পরিবেশ নিরাপত্তা

পরিবেশ নিরাপত্তা কি? পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি এর বর্ণনা

পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি।

উদ্দেশ্য ঃ ডাইং ও ওয়াশিং সেকশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে উৎপন্ন দূষিত পানি যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তা শোধনের জন্য ই,টি,পি প্লান্ট বা বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা রয়েছে । কারখানাটিতে দাগ উঠানোর জন্য পানিতে দ্রবনীয় ধৌত সামগ্রী ব্যবহার করে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার সীমিতকরনের ব্যবস্থা রয়েছে ।অটো গ্র“প সব সময়ই সুস্থ্য ও সুন্দর পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। …

কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সৃষ্টিই এই নীতি মালার লক্ষ্য। দেশে প্রচলিত শ্রম আইন  বা ক্রেতাগনের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে এবং শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা ত্বরান্বিত করার জন্য কর্ম পরিবেশের একটি নীতিমালা অনুসরন করে থাকে । Read English Version

পদ্ধতি / অনুসরন নীতিমালা ঃ

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঃ

  • টয়লেটের ফ্লোরে পানি ফেলা যাবেনা। হাত মুখ ধোয়ার পর পানি শুকানোর মেশিন দ্বারা হাত শুকিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন কর্মস্থল, মেঝে, ওয়ার্ক টেবিল, সিঁড়ি, যাতায়াতের পথ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা হয় ।
  • টয়লেট পরিস্কার রাখার জন্য সকলকে সতর্ক/সচেতন থাকতে হবে। টয়লেট অপরিস্কার থাকলে সাথে সাথে সুইপারকে   জানাবেন।
    মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ভেজা কাপড় ব্যবহার করা হয় এবং পালাক্রমে এ কাজের জন্য ৫ জন লোক নিয়োগ করা আছে ।
  • চলাচলে পথের উপর কোন ফেব্রিক্স, প্যার্টান, বাস্কেট বা অন্যকিছু রাখা যাবে না। চলা চলের পথ সবসময় খোলা বা উম্মুক্ত রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর কারখানার দেয়াল ও ছাদ রং করা হয় ।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ।

স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে সমস্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে সে গুলো নিম্নরুপ ঃ
১) পরিবেশ, নিরাপত্তা
২) কক্ষের অভ্যন্তরীন সব দেয়াল, শ্রমিকদের কাজের ঘর, মেঝে এবং সিড়িগুলো মযলা ও দর্গন্ধমুক্ত এবং সঠিকভাবে চুনকাম করা।
৩) মেঝের আপ্রয়োজনীয় ময়লা সর্বদাই ক্লিনার দ্বারা পরিস্কার করানো হয় এবং প্রতিসপ্তাহে একবার জীবানু নাশক ও গুড়ো সাবান দিয়ে ধৌত করা হয়।
৪) উৎপাদন প্রক্রিয়ার দরুন যে সমস্ত কাপড়ের টুকরা, সুতা,ও অন্যান্য ময়লা আবর্জনা বের হয় তা প্রতি মাসে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা এ সমস্ত জিনিস গুলো তুলায় রূপান্তরিত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তৈরী করেন যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। ব্যবহারকৃত ময়লা পানি এবং অন্যান্য ময়লা আবর্জনা প্রবহিত হয়ে যাওয়ার মত যথেষ্ঠ ড্রেন এবং সেফটি টেংক আছে। ফলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা নাই্
৫) পুরাতন টিউব লাইট রিসাইকেলদের নিকট বিক্রয় করা হয় ।
৬) কর্মীদের কাজের স্থানে প্রয়োজনীয় বায়ুচলাচল এবং উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্ব পশ্চিম এবং উত্তর দিকে বৃহৎ
৭) বৃহদাকার জানালা গুলি গিয়ে প্রাকৃতিক আলো জানালা দিয়ে প্রবেশ করে। জানালার গ্লাসগুলি উভয় দিকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকায় বাঁধাহীন ভাবে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ সম্ভবপর হয়েছে। প্রাকৃতিক আলোর সাথে ইলেকট্রিক্যাল লাইট গুলো আলোর গতিকে আরো তীব্রতর করেছে। যার ফলে সমস্ত কাজের স্থান এবং প্রবেশ পথ গুলো নিরাপদ ও কর্মোপযোগী হয়ে উঠেছে। সমগ্র ফ্লোর এ আলোর তীব্রতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট ক্যান্ডেল।
৮) কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমানে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য সুবিধাজনক স্থানে দুটো ফিল্টার স্থাপন করা হয়েছে। এবং কর্মীদের বুঝার সুবিধার্থে বংলায় এবং ইংরেজীতে ” বিশুদ্ধ খাবার পানির ” নির্দেশনা দেয়া আছে। ফিল্টারগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
৯) কারখানা আইন অনুযায়ী কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনমাফিক পায়খানা ও প্রস্রাবখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সমস্ত পায়খানা ও প্রস্রাবখানাগুলো যথোপযযুুক্তভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিস্কারক অথবা জীবানু নাশক দ্বার প্রতি দুই ঘন্টা পর পর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
১০) কারখানার সুবিধাজনক স্থানে যথেষ্ট সংখ্যক পিকদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তা নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।

বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা ঃ

প্রতিটি কাটারম্যান কে অবশ্যই কাজের সময় ধাতব মোজা এবং মাক্স পরিধান করতে হবে/কাটার/সিজার কাটিং টেবিলের সাথে বেধে রাখতে হবে। কারখানাটিতে পর্যাপ্ত পরিমান জানালা রয়েছে যা প্রাকৃতিক ভাবে বায়ু চলাচল ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে যথেস্ট সহায়ক ।

ধূলা-বালি ও ধোয়া ঃ

  • প্রতিটি ফ্লোরে ০২ টি করে অভিযোগ/পরামর্শ বাক্স রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে ব্যক্তিগত অথবা কাজের অথবা কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ/মতামত থাকলে উক্ত বাক্সে তার মতামত লিখে জানাতে পারে। উক্ত মতামত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন। ধূলা-বালি ও ধোঁয়া যাতে করে শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানী বা অস্বস্তির সৃষ্টি না করে সে জন্য সে শ্রমিকগনকে মাস্ক বা মুখোশ সরবরাহ করা হয়েছে ।
  • ধোঁয়া নির্গমনের জন্য কারখানাটিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।

খাবার পানি / পান করার পানি ঃ

১। শ্রমিকদের পান করার জন্য কর্মস্থলের সুবিধাজনক এবং সহজলভ্য স্থানে পানির জার বসানো হয়েছে । আমাদের নিজস্ব নার্স ও ডাক্তার রয়েছে। প্রতিটি প্র্যাথমিক চিকিৎসা বাস্কের দায়িত্বে দুইজন করে প্রশিক্ষিত লোক রয়েছে। প্রায়োজনে উক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে হবে।

২। বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

৩। প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করা হয় ।

বর্জ্য পদার্থ অপসারণ ঃ

কারখানার নোংরা ও বর্জ্য অপসারনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।

১। নির্দিষ্ট লোক নির্দিষ্ট সময় পর পর কারখানার জুট সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ।

২। কারখানাটিতে অত্যন্ত নিরাপদভাবে জুট রাখার ব্যবস্থা রয়েছে ।

আলোর ব্যবস্থা  ঃ কারখানার শ্রমিকগণ যেখানে কাজ করেন বা যাতায়াত করেন । সেসব জায়গায় পর্যাপ্ত স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক এবং বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রয়েছে ।

১। শ্রমিকদের সুক্ষ কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ।

পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ঃ

১। কারখানায় শ্রমিকগনের জন্য সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

২। মহিলা ও পূরুষদের জন্য পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

৩। কারখানার মোট শ্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী  মহিলাদের জন্য ২৫ জনের জন্য ১টি হিসাবে মোট ………..টি  পায়খানা ও প্রস্রাবখানা এবং পূরুষদের জন্য ……..টি পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রয়েছে ।

৪। প্রতিদিন জীবাণুনাশক দ্বারা কমপক্ষে ৩ বার পায়খানা ও প্রস্রাবখানা পরিষ্কার করা হয়  এবং তা রেকর্ডকৃত করা হয়।

আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী ঃ

১। কারখানাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আবর্জনা বাক্স ও পিকদানী রয়েছে । সক্রিয়ভাবে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা, সুস্বাস্থ্য ও কর্মচারীদের বিশেষত গর্ভবতী শ্রমিকসহ একটি জেন্ডার প্রেক্ষিত এবং ভাল অনুশীলন আবেদন, মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে.

প্রশিক্ষণ ঃ

সকল অপারেটরগণ নিশ্চিত হতে হবে যে, তার মেশিনে সকল নিরাপত্তা সরঞ্জাম রয়েছে। যেমন: – নিডেল গার্ড, সেফটি গ্লাস, পুলি কভার, মাক্স, বেল্ট কভার   ইত্যাদি এবং সকল সুপারভাইজারগণকে নিশ্চিত করতে হবে যে, অপারেটরগণ উক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। মেশিনে কোন যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে মেকানিকের সাহায্য নিতে হবে। কাটার, সিজার মেশিনের সাথে বেধে রাখতে হবে।  কর্ম পরিবেশ, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থাদি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাকে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ।

পরিষ্কার পরিচছন্নতার বিষয়াদি

পরিষ্কার পরিচছন্নতা যে কোন কারখানার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা এই ব্যাপারটি খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি। এই সকল বিষয়েই মুলত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য করা, কিন্তু তারা যদি নিজেরা পরিচছন্ন না হয় তাহলে এর মাধ্যমে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই প্রতিটি শ্রমিকের পরিচছন্নতার বিধিমালা মেনে চলা উচিত।
আমাদের কারখানায় পরিষ্কার পরিচছন্নতার বিষয়াদি তদারক করার জন্য সার্বক্ষনিক কেয়ার টেকার রয়েছে।

সারাংশ

পরিবেশ নিরাপত্তা ফ্যাক্টরীকে সদা সর্বদা পরিষ্কার পরিচছন্ন রাখার জন্য নির্ধারিত ক্লিনার রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ও ঝারুদিয়ে ফ্লোর, সিড়ি, প্যাসেজ, টয়লেট ও বারান্দার ময়লা ও বর্জ পদার্থ পরিষ্কার করছে। এছাড়াও সকাল বিকাল টয়লেট ও থুথু দানি পরিষ্কারের জন্য সুইপার রয়েছে। ফ্যাক্টরীর কাছে অবস্থিত ডাষ্টবিনে ময়লা ও পরিত্যাক্ত বর্জ পদার্থ ফেলার কার্যকরি ব্যবস্থা আছে।


Posted

in

by

Comments

7 responses to “পরিবেশ নিরাপত্তা কি? পরিবেশ নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যবিধি নীতি এর বর্ণনা”

Leave a Reply