয়া যাতে করে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানী বা অস্বস্তির সৃষ্টি না করে সে জন্য সে শ্রমিকগনকে মাস্ক বা মুখোশ সরবরাহ করা হয়েছে ।
  • ধোঁয়া নির্গমনের জন্য কারখানাটিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।

খাবার পানি / পান করার পানি ঃ

১। শ্রমিকদের পান করার জন্য কর্মস্থলের সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য স্থানে পানির জার বসানো হয়েছে । আমাদের নিজস্ব নার্স ও ডাক্তার রয়েছে। প্রতিটি প্র্যাথমিক চিকিৎসা বাস্কের দায়িত্বে দুইজন করে প্রশিক্ষিত লোক রয়েছে। প্রায়োজনে উক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে হবে।

২। বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

৩। প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করা হয় ।

বর্জ্য পদার্থ অপসারণ ঃ

কারখানার নোংরা ও বর্জ্য অপসারনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।

১। নির্দিষ্ট লোক নির্দিষ্ট সময় পর পর কারখানার জুট সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ।

২। কারখানাটিতে অত্যন্ত নিরাপদভাবে জুট রাখার ব্যবস্থা রয়েছে ।

আলোর ব্যবস্থা  ঃ কারখানার শ্রমিকগণ যেখানে কাজ করেন বা যাতায়াত করেন । সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক এবং বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রয়েছে ।

১। শ্রমিকদের সুক্ষ কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ।

পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ

১। কারখানায় শ্রমিকগনের জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

২। মহিলা ও পূরুষদের জন্য পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

৩। কারখানার মোট শ্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী  মহিলাদের জন্য ২৫ জনের জন্য ১টি হিসাবে মোট ………..টি  পায়খানা ও প্রস্রাবখানা এবং পূরুষদের জন্য ……..টি পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

৪। প্রতিদিন জীবাণুনাশক দ্বারা কমপক্ষে ৩ বার পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিষ্কার করা হয়  এবং তা রেকর্ডকৃত করা হয়।

আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ঃ

১। কারখানাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী রয়েছে । সক্রিয়ভাবে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা, সুস্বাস্থ্য ও কর্মচারীদের বিশেষত গর্ভবতী শ্রমিকসহ একটি জেন্ডার প্রেক্ষিত এবং ভাল অনুশীলন আবেদন, মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে.

প্রশিক্ষণ ঃ

সকল অপারেটরগণ নিশ্চিত হতে হবে যে, তার মেশিনে সকল নিরাপত্তা সরঞ্জাম রয়েছে। যেমন: – নিডেল গার্ড, সেফটি গ্লাস, পুলি কভার, মাক্স, বেল্ট কভার   ইত্যাদি এবং সকল সুপারভাইজারগণকে নিশ্চিত করতে হবে যে, অপারেটরগণ উক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। মেশিনে কোন যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে মেকানিকের সাহায্য নিতে হবে। কাটার, সিজার মেশিনের সাথে বেধে রাখতে হবে।  কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থাদি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ।

পরিষ্কার পরিচছন্নতার বিষয়াদি

পরিষ্কার পরিচছন্নতা যে কোন কারখানার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা এই ব্যাপারটি খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। এই সকল বিষয়েই মুলত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য করা, কিন্তু তারা যদি নিজেরা পরিচছন্ন না হয় তাহলে এর মাধ্যমে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই প্রতিটি শ্রমিকের পরিচছন্নতার বিধিমালা মেনে চলা উচিত।
আমাদের কারখানায় পরিষ্কার পরিচছন্নতার বিষয়াদি তদারক করার জন্য সার্বক্ষনিক কেয়ার টেকার রয়েছে।

সারাংশ

পরিবেশ নিরাপত্তা ফ্যাক্টরীকে সদা সর্বদা পরিষ্কার পরিচছন্ন রাখার জন্য নির্ধারিত ক্লিনার রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ও ঝারুদিয়ে ফ্লোর, সিড়ি, প্যাসেজ, টয়লেট ও বারান্দার ময়লা ও বর্জ পদার্থ পরিষ্কার করছে। এছাড়াও সকাল বিকাল টয়লেট ও থুথু দানি পরিষ্কারের জন্য সুইপার রয়েছে। ফ্যাক্টরীর কাছে অবস্থিত ডাষ্টবিনে ময়লা ও পরিত্যাক্ত বর্জ পদার্থ ফেলার কার্যকরি ব্যবস্থা আছে।

কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সুবিধাদি সমুহ কি কি?

কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সুবিধাদি সমুহ কি কি?

স্বাস্থ্য বিষয়ক সুবিধাদি

কোন শ্রমিক গুরতর ভাবে জখম হলে বা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও ফ্লোরে ফাষ্ট এইড বক্সসহ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত পর্যাপ্ত সংখ্যক ফাষ্ট এইড কর্মী রয়েছে। ফাষ্ট এইড বক্সটি প্রাথমিক চিকিৎসার জিনিসপত্র সহ একজন ফাষ্ট এইড কর্মীর অধীনে থাকে। তদুপরি আমরা মাঝে মাঝেই শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ডাক্তারী চিকিৎসার উপর ট্রেনিং সেশনের ব্যবস্থা নেই। স্বাস্থ্য বিষয়ে জররী অবস্থায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপর্ণ এ কারণে এর পদ্ধতিগুলো সন্নিবেশিত হলো ঃ –

কেউ অজ্ঞান হলে তাৎক্ষণিক করণীয় বিষয়গুলো হইলঃ-

১। আহত ব্যক্তিকে একটা সমতল ভুমিতে শুইয়ে দিন এবং তাঁর পাশে হাঁটু গেড়ে বসুন। কপালে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মাথাটি কাত করে দিন। তাঁর মুখটি হাঁ করে দিন। যদি সে শ্বাস নিতে না পারে তবে কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করুন।
২। আহত ব্যক্তির চিবুক তুলে ধরন যাতে চোয়াল সামনের দিকে যায়।
৩। বড় একটি নিশ্বাস নিন এবং আপনার ঠোঁট তার মুখে চেপে ধরন। এরপর আস্তে আস্তে তার মুখে শ্বাস ছেড়ে দিন।
৪। নিশ্বাসের সঙ্গে তার বুক উঠা নামা করছে কিনা লক্ষ্য করন। যদি উঠে তাহলে আপনার মুখটি সরিয়ে নিন। কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে পর পর দুই বার শ্বাস-প্রশ্বাস এবং তার হার্টবিট লক্ষ্য করন।
৫। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করন।

হার্টবিট পরীক্ষা ঃ

১। সবচেয়ে নিচের বক্ষের হাড় খুঁজে বের করুন এবং ঘাড়ের মাঝামাঝি অংশ বের করুন।
২। এক হাতের গোড়ালী ঘাড়ের মাঝামাঝি অংশের নিচে রাখুন এবং পাঁজরের নিচে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত চাপ দন পরে চাপ বন্ধ করন।
৩। প্রতি সেকেন্ডে ২ বার ৩ থেকে ৬ বার চাপ দিন এবং একবার দম নিন। এভাবে মোট ৫ বারের পর একবার করে দম দিন যতক্ষণ না পর্যন্ত হার্টবিট ফিরে আসে।
৪। হার্টবিট ফিরে পেলে চাপ দেয়া বন্ধ করন। কিন্তুু কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত নিজে শ্বাস নিতে পারছেন।
৫। তাকে হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থা করন।

বিদ্যুতায়িত হলে ঃ

১। বিদ্যুতায়িত ব্যক্তিকে মাটিতে শুইয়ে মাথা এক পাশে কাত করে দিন।
২। কম্বল দিয়ে তাকে ঢেকে রাখুন যাতে সে উঞ্চ থাকে।
৩। যদি সে পিপাসা বোধ করে তবে তার ঠোট ভেজা কাপড় দিয়ে ভিজিয়ে দিন।
৪। যদি সে অজ্ঞান হয়ে যায় তবে তার শ্বাস-প্রশ্বাস লক্ষ্য করন।
৫। তাকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করন।

পুড়ে গেলে

১। সাথে সাথে পোড়া অংশটি ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন এবং যতক্ষণ জ্বালা না কমে ততক্ষণ আস্তে আস্তে পোড়া অংশে পানি ঢালুন।
২। যদি ফোস্কা পড়ে তবে এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে (তুলা নয় এমন) জায়গাটি ঢেকে রাখুন।
৩। পানির সাহায্যে পোড়া অংশটি ঠান্ডা করন, ভুলেও পোড়া অংশে ঘষা দিবেন না, বা ফোস্কা পড়লে ফাটাবেন না।
৪। তুলা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে পোড়া অংশটি ঢেকে রাখুন।
৫। কি পরিমাণ আঘাত পেয়েছে তা বুঝে তাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করন।

প্রচুর রক্তক্ষরণ ঃ

১। যদি প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তবে আহত অংশটি তুলে ধরুন এবং চারপাশে চাপ দিন যতক্ষণ না পর্যন্ত রক্ত বন্ধ হয়।
২। কিছুক্ষণের জন্য চাপ বদ্ধ করুন এবং রুমাল জাতীয় কাপড় পেঁচিয়ে নিন।
৩। ক্ষত অংশের চারপাশে রুমালটি বেঁধে নিন এবং একটি গজের মাধ্যমে ক্ষতটিকে ব্যান্ডেজ করুন (আহতকে তোলার চেষ্টা করবে না এবং ক্ষতটি পরিষ্কারের চেষ্টা করবেন না)।
৪। তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

কেটে গেলে ঃ

১। ডেটল বা সেভলন দ্বারা জায়গাটি পরিষ্কার করে নিন।
২। যদি ৫ মিনিটে রক্ত পড়া বন্ধ না হয় তবে একটি প্যাড ক্ষতটির উপর কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে রাখুন।
৩। ড্রেসিং করে জায়গাটি বেধে রাখুন এবং পরিষ্কার রাখুন।

নাকে রক্ত আসলে ঃ

১। তাকে একটি বেসিনের সামনে নিয়ে মিনিট দশেক নাকে চাপ দিয়ে রাখুন। টেনে রক্ত ভিতরে নেয়া হতে তাকে বিরত রাখুন।
২। এরপরও যদি রক্ত বন্ধ না হয় তবে একটি ভেজা কাপড় তার নাকে ২ মিনিটের জন্য চেপে ধরুন এবং এরপর আবার নাকে চাপ দিয়ে রাখুন।
৩। রক্ত পড়া বন্ধ হবার ঘন্টা চারেক পর্যন্ত নাক দিয়ে বাতাস বের না করতে বলুন।

মাথা বা মুখের ক্ষত ঃ

১। যদি মাথা ফেটে যায় তবে ক্ষত অংশে একটি ভেজা কাপড় জড়িয়ে নিন। এটি ক্ষত স্ফীত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
২। যদি মাথা হতে রক্তক্ষরণ হয় তবে একটি পরিষ্কার কাপড় ক্ষতের উপর চাপ দিয়ে ধরুন।
৩। তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

খিচুনী বা গিড়ার টান ঃ

১। যেভাবে ভাল বোধ করে সেভাবে অংশটি রাখুন এবং তাতে বরফ শীতল পানি ঢালুন।
২। গিড়ার চারপাশে তুলা দিয়ে ব্যান্ডেজ রাখুন।

চোখে ময়লা পড়লেঃ

১। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখুন স্বাভাবিক চোখের পানি নিয়ে ময়লাটি ধুয়ে যায় কিনা।
২। যদি তাতে ময়লা না যায় তবে পর্যাপ্ত আলোতে চোখটি নিয়ে আসুন।
৩। হাত নিয়ে আস্তে করে তার চোখ বড় করে খুলুন এবং চোখের সাদা অংশে ময়লা থাকলে একটি পরিষ্কার রুমাল দিয়ে ময়লাটি চোখের কোণে নিয়ে আসুন।
৪। যদি এই পদ্ধতিতে কাজ না হয় তবে ডাক্তার ডাকার ব্যবস্থা করুন।

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার নীতি কি? সরঞ্জামাদি ব্যবহার পদ্ধতি

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার নীতি কি? সরঞ্জামাদি ব্যবহার পদ্ধতি

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার পদ্ধতি ঃ

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি  – অত্র ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিকদের পিপিই ব্যবহার ও সচেতন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশক্ষিন প্রদান করনে করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়। আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জমাদি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। শ্রমিকেরা নিয়মানুযায়ী আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জমাদি ব্যবহার করছে কি না তা নিশ্চিত করবে সেকশন ইনচার্জ/সুপারভাইজার।সকল শ্রমিক অবশ্যই তাদের সংশ্লিষ্ট আত্মরক্ষামূলক যন্ত্রাদি ব্যবহারের নিয়মাবলী সর্ম্পকে জানবে। শ্রমিক কর্মচারীদের সর্বোচচ নিরাপত্তার খাতিরে নিুলিখিত সরঞ্জামাদি ব্যবহার পদ্ধতি বিষয়ে নিুে আলোচনা করা হলো ঃ- ফফফফ …

হাত মোজা ব্যবহার বিধি ঃ

১। ফ্লোর-ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট্য ব্যক্তি শ্রমিককে হাত মোজা ব্যবহারের নিয়ম শিক্ষা দিবে।
২। প্রথমে দেখে নিতে হবে হাত মোজাটি আপনার হাতে সঠিক ভাবে লাগছে কিনা ।
৩। শ্রমিক হাত মোজা ব্যবহার করছে কি না তা ফ্লোর-ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট্য ব্যক্তি তদারক করবেন।
৪। হাত মোজা কার্যকারিতা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করতে হবে।
৫। কোন ত্রটি দেখা দিলে ফ্লোর-ইনচার্জকে বলুন ও প্রয়োজনে বদলে নিন।
৬। মনে রাখবেন এটি আপনার জন্য একটি অপরিহার্য বস্তুু। তাই এটি পরতে যতœবান হোন।

মুখোশ (মাসক্) ঃ

প্রথমে দেখে নিন যে মাস্কটি আপনাকে দেওয়া হয়েছে তা আপনার মাপ মতো কি না। এইটির সম্পূর্ণ অংশ সঠিক আছে কি না। একাধিকবার আপনার নাক এবং মুখে স্থাপন করে নিশ্চিত হোন যে, এটি আপনার কোন প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি করছে কি না। প্রত্যেকদিন এইটি পরীক্ষা করুন এবং কোন ত্রæটি পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করে সরঞ্জমাদি বদলে নিন। এই মাস্কটি আপনাকে সম্ভাব্য অনেক ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবে, তাই এইটি ব্যবহারে যতœবান হোন। বশিষে করে ধুলো-ময়লা, আর্বজনা, র্দুগন্ধ যুক্ত কাজরে সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদরে সব সময় মাস্ক পরা উচতি।

কারখানার নিডেল সকেশনরে শ্রমকিরা সব সময় মাস্ক পরধিান করা বাধ্যতামূলক, এর পাশাপাশি অন্যরাও সব সময় মাস্ক পরধিান করব।ে  প্রত্যেকদিন এটি পরীক্ষা করুন এবং কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিভাগকে অবহিত করে সরঞ্জামাদি বদলে নিন। এই মাস্কটি আপনাকে সম্ভাব্য অনেক ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবে, তাই এটি ব্যবহারে যতœবান হোন। ফ্যাক্টরীতে যারা কার্যরত তাদের প্রত্যেকের জন্য মাসক্ ব্যবহার অত্যন্ত জররী। প্রধানতঃ কাপড় নাড়ার সময় অত্যন্ত হালকা ময়লা বাতাসে ভেসে বেড়ায় নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে এই অতি ক্ষুদ্র ময়লাগুলি শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে তাদের শরীরের ক্ষতি করে থাকে। এই মাসক্টি তাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।

গ্লাভসঃ

যেসব অপারেটর কেমিকেল নিয়ে কাজ করে, তথা মিক্সিং বা ড্রাম হতে ডেলে কাজ করে তাদের উচিত কাজ শুরু করার আগে জঁননবৎ এষড়াবং পরে নেয়া। এতে তার যেকোন প্রকার থেকে নিরাপদ থাকবে। প্রথমেই দেখে নিন আপনাকে যে গেøাভসটি দেওয়া হয়েছে তা আপনার হাতে সঠিকভাবে লাগছে কি না। কেমিক্যাল ড্রাম বা পট হতে কেমিক্যাল মেশানোর সময় অবশ্যই কেমিক্যাল ড্রেস পরে  কাজ করতে হবে। যাতে কেমিক্যাল গায়ে না লাগতে পারে।  গেøাভসটির কার্যকারিতা সব সময়ে পরীক্ষা করুন। কোন ত্রæটি পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার সেকশন চীফকে জানান এবং নিজ দ্বায়িত্বে বদলের জন্য সচেষ্ট হোন। এইটি আপনার একটি অপরিহার্য বস্তুু এবং এইটি ব্যবহারে যতœবান হোন।

ব্যবহার বিধি ঃ

১। প্রথমে দেখে নিন যে মুখোশটি (মাসক্) আপনাকে দেওয়া হয়েছে তা আপনার মাপ মতো কিনা।
২। পরীক্ষা করন কোন ক্রটি আছে কি না। থাকলে আপনার ফ্লোর-ইনচার্জকে বলুন।
৩। ফেœার-ইনচার্জ ও সুপারভাইজার সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে মুখোশ ব্যবহার শিক্ষা দিবে এবং তা ব্যবহার করছে কি না তা তদারক করবে।
৪। এই মুখোশটি (মাসক্) স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থেকে আপনাকে বাঁচাবে তাই আপনারা মুখোশ (মাসক্) ব্যবহারে সতর্ক হোন।

ভার বহন / উত্তোলন ঃ

ভার বহন/উত্তোলন একটি শারীরিক কাজ। এই কাজের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন নতুবা বিপদের সম্ভাবনা থাকে। ভার বহন/উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিুলিখিত নির্দেশাবলী পালন করা উচিত ঃ
১। ভার উত্তোলনের পূর্বে ওজন সর্ম্পকে সঠিকভাবে জেনে নিন। সম্পূর্ণ সামনের দিকে ঝুকে ভার উত্তোলন করবেন না। ভার উত্তোলনের পূর্বে ওজন স¤পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন।
২।বড় সাইজের বাক্স হলে দুইজন ধরাধরি করে কোমর উচ্চতায় তুলুন, পরে আপনার সুবিধাজনক স্থানে ধরে ওজন বহন করুন।  স¤পূর্ণ সামনের দিকে ঝুকে ভার উত্তোলন করবেন না।
৩। বড় সাইজের কার্টুন হলে দুইজন ধরাধরি করে কোমর উচচতায় তুলুন পরে আপনার সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করে ওজন বহন করন।
৪। ভারী ওজন বহনের ক্ষেত্রে অপরের সাহায্য নিন।
৫।ভারী ওজন বহনের ক্ষেত্রে অপরের সাহায্য নিন। ওজন বহনের সময় আপনার দৃষ্টি সীমা পরিষ্কার রাখুন।  ওজন বহনের সময় আপনার দৃষ্টি সীমা পরিষ্কার রাখুন।
৬। ওজন বহনের সময় শব্দ ব্যবহার করে আশে পাশের সকলকে সতর্ক করুন এবং সংঘর্ষ এড়ান।  ওজন বহনের সময় শব্দ করে আশে পাশের সকলকে সতর্ককরন এবং সংঘর্ষ এড়ান।
৭ ওজন বহনের সময় ট্রলি ব্যবহার করার চেষ্টা করন। শারীরিকভাবে ওজন বহন যথাসম্ভব পরিহার করন।
৮। কোন দ্রব্য সরঞ্জাম বা যস্ত্রপাতি হাতে বা মাথায় করিয়া বহন, উত্তোলন বা অপসারনের জন্য কোন অন্তঃসত্বা মহিলাকে কাজে লাগানো যাবে না।

এছাড়াও আমাদের কোম্পানীর আত্মরক্ষমূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিজস্ব নীতি আছে যা নিম্নরুপ ঃ

আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নীতিমালা

শ্রমিকের সার্বিক স্বাস্থ্য রক্ষা ও নিরাপত্তার খাতিরে আমাদের একটি লিখিত আতœ রক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের কর্ম পদ্বতি আছে। কর্মপদ্ধতি গুলো নি¤œরুপঃ
১. আতœ রক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিয়ম বর্ননা করে একটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের আয়োজন করে থাকি।
২. কমপ্লায়েন্স / কল্যান কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে হাত মোজা, গামবুট, মুখোশ ও ইয়ার প্লাগ/ইয়ার মাফলার, চশমা ইত্যাদির (যেখানে যা প্রযোজ্য) ব্যবহারিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
৩. শ্রমিকেরা এই সব ব্যবহার করছে কিনা তা নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার।
৪. মেশিনে ও কাজের ধরন অনুযায়ী আতœ রক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
৫. সকল শ্রমিক তাদের সংশিষ্ট আত্ম রক্ষামূলক দ্রবাদী ব্যবহারের লিখিত ব্যবহারবিধি অনুসরন করে থাকে।
আতœরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ঃ-
* হাত মোজা * মুখোশ * কানের ছিপি * চশমা হেলে ইত্যাদী।
মাস্ক ঃ যারা আমাদের ফ্যক্টরীতে কাটিং, নিটিং, এবং ওয়ার হাউজের সঙ্গে জড়িত আছেন তাদের জন্য মাস্ক এর ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া সাধারণত সুইংমেশিন অপারেটর, স্প্রে গান অপারেটর এবং থ্রেড ছাকার ব্যবহারকারী কর্মীদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক।
হাত মোজা ঃ হাত মোজা ব্যবহারের প্রথম কারণ হচ্ছে আপনার হাতকে সম্ভাব্য বিপদ হতে রক্ষা করা। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
কানের ছিপি ঃ যারা বেশি শব্দ তৈরি হয় এরুপ জায়গায় (নিটিং, জেনারেটর রুম,বয়লার রুম ইটিপি) কাজ করেন তাদেরকে কানের ছিপি ব্যবহার করতে হয়। যাতে শব্দ দূষনে কানের কোন প্রকার ক্ষতিসাধন না হয়। কানের ছিপিটি অথবা ইয়ার মাফটি এমনভাবে পরতে হবে যাতে বাহিরের শব্দ কানে প্রবেশ করতে না পারে।
চশমা ঃ এটি না থাকলে চোখে কালি বা অন্যকিছু গিয়ে কিছু পড়তে পারে । সেক্ষেত্রে চোখের মারাতœক ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই কালি বা কেমিক্যাল ব্যবহারের পূর্বে গগল্স ব্যবহার করে কাজ করবেন। অনেকে গগল্স ব্যবহার না করে কালি বা কেমিক্যাল মেশানোর কাজ করেন। এ অভ্যাসগুলি আপনাদের পরিবর্তন করতে হবে আপনাদের নিজের নিরাপদের জন্য। যারা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে এবং ¯œ্যাপ বাটন মেশিন অপারেট করে তারা চশমা ব্যবহার করে। যাতে এসিড / কেমেক্যাল কিংবা বোতামের ভাঙ্গা অংশ চোখের কোন ক্ষতি করতে না পারে।
হেলমেট ঃ সিভিল কন্সট্রাকশনের কাজ করার সময় মাথায় হেলমেট ব্যবহার করতে হবে।

ব্যবহারবিধিঃ

১) প্রথমে দেখে নিন যে সরঞ্জামটি আপনাকে দেওয়া হয়েছে তা আপনার মাপ মত হয়েছে কিনা।
২) সরঞ্জামটির কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
৩) এটির সমন্ত অংশ সঠিক কিনা (যেমন- ইলাসটিক, সামনের কাপড় বা রবার কাপ ইত্যাদি) দেখে নিন।
৪) একাধিকবার আপনার নাক, কান, মুখ বা চোখে স্থাপন করে নিশ্চিত হোন যে এটি আপনার কোন প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি করছে কি না।
৫) প্রত্যেকদিন এটি পরীক্ষা করুন এবং সমস্যা পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সুপারভাইজারকে অবহিত করে বদলে নিন।
৬) মনে রাখবেন এটি আপনার জন্য একটি অপরিহার্য বস্তু এবং এটি ব্যবহারে যতœবান হোন।

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার নীতি।

উদ্দেশ্য ঃ অটো গ্র“প এ নিযোজিত সকল শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিেেবশের জন্য এই নীতি
প্রযোগে দুঢ় প্রতিজ্ঞ।
পরিধি ঃ প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিক, কর্মচারীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।

আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের জন্য যে সমস্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে সে গুলো নিম্নরুপ ঃ

১) আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিয়ম শিখানোর জন্য শ্রমিকদের একটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের আযোজন করা হয় ।
২) কারখানায় কর্মরত প্রত্যেকটি শ্রমিককেই মুখোশ ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
৩) কাটিং মেশিনে কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিককেই অবশ্যই হাত মোজা ও মুখোশ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়।
৪) লাইন সুপারভাইজরদের সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে হাতমোজা ,মুখোশ, কানের ছিপি, নিডিল গার্ড ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৫) শ্রমিকরা সঠিকভাবে এ সব ব্যবহার করছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য লাইন সুুুুুুপারভাইজরদের নির্দেশ দেয়া হয়।
৬) আনুষ্ঠ্ানিকভাবে ভার উত্তোলন শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
৭) সুপারভাইজররা নিশ্চিত করেন যে শ্রমিকরা সঠিক নিয়মে ভারউত্তোলন করছে।
৮) নোটিশ বোর্ড, কর্মীদের খাবার স্থান ও বিশ্রামস্থল সহ প্রধান প্রধান স্থানে ভার উত্তোলনের নিয়মাবলী এবং লিঙ্গভেদে ভার বহনের ছক ঝুলানো হয়

পোশাক শিল্পে অভিযোগ ও পরামর্শ নীতি সমূহ কি কি?প্রতিষ্ঠানের শৃঙখলা রক্ষার্থে  পদক্ষেপ

পোশাক শিল্পে অভিযোগ ও পরামর্শ নীতি সমূহ কি কি?প্রতিষ্ঠানের শৃঙখলা রক্ষার্থে পদক্ষেপ

অভিযোগ ও পরামর্শ নীতি

উদ্দেশ্য ঃ অটো গ্র“প এর সকল শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এবং শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনার স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য আমরা অভিযোগ ও পরামর্শ নীতি গ্রহন করে থাকি।

পরিধি ঃ প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিকগণ তাদের কার্যক্ষেত্রে উদ্ভুত বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ  এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যে কোন ধরনের অভিযোগ তাদের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করতে পারবে।
কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিকদের কোন অভিযোগ ও পরামর্শ নীতি থাকলে তা সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কাছে পৌছানোর জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় ঃ
(ক) সাজেশন বাক্স ঃ শ্রমিকদের কোন অসুবিধা বা অভিযোগ থাকলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছানোর জন্য আমরা টয়লেট, ক্যান্টিন এবং কোম্পানীর বিভিন্ন স্থানে সাজেশন বাক্স স্থাপন করে থাকি এবং শ্রমিকদের যে কোন ধরণের সমস্যা অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে তা লিখিত ভাবে বাক্সে ফেলার জন্য উৎসাহ প্রদান করে থাকি।
(খ) ওয়েল ফেয়ার অফিসার ঃ আমরা মহিলা ওয়েল ফেয়ার অফিসার নিয়োগ করে থাকি যাতে শ্রমিকরা তাদের সকল প্রকার সুযোগ, সুবিধা- অসুবিধা, পরামর্শ, অভিযোগ সহজেই জানাতে পারে এবং তার উপদেশ গ্রহন করতে পারে।
(গ) শ্রমিক সংঘ ঃ শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য আমরা শ্রমিদের দ্বারা শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে “শ্রমিক সংঘ” বা ওয়ার্কারস ফোরাম ”গঠণ করেছি।
মৌখিকভাবে বা সাজেশন বক্সের মাধ্যমে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযোগ পাওয়ার ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের জবাব নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। কোন অভিযোগকারীর অভিযোগ যদি মিথ্যা বলে প্রমানিত হয় তাহলে, অভিযোগকারীকে তার সত্যতা প্রমাণ করতে বলা হয়। যদি সে সত্যতা প্রমান করতে পারে তবে কোম্পানীর নীতি অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যদি অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ করতে না পারে তবে মিথ্যা অভিযোগের কারনে তাকে কোম্পানীর নীতি অনুযায়ী আইনানুগ ভাবে শাস্তি প্রদান করা হবে।

শাস্তিমুলক ব্যবস্থা

চাকুরী থেকে বরখাস্ত করন

কোন শ্রমিককে বরখাস্ত বা ছাঁটাই করার ক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট শ্রম আইন মেনে চলি অর্থাৎ কোন্ কোন্ প্রকারের অসদাচরণের জন্য একজন শ্রমিককে বরখাস্ত করব তার কিছু নির্দিষ্ট বিধান মেনে চলি। নিুলিখিত অসদাচরণের জন্য আমরা একজন শ্রমিককে বরখাস্ত করে থাকি।
নিুে উক্ত অসদাচরনের বর্ণনা দেওয়া হল ঃ-
১। অসদাচরণ সমুহ ঃ (ক) স্বেচছায় কাজে অনুপস্থিত থাকা কিংবা একাকী বা সংঘবদ্ধভাবে কোন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইনানুগ বা যুক্তিসঙ্গ আদেশ ইচছাকৃত পালন না করা, স্বেচছাকৃত অবাধ্যতা বা বেয়াদবী ।
(খ) মালিকের, প্রতিষ্ঠানের কিংবা ব্যবসার স¤পদ চুরি, মিথ্যাচার, প্রতারণা বা অসাধুতা ।
(গ) মালিকের অধীনে নিজেকে বা অন্য কোন শ্রমিকদের চাকুরীর ব্যপারে ঘুষ বা বেআইনীভাবে অন্য কোনরপ উৎকোচ নেয়া বা দেয়ার কারণে।
(ঘ) ছুটি ব্যতিরেকে অভ্যাসগত ভাবে কাজে অনুপস্থিতি বা ছুটি ব্যতিরেকে ১০ (দশ) দিনের বেশী অনুপস্থিতি ।
(ঙ) অভ্যাসগতভাবে বিলম্বে কাজে উপস্থিতি ।
(চ) কারখানার মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামামুলক বা গোলযোগপূর্ণ আচরণ করা অথবা নিয়ম শৃঙ্থলা ভঙ্গকারী যে কোন কাজ করা।
(ছ) শিপ্ল প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য যে কোন আইন বা নিয়ম বা বিধান অভ্যাসগত ভাবে ভঙ্গ করার অভ্যাস ।
(জ) অভ্যাসগত ভাবে কাজে অবহেলা ও উপেক্ষা বা ফাঁকি দেওয়া, কোন কাজ না করার অভ্যাস ।
(ঝ) কোন কাজ বা ক্রটি যার জন্য জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে সে কাজে অন্যদেরকে উস্কানি দেয়া, বার বার তা করা বা সে কাজে অবহেলা করা ।
(ঞ) বেআইনী ধর্মঘট বা ধীরে কাজ করা অথবা অবৈধ ধর্মঘট বা ধীরে কাজ করার জন্য অন্যদেরকে উস্কানী দেওয়া ।
(ট) মালিকের অফিসের দলিলপত্র নষ্ট করা, বিকৃত করা, বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিসাধন করা।

উপরোল্লিখিত গুরতর অপরাধের দায়ে কোন শ্রমিককে বরখাস্ত করার জন্য আমরা প্রথমে ভালভাবে তদন্ত করে দেখি এবং পরবর্তিতে লিখিতভাবে অভিযোগ এনে তাকে ব্যাখ্যা ও কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তদন্ত কমিটির সামনে স্বাক্ষীসহ উপস্থিত হয়ে আÍপক্ষ সমর্থনের স¤ম্পর্ণ সুযোগ দেওয়া এবং তার কথা শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার বিরদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে গুরতর শাস্তি হিসাবে বরখাস্ত করা যায় বা লঘু শাস্তি হিসাবে পদাবনিত, পদোন্নতি বন্ধ, ইনক্রিমেন্ট বন্ধ বা সাময়িক ভাবে চাকুরী থেকে অপসারন করা যায়। এ ব্যপারে আমরা সর্বদা সুবিচারের নীতি অবলম্বন করি।
উপরোল্লিখিত কারন ব্যতিরেকে কোন শ্রমিকদের চাকুরীর অবসানের ক্ষেত্রে নিুলিখিত নীতিগুলি মানা হয় ঃ –
তাকে ১২০ দিনের টারমিনেশন নোটিশ দেওয়া হয়।
যদি ১২০ দিনের নোটিশ না দেওয়া হয় তবে ১২০ দিনের মজুরী তাকে দেওয়া হয়। ৩০ দিনের নোটিশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মজুরী দেওয়া হয় এবং আইন সম্মত অন্যান্য পাওনাদি (যদি থাকে) পরিশোধ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের শৃঙখলা রক্ষার্থে অন্যান্য পদক্ষেপ ঃ

১। সতর্কীকরণ ঃ লঘু অপরাধের জন্য কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীকে সতর্ক হবার লিখিত নির্দেশ দিতে পারেন। কোন কর্মচারীকে যদি কোন অপরাধের জন্য
একাধিক বার সতর্ক করে দেওয়া হয়, তবে পরবর্তী কালে তাকে অভ্যাসগত কারণে গুরতর শাস্তি দেওয়া যাবে ।

২। বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিত থাকা ঃ ছুটির শেষে কাজে যোগ না দিলে বা বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিত থাকলে এবং তা ১০ দিনের বেশী হলে
তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর যথোপযুক্তকারণ দর্শাতে না পারলে সে চাকুরীর অধিকার হারাবে।

৩। জরিমানা ঃ সংশ্লিষ্ট আইনে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শৃঙখলা পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য কর্মচারীদের জরিমানা করতে পারেন।

চাকুরী থেকে অব্যহতি গ্রহনের নিয়ম ঃ

১। কোন স্থায়ী শ্রমিক চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে তাকে ১ (এক) মাস পূর্বে লিখিত নোটিশ দিতে হবে।
২। অসুস্থতাজনিত কারণে কোন শ্রমিক চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিতে চাইলে তাকে কর্তৃপক্ষের নিকট শারীরিক অসামর্থতার বিষয়ে একটি ডাক্তারী সার্টিফিকেট
জমা দিতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে পূর্ব নোটিশের প্রয়োজন হবে না।
৩। অব্যাহতি প্রাপ্ত কর্মীকে কো¤পানী কর্তৃক তাকে প্রদত্ত ড্রেস, মাস্ক, কাটার, এয়ারপ্ল্যাগ, চশমা, গামবুট ইত্যাদি জমা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে
অফিসে জমা দিতে হবে।